সরকারের জনবিচ্ছিন্নতা এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আসাদ আলী ০৩ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:৫৪:২৭ রাত
আসছে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। সবকিছু ঠিক মতো চললে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যদিও বাস্তবে কতটা ঠিক মত চলবে সেটাই এখন প্রশ্নের সম্মু খীন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট তফসীল ঘোষণার আগে থেকেই হরতালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি ও হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে যা জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছে। তাদের পক্ষে থেকে বলা হয়েছে- যে কোনভাবেই হোক দেশে একদলীয় নির্বাচন (সরকারের ভাষায় সর্বদলীয়) প্রতিহত করা হবে। এমনই একটি টান টান উত্তেজনাকর পরিবেশে গত মাসের ২৫ তারিখে নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করে ইসি। সাথে সাথে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ৪৮ ঘণ্টা ও পরবর্তীতে বর্ধিত করে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয় আঠারো দলীয় জোট। রীতিমত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও ২০ টি তাজা প্রাণের বিনিময়ে শেষ হয় অবরোধ। এর মাত্র এক দিনের ব্যবধানে সবাইকে বিস্মিত করে আবারো ডাক দেওয়া হয় ৭২ ঘণ্টার অবরোধের যা আজ সকাল ৬ টায় শেষ হবার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল যোগ করা হয় আরো ৫৯ ঘণ্টার অবরোধ। যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য যে, সাম্প্রতিক এই অবরোধগুলো পূর্ববর্তী হরতাল বা অবরোধের তুলনায় অনেক বেশি সহিংস। এমতাবস্থায় সরকারী জোট ও বিরোধী জোটের গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, তফসীল ঘোষণার সাথে সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকার নিয়মিত সংলাপ-সংলাপ খেলা যেন আর দীর্ঘস্থায়ী হতে চাচ্ছে না। কিছুদিন আগেও বিরোধী জোট অনেকটাই ছিল সংলাপমুখী, কিন্তু এখন তারা পুরোটাই হার্ডলাইনে চলে গেছে, বলা যায় এতটাই হার্ডলাইনে গেছে যে সেখান থেকে ফিরে আসা অনেক দূরুহ ব্যাপার। হয়তবা আর ফিরে আসবেও না। রাজপথের হুমকি-ধামকি এখন আর দৃষ্টি-আকর্ষনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং তা রূপ নিচ্ছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে। এত কিছুর পরও সরকারের পক্ষে থেকে বরাবরই বলা হচ্ছে যে, নির্বাচন তারা করবেই। অপরপক্ষে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে নির্বাচন প্রতিহত করার চূড়ান্ত ঘোষণা ঘুরে ফিরেই আসছে। দেশ যে অনেক আগে থেকেই দুই ভাগে বিভক্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এরকম একটি পরিবেশে কোনরকম সমঝোতা ছাড়াই সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা কতটা সফল হবে সেটাই প্রশ্নের সম্মুখীন। রাজনৈতিক সচেতন মহলের ভাষ্যমতে- এই পরষ্পরবিরোধী সিদ্ধান্তের ফলে দেশ চূড়ান্ত অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত হবে, সূচনা হবে আরো একটি ভয়াল কালো অধ্যায়ের যার পরিণাম ভোগ করতে হবে সাধারণ জনগণকেই। সংবিধান মতে, নির্বাচনের সময়সীমা যে এখনই শেষ হয়ে যাচ্ছে তা নয়, বরং এখনও যথেষ্ঠ সময় সরকারের হাতে ছিল। কিন্তু এত তাড়াহুড়া করার কারণে দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুন্ন হয়েছে। বিরোধী জোট এটাকে সরকারের সংলাপের প্রতি অনীহা হিসেবে দাবি করছে। সরকারের এমন একগুঁয়ে মনোভাবের প্রভাবে সারা দেশব্যাপী তাদের সমর্থন অনেকটাই হারিয়ে গেছে তা তারা হয়তবা মানতে চাইবেন না। কিন্তু বাস্তবতা সেটাই। পত্র-পত্রিকা, টিভি চ্যানেলে বিরোধী জোটকে হরতাল, অবরোধ, সহিংসতা ইত্যাদির নামে মানুষের জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি করার যেমন নিন্দা করা হচ্ছে সেই সাথে সরকারের অনমনীয়তাকেও আড়াল করে রাখা হচ্ছে না। এমনিতেই এদেশের মানুষ অনেকটাই সরকারবিমুখ। ক্ষমতাসীন দলের প্রতি তারা কোনদিনই খুশি থাকতে পারে নি। এটা শুধু আওয়ামীলীগ বা বিএনপি নয় বরং যখন যেই সরকারই ক্ষমতায় থেকেছে তার সময়েই জনগণের বিরুপ ধারণা হয়েছে। সেই হিসেবে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ সরকারও বাদ যায় নি। তবে অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় বর্তমান সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে যা কেউ এড়িয়ে যেতে পারে না। গত ৫ বছরে বাংলাদেশ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, তথ্য-প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে যথেষ্ঠ আগ্রগতি লাভ করেছে যার দরুণ দেখা গেছে যে গত প্রায় বছর খানেক আগেও সরকারের একটি শক্ত অবস্থান ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই চলতি বছরের শুরু থেকে দেশের সাধারণ মানুষ যেন সরকারের প্রতি অনেকটাই নাখোশ হয়ে যায়। শুধু সরকার নয়, সরকারের সহযোগী ও নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সচিবালয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার ব্যবস্থা ইত্যাদি গুরুত্বপূূর্ণ বিষয়গুলোতেও মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ এর পেছনের কারণ হিসেবে সরকারের বড় বড় ব্যর্থতা যেমন হলমার্ক কেলেঙ্কারি, রেল কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, শেয়ার বাজারের ধ্বস, বিডিয়ার বিদ্রোহ ইত্যাদিকে আলোচনায় আনলেও বাস্তবে এটা প্রধান কারণ নয়। দুর্নীতির কারণে সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয় নি। দুর্নীতি বাংলাদেশে কোন ফ্যাক্টর নয়। দেশের মানুষ জানে যখন যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন দুর্নীতি তারা করবেই, এটা স্বাভাবিক। অতীতেও হয়েছে, বর্তমানে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। কিন্তু আসল কথা হলো এদেশের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি যা সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ন্তণ করে আসছে। মানুষ যতটা না রাজনীতি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত তার চেয়ে ঢের বেশি নিয়ন্ত্রিত হলো ধর্ম দ্বারা। পেটে ভাত না থাকলেও তাদের কোন দুঃখ নেই, কিন্তু ধর্মের উপর আঘাত তারা কোনদিন মেনে নেয় নি, নেবেও না। প্রশ্ন হতে পারে, সরকার কার ধর্মের উপর আঘাত করেছে? উত্তর হলো সরকার কোন ধর্মের উপর আঘাত করুক বা না করুক সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপকেই ধর্মের পরিপন্থি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করানো হয়েছে। সরকারের জনবিচ্ছিন্নতার এবং রাজনৈতিক সহিংসতার প্রধান কারণ হলো এই ইস্যু। কাজেই এটাকে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ধর্মীয় ইস্যুটি সৃষ্টিই হোয়েছে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে। জামাতের প্রথম সারীর নেতাগুলোকে মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে বিচারের অধীনে আনা থেকেই মূলতঃ এদেশের ধর্মীয় বিষবৃক্ষের চারা রপিত হয়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত। সরকার মানুক বা না মানুক এটা অস্বীকার করা যায় না যে, তারা ইতোমধ্যেই সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষগুলোর কাছে ধর্মবিদ্বেষী হিসেবে চিত্রায়িত হয়েছেন। এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় নি। এটাকে করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কে একটু একটু করে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে এই বিষয়টি যে, “সরকার এই দেশকে ধর্মহীন করার টার্গেট নিয়ে এগিয়ে চলছে। বর্তমান সরকার ইহুদি-খ্রিস্টানদের এজেন্ট। তারা ইসলামের শত্র“। কাজেই তারা যে শুধু পরিত্যাজ্য তাই নয় বরং তাদের মারলে, তাদের বাহিনীকে মারলে, তাদের দলীয় কর্মীকে মারলে কোন ক্ষতি নেই। তারা নাস্তিক, কাফের।” এর প্রমাণ আমরা অনেক জায়গাতেই চাক্ষুষভাবে পেয়েছি। আসামী ধরতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ ধর্মভীরু মানুষগুলো শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এখানে বুঝতে হবে কোন রাজনৈতিক দলের ভারাটে হিসেবে ঐ গ্রামবাসীগুলো প্রতিরোধ করে নি, তারা তাদের তথাকথিত ধর্ম রক্ষার জন্যই কেবল তেমনটি করেছে। তাদের মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান না নিলে মুসলমান থাকা যাবে না; আন্দোলন-সহিংসতা, অবরোধ, ভাংচুর না করলে জাহান্নামে যেতে হবে। ভাবতে পারেন তাদের কথা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করবে কেন? এর উত্তর যদিও আগে দিয়েছি এবারে দুইটি উদাহরণের সাহায্যে পরিষ্কার করব।
ধরুন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারীর সাবেক আমীরগণ। তাদেরকে সাধারণ মানুষ যতটা না কোন রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে চেনে তার চেয়ে বেশি চেনে ধর্মের আল্লামা, মাওলানা, ওয়ায়েজ বা বক্তা হিসেবে। তাদের প্রতিটি ওয়াজে লক্ষ লক্ষ অরাজনৈতিক মানুষের সমাগম হতো। অতঃপর সরকার যখন মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনেন তখন সরকার তাদেরকে রাজনীতিক হিসেবে অপরাধী প্রমাণ করতে সক্ষম হলেও ধর্মের মাওলানা-ওয়ায়েজ হিসেবে অপরাধী প্রমাণ করতে পারে নি। হয়তবা তা করতে চেষ্টাও করে নি। আর এই সুযোগটিকে কাজে লাগিয়ে একটি মহল সাধারণ মানুষকে এটা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, ‘দেশের ধর্মপ্রাণ আলেমদের বিরুদ্ধে সরকার ষঢ়যন্ত্র করছে, তাদেরকে নির্মূল করছে, এভাবেই একসময় এই দেশ থেকে ইসলামকে উৎখাত করে দেবে।’ ফলে সাধারণ মানুষ ফেরাউন, নমরুদ আর আবু জাহেলকে যতটা ঘৃণা করে তেমনি ঘৃণা করতে শুরু করেছে সরকারকে।
দ্বিতীয় উদাহরণ হলো হেফাজতে ইসলাম। অরাজনৈতিক দাবিদার কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক এই সংগঠনটি হঠাৎ করেই বিভিন্ন দফা-দাবি নিয়ে সরকারের বিপক্ষে আন্দোলন শুরু করে। হরতাল-অবরোধ করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করে। অতঃপর, ৫ মে রাতে অবৈধভাবে শাপলা চত্তরে অবস্থানকালে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করে। এসময় হতাহতের ঘটনা যে ঘটেছে তা সকলেই স্বীকার করেছেন কিন্তু তার পরিসীমা নিয়ে দেখা দেয় বিভিন্ন মহলের মতভেদ। হেফাজতের পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয় সেখানে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে মারা হয়েছে। এই কথাটি তারা হয়তবা দেশের শিক্ষিত, সচেতন মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হয় নি তবে গ্রামের সাধারণ মানুষকে ঠিকই বিশ্বাস করিয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে তারা মিথ্যার আশ্রয় নিতেও দ্বিধা করে নি। বিভিন্ন যুদ্ধ বা সিনেমার লাশের ছবি সংগ্রহ করে মোল্লাদের লাশ বলে প্রচার করে সাধারণ মানুষের সরকার বিরোধী মানসিকতা গড়ে তুলেছে। সরকার আইন দ্বারা তাদের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করলেও তাদের নেপথ্য কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নি, আলেম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীদের আসল রূপ সাধারণ মানুষকে জানাতে সক্ষম হয় নি। এটা সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। এইগুলোই মূলতঃ সরকারের জনবিচ্ছিন্নতার আসল কারণ। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী যতই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়–ক, হাতে তসবীহ নিয়ে ঘুরুক বা হজ্জ করুক না কেন তা কোনদিনও সাধারণ মানুষের মন-মগজকে পক্ষে আনতে পারবে না। ধর্মব্যবসায়ীদেরকে ধর্মব্যবসায়ী হিসেবে চিহ্নিত করার ব্যর্থতার ফলসরূপ ধর্মব্যবসায়ীরাই সরকারকে ধর্মব্যবসায়ী হেসেবে চিহ্নিত করছে। অপরপক্ষে বিরোধী জোটের অধিকাংশ দল প্রথম থেকেই তাদের শরীরে ইসলামের ট্যাগ লাগিয়ে রেখেছে। এমতাবস্থায় সরকারের প্রতি জনগণের মনোভাব বুঝে তারা নিজেদেরকে আরো বেশিভাবে ইসলামী ঘরানোর দল হিসেবে উপস্থাপন করতে ব্যস্ত রয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ ইসলামের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে সরকারী জোটের চেয়ে বিরোধী জোটকেই এগিয়ে রাখছে। গত ৫ টি সিটিকর্পোরেসন নির্বাচনই তার জ্বলন্ত প্রমাণ এবং বিভিন্ন জরিপে প্রাপ্ত তথ্য মতে, এই মুহূর্তে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে সরকারী জোটের উঠে আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এমতাবস্থায়, দেশের অধিকাংশ জনসমর্থনপ্রাপ্ত জোটকে বাইরে রেখে নির্বাচন করলে সেখানে কতজন মানুষ ভোট দেবে বা কতটা বাধাহীনভাবে সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তাছাড়া আন্তর্জাতিক গতিপ্রকৃতিও বিবেচনায় আনা যায়। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তি-তর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে, রাজনৈতিক অচলাবস্থার বৃদ্ধি ঘটলে দেশে আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপিত হতে পারে। যদি তাই হয় তাহলে সরকার এমন একটি পরিস্থিতিকে কতটা সামাল দিতে পারবে এই প্রশ্নই ঘুরে-ফিরে উঠছে রাজনৈতিক বোদ্ধাজনদের কথায়। রাজনৈতিক এই দাঙ্গা-হাঙ্গামা যদি এভাবেই চলতে থাকে তবে নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে। এমন একটি পরিবেশে বাংলাদেশ পতিত হতে যাচ্ছে যেখানে কোন দলের মানুষই নিরাপদ নয়, এমনকি সরকারী দলও নয়।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন