জঙ্গিবাদ বনাম বাস্তবতাঃ সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান

লিখেছেন লিখেছেন সিকদারমোহাম্মদ ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:৩৭:০৭ সকাল

সিকদার মোহাম্মদঃ

সরকারের শেষ সময়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার সমর্থকেরা । তুচ্ছাতিতুচ্ছ ঘটনা থেকে শুরু করে আধিপত্য বিস্তার, ভাগবাটোয়ারা কোন কিছুই বাদ যাচ্ছেনা তাদের এই হিংস্র জঙ্গি তৎপরতা থেকে । মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সামান্য খাবার দাবার আয়োজনে এক পক্ষকে আরেক পক্ষ প্রবেশাধিকার না দেয়াকে কেন্দ্র করেও খুনের জঙ্গি মহড়ায় মেতে উঠছে তারা ।

ফলে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার হঠাৎ করে প্রতিনিয়ত সরকার সমর্থক জোট ছাড়া অন্য সবাইকে যখন ঢালাওভাবে জঙ্গিবাদের অপবাদ দিচ্ছেন, ঠিক সে সময় সরকারর দলীয় লোকজনের এই সহিংস এবং সসস্ত্র খুনখারাবি কর্মকান্ডকে কি বলে সংজ্ঞায়িত করবেন ?

অক্সেফোর্ড ডিকশনারী অনুসারে, সন্ত্রাস বলতে সরকার বা অন্য কারো বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ সহিংস কার্যক্রম কে বুঝায়। সন্ত্রাসবাদ বলতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম এর সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত চিন্তাধারা বা মতাদর্শকে বুঝানো হয়। জনমনে ভয়ভীতি, অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে মহল বা গোষ্ঠী বিশেষ কর্তৃক স্বার্থসিদ্ধির যে সহিংস কর্মপন্থা পরিচালিত হয় প্রচলিত ধারণায় আমরা তাকেই সন্ত্রাস বলে জানি। আর জঙ্গিবাদ এই ‘সন্ত্রাসেরই সাম্প্রতিক উপসর্গ। ব্যুৎপত্তিগত বিচারে ‘জঙ্গ’ থেকেই জঙ্গি শব্দের উদ্ভব। শব্দটি মূলত ফার্সী ভাষার; যার অর্থ যুদ্ধ বা লড়াই। সে হিসেবে ‘জঙ্গি’ অর্থ সাধারণভাবে যোদ্ধা বা লড়াকু ।

সরকার সমর্থকদের এই লড়াই জঙ্গিবাদের চেয়েও ভয়াবহ বলেই মনে করার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ রয়েছে । স্বাভাবিকভাবে মানুষ সরকার ও সরকারের সমর্থকদের কাছ থেকে শান্তি আশা করে, আর যে কোন মূল্যে তা বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব । সে দায়িত্ব পালন না করে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে, সরকারী সুযোগ সুবিধার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে জনমনে ভয়ভীতি, অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে আর যা হউক তাতে সাধারণ মানুষের কোন স্বার্থ উদ্ধার হয়না, এতে কেবল সরকার সমর্থক মহল বা গোষ্ঠী বিশেষেরই স্বার্থ উদ্ধার হচ্ছে যা মনুষ্য সমাজে কাম্য নয় ।

অথচ আধিপত্য বিস্তার, ভাগবাটোয়ারা, দলীয় কোন্দলকে ঘিরে সরকার দলের সমর্থকের মধ্যে এখন প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে খুনখারাবির মত জঙ্গি কর্মকান্ড। ক্ষমতাসীনদের এক গ্রুপের হাতে প্রাণ যাচ্ছে অপর গ্রুপের সদস্যের। সরকার দলের সমর্থক হওয়ায় অঘটন ঘটিয়েও বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসীরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের কাছে অসহায়। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম সরকার দলের সমর্থকদের দ্বারা একাধিক লাইফ হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করেছে দেশের মানুষ । ২৮ অক্টোবর ২০০৮ এর কথা বাদ দিলেও বিশ্বজিৎ থেকে মিল্কির লাইভ হত্যাকান্ড কি জঙ্গিবাদের সংজ্ঞায় পরে কিনা তা সভ্য নাগরিকদের ভাবিয়ে তুলছে ।

মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের জুলাই মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে । ওই মাসে আওয়ামী লীগের ২৬টি অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতে নিহত হয়েছে তিনজন, আহত হয়েছে ২৫১ জন। বছরের প্রথম ৬ মাস জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ ১৫৫টি সঙ্ঘাতে নিহত হয়েছে ১৫ জন। আহত হয়েছে এক হাজার ৭৯২ জন। সূত্র জানায়, আগস্ট মাসের এই রেকর্ড যেকোনো সময়ের তুলনায় বেশি।

এ দিকে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনেই চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ঘটে গেল আরো দু’টি সন্ত্রাসী জঙ্গি ঘটনা ।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের মধ্যে এক সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

আর গতকালের ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত হবার ঘটনা সারা দেশে এমনি বিদেশী মিডিয়াতে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এতে আরও আহত হয়েছে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন। সংঘর্ষে কয়েক রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। রোববার বিকেলে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. প্রমোদ মানকিনের অনুষ্ঠানের পরই এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সংঘর্ষের আশঙ্কায় উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। সেই ধারা ভঙ্গ করেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে সমাজ কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. প্রমোদ মানকিন ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময়ে ২নং গামারী তলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক খান ভিআইপিদের খাবার রুমে প্রবেশ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফুরকান উদ্দিন মৃধা সেলিম ও লোকজন তাকে লাঞ্ছিত করে।

এ ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে আজিজুল ক্ষিপ্ত হয়ে তার এলাকার লোকজন নিয়ে উপজেলা সদরে সশস্ত্র অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন মৃধাও সেখানে লোকজন নিয়ে অবস্থান নেয় ।

এ ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিকাল ৪টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে। তবে বিকেল ৫ টায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।

তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকরা জানান, সংঘর্ষে ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন মারাত্মক আহত হন। এছাড়াও উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আহতদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত সোয়া ৮টার দিকে চেয়ারম্যান ফোরকান উদ্দিন মৃধার মৃত্যু হয়।

অভ্যন্তরীণ সঙ্ঘাতে চলতি বছরেই নিহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার রাজধানীর পল্লবী এলাকায় খুন হয়েছে শাহ আলী রকি (৩৫) নামের স্থানীয় এক যুবলীগ নেতা। সকালে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। নিহতের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় দুর্বৃত্তরা রকিকে হত্যা করে। পুলিশ বলেছে, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্র বলেছে, যুবলীগের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে।

গত এক মাসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন সরকারদলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, তাদের আধিপত্য বিস্তার ও ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে। সূত্র জানায়, কোনো কোনো ঘটনায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে মহড়া দেয়ারও ঘটনা ঘটছে।

গত বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে নিহত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন (৩০)। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। তোফাজ্জল নিজেও একটি খুনের মামলার আসামি ছিলেন। পুলিশ সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে। এর আগে গত মার্চ মাসে তোফাজ্জল বাহিনীর হাতে খুন হয় প্রতিপক্ষের এক সদস্য রানা। সূত্র জানায়, এই দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে আধিপত্যের লড়াই চলে আসছিল।

গত ১৭ আগস্ট চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাউজান চৌধুরীহাটের চৌমুহনী এলাকায় হত্যা করা হয় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মোবারক হোসেনকে (৩৫)। কর্ণফুলী নদীর বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ যুবলীগের ডালিম গ্রুপের সদস্যরা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। গত ১৫ আগস্ট পাবনার দোগাছি ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক ইমনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানায়।

গত ২০ আগস্ট পিরোজপুরের কাউখালীতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় এনামুল হক ইনু (৪৫) নামের এক যুবলীগ নেতাকে। তিনি থানা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। বেকুটিয়া এলাকায় তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ইনু বেকুটিয়ার রোকামিয়া হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক বিবেচনায় তার মামলা প্রত্যাহার করা হয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, পিরোজপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা এই হত্যার ব্যাপারে জানেন। ওই নেতার চাঁদাবাজিতে ভাগ বসিয়েছিলেন ইনু। বেকুটিয়া ফেরিঘাট থেকেই তিনি মাসে লাখ টাকার বেশি উপার্জন করতেন। এ কারণে ওই নেতার বিরাগভাজন হয়েছিলেন ইনু। ওই নেতার হাত ধরেই এক সময় ইনু যুবলীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তার ভাগেও হাত দেয়ায় ইনুর এই পরিণতি হয় বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

গত ২১ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগে খুন হয়েছে শ্রমিকলীগ নেতা মোক্তার হোসেন (৩৫)। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। সরকার সমর্থক আবুল ও আকাশ গ্রুপের সদস্যরা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। মাদক ব্যবসা ও ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই এই খুনের ঘটনা ঘটে।

রাজধানীর সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যাকাণ্ড। গুলশানের শপার্সওয়ার্ল্ডের সামনে গত ৩০ জুলাই রাতে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যার দৃশ্য সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। ওই দৃশ্যের সূত্র ধরে প্রধান ঘাতক যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেককে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এক দিন পরে তারেক র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। সেখানে শাহ আলম নামের আরো এক যুবক নিহত হয়। সংশ্লিøষ্ট সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই খুনের সাথে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল, আরিফ ও দিপুসহ বেশ কয়েকজন যুবলীগ নেতার নাম উঠে আসে।

সম্প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের পশুর হাট ইজারাকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় কিছু লোক আগ্নেয়াস্ত্রের মহড়া দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি সশস্ত্র হুমকি দেয়ারও ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, সামনের দিনগুলোতে সরকার সমর্থক ক্যাডারেরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিকের নিকট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা মহানগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সরকার সমর্থক কিছু লোক এতটাই বেপরোয়া যে, তারা পুলিশকেও হুমকি-ধমকির মধ্যে রাখে। কারণে অকারণে তারা পুলিশকে ধমকায়। নিউ মার্কেট থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের বেশ কিছু নেতাকর্মী মোটরসাইকেল চালায়। এই মোটর সাইকেলের কোনো নম্বর প্লেট বা রেজিস্ট্রেশন নেই। চাইলেও তা আটক করা যায় না। এসব মোটরসাইকেলে তারা নিয়মিত মহড়া দেয়। করে ছিনতাই, চাঁদাবাজির মতো অপরাধ।

সূত্রমতে, টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় ক্যাডারদের মধ্যে প্রায়ই ঘটছে খুনোখুনি। যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, যুবলীগ নেতা মিল্কি হত্যা, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারেক নিহত এবং যুবলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হওয়ায় পরিস্থিতি এখন অন্যরকম। অনেকেই এখন গা বাঁচিয়ে চলছেন। সামনে জাতীয় ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা ও আধিপত্য নিয়েও দলের মধ্যে খুনখারাবি বাড়ছে। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসবে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা সরকারদলীয়দের। খুনের হাত থেকে বাঁচতে সরকারদলীয় অনেক নেতাই পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত এরকম কোন পরিসংখ্যান নাই যে, কোন জঙ্গি গ্রুপের হামলা বা হত্যার হুমকির ভয়ে দেশের কোন নাগরিক দেশ ছেড়ে পালিয়েছে অথচ সরকারের এক গ্রুপে হামলার আশংকায় আরেক গ্রুপ দেশ ছেড়েছে এর চেয়ে বড় জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হুমকি বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে পরিলক্ষিত হয়েছে কিনা তা ভাববার বিষয় ।

তাই সচেতন দেশবাসীর প্রত্যাশা, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অযাচিত আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে জঙ্গির কলঙ্কের কালিমায় লেপণ না করে, দলীয় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত করে বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নেতৃত্ব গঠনে সরকারসহ সকল রাজনৈতিক শক্তি আত্ননিয়োগ করুক এটাই বর্তমান প্রজন্মের প্রত্যাশা ।

বিষয়: রাজনীতি

১১২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File