হারিয়ে যাওয়া কিছু দেশীও হিসাব পদ্ধতি
লিখেছেন লিখেছেন গোলাম মাওলা ২৬ আগস্ট, ২০১৩, ১২:৪৯:১৬ দুপুর
হারিয়ে যাওয়া কিছু দেশীও হিসাব পদ্ধতি
(অনেক আগের লিখা)
আমি আজ হিসেব প্রক্রিয়ার কিছু ধাপ আপনাদের মাঝে আলচনা করব যা আমাদের পূর্ব পুরুষরা ব্যবহার করত। কিন্তু আধুনিক হিসেব ধারার কাছে মার খেয়ে আজ সে গুলি হারিয়ে গেছে। তবে এখন গ্রামের মানুষেরা এর কিছু কিছু ব্যবহার করে বিভিন্ন কাজে।
১। কড়াকিয়াঃ ১ কড়া (। পোয়া গন্ডা
২। গন্ডাকিয়াঃ ১ গণ্ডা (১
৩। বুডিকিয়াঃ ১ বুডি (৫ গণ্ডা
৪। পয়সা বিভাগঃ ১ পয়সায় (৫ গণ্ডা
৫। দশকিয়াঃ ১ দশকে (১০ গণ্ডা
৬। পনকিয়াঃ ১ পণ /o
৭। চৌকিয়াঃ ১ চৌক ।o
৮। কাচ্চাকিয়াঃ ১ কাচ্চা (৫ গণ্ডা
৯। ছটাকিয়াঃ ১ ছটাক //o
১০। সেরকিয়াঃ ১ সের /১
১১। কাঠাকিয়াঃ ১ কাঠা /১
এই হারিয়ে যাওয়া হিসাব গুলি অনেকে জানতে পারেন। তাহলে দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন ।
আমি এই হিসেব গুলি জানার চেষ্টা করছি। ( এটি গণ্ডার চিহ্ন।(১ হল এক গণ্ডা, (৫, কে পড়তে হবে পাঁচ গণ্ডা। সাধারণত ধান এর আঁটি এবং বিচুলি বা খড় এর আঁটি গুনতে "পণ" ব্যবহার করা হয়।আর ১ পণ কে লিখা হয় /০ দিয়ে। মাটি কাটার হিসেবের প্রাচীন পদ্ধতি হল "চৌকা" । আর এক চৌকাকে প্রকাশ করা হয় ।০ দিয়ে। ছটাক ব্যবহার করা হয় ওজন করার ক্ষেত্রে। ১ ছটাক = ৫৮ গ্রাম। আর এক ছটাক কে প্রকাশ করা হয় //০ দিয়ে। সের এর সঙ্গে কলে কম বেশি পরিচিত। ১ কেজি = ১.০৭ সের। আর সের এর প্রকাশ করা হয় / চিহ্ন দিয়ে । /১০ = দশ সের। কাঠা তো সকলেই বুঝেন। /২ = দুই কাঠা। ৪ বর্গ হাত বা ৪ গণ্ডা =১ বর্গগজ, ৮০ বর্গগজ = ১ কাঠা বা ৭২০ বর্গফুট,২০ কাঠা বা ১৬০০ বর্গগজ = ১ বিঘা।
https://www.facebook.com/golammaula.akas/posts/570781676323095
বিষয়: বিবিধ
২৬৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন