ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা কি ধর্মনিরপেক্ষ? part:2
লিখেছেন লিখেছেন এমএ হাসান ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ১১:৩৪:০১ সকাল
ভারতের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকের মুসলিম-বিদ্বেষ
কিভাবে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে, তার আরও কিছু
নমুনা নীচে দেয়া গেল:
পঞ্চম শ্রেণীর পাঠ্য ‘ইতিহাস গা রহা হায়'
পুস্তকে বলা হয়েছে: (মুসলিম) আক্রমণকারীগণ
এক হাতে তরবারি ও অপর হাতে কুরআন
নিয়ে আসল। অসংখ্য
হিন্দুকে তরবারি মুখে জবরদস্তিমূলকভাবে মুসলমান
বানানো হল। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম
একটি ধর্মীয় যুদ্ধে পরিণত হল। ধর্মের জন্য
অগণিত প্রাণ বিসর্জন দেয়া হল। এক যুদ্ধের পর
আরেক
যুদ্ধে জয়ী হয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে থাকলাম।
বহিরাগত শাসকদের আমরা কখনও
স্থায়ীভাবে বসতি করতে দেইনি তবে বিচ্ছিন্ন
হয়ে যাওয়া আমাদের ভাইদের (অর্থাৎ, ভারতীয়
মুসলমানদের) এখনও হিন্দুধর্মে পুনরায়
ফিরিয়ে আনতে পারিনি।৭
বিজেপি নেত্রী হৃতম্বরার
একটি উক্তি এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।
তিনি বলেছেন, Wherever you find
ruins, Wherever you come upon
broken mounments, you will find
the signature of Islam, Wherever
you find creation, you discover the
signature of Hindu.8
অর্থাৎ, যেখানেই কোন ধ্বংসের চিহ্ন দেখবেন,
যেখানেই কোন ভগ্ন স্তম্ভ দেখবেন,
তাতে পাবেন ইসলামের স্বাক্ষর। আর যেখানেই
কোন সৃষ্টি দেখবেন, সেখানেই আবিষ্কার
করবেন হিন্দুর স্বাক্ষর।
হিন্দু মৌলবাদীদের উক্ত দৃষ্টিভংগীর
প্রতিফলন হয়েছে যুগ যুগ ধরে লালিত
ইতিহাসকে বিকৃত করে রচিত নতুন পাঠ্যপুস্তক।
‘গৌরবগাথা' নামক চতুর্থ শ্রেণীর
একটি পাঠ্যপুস্তকে অতি পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে,
দিল্লীর কুতুব-মিনারের প্রকৃত নাম ছিল
বিষ্ণুস্তম্ভ এবং এর নির্মাতা ছিলেন
সমুদ্রগুপ্ত। পরবর্তীতে পৃথ্বীরাজ স্তম্ভটির
সংস্কার করেছিলেন। কুতুবুদ্দীন আইবক
স্তম্ভটির কিছু অংশকে ভেংগে ফেলে দিয়ে এর
নমা পরিবর্তন করেছিলেন। স্তম্ভটি এভাবেই
কুতুব-মিনার নামে পরিচিতি লাভ করেছে।
ইতিহাস বিকৃতির আরেকটি উদাহরণ
উপরে উল্লেখিত ‘গৌরবগাথা' নামক পাঠ্য
পুস্তক থেকে দিচ্ছি : রাজা পুরুর
সাথে আলেকজান্ডারের যে যুদ্ধ হয়েছিল,
তাতে আলেকজান্ডার দারুণভাবে মার
খেয়েছিলেন। হাতির পদতলে হাজার হাজার যবন
(বিদেশী) সেনা পিষ্ট হয়েছিল।
হাতিগুলো তাদেরকে উপরে তুলে নেয়া মাত্র
মাহুতগণ তরবারির আঘাতে তাদের মাথাকে দেহ
থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। আলেকজান্ডার
নিজে বাধ্য হয়ে রাজা পুরুর নিকট
ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। এ কারণেই পুরু
আলেকজান্ডারকে তাঁর রাজ্য ফেরত দিয়েছিলেন।
G. K. Singh'র ভাষায়: The textbooks
are written in a highly provocative
language and present a 'patriotic'
view in which Indian history is
southt to be presented as an
endless saga of victoties by Indian
rulers, who are shown as heroes
even if they were on the losing
side.9
অর্থাৎ, পাঠ্যপুস্তকগুলো লেখা হয়েছে অত্যন্ত
উষ্কানিমূলক ভাষায়। এগুলোতে ‘দেশপ্রেমের'
ভাবধারাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,
যার ফলে ভারতের ইতিহাস হয়ে গিয়েছে ভারতীয়
(হিন্দু) শাসকদের অন্তহীন বিজয়লাভের
কাহিনী। যেখানে তারা হয়েছে কেবল বীর,
এমনকি যে সব ক্ষেত্রে তারা পরাজিত হয়েছিলেন
সেখানেও।
পাঠ্যপুস্তকের মাধ্যমে ভারতীয় তরুণ সমাজের
মনমানসিকতাকে কিভাবে ইসলামের
বিরুদ্ধে বিষিয়ে তুলা হচ্ছে, তার
আরেকটি উদাহরণ দিচ্ছি। মহারাষ্ট্রের বি.এ
ক্লাসের ইতিহাস পুস্তকে লেখা হয়েছে:
হতে পারে, ইসলামের আগমন আরবদের জন্য
ছিল এক আশির্বাদ যার ফলে তারা এশিয়া,
আফ্রিকা ও ইউরোপে যুদ্ধাভিযান করেছিল।
কিন্তু আরবের বাইরের লোকদের জন্য এসব
অভিযান ছিল অভিশাপস্বরূপ। কারণ,
ইসলামী হানাদারবাহিনী যেখানেই গিয়েছে,
তারা কেবল দেশ জয় করেনি। তারা লক্ষ লক্ষ
লোককে হত্যা করেছে, তাদের
ঘরবাড়ি এবং পবিত্র স্থানসমূহ লুটপাট ও ধ্বংস
করেছে এবং সর্বোপরি তাদের
শিল্পকর্মকে ধ্বংস করেছে। এসব বর্বরতার
কারণ কী? এর কারণ হচ্ছে, ইসলাম কেবল
নৃশংসতা ও বর্বরতাই শিক্ষা দেয়।১০
বিদ্যাভারতী স্কুলগুলোর
শিক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়
ভারতীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের উপর। চতুর্থ
থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সংস্কৃতি-জ্ঞান
শিক্ষার আওতায় অত্যন্ত
সুচতুরভাবে শিক্ষার্থীদের সংঘ পরিবারের
প্রবর্তিত ও অনুমোদিত ইতিহাস
শিক্ষা দেয়া হয়। শুদ্ধিকরণের নামে ভারতের
প্রকৃত ইতিহাসকে ব্যাপকভাবে বিকৃত
করা হয়েছে। যে দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাস
পরিবর্তন করা হচ্ছে তা হলো, শিক্ষার্থীদের
মনে হিন্দু শাসক ও বীরপুরুষদের কল্পিত
গৌরবময় কাহিনী তুলে ধরা এবং মুসলমানদের
সম্পর্কে তাদের মনকে তীব্রভাবে বিষিয়ে তুলা।
ভারতীয় সংস্কৃতি শিক্ষা দেবার বেলায় প্রায়
প্রতিটি বিষয়েই ভারতীয় গৌরবময় ঐতিহ্যের
অস্তিত্ব দেখানো হয়। জনৈক ইংরেজি শিক্ষক
বলেন, ‘এ সংক্রান্ত প্রতিটি পাঠেই গীতার
প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আমি আমার
ছাত্রছাত্রীদের বলি, এমনকি এসব
বিদেশী লেখকদের লেখাতেও তোমরা গীতার
প্রভাব দেখতে পার।'
বিকৃত ইতিহাস শিক্ষা দেবার সময় শিক্ষকগণ
যে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন না, তা নয়।
এ ব্যাপারে জনৈক হিন্দী শিক্ষক বলেন,
‘শিক্ষার্থীদের ভুল ধারণা অপনোদন
করা একটি দুরূহ কাজ।
এটা তাদেরকে বুঝানো বড়ই কঠিন যে, কুতুব-
মিনার মুসলমানরা নির্মাণ করেননি। তারা শুধু
মিনারটির গা থেকে দেবদেবীর চিহ্ন
মুছে ফেলে দিয়ে তাকে আরবি হরফ
দিয়ে ঢেকে ফেলেছিল। আর পৃথ্বীরাজ চৌহানের
বোনও মিনারের চূড়ায় বসে যমুনা নদীর দৃশ্য
অবলোকন করতেন' অত্যন্ত জোর দিয়ে এ
শিক্ষক বলেন, যদি একটি মিথ্যাকে দশবার সত্য
বলে চালানো হয়, তবে তা সত্য হতে বাধ্য।
অতীতে তা-ই হয়েছে, এমনকি আজকালও
তা হচ্ছে।
নবম ও দশম শ্রেণীর
হিন্দী পুস্তকে ছাত্রছাত্রীগণ পড়ে:
তারা বলে হিন্দুরা গো-খাদক। এটা মিথ্যা।
তারা বলে হিন্দুরা গো-খাদক। এটা মিথ্যা।
তারা বলে আর্যগণ বহিরাগত। এ ধারণা অবশ্যই
পরিবর্তন করতে হবে। তারা বলে, গুরূ তেগবাহাদুর
ছিলেন লুণ্ঠনকারী, অথচ তিনি জাতির জন্য
প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন।১১
কোন এক স্কুলের প্রিন্সিপাল বলেন, এসব
স্কুলের লাইব্রেরীর পুস্তক নির্বাচনের
ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এমন সব বই নির্বাচন করা হয় যাতে রয়েছে,
‘গৌরব কি রাতে, গুলামী কি বাতে নেহি।'
যাতে বলা হয়েছে, তাজমহল কোন মুসলমানের
কবর নয়, আসলে এটা একটি মন্দির।
১৯৯৮ সালে উত্তর প্রদেশ সরকার সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করে যে দৈনিক কাজ শুরু করার
আগে প্রদেশের প্রতিটি স্কুলে ভারতমাতার
পূজা এবং ‘বন্দে মাতরম' আবৃত্তি করা হবে।
তা ছাড়া, ‘রলকলের' সময় Yes Sir, Present
Sir না বলে বলতে হবে ‘বন্দে মাতরম'। যেহেতু
প্রতিমা-পূজা ইসলামে নিষিদ্ধ, তাই অল
ইন্ডিয়া মুসলিম লো বোর্ড সরকারি এ
সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন এবং এ আদেশ
অমান্য করার জন্য প্রদেশের মুসলমান
শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেন। মুসলমানদের
বিরোধিতার কারণে সরকার এ
সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন করে। এ পরিবর্তনের
ফলে ‘বন্দে মাতরম' আবৃতি করাকে বাধ্যতামূলক
রাখা হয় এবং ভারত মাতার পূজাকে প্রতিদিনের
পরিবর্তে বছরে দুই/এক দিনের জন্য বাধ্যতামূলক
করা হয়।১২ গুটরাট সরকার ২০০২ সালের
জানুয়ারি থেকে প্রতিটি সরকারি স্কুলে ভূমিপূজাকে বাধ্যতামূলক
করেছে।১৩
সংস্কারকেন্দ্র
বস্তিবাসী এবং পাহাড়ী পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর
জন্য আরএসএস'র রয়েছে একটি বিশেষ
শিক্ষা কার্যক্রম। এসব অঞ্চলে স্থাপন
করা হয়েছে সংস্কার কেন্দ্র নামক বহু
প্রতিষ্ঠান, যেখানে এসব
এলাকাবাসীকে হিন্দুত্বের চেতনায়
দীক্ষা দেয়া হয়। বিশেষত, নেপাল
এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের
উপজাতিদের এ ধারণা দেয়া হচ্ছে যে,
তারা আসলে আদিবাসী নয়
বরং বনবাসী এবং হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত।
বহিরাক্রমণের (অর্থাৎ, মুসলমানদের
আক্রমণের) কারণেই তাদের পূর্বপুরুষগণ
হিন্দুদের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
আদিবাসী অঞ্চলে ‘একাল বিদ্যালয় ফাউন্ডেশন'
নামক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনাধীন রয়েছে হাজার
হাজার স্কুল, যেখানে উপজাতি ছাত্র-ছাত্রীদের
জন্য শিক্ষার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এসব
স্কুলে যেসব উপজাতি ও খ্রিস্টান
শিক্ষার্থী রয়েছে, তাদের প্রিয় খাদ্য গরুর
গোশত। তাদেরকে এটা বুঝানো কঠিন যে, গরুর
গোশত খাওয়া ঠিক নয়। এ জন্য
তাদেরকে সুন্দরভাবে বলা হয় যে,
‘গাভী হলো আমাদের মাতা। এর ভেতর ভগবান
অবস্থান করেন। যে দিকে গাভীর
মাথা থাকে সেদিক থেকে যে বায়ু আসে,
তা বিশুদ্ধ। গোমূত্র ব্যতীত ক্যান্সারের
দ্বিতীয় কোন ওষুধ নেই।
ফ্রি আবাসিক স্কুল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হিন্দুত্ববাদ
প্রচারের কাজ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হওয়ার
কারণে আরএসএস
প্রতিষ্ঠা করেছে ফ্রি আবাসিক স্কুল। সংঘ
পরিবারের এনজিও ‘সেবা ভারতী' কর্তৃক
পরিচালিত এ ধরনের বহু স্কুল রয়েছে ভারতের
বিভিন্ন স্থানে। সাধারণত তফশিলি সম্প্রদায়
ও উপজাতি লোকদের সন্তানকে এসব
স্কুলে ভর্তি করা হয়। এসব স্কুলের ব্যয়
নির্বাহের অর্থ যোগান দেয়
প্রবাসী ভারতীয়গণ। এরা হল মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, বৃটিশ যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক,
অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে বসবাসরত কয়েক
মিলিয়ন এবং মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত কয়েক মিলিয়ন
ভারতীয় হিন্দু নাগরিক।
বন্দে মাতরম
উপরের আলোচনায় উল্লেখ করা হয়েছে,
ভারতের উত্তর প্রদেশের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন ‘বন্দে মাতরম'
আবৃত্তি করাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
‘বন্দে মাতরম' শব্দগুচ্ছের শাব্দিক অর্থ
হচ্ছে ‘মাতাকে বন্দনা (পূজা) করি।'
দেশাত্ববোধক এ গানটি হচ্ছে একটি রণসঙ্গীত,
যা চরম উগ্রবাদী ও মুসলিম-বিদ্বেষী ঔপন্যাসিক
বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন তার আনন্দমঠ
উপন্যাসে। মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে হিন্দু
সম্প্রদায়কে উস্কানী দেয়া এবং হিন্দু
জাতীয়তার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই তিনি এ
গান রচনা করেছিলেন।
গানটিতে দেশমাতৃকাকে একটি ঐশ্বরিক
পর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে। পৌত্তলিকতায়
পরিপূর্ণ এ গানে হিন্দু দেবতা দূর্গা ও লক্ষ্মীর
বন্দনাও করা হয়েছে। এসব কারণে মুসলমানদের
নিকট গানটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ভারতীয় পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু করার সময়
জাতীয় সঙ্গীতের সাথে এ গানটি গাওয়ার জন্য
একবার বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করেছিল, কিন্তু মুসলমানদের তীব্র বিরোধিতার
কারণে তা বাস্তবায়ন করা থেকে বিরত থাকে।
শিরকের সয়লাবের মুখে ঈমান বাঁচানোর লড়াই
ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাচীন যুগের
পৌত্তলিকতার অনুশীলন, পরিচর্যা ও প্রসার
যে ব্যাপকভাবে ঘটছে, এক্ষেত্রে সরকারি ও
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোন পার্থক্য
নেই। শিরকের এ সয়লাব মুসলমানদের সন্তান-
সন্তুতির আকিদা-বিশ্বাসের জন্য এক বিরাট
হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এ অভিশাপ
থেকে বেঁচে থাকার জন্য ভারতীয় মুসলমানদের
জন্য একটি উত্তম উপায়
হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন।
কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগ তারা যখনই গ্রহণ
করেন, তখন সরকারের পক্ষ থেকে নানা প্রকার
বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। মুসলমানদের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের অর্ধেক
অমুসলমান হওয়াকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে মাদরাসাগুলোর বিরুদ্ধেও
ব্যাপকভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে যে, এসব
মাদরাসায় জিহাদ ও সন্ত্রাস শিক্ষা দেয়া হয়
এবং এগুলো থেকেই পাকিস্তানের আইএসআই'র
লোক নিয়োগ করা হয়।
মাদরাসা শিক্ষাকে নিষিদ্ধ করার জন্য
বিশ্বহিন্দু পরিষদের তরফ থেকে জোর দাবিও
জানানো হচ্ছে।
বিষয়: বিবিধ
১৭১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন