মেয়েদের ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হওয়া নিয়ে কিছু কথা
লিখেছেন লিখেছেন সাফওয়ান ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১০:১৬:১২ রাত
ঢাকা শহরে চলার ফাঁকে দেখবেন রিকসার হুড তুলে নোংরামি, ঝোপঝাড় পাওয়াই যায়না তবে পার্কে গাছ পেলে তার নিচে ছেলেমেয়েদের অননুমোদিত অন্তরঙ্গতার দৃশ্য, অথবা অকারণেই মেয়ে বান্ধবীর শরীর ঘুরে স্পর্শ করে যাওয়া ছেলেবন্ধুদের হাতগুলো যেখানে সেখানে-- এগুলো এই সমাজেরই দৃশ্য। এখন আপনি কান পাতলেও যেন শুনতে পাবেন ছেলেবন্ধুদের সাথে ঘুরতে বের হওয়া মেয়েদের মাঝে চাপা কান্না। ফিজিক্যালি অ্যাবিউজ হওয়া বেশ সাদামাটা ঘটনা হয়ে গেছে!
এসব ঘটনা নানান কারণে ঘটে। সব নিয়ে বলতে চাওয়া, ভাবতে যাওয়া সম্ভব নয় আমার। আমার একটা উপলব্ধি হলো, অজস্র ছেলেই সাধারণত মেয়েদের প্রতি অত্যন্ত হীন ধারণা পোষণ করে। ছেলেদের মাঝে মেয়েদের তুলনায় পর্নগ্রাফির আসক্তি অনেক বেশি। যেসব ছেলেরা গল্প-আড্ডায় মেয়েদের 'মাল' বলে, নায়িকাদের শরীরের আলাপ করে, তাদের চোখে মেয়েরা কমনীয় এক টুকরা মাংসপিন্ড। এরা সচরাচর মেয়েদের 'বন্ধু' হতে চেয়ে তাদের সাথে সময় দেয়।
মেয়েদের মাঝে নোংরা চিন্তাটা সচরাচর কম থাকলেও, সেখানে অন্য এক ঘটনা। নিজেকে আবৃতা রাখা, একটু কনজারভেটিভ থাকাকে পুরোনো মনে করে ছেলেদের কাছে 'ফ্রি' হতে পারা, ঘুরতে বের হওয়া ও ছেলেবন্ধু রাখা অনেকেই 'স্মার্টনেস' মনে করছে -- 'নারী স্বাধীনতা' মার্কা কথা বলা ভোগবাদী প্রচারণা ও নাটক-সিনেমা-সিরিয়ালের ফলে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসনই কোমলমতি মেয়েদের করছে শরীরকেন্দ্রিক এবং উগ্র। সেই অল্প বন্ধুত্ব-আড্ডা দিয়ে শুরু হয়ে শরীর দিয়ে শেষ করে অনেক অনেক মেয়েই। কষ্টকর কথা হলো, এরা ভুল করে, ভুল করে ভুগে, এরাই চরমমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ভুগে তাদের পরিবার। এভাবে কামুক ছেলেদের কাছে 'ইউজড' হওয়াটার পেছনে একটা ছোট্ট ভুল চিন্তাই যেন অনেকক্ষেত্রে সূচনা করে দেয়।
শারীরিক সম্পর্ককে ডালভাত করে ফেলার বিষয়টা সচরাচর অল্পতে শুরু হয়। পাপ করতে করতে একসময় নিজেকে নিজের কাছে যখন অন্যায়কারী মনে হয়, তখন ছেলেমেয়েরা সব ভুলে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়, কোথা থেকে কোথায় যায় টের পায়না। অথচ আল্লাহ বান্দা ভুল বুঝে পাহাড় সমান পাপ নিয়ে তাওবা করলেও তিনি তাকে ক্ষমা করবেন। ছেলেমেয়েদের উচিৎ তারা যে ভুলই করুক না কেন, তাওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি মাফ করলে তো পৃথিবীর মানুষদের কথা ভাবার কোন প্রয়োজন নেই। যারা পবিত্র থাকতে চায়, আল্লাহ তাদের উপায় করে দেন। তবে নিঃসন্দেহে দুনিয়ার চেয়ে আখিরাত উত্তম স্থান। একটু হয়ত কষ্টই হবে পুরোনো জীবন ফেলে আসতে, কিন্তু তাদের ভবিষ্যত অনেক সুন্দর হবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা সুন্দর ও পবিত্র সম্পর্কের সমাজের প্রত্যাশায় করি সবসময়...
বিষয়: বিবিধ
১৯০৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন