চিকিৎসাশাস্ত্রে এবারের ৩ নোবেলবিজয়ী
লিখেছেন লিখেছেন আকরামস ০৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৫:৪৫:২৩ বিকাল
‘নোবেল কমিটি ফর ফিজিওলজি অর মিডিসিনরে’র ঘোষণা অনুযায়ী চিকিৎসাশাস্ত্রে এ বছর নোবেল পেয়েছেন ৩ জন। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, জন ও’কিফ, মে-ব্রিট মোসার ও অ্যাডভার্ড আই. মোসার। মস্তিষ্কে কোষের গঠন নির্ধারণের পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য তাদের এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সোমবার সুইডেনের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার (বাংলাদেশ সময় ১৫৩০) কিছু সময় পর স্টকহোমের কারোলিন্সকা ইন্সটিটিউটে সাংবাদিকদের সামনে চলতি বছরের প্রথম নোবেলজয়ী ওই ৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ১৮৯৫ সালে তার উপার্জিত অর্থ প্রদানের জন্য একটি উইল করে যান।
এরপর ১৯০১ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার প্রদান করে আসছে নোবেল কমিটি।
নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে শুধু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাকি পুরস্কার ঘোষণা ও প্রদান করা হয় সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে।
গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ৬টি শাখায় নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। শাখাগুলো হচ্ছে- পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য এবং শান্তি।
কোষের স্থানান্তর পদ্ধতির সংগঠন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণার জন্য ২০১৩ সালে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পান জেমস রথম্যান, ৠান্ডি শেকম্যান এবং থমাস সুডহফ।
এর মধ্যে জেমস রথম্যান ও ৠান্ডি শেকম্যান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। আর থমাস সুডহফ ছিলেন জার্মান নাগরিক।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১১১৯ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
ঈদের শুভেচ্ছা- কুরবানী ও ঈদ মোবারক
ত্যাগের আলোয় ব্যক্তি ও সমাজ জীবন আলোকিত হোক
আপনাকে ও ধন্যবাদ।
জাযাকাল্লাহ খায়ের।
ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
তাদের গবেষনার বিষয়টি বিস্তারিত জানালে ভাল হতো ।
তারা মস্তিষ্কের জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, মস্তিষ্ক কীভাবে বুঝতে পারে যে আমরা কোথায় আছি এবং কীভাবে একস্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে সমর্থ হই। তাদের এ গবেষণা এটা বুঝতে সাহায্য করবে যে, কেন আলঝেইমার্স রোগীরা তাদের চারপাশের অবস্থা ভুলে যায়।
নোবেল অ্যাসেম্বলি বলেছে, যুগের পর যুগ দার্শনিক ও বিজ্ঞানীরা যে সমস্যার সমাধান খুঁজছেন তাদের এ গবেষণার মাধ্যমে সে বিষয়টির সমাধান সম্ভব হবে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের প্রফেসর ও’কীফি মস্তিষ্কের আন্তঃঅবস্থান প্রক্রিয়ার প্রাথমিক অংশ আবিষ্কার করেন ১৯৭১ সালে। তিনি দেখিয়েছেন, ঘরের এক কোণায় যখন একটি ইঁদুর দেখা যায় তখন কিছু স্নায়ু কোষ সক্রিয় হয়। যখন বিভিন্ন জায়গায় ইঁদুর দেখা যায় তখন কয়েক সেট স্নায়ু কোষ সক্রিয় হয়।
স্বামী-স্ত্রী মে-ব্রিট ও অ্যাডভার্ড ২০০৫ সালে মস্তিষ্কের অন্য একটি অংশ আবিষ্কার করেন যা একটি সামুদ্রিক চার্টের মতো কাজ করে। এখানকার গ্রিড কোষগুলো দ্রাঘিমাংশ ও অক্ষাংশ লাইনের মতো যা মস্তিষ্ককে দূরত্ব ও নড়াচড়া বুঝতে সাহায্য করে।
নোবেল কমিটি বলেছে, গ্রিড কোষ ও প্লেস কোষ মিলে মস্তিষ্কে ইনার জিপিএস সিস্টেম তৈরি করেছে। তারা বলেন, এই ইনার সিস্টেমের কারণে মস্তিষ্কের স্মৃতি ভ্রংশ কিংবা আলঝেইমার্সের মতো সমস্যা দেখা দেয়। সূত্র : বিবিসি।
ছোট ভাইটির কথায় কিচু মনে নিবেন না। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন