মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিব পরিবার ও হানাদার বাহিনীর আতাঁত হয়েছিল তার প্রমাণ আছে : তারেক রহমান
লিখেছেন লিখেছেন আনিসুর রহমান ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৩১:০২ সকাল
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ মুজিব এখন আওয়ামী লীগের লালসালু। এই লালসালুকে ঘিরে থাকা ভন্ডরাই নিজেদের স্বার্থে যাকে তাকে রাজাকার আখ্যা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবী করে তাদের দল নাকি মুক্তিযুদ্ধের দল অথচ চোরের দল চাটার দল আখ্যা দিয়ে শেখ মুজিব নিজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের দল হলে আওয়ামী লীগ হত্যার দায়ে শেখ মুজিবই বড় রাজাকার। বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকালীন দল বটে, তবে মুক্তিযুদ্ধের দল নয়। তিনি বলেন, এটা সবার কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট - মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিব ও তার পরিবারের বিন্দুমাত্র ভুমিকা ছিল না। বরং ২৫ মার্চ শেখ মুজিব সমঝোতার মাধ্যমে ‘শখের বন্দী’ হন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে ইস্ট লন্ডনের দ্যা অট্রিয়াম অডিটোরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বাংলাদেশের ৪৪তম বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তারেক রহমান প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন।
তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের অবস্থান, স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের চিত্র প্রমাণ সহকারে তুলে ধরেন। বক্তব্যের পাশাপাশি প্রজেক্টরে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল তিনি উপস্থাপন করেন। একইসঙ্গে তারেক রহমান আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘অশ্লীল’ প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে গালাগাল না করে এসব যুক্তি ও দালিলিক তথ্যের জবাব আহ্বান করেন। দেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমার বক্তব্য যাচাই করুন। তথ্য-প্রযুক্তির এ যুগে নতুন প্রজন্ম সহজেই এসব তথ্য যাচাই করতে পারেন। তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের অবস্থান সম্পর্কে আমার দেয়া বক্তব্য পারলে দালিলিক প্রমাণ দিয়ে অস্বীকার করুন।
তিনি বলেন, ৭১’ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদারদের আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসাবে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক একে খন্দকার উপস্থিত ছিলেন। তারেক রহমান প্রশ্ন রেখে বলেন, এখন তাকে রাজাকার আখ্যা দিয়ে কি বাংলাদেশের বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়নি?
তারেক রহমান দীর্ঘ ১ ঘন্টা ৫০ মিনিটের বক্তৃতার প্রায় দেড় ঘন্টাই প্রাসঙ্গিক বিষয়ের ওপর দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেন। প্রতিটি বিষয়ে একাধিক দালিলিক প্রমাণ তুলে ধরে তিনি নিজে উপসংহার টানেন দর্শকদের সঙ্গে কুইজের মাধ্যমে মতামত নিয়ে।
100% copy past
বিষয়: রাজনীতি
১০৯৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
তারেক রহমান আওয়ামী লীগের নেতাদের ‘অশ্লীল’ প্রতিক্রিয়ার প্রসঙ্গ টেনে গালাগাল না করে এসব যুক্তি ও দালিলিক তথ্যের জবাব আহ্বান করেন।
শেখ মুজিবের মাইয়্যার জামাই, মানে হাসিনার জামাই ওয়াজেদ মিয়া পুরা যুদ্ধের সময় পাকিস্তান সরকারের চাকুরী করিছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগের দিন মানে ১৫ই ডিসেম্বরে পাক সরকার থেইকা বেতন তুইলা খাইছেন, মাসের শেষে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার থেইকা নতুন করিয়া আবার সেই পুরো ডিসেম্বর মাসের বেতন তুলিছে। এই থেইক্যা বড় রাজাকার আর কারে কয়।
ত্রিশ লাখ মানুষ মরিল মগর আমামীলীগ থেইকা একজন মানুষ ও মরিল না। যুদ্ধ লাইগা গেলে সবাই ভারতে পালাইয়া যায়, যুদ্ধ শেষে একটি সনদ ও নগদ টাকা লইয়া বাংলাদেশে ঢুইকা পড়ে আর চিল্লায় আমরা মুক্তিযোদ্ধা।
বলি মুক্তিযোদ্ধা হইলে চিল্লানোর কি আছে, দেশের মানুষ কি দেহে নাই কেডা মুক্তিযোদ্ধা, আর কেডা চুক্তিযোদ্ধা!
2. ত্রিশ লাখ মানুষ মরিল মগর আমামীলীগ থেইকা একজন মানুষ ও মরিল না!!!
Very serious matter. if your information is true that means Tatak Rahman are all the way RIGHT: বাস্তবতা হলো, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকালীন দল বটে, তবে মুক্তিযুদ্ধের দল নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন