ইতিহাস পাঠঃ মঙ্গল শোভাযাত্রা
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৪ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:১২:৫৭ রাত
ফতেহ উল্লাহ সিরাজি তারিখ ই ইলাহির মাসের নাম নেন হিন্দু মিথলজি থেকে। বৈশাখ মাসে নাম নেওয়া হয় বিশাখা নক্ষত্রের নাম থেকে [https://goo.gl/pt8s94]। পুরাণ মতে, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার পুত্র হলো দক্ষ, আর দক্ষের কণ্যা হলো বিশাখা। এছাড়া বিশাখা চন্দ্রের ২৭ জন স্ত্রীর অন্যতম। হিন্দু মিথ অনুযায়ি, ‘মাস হিসেবে বৈশাখের একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আছে, যা প্রকৃতিতে ও মানবজীবনে প্রত্যক্ষ করা যায়। খররৌদ্র, দাবদাহ, ধু-ধু মাঠ, জলাভাব, কালবৈশাখীর ঝড় ইত্যাদি*। এ সকল অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য হিন্দুরা মঙ্গল শোভাযাত্রা করতো ও মঙ্গলদ্বীপ জ্বালাত। বস্তুত মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মঙ্গলদ্বীপ জ্বালানো হিন্দুদের একটি প্রধান আচার। আবহমান কাল থেকে তারা এটি পালন করে আসছে। হিন্দু মিথলজির অন্যতম প্রধান গ্রন্থ মহাভারতের দ্বিতীয় খণ্ডের ১০১ পৃষ্ঠায় মঙ্গলযাত্রা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে [https://goo.gl/1FIKjz]। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিন্দুরা মঙ্গল শোভাযাত্রা করে [http://bit.ly/2onYufv]
মঙ্গলশোভাযাত্রায় যে সব প্রতিকৃটি বহন করা হয় সেগুলো হিন্দুদের বিভিন্ন বিশ্বাসেরই অংশ। যেমন পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন [http://bit.ly/2nvdaWk], হাতি হচ্ছে সমৃদ্ধির প্রতীক [http://bit.ly/2nsiHvU], ঈগল বিষ্ণুর বাহন, বাঘ দুর্গার বাহন, সূর্য দেবতা [https://goo.gl/1lvmhk] ইত্যাদি। আপনি বলতে পারেন যে না, এগুলা এমনিতেই আছে হিন্দু মিথকে বোঝানো হচ্ছে না। এর উত্তর খোদ মঙ্গলযাত্রা মূল আয়োজকই সমকালকে দিয়েছেন। তিনি হাতির মূর্তিকে সমৃদ্ধির প্রতীক বলেছেন [http://bit.ly/2nMISkj]
আধুনিককালে পহেলা বৈশাখের অনুষঙ্গ হিসেবে কোলকাতার হিন্দুরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করে। [https://goo.gl/VE0c9s] ।
ঢাকায় ১৯৬৭ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট প্রথম পহেলা বৈশাখ পালন শুরু করে তবে তখনো মঙ্গলযাত্রা হতো না। ঢাকার মুসলিমদের মধ্যে ১৯৮৯ সালে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার বের করা হয় [https://goo.gl/0oBCeH]।
*নওয়াজেশ আহমদ: রমনার বটমূলে জাতীয় উৎসবে, দৈনিক প্রথম আলো, ১৪ এপ্রিল ২০০৮ (৮)
#ইতিহাস_পাঠ ৩
#পহেলা_বৈশাখ ৩
#KnowYourHistory
বিষয়: বিবিধ
৯৫৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
আজকে দেশের প্রধান মন্ত্রী সহ এক পক্ষ বলছে প্রহেলা বৈশাক এর সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। ভাল কথা কিন্ত প্রহেলা বৈশাককে অস্ত্র হিসাবে ব্যাবহার করে এদেশের ইসলাম বৈরীরা মুসলমানদের মন-মস্তিকে শিরক/বেদাত ঢুকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। মনে হচ্ছে তারা এটাকে বর্ষবরন হিসাবে নয় বরং এদেশের বৃহৎ জনগুষ্ঠির কৃষ্টি কালচারকে পরিবর্তন করে দেওয়ার GOLDEN CHANGE হিসাবে ব্যাবহার করছে। সুতরাং কেউ নিজেকে মুমিন দাবী করলে সে নিস্কৃয় ভাবে বসে থাকতে পারে না। এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরী করা তাদের ঈমানী দায়িত্বের-ই অংশ। ধন্যবাদ।
ওদেরকে কি বলতে শোনা যায় : কুরনানী যার যার গরুর গোস্ত সবার ?
মুসলমানদের সূরা কাফিরুন বার বার পড়তে হবে এসব মুখরোচক বুলি যখনই শুনবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন