কেনো ইসলাম একজন পূরূষকে ৪ জন স্ত্রী রাখার অনুমতি দেয়?
লিখেছেন লিখেছেন মহসিন মল্লিক ১৯ মে, ২০১৪, ০১:০৪:২৪ রাত
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। এটা টুডে ব্লগে আমার প্রথম ব্লগ। ভূলসমূহ ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
শিরোনামের প্রশ্নটি হচ্ছে খুবই প্রচলিত একটি প্রশ্ন যা অমুসলিমেরা নিয়মিত মুসলিমদের করে থাকে। অমুসলিমেরা বা নাস্তিকেরা মোটামুটি এমনভাবে এই প্রশ্নটা করে যেনো এই বহুবিবাহ একজন মুসলিমের জন্য আবশ্যক কর্তব্য এবং একইসাথে এটা নিয়ে কৌতুকও করে থাকে। শেখ আহমদ দীদাতের নাম আপনারা অনেকেই শুনে থাকবেন। ডঃ জাকির নায়েক উনাকে শিক্ষক হিসাবে মানেন। কোন এক লেকচারের পর এক ভদ্রমহিলা আহমদ দীদাতকে শিরোনামের ঐ প্রশ্নটিই করেছিলেন। এখানে আমি উনার উত্তরটির হুবহু অনুবাদ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি-
এটি হচ্ছে খুবই প্রচলিত একটি প্রশ্ন যা অমুসলিমেরা নিয়মিত মুসলিমদের করে থাকে। যখন আরব দেশের লোকেরা আমেরিকাতে অথবা ইংল্যান্ডে যায়, ঐ সকল পশ্চিমারা বলে
-“তুমি সৌদি আরব থেকে এসেছো?”
- হা
- তোমার কয়জন স্ত্রী আছে? (হা...হা...হা...হা)
আমার এক বন্ধু শেখ করিম বিন লাদিন আমাকে বলেছিলো, সে যখন আমেরিকাতে যায় এবং আমেরিকানগন যখন তাকে ঐ প্রশ্নটি করে তখন সে উত্তরে বলে, “দেখুন ভাই আমার মাত্র একজন স্ত্রী আছে। কিন্তু এটা আপনাদের সমস্যার সমাধান। এই বহুগামীতা (Polygamy বা পুরুষদের একাধিক বিয়ে) আপনাদের সমস্যার সমাধান।”
আপনাদের (আমেরিকান) একটি সমস্যা রয়েছে। আপনাদের মহিলা জনসঙ্খ্যা ৭.৮ মিলিয়ন বেশি পুরুষের থেকে। যদি আমেরিকার প্রতিটি পূরুষ বিবাহ করে, তারপরও সেখানে ৭.৮ মিলিয়ন মহিলা থাকবে যারা নিজেদের জন্য স্বামী খুজে পাবে না। এবং আমরা জানি সকল পুরুষ কখনোই বিয়ে করবে না। পুরুষেরা বিয়ের ব্যাপারে পিছপা হয় নানাবিধ কারনে। আমি একজন যুবকের সাথে দেখা করলাম, জিজ্ঞাসা করলাম
- তোমার বয়স কতো?
- ৩৫।
- তুমি কি বিবাহিত?
- না।
- কি সমস্যা তোমার? তোমার কি ডাক্তারের প্রয়োজন? তুমি কি আমার সাথে ডাক্তারের কাছে যাবে তোমার সমস্যা খুজে বের করার জন্য? আমার এক বন্ধুর একটি মেয়ে আছে, সুদর্শনা, শিক্ষিতা, উচ্চ বংশীয়, চলো আমার সাথে।
- চলুন।
আমি তাকে নিয়ে আমার বন্ধুর বাড়ির দিকে চললাম, যখন আমরা বাড়ির কাছাকাছি চলে আসলাম সে কিছু কারন বের করলো যাতে তাকে ঐ মেয়ের বাড়িতে না যাওয়া লাগে। সে ভালো করেই জানে তার অক্ষমতার কারন, কিন্তু সে আমাকে বলবে না। কারন হয়তোবা তার মনের মধ্যে আছে সে কতটা খারাপ কাজ করেছে, তার শারীরিক ক্ষমতা প্রায় শেষ। সে তাই একটা কারন খুজে বের করে বিয়ে না করার জন্য।
পুরুষ, পুরুষ, পুরুষ বিয়ের ব্যাপারে পিছপা হয় অনেক কারনে। কিন্তু মহিলারা, তারা চিন্তা করে কেউ না কেউ তাদের রক্ষা করবে। তারা একজন স্বামী চায় যদিও সে হয় একদম ঠান্ডা, উত্তেজনা বিহীন। আমি বলছি আপনাদের, এটাই হচ্ছে মহিলাদের মানসিক চিন্তাধারা। কিন্তু প্রতিটা পুরুষ কখনোই বিয়ে করবে না।
তারপরও যদি সকল পুরুষ বিয়ে করে (আমেরিকাতে) তবুও সেখানে ৭.৮ মিলিয়ন মহিলারা থাকবে স্বামীবিহীন। এবং তাদের যে জনশক্তি রয়েছে তাদের ২৫ মিলিয়ন হচ্ছে সমকামী, আপনারা তাদের বলেন Gays. আরও ২৫ মিলিয়ন মহিলা তাদের স্বামী খুজে পাবে না। তাদের জেলখানার জনসংখ্যার বা হাজতীদের মধ্যে ৯৮% পুরুষ। আমি বলি, তোমাদের সমস্যা জটিলতর হচ্ছে।
ইসলাম তোমাদেরকে এই সমস্যার সমধান প্রদান করছে। তোমরা আমাদের উপর হাসো? আমি বলি, ঐ হাসি তোমাদের উপর। ঐ হাসি তোমাদের উপর। ইসলাম বলে-
"সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে একটিই বিয়ে কর" (সূরা নিসা – আয়াত ৩)
দুনিয়ার বুকে একমাত্র ধর্মীয় কিতাব যেটাতে এই উক্তি আছে “একটি বিয়ে কর” সেটা হচ্ছে আল-কুরআন। পৃথিবীতে এমন আর একটি ধর্মীয় কিতাব নেই যেখানে এই ধরনের উক্তি আছে। একমাত্র কুরআনই বলে, “একটি বিয়ে কর, যদি তুমি ন্যায়সংগত আচরন বজায় রাখতে না পারো”
প্রথম প্রকাশঃ আমিমুসলিম.com
বিষয়: বিবিধ
১১৮৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।"
"দাসী-বাদি-নারীগনিমত ধর্ষন" বলতে আপনি কি বুঝালেন আপনিই ভালো জানেন। বিয়ের মধ্যে ধর্ষণ কোথায় দেখলেন?
মন্তব্য করতে লগইন করুন