ধর্মিয় বিশ্বাসের লিগালিটি এবং মোড়ালিটি
লিখেছেন লিখেছেন চিলেকোঠার সেপাই ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:০৯:৩২ রাত

ধর্ম যার যার উৎসব সবার- এই কথাটা সোনার পাথর বাটির মত।। ঈশ্বর প্রদও জীবন ব্যবস্থাই হল ধর্ম। আর উৎসব হল ধর্ম অনুসারে পাপ মোচনের আনন্দ অথবা ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাওয়ার চেষ্টা। বিশ্বাস-ই যদি না থাকে তাহলে উৎসবের প্রশ্ন আসে কিভাবে?
অন্য ধর্মের উৎসবের ব্যাপারে আমার অবস্থান হল “আমি তাদের সমর্থন করি লিগালি অর্থাৎ আইনগতভাবে। সব ধর্মের মানুষ স্বাধিনভাবে তাদের ধর্ম পালন করবে। কাউকে জোর করা যাবে না। কাউকে বাঁধা দেওয়া যাবে না। কেউ যদি কারো ধর্ম পালনে কোনরূপ সমস্যা বা বাঁধার সৃষ্টি করে তাদের অবশ্যই শাস্তি দিতে হবে। তবে নৈতিক ভাবে আমি কোন ভাবেই এসব কাজ সমর্থন করি না। আমি মনে করি না এই কাজগুলো সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য। এই মূর্তি পূজা তাদের মোটেও স্বর্গের দিকে নেবে না বরং তাদের নরকে নিয়ে যাবে”।
এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল- আমি এটা আশা করি অন্য ধর্মের বিশ্বাসিরাও আমার বিশ্বাস নিয়ে এমন কিছু মনে করুক।
“ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” এই কথাটি মূলত অজ্ঞেয়বাদ এবং নাস্তিকতাকে প্রমোট করে। একজন অজ্ঞেয়বাদি- তিনি ঈশ্বরের ব্যাপারে নিশ্চিত না, একজন নাস্তিক ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, সুতরাং সব ধর্মের উৎসবে তারা অংশ নিতেই পারেন। অংশ নিয়ে তারা এই বার্তা-ই দেন আসলে কোন ধর্ম-ই ঠিক না। কারন সকল ধর্মিয় বিশ্বাসে কিছু সাদৃশ্য থাকলেও, মৌলিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বৈপরিত্য রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
ধর্মের বস্তাপঁচা বুলি ঝেড়ে সমাজকে আর কত কুলশিত করবেন? নিজেদের আবাস ভুমিকে আস্তাকুর বানিয়ে এখন অমুসলিমের পরিপাটি সাজানো গুছানো দেশের আকর্ষনে পিপিলিকার মত সমুদ্রে ঝাপ দিয়ে বেঘোড় মৃত্যু বরণ করেণ। এতেও শিক্ষা হয় না?
আসলে এই স্লোগান এর পিছনে আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে যে কোন উৎসব থেকে ধর্মিয় পবিত্রতা নষ্ট করে স্রেফ অশ্লিলতার উৎসবে পরিনত করা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন