আল্লামা সাঈদী আমাদের অহংকার
লিখেছেন লিখেছেন কাউসার আরিফ ২৬ এপ্রিল, ২০১৪, ১১:০০:২৮ রাত
(একজন ভালো মানুষের প্রতিচ্ছবি)
মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী। বিশ্ব বরেন্য আলেমে দ্বীন। বিখ্যাত মুফাসসীরে কুরআন। যিনি কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। তিনি এখন বন্দী। বন্দী তার সাথে মানবতাও।
আমার জানা মতে মাও. দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী একজন জীবন্ত আল্লাহর অলী। আল্লাহর একজন খাছ বান্দা। সাঈদীর জীবনটা অনেক সরল। মনে চাইলে তিনি বিত্ত-বৈভবের মালিক হতে পারতেন। গড়তে পারতেন টাকার প্রাসাদ। সারাদিন আমোদ ফুর্তিতে ব্যস্ত থাকতে পারতেন। যেমনটি গড়েছেন তারই অন্য বন্ধুরা! তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। টাকা দিয়ে তারা পিছনের অন্ধকার জগতকে সাদা করে ফেলেছেন। কিংবা এমন দলে নাম লিখিয়েছেন যে দলে থাকলে সাত খুন মাফ! ধোয়া তুলসি পাতা বনে যাওয়া যায়!
না, তিনি রঙ্গিন দুনিয়ার বিত্ত-বৈভব চাননি। তিনি নিজেকে সত্যের পথে সপে দিয়েছেন। ইসলামী আন্দেলনের সাথে হাত মিলিয়ে নিজেকে জান্নাতী মানুষ হিসেবে গড়তে চেয়েছেন। নিজের কন্ঠকে আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করেছেন। শাহাদতের তামান্নায় ব্যাকুল থেকেছেন। মানুষকে হালাল-হারামের বিষয় জ্ঞান দিয়েছেন।
গরীব মায়ের সন্তান গরীবই রইলেন। দোকানদারী করে যার কর্ম জীবন শুরু……..এরপর সিদ্ধান্ত পাল্টে নিজের জীবনকে একজন খাটি মানের দায়ী ইলাল্লাহ হিসেবে গড়ে তোলা। নিজের যা কিছু আছে তা নিয়ে সত্যের পথে ঝাপিয়ে পড়া। সে পথ ছিল বন্দুর। ছিল কন্টকাকীর্ণ। তারপরও তা আল্লাহর সাহায্যে পাড়ি দিয়েছেন। আল্লাহও তাকে সুখী করেছেন। দুনিয়ার সব নেয়ামত তাকে দিয়েছেন। বাকী ছিল জেলে গিয়ে নবী রাসূল, বিখ্যাত দায়ী ইলাল্লাহগণ, চার মাযহাবের ইমামগণের একটি সুন্নত পালন। তাও আল্লাহ বাকী রাখেননি। এখন জেলের গভীর প্রকোষ্ঠে বসে একান্ত আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়া আর নিজেকে আরো উচ্চ মার্গে নিয়ে যাওয়া।
তাহলে কি যুদ্ধাপরাধীর অপবাদ নিয়ে ওখানেই মরতে হবে তাকে? না, তা কেন? আমরা বাংলাদেশী সবাই তার সাথে গোটা বিশ্বও জানে সাঈদী আপনি ধর্ষক নন। আপনি হত্যাকারী কিংবা যুদ্ধাপরাধী নন । তাহলে আপনার পরিচয়? আপনি একজন দায়ী ইলাল্লাহ। আল্লাহর একনিষ্ঠ গোলাম। মুমিনের কাছে জালিমের জুলুম আর শত অপবাদ কিছুই না। তার কাছে আল্লাহর নৈকট্য আর জান্নাত লাভই আসল।
আপনি যে অপরাধী নন তা আমরা বোকা মানুষেরাও বুঝে ফেলেছি। আপনাকে অপরাধী সাজাতে তাই চার হাজার পৃষ্ঠার রচনা লিখতে হয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্য ভাড়া করা লোকদের ট্রেনিং দিতে হচ্ছে। আরো কত্ত কিছু…………
আপনি যদি আসলেই অপরাধী হতেন তাহলে এত্ত কিছু লাগত না। আপনার বিরুদ্ধে আমরাই সাক্ষ্য দিতাম। চার হাজার পৃষ্ঠার রচনাও লিখতে হত না আপনারর বিরুদ্ধে। আপনি প্রকাশ্যে আসতে না কখনও। পালিয়ে বেড়াতেন টপ টেররদের মত……..
আল্লাহ আপনার সহায় হোন।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন