হুমকির মুখে দেশঃ প্রত্যাশা যখন সামরিক শাসন
লিখেছেন লিখেছেন আবরারুল হক ১২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৭:৩৬:০৪ সন্ধ্যা
হুমকির মুখে দেশঃ প্রত্যাশা যখন সামরিক শাসন
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর যেকোন সময়। জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমদ ঘোষণা দিয়েছেন, কাদের মোল্লাকে হত্যা করা হলে তার প্রতিটি রক্তবিন্দুর মূল্য আদায় করা হবে। জামায়াতে ইসলামীর এই প্রকাশ্য হুমকিকে গুরুত্ব না দেয়া বোকামীর এক বিশেষ স্তরের কাজ হবে। কারণ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের সক্ষমতার প্রমাণ ইতোমধ্যে দিতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশে যখন কয়েকস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তার মধ্যে থেকে সরকারীভাবে সকল প্রকার পৃষ্টপোষকতায় কথিত গণজাগরণের নামে মিডিয়ার ভাষায় কয়েক লক্ষ (পারলে কোটি কোটি বলত) তরুণ একত্রিত হয়ে ন্যায়বিচারের বদলে ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই বলে আন্দোলন(?) করছিল, তখন এই জামায়াত শিবিরের লোকজন পুলিশ, র্যাব, বিজিবির (বিগ গর্দভস বাংলাদেশ) গুলির সামনে দাঁড়িয়ে এবং গুলি খেয়ে খেয়ে আন্দোলন করে প্রমাণ করে দিয়েছে তারা সবকিছুই করতে পারে। যদি এই সত্যকে কেউ অস্বীকার করতে চায়, তাহলে মনে রাখা দরকার গ্যালিলিওকে হত্যা করা হয়েছিল এমন সত্য বলার কারণে যা তখনকার মানুষ বুঝেনাই এবং পরবর্তীতে সত্য বলে তা প্রমাণিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় বুঝাই যাচ্ছে দেশ এক কঠিন সহিংস পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে যার লাগাম টেনে ধরার ক্ষমতা দেশের রাজনীতিবিদের (তাদের বুঝানোর জন্য আর কোন পরিভাষা জানা না থাকায় এই শব্দ ব্যবহার করতে বাধ্য হলাম, নয়তো রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা কেউই রাজনীতিবিদ নন) থাকবে না। অপ্রত্যাশিত সংকটের দিকে দেশ যাচ্ছে ফেরারী স্পীডে। সুগভীর গহ্বরের তলানিতে পড়তে যাচ্ছে এই দেশের অসংখ্য মানুষের ভাগ্য।
এই কঠিন সময়ে দেশের হাল ধরার ও দেশকে কঠিন সহিংস পরিস্থিতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোন বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভাদারা অবশ্য মনমোহন কিংবা প্রণবকে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন দেশকে বাঁচানোর(?) জন্য।
সেনা শাসনের বিরোধী যারা তাদের বলছি, আমিও চাইনা সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা যাক। কিন্তু বলুনতো,
সেনাবাহিনী কি পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারির মত কিছু করেছে?
সেনাবাহিনী কি শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি ঘটিয়েছিল?
সেনাবাহিনী কি দেশকে বিদেশীদের হাতে বিক্রির কোন পদক্ষেপ নিয়েছিল?
সেনাবাহিনী কি দেশের নাগরিকদের সীমান্তে ঝুলতে দেখেও চুপ থেকেছিল?
কি দিয়েছে আপনাকে এই অকার্যকর সংবিধান? পেরেছে কি রাস্তায় বেরুতে নিরাপত্তা দিতে? পেরেছে নিজের কথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে পারার সুযোগ দিতে?
খালেদা হাসিনা কি এই দেশের মানুষকে তাদের রাজনীতির মাঠের ফুটবল বানিয়ে খেলছে না?
কি উত্তর দিবেন আপনি এই সব প্রশ্নের?
আছে কোন উত্তর আপনার কাছে? দেশের চুশীল সমাজের কাছে?
যারা নিজ দেশের নাগরিকদের কাঁটাতারে ঝুলতে দেখেও চুপ থাকে, দেশের মানুষকে নিজেদের রাজনীতির বলির পাঁঠা বানাতেও দ্বিধা করেনা, দেশের অসংখ্য মানুষের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের অর্জিত ফসল কয়েক হাজার কোটি টাকাকে কিছুই মনে করেনা, আপনাকে রাস্তায় বের হওয়ার নিরাপত্তাও দিতে পারেনা, নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে বিদেশীদের হাতে দেশের স্বাধীনতাকে বন্দক দিতেও দ্বিধা করে না, তাদের হাতে দেশকে তুলে দিতে তো আপনাদের কোন দ্বিধা দেখি না। তাহলে কেন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে আপনাদের এত ভয়?
জবাব দেয়ার কেউ কি আছেন?
বিষয়: বিবিধ
১১৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন