শিশু আরমানের মায়ের কান্নার জবাব কি দেবেন কেউ????

লিখেছেন লিখেছেন সুন্দরের আহবান ২৭ জুন, ২০১৩, ০৮:০৮:০৫ সকাল

আপনার কেই কি আরমানের মায়ের কান্না শুনেছেন? আপনারা কি আরমানের মায়ের বুকে তার সন্তানকে ফিরিয়ে দিতে পারবেন? কেন তাকে দুটি সন্ত্রাসী সংগঠনের বন্ধুক যুদ্ধের বলি হতে হলো ? সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা কি এর কোন জবাব দিবেন? আরমানের মা তার ছেলের লাশ সামনে নিয়ে বলেছে- ৬ বছর বয়সে আমার আরমান আমারে কয়, মা আমি হুজুরদের মত পাগড়ী বাইধা মসজিদে যামু। নামাজ

পড়মু। পোলা আমারে এ কথা কইবার পরে হেরে কইলাম হুজুরদের মত হইতে হলি তোরে মাদ্রাসায় যাইতে হবি, পড়ালেখা শিখতি হবি। পোলা কই মা আমি মাদ্রাসায় যামু। পোলার আগ্রহে তারে আমি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করতে দিলাম। আলেম হইবে আমার ছোট ছাওয়াল। হইতে দিলোনারে...আমার

পোলারে আলেম হইতে দিলোনারে ঐ জালেম গুলা...ওহ আল্লাহ্ এগুলারে গজব দেও...আল্লাহ...

(চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ- যুবলীগের গোলাগুলিতে নিহত শিশু আরমানের মা)।

মুলত, সন্ত্রাস এবং ছাত্রলীগ একে অপরের পরিপুরক শব্দ। টেন্ডারবাজী-চাঁদাবাজী যুবলীগের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। বর্তমান শাসনামলে ছাত্রলীগ যুবলীগের পারস্পারিক সংঘর্ষ হত্যা, খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই দুই সন্ত্রাসী সংগঠন এখন বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাদের সাংগঠনিক পরিচয়ের চেয়ে একটি দানবীয় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বেশী পরিচিত। দেশ জাতি ও মানবতার স্বার্থে এ দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা এবং তাদের সকল ক্যাডার, সন্ত্রাসী কর্মী, মাস্তান চাঁদাবাজকে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচার এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের মানবতার দুষমন হিসেবে চিহ্নিত করে মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করা উচৎ। তাদের দু গ্রুপের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আরমানের জীবন চলে গেল। আরমানের মায়ের বুক খালি হলো। একটি স্বপ্ন ধুলিস্যাত হয়ে গেল। আরমানের মায়ের আহাজারি আজ আকাশ বাতাস ভারী করে তুলছে। কিন্তু মানবতার ধ্বজাধ্বারীদের মানবতার বাণী আজ আর মানবতা মানবতা বলে চিৎকার করে না। যারা সামান্য কোন ঘটনা ঘটলেই অমুকের রাজনীতি নিষিদ্ধ করো, তমুকের নিবন্ধন বাতিল করো বলে চিৎকার করে আজ তারা সব বোবা বধির, অন্ধ। কেননা এই সন্ত্রাসীরা যে তাদের দুধ কলা দিয়ে পোষা আগামী দিনের স্বপ্নের সাম্প্রদায়িকতা ( ইসলাম) মুক্ত, ধর্মনিরপক্ষে ( ধর্মহীন), আধুনিক ( পশ্চাত্য সভ্রতার নোংরামী) সমাজ গড়ার সূর্য সন্তান। বিরোধী দলের আহুত এক হরতালে এক স্কুল ছাত্রী আহত হলে বর্তমান সরকারের সেবদাস মিডিয়াগুলো সে যে কি কান্না, সরকার দলীয় নেতাদের বিবৃতি, মনাবাধিকার সংগঠনের ত্রাণ কর্তাদের চিৎকার দেখে মনে হয়েছে বাংলাদেশে এত বড় অপরাধ আর কোন সময় ঘটেনি। কিন্তু যখন ছাত্রলীগ, যুবলীগের সূর্য সন্তানেরা বন্ধুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মানুষ খুন করে তখন আর মানবাধিকার লংঘিত হয় না। আমি জানি না সরকারের সেবাদাস মানব মিজান বেচে আছে না কি ......... আর মন্তব্য করা গেল না।

সুশীল নামক আজব মানুষগুলো কোন কিছু না করলেও ব্যরিষ্টার রফিকুল হক বলেছেন- ছাত্রলীগ যুবলীগ এখন গুন্ডলীগ- কিন্তু গুন্ডালীগের বিরুদ্ধে সরকার কি কোন ব্যবস্থা নিবে?? আলামত তো তা বলে না, বন্ধুক যুদ্ধ এবং দুইজন মানুষ খুনের জন্য একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে গুন্ডাদেরকে আর তথ্যমন্ত্রীর বাসার সামনে বোমা হামলাকারী সন্দেহে দুইজন ছাত্রকে সাত দিনের রিমান্ড, কিছূ বুঝলেন কি পাঠক??

বিষয়: বিবিধ

১৫৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File