সাহিত্য ও ইতিহাস পর্ব-- ২(ব্রাম স্টোকার ও তার অমর সৃষ্টি ড্রাকুলা)
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ০২:১৩:৪৭ রাত
সাহিত্য ও ইতিহাস পর্ব-- ২(ব্রাম স্টোকার ও তার অমর সৃষ্টি ড্রাকুলা)
রক্তচোষা ড্রাকুলা নিয়ে অনেক গল্পের বই যেমন আছে তেমনি আছে নানা চলচ্চিত্র। এই ড্রাকুলা নিয়ে যেমন লিখা চলছে তেমনি চলবে ভবিষ্যতেও। কিন্তু ব্রাম স্টোকারের কাউন্ট ড্রাকুলার ধারেকাছে এখনো কেউ যেতে পারেনি আমার মনে হয় পারবেও না।
>ব্রাম স্টোকারের পুরো নাম আব্রাহাম ব্রাম স্টোকার। ১৮৪৭ সালের ৮ নভেম্বর তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন।ব্রাম স্টোকার (৮ নভেম্বর ১৮৪৭ – ২০ এপ্রিল ১৯১২) মূলত ঔপন্যাসিক ও গল্পকার হিসেবে পাঠক মহলে পরিচিত হলেও তিনি কিছু কবিতাও লিখেছেন।
ট্রেনিটি কলেজে শিক্ষিত ব্রাম স্টোকার পেশায় ছিলেন সিভিল সার্ভেন্ট।এ ছাড়া তিনি দ্য ডাবলিন মেইল –এ নাট্যসমালোচনা করে লিখা লিখি করতেন এ ছাড়া সম্পাদনা করতেন দ্যপেনি প্রেস পত্রিকাটি।
৪০ বছরের সাহিত্যজীবনে এ ব্যক্তি ডজনের মতো উপন্যাস এবং অনেক ছোটগল্প লিখেছেন। ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত হয় তার পিশাচ কাহিনী ‘ড্রাকুলা’। আর তাই দিয়েই সারাবিশ্বের পাঠক মহলের মন দখল করে নেন ব্রাম স্টোকারের।
মজার ব্যাপার হলো, কাহিনীর প্রধান চরিত্র ড্রাকুলা প্রকৃতপক্ষে
একজন খলনায়ক। রক্তচোষা সাহিত্য ছাড়িয়ে স্টোকারের খলনায়ক এখন সাহিত্য জগতের কিংবদন্তি হয়ে আছে। পরবর্তী সময়ে ড্রাকুলাকে নিয়ে অনেক চলচ্চিত্র
ও টিভি সিরিজ নির্মাণ করা হয়। তবে ব্রাম স্টোকারের কাহিনী সেগুলোয় অনুসরণ করা হয়নি। কাউন্ট ড্রাকুলা অনেক সাহিত্যবোদ্ধা ও পাঠকের কাছে পিশাচকাহিনীর সেরা চরিত্র।
৬৪ বছর বয়সে ১৯১২ সালে ব্রাম স্টোকার মৃত্যুবরণ করেন।
>> এক নজরে ব্রাম স্টোকারঃ
• নামঃ আব্রাহাম ব্রাম স্টোকার
• দেশঃ ব্রিটিশ যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড
• রচনার ভাষাঃ ইংরেজি
• রচনার ধরণঃ ভৌতিক উপন্যাস
• জন্মঃ ৮ নভেম্বর ১৮৪৭
• মৃত্যুঃ২০ এপ্রিল ১৯১২)
>> উপন্যাসঃ
1875 The Primrose Path
1890 The Snake's Pass
1895 TheWatter’s Mou
1895 The Shoulder of Shasta
1897 Dracula
1898 Miss Betty
1902 The M ystery of the Sea
1903 The Jew el of Seven Stars
1905 The Man (The Gates of Life)
1908 LadyAthlyne
1909 The Lady of the Shroud
1911 The Lair of the W hite W orm (The G arden of Evil)
>> ছোট গল্পঃ
>Short Story Collection:
1881 U nder the Sunset
1908 Snow bound
1914 Dracula's G uest
Uncollected Stories:
1872 "The C rystal Cup"
1875 "Buried Treasures"
1875 "The Chain of Destiny"
1885 "Our New House"
1886 "The Dualitists"
1893 "O ld Hoggen: A M ystery"
1894 "The Man from Shorrox'"
1894 "W hen the Sky Rains G old"
1894 "The Red Stockade"
1898 "Bengal Roses"
1899 "A Young W idow"
1899 "A Yellow Duster"
1908 "To the Rescue
1908 "The 'Eroes of the Thames
1909 "The W ay of Peace"
1914 Greater Love"
>Excerpts published as storis :
1890 "The G om been M an"
1890 "The Night of the Shifting Bog"
1892 "Lord Castleton Explains"
1895 "At the W atter's M ou'"
1902 "The Seer"
1903 "Jonathan Harker's Journal"
1903 "The Bridal of Death"
1906 "Midnight Tales"
>Attributed to Stoker:
1907 "In the Valley of the Shadow"
>> কবিতাঃ
1885 "One Thing Needful"
1890 "The M ember for the Strand"
1892 "The W rongs of Grosvenor Square"
>> ড্রাকুলাঃ
ড্রাকুলা ( ইংরেজি : Dracula ) আইরিশ লেখক ব্রাম স্টোকার রচিত একটি উপন্যাস। ১৮৯৭ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসের প্রধান খলচরিত্র ভ্যাম্পায়ার কাউন্ট ড্রাকুলা । আর্চিবল্ড কনস্টেবল অ্যান্ড কোম্পানি এই উপন্যাসের প্রথম প্রকাশক।
ড্রাকুলা উপন্যাসটি সাহিত্যের একাধিক বর্গের অন্তর্ভুক্ত। এগুলি হল
>ভ্যাম্পায়ার সাহিত্য,
>ভৌতিক সাহিত্য,
>গথিক উপন্যাস ও
>আক্রমণ সাহিত্য।
গঠনগতভাবে এটি একটি পত্রোপন্যাস যা একাধিক চিঠি, দিনলিপি, জাহাজের নথি ইত্যাদির আকারে রচিত। সাহিত্য সমালোচকেরা এই উপন্যাসে ভিক্টোরিয়ান সংস্কৃতিতে নারীর স্থান, প্রথাগত ও রক্ষণশীল যৌনতা, অভিনিবেশ, সাম্রাজ্যবাদ , উত্তরসাম্রাজ্যবাদ ও লোককথা ইত্যাদি নানা উপাদান পরীক্ষা করে দেখেছেন। স্টোকার ভ্যাম্পায়ারের আবিষ্কর্তা না হলেও, বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর একাধিক নাট্য, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সংস্করণে ভ্যাম্পায়ারের যে জনপ্রিয়তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার জন্য এই উপন্যাসখানিই এককভাবে দায়ী।
>> কাহিনী সংক্ষেপঃ
এই উপন্যাসখানি প্রধানত বিভিন্ন বর্ণনাকারীর দিনলিপি ও চিঠিপত্রের আকারে লিখিত। এই বর্ণনাকারীরা উপন্যাসের প্রধান চরিত্রও বটে। যে ঘটনাগুলি উপন্যাসের কোনো চরিত্রই সরাসরি প্রত্যক্ষ করেনি, সেগুলি স্টোকার বর্ণনা করেছেন সংবাদপত্র প্রতিবেদনের আকারে।
কাহিনির শুরুতেই সদ্য পাস করা ইংরেজ আইনজীবী জোনাথান জার্কার প্রথমে ট্রেন ও পরে ঘোড়ার গাড়িতে চেপে ট্রানসিলভ্যানিয়া , বুকোভ্যানিও ও মলডাভিয়ার সীমান্তপ্রদেশে অবস্থিত ক্যাপারথিয়ান পর্বতমালায় কাউন্ট ড্রাকুলার নির্জন পোড়ো দুর্গের পথে যাত্রা করছেন। তাঁর এই যাত্রার উদ্দেশ্য হার্কারের নিয়োগকর্তা ইংল্যান্ডের এক্সেটরের পিটার হকিনসের একটি রিয়্যাল এস্টেট চুক্তি বিষয়ে ড্রাকুলাকে আইনি সহায়তা প্রদান। প্রথমে ড্রাকুলার রাজকীয় চালচলনে বিমোহিত হলেও ক্রমে হার্কার বুঝতে পারেন যে তিনি আসলে এই দুর্গে বন্দী হয়ে পড়েছেন। ড্রাকুলার নৈশজীবনের বিভিন্ন বীভৎস দৃশ্যও তাঁর নজরে আসে। ড্রাকুলা তাঁকে রাত্রে তাঁর কক্ষের বাইরে যেতে নিষেধ করেছিলেন। তা সত্ত্বেও এক রাত্রে তিনি কক্ষের বাইরে বেরিয়ে তিন লাস্যময়ী স্ত্রী ভ্যাম্পায়ারের খপ্পরে পড়েন। এরা ছিল ড্রাকুলার বউ। শেষ মুহুর্তে কাউন্ট তাঁকে রক্ষা করেন। প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও ইংল্যান্ড ও লন্ডন সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞানলাভ করার পূর্বে কাউন্ট তাঁকে হত্যা করতে চাইছিলেন না। তাঁর পরিকল্পনা ছিল লন্ডনের লক্ষ মানুষের মধ্যে গিয়ে উপস্থিত হওয়া। হার্কার কোনো মতে প্রাণ হাতে করে দুর্গ থেকে পালিয়ে আসেন। এর কিছুকাল পরেই ডিমিটার নামে একটি রাশিয়ান জাহাজ ভারনা থেকে নোঙর তুলে ইংল্যান্ডের হুইটবির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে এক ভয়ানক ঝড়ের কবলে পড়ে। জাহাজের নাবিকেরা সকলেই নিখোঁজ হয়ে যায়। ধরে নেওয়া হয় যে তারা সকলেই মারা পড়েছে। কেবলমাত্র জাহাজের হালের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় ক্যাপ্টেনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ক্যাপ্টেনের নথি থেকে জানা যায় যে যাত্রাকালে জাহাজে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল। তারপর থেকেই জাহাজের মাঝিমাল্লারা একে একে নিখোঁজ হয়ে যেতে থাকে। মনে করা হতে থাকে জাহাজে কোনো অশুভ শক্তির আবির্ভাব ঘটেছে। জাহাজ থেকে একটি বিরাট কুকুরের আকৃতিবিশিষ্ট জানোয়ারকে লাফিয়ে সমুদ্রতীরে নেমে যেতেও দেখা গিয়েছিল। জাহাজের মালের তালিকায় ছিল ট্রানসিলভ্যানিয়া থেকে আসা রুপালি বালি ও "মৌলড" ("mould") বা গুঁড়ো মাটি।
এরপরই ড্রাকুলা হার্কারের প্রণয়ী উইলহেমিনা "মিনা" মুরে ও তাঁর বান্ধবী লুসি ওয়েস্টেনরার সন্ধান পান। একই দিনে লুসি ড. জন সিউয়ার্ড , কুয়েন্সি মরিস ও মাননীয় আর্থার
হোমউডের কাছ থেকে বিবাহের প্রস্তাব পান। লুসি সিউয়ার্ড ও মরিসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হোমউডের প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। এতে অবশ্য কোনো বন্ধুবিচ্ছেদ ঘটে না। সকলের মধ্যেই বন্ধুত্বসম্পর্ক বজায় থাকে। ইতিমধ্যে ড্রাকুলা ও সিউয়ার্ডের রোগী রেনফিল্ডের সাক্ষাৎ ঘটে। রেনফিল্ড লোকটা ছিল পাগল। সে ছোটো থেকে বড়ো আকারের নানারকম পোকামাকড়, মাকড়সা, পাখি আর অন্যান্য জন্তু খেয়ে বেড়াতো তাদের "জীবনীশক্তি" শুষে নেওয়ার জন্য। রেনফিল্ড গতিবিধি অনুধাবনকারীর কাজ করে। সে ড্রাকুলার নৈকট্য অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী সূত্র যোগাতো। হঠাৎ করে লুসি সন্দেহজনকভাবে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। তাঁর সকল পাণিপ্রার্থীরা চিন্তিত হয়ে পড়েন। সিউয়ার্ড আমস্টারডামে তাঁর বৃদ্ধ শিক্ষক অধ্যাপক আব্রাহাম ভ্যান হেলসিংকে ডেকে আনান। ভ্যান হেলসিং দেখামাত্র লুসির এই অবস্থার কারণটি বুঝতে পারেন। কিন্তু তিনি কাউকে কিছু বলতে অস্বীকার করেন। কারণ তিনি জানতেন, ভ্যাম্পায়ারের কথা বললে তাঁর প্রতি সিউয়ার্ডের যে আস্থা আছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। ভ্যান হেলসিং বিভিন্ন রকম ভাবে ব্লাড ট্রান্সফিউসন করে তাকে সারাবার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। সিউয়ার্ডকে একটি চিঠিতে লুসির উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়ে ভ্যান হেলসিং এক রাত্রিতে আমস্টারডামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। চিঠিটি ভুল ঠিকানায় গিয়ে পড়ে। সেই রাতেই লুসি আর তাঁর মা-কে একটি নেকড়ে আক্রমণ করে। দুর্বল হৃদয়ের মিসেস ওয়েস্টেনরা ভয়েই মারা যান এবং লুসিও তার অনতিবিলম্বে মারা যান। উল্লেখ্য, ওই নেকড়েটিকে লন্ডনের চিড়িয়াখানা থেকে ড্রাকুলাই ছেড়ে দিয়েছিলেন কিছু কাজ হাসিলের জন্য।লুসিকে কবর দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জানা যেতে থাকে যে রাতে একটি "ব্লুফার লেডি" (ছোটোদের বর্ণনা অনুযায়ী, অর্থাৎ "সুন্দরী নারী") ছোটো ছেলেমেয়েদের পিছু নিচ্ছে। ভ্যান হেলসিং বুঝতে পারেন যে লুসি একটি ভ্যাম্পায়ারে পরিণত হয়েছে। তিনি সকল বৃত্তান্ত সিউয়ার্ড, লর্ড গডামিং ও মরিসের কাছে প্রকাশ করেন। তাঁদের সাহায্যে ভ্যান হেলসিং লুসিকে খুঁজে বার করেন এবং লুসির ভ্যাম্পায়ার সত্ত্বা ও আর্থারের মধ্যে একটি বিশ্রী বিবাদের পর তাঁরা লুসির হৃদপিণ্ডে শূল বিদ্ধ করেন, তার মুণ্ডচ্ছেদ করেন ও মুখে গার্লিক ঢেলে দেন। প্রায় একই সময় বুদাপেস্ট থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন জোনাথান হার্কার।বুদাপেস্টেই মিনা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ও দুর্গ থেকে পালিয়ে এসে তাঁরা বিবাহ করেন। এরপর জোনাথান ও মিনা দলের সঙ্গে যোগ দেন এবং ড্রাকুলার সঙ্গে মোকাবিলার কথা ভাবতে থাকেন।ড্রাকুলা যখন জানতে পারেন যে ভ্যান হেলসিং ও অন্যান্য তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তখন তিনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করে এবং মিনাকে তিন বার দংশন করে প্রতিশোধ নেন। ড্রাকুলা মিনাকে তাঁর রক্ত পান করান। এর পরে দুজনের মধ্যে একটি অতিলৌকিক বন্ধন সৃষ্টি হয়। এর ফলে ড্রাকুলা মিনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। এর থেকে উদ্ধার পাওয়ার একমাত্র রাস্তা ছিল প্রথমেই ড্রাকুলাকে হত্যা করা। মিনার শিরায় ড্রাকুলার রক্ত বইতে শুরু করলে মিনা ড্রাকুলার নিয়ন্ত্রণাধীন হয়ে পড়ে। সজ্ঞান অবস্থা থেকে সে মাঝে মাঝেই অর্ধ- চৈতন্য অবস্থায় চলে যেতে থাকে, যে অবস্থায় তার সঙ্গে ড্রাকুলার টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ স্থাপিত থাকে। কিন্তু এই সংযোগটি তাঁরা ব্যবহার করতে থাকেন ড্রাকুলার গতিবিধি অনুধাবনের জন্য। ভ্যান হেলসিং মিনাকে সম্মোহন করে ড্রাকুলা কোথায় আছে তা জেনে নিতে থাকেন। কিন্তু ড্রাকুলার দুর্গের কাছাকাছি আসার পর থেকে এই সংযোগটি দুর্বল হয়ে যেতে থাকে। ড্রাকুলা ট্রানসিলভ্যানিয়ায় তাঁর দুর্গে ফিরে আসেন। ভ্যান হেলসিং-এর দল তাঁর পিছু নেন। শেষে তাঁরা সূর্যাস্তের পূর্বেই তাঁর সন্ধান খুঁজে বের করে ছুরি দিয়ে তাঁর গলা কেটে ও হৃদপিণ্ডে শূলবিদ্ধ করে তাঁকে ধ্বংস করেন। ড্রাকুলার দেহ মাটির গুঁড়োয় পরিণত হয়। মিনার উপর থেকে তাঁর প্রভাব নষ্ট হয়ে যায় এবং মিনা মুক্ত হয়। শেষ যুদ্ধে জিপসিরা কুইন্সি মরিসকে ড্রাকুলাকে দুর্গে ফিরিয়ে আনার অভিযোগে ছুরি মেরে হত্যা করেন। অন্যরা জীবিত অবস্থায় ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন। বইয়ের শেষে একটি নোটে জোনাথান ও মিনার বিবাহিত জীবন ও তাঁদের প্রথম পুত্রসন্তানের সম্পর্কে জানানো হয়। ছেলেটির নাম দলের সকল চার সদস্যের নামানুসারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাকে তাঁদের আমেরিকান বন্ধু কুইন্সির নামানুসারে কুইন্সি বলেই ডাকা হত।
সুত্রঃ ব্লগ,ব্রাম স্টোকার সাইট, ফেসবুক,উইকিপিডিয়া।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন