আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পহেলা বৈশাখঃ ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ইং।
লিখেছেন লিখেছেন মুক্ত কন্ঠ ১৪ এপ্রিল, ২০১৪, ০৪:১১:১২ রাত
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পহেলা বৈশাখঃ ১৪ এপ্রিল ২০০৯ ইং।
স্নিগ্ধা। সহজ সরল সাদা মনের সাধারণ একটি মেয়ে। যে সাধারণ হয়েও আমার চোঁখে অসাধারণ। জ্ঞানী অথচ সরল। আধুনিক অথচ শালীন। সংস্কৃতিবান কিন্তু সংযত। যে ছিল মাঠির মত নরম, সহিষ্ণু ও চাঁপা। যার মন ছিল আকাশের মত বিশাল। পানির মত স্বচ্ছ। যে মানবী আমার হৃদয়ে দাগ কেটেছিল গভীর ভাবে। যাকে মনপ্রাণ উজাড় করে ভালবাসতে মন ছিল কাতর। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সে ছিল সকালের শিশির ভেজা প্রস্ফুটিত স্নিগ্ধ পবিত্র গোলাপ। যার গায়ে কোন কলংক নেই।
তার সাথে মোবাইলে ঘন্ঠার পর ঘন্ঠা কথা বলেছি একান্তে। দুজনে কানে কানে গেয়েছি হৃদয় দেয়া নেয়ার গান। কিন্তু কোনদিনও এক মুহুর্তের জন্যও দৈহিক সুখ শিহরন কিংবা হট কোন অনুভূতির সৃষ্টি হয়নি। হৃদয়ের তৃষ্ণা মিটিয়েছি হরদম কিন্তু কখনও দেহের তৃষ্ণা জাগেনি। অথচ এ বয়সে এমনটা হওয়াই অতি স্বাভাবিক । দেখা হয়েছে যে কয়বার, একে অন্যের হাতের স্পর্শটুকুও পাইনি। সেই মানুষটির সাথে দেখা করতে গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুজে না পেয়ে অবশেষে ক্লান্ত হতাশ মনে আমরা দুজন (আমি ও জুবের) বসেছিলাম এখানে। এমসি কলেজের অডিটোরিয়াম সংলগ্ন নিরিবিলি এই জায়গায়। চারিদিকে বর্ষবরণের আড়ম্বরপূর্ন হৈ হুল্লোড় থেকে দুরে। সবাই যখন তথাকথিত বাঙ্গালি ঐতিহ্য আর বাঙ্গালিয়ানা জাহিরে নাচে গানে মুখর তখন আমরা দুটি প্রাণী বসেছিলাম বড় মলীন মুখে। মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামের কারণে সেদিন সেখানে হাজার চেষ্টা করেও স্নিগ্ধার সাথে কন্টাক্ট করতে পারিনি। চলে এসেছিলাম ভাঙা মন নিয়ে। আমি নেটওয়ার্ক জ্যাম এলাকার বাইরে চলে আসায় পরে সে আমাকে কন্টাক্ট করতে পেরেছিল। আবারও গিয়েছিলাম বন্ধুবর ফরাশকে নিয়ে। দেখা হয়েছিল অবশেষে। দিনটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ পহেলা বৈশাখ হয়েই থাকবে।
বন্ধু! আমাকে কি তোমার মনে পড়ে? জানতে বড় ইচ্ছে হয়। কিন্তু জানতে চাইবনা। এটা অনৈতিক। তুমি এখন একজন ভাগ্যবানের প্রিয়তম জীবন সঙ্গী। তবে তুমি আমার হৃদয়ের গভীরে আছ তোমার মত করেই। জানি, তোমার আমার দেখা হওয়াটা ছিল নাটকীয়। সম্পর্কের সাঁকোটা ছিল নড়বড়ে; মিথ্যার উপর যার ভিত্তি। তবে আমি বিশ্বাস করি, তোমার প্রতি আমার হৃদয়ের আকর্ষনটা ছিল অলৌকিক। সম্পর্কটা ছিল নিষ্পাপ।
বিষয়: বিবিধ
১১২২ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
স্নিগ্ধার ছবিটা দিতেন ।
এত রুপ ও গুনের বর্ণনা করলেন যার তার চেহারাটা দেখে আমরাও মুগ্ধ হই ।
হ্যা, ছবি দিতে পারতাম, কিন্তু ওর প্রতিটা স্মৃতিই আমার কাছে আমানত। আর ওর যে গুণের কথা বললাম সে কারনেই ছবি প্রকাশ করা উচীত হবে না। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন