♥ প্রেম ভালোবাসার অপব্যবহার এবং এর ভয়াবহো পরিনতী....

লিখেছেন লিখেছেন জিহর ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ০২:১৭:২৬ রাত

কাকে যেন বলতে শুনেছিলাম যে,

"এরেঞ্জ ম্যারেজ , আর ডিম সেদ্ধ করা একই" !

.

তার যুক্তিগত দিকটা ছিলো এক কথায় অসাধারন, আমি পুরোই হতোবাক হয়েছিলাম !

.

তার কথাটা যেন ছিল এমন :

"ডিম সেদ্ধ দেবার আগে যাচাই করা যায় না যে, সেটা পচা নাকি ভালো" ।

হয়তো সে এটা বোঝাতে চাচ্ছিলেন :- যদি কেও লাভ ম্যারেজ না করে, তবে সে বুঝতেই পারবে না যে, সে কাকে বিয়ে করছে ! তার বর অথবা বউ ভালো কিনা? কারো সাথে রিলেশন আছে কিনা ! সভাব কেমন, রুচি কেমন, বিয়ের পরে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হবে কিনা , এই সেই ইত্যাদি ইত্যাদি ।

যুক্তি ।

কেমন যেন "লা যওয়াব" স্টাইল ।

তার এই মহা চিন্তার ফলে নয় , বরং বলবো জামানার তালেই আজ "কোমল-মতি" (?) ছাত্র (!) সামাজ থেকে শুরু করে "গরল-মতি" বিবাহিত সামাজের অনেকেই প্রেম নামক (পরোকিয়া + লুচ্চামি) ভাইরাসে আক্রান্ত !

.

পাঠক...

আমার এসব নিরস কথায় ইতোমদ্ধে নির্দ্বীধায় আপনি আমাকে বিশেষ বাক্য সমেত হয়তো স্বরন করছেন।

হয়তো বা কেউ কেউ আমায় 'হিটলারে'র প্রেতাত্মা মনে করছেন ।

ও হিটলারের নাম নেবার সাথে সাথে মনে পড়ে গেল । হিটলার এমন একটা নীতি করেছিলো যে, কোন মিথ্যাচার ২০০ বারের বেশি প্রচার করলে তা সত্যের মতই ফল দেয় ! এবং এতে সে সফল (?) ও হয়েছিল !

মূলোত আজ সবাই হিটলারকে গালাগাল দিলেও বিশ্ব মিডিয়া'বাজরা কিন্তু এই নীতিকেই মূলমন্ত্র বানিয়ে নিয়েছে।

.

যাই হোক মূল বিশয়ে আসি,

বলছিলাম যে প্রেম নামক ভাইরাসের সংক্রমণ এতোটাই ভয়ানক আকার ধারন করেছে যে, যদি কোন সাধারন ভদ্র ঘরের মেয়ে, কোন বজ্জাত ছেলের প্রেম প্রস্তাবে সাড়া না দেয়। তবে সেই অসহায় মেয়েটাকে হয় এসিট-দগ্ধ , অথবা ধর্ষিতা, নয়তো বা অশ্লিলতার শিকার হতে হচ্ছে ।

ইদানিং এটা এতো বেশি বেপরোয়া ভাব নিয়ে এসেছে যে, একাধিক মেয়ে পাশবিকতার শিকার হয়েছে। যা পত্র -পত্রিকায় দৈনন্দিন সাধারন বিষয়ে পরিনতো হয়েছে !

খখনো কখনো কাউকে কুপানো হয়েছে জন-সম্মুখে ! কাউকে ধর্ষনের পর খুন করে ফেলে রাখা হয়েছে রাস্তার ধারে । এগুলো বর্ণনা করতে গেলেই গায়ের রোম দাড়িয়ে যায় ।

তনু , খাদিজার মতো কতো নাম না জানা কতো বোনেরা আজ নির্যাতিত, তার হিসাব মেলা ভার।

আজ আপনার, আমার স্ত্রী, কন্যা বা ভগ্নিরা স্কুল, কলেজ বা বাইরের কোন কাজ সেরে নিরাপদে ফিরতে পারবে কিনা, তার কোন গ্যারান্টি নেই !

.

এসবের জন্য কে দায়ী ?

.

আমরা নিজেরাই এসবের জন্য দায়ী।

পশ্চাত্ব সভ্য বর্বরদের দেখানো ভুল পথে চলে আমরা হারিয়েছি নিজেদের পরিচয় । হারিয়েছি সম্মান, মর্যাদা, সৌর্য, বির্য, নিরাপত্তা । সব, সব হারিয়েছি । এক বিভীশিখা-ময় অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ধাবিত হচ্ছি আমরা !

.

ওদের গেলানো প্রেম ভালোবাসা আমাদের করতেই হবে । দেশের শতকরা ৬৫% কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়ারা আজ এসবে জড়িয়ে পরছে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভাবে । যারা জাতির ভবিষ্যত(?) !

কেউ কেউ তো আবার এটাকেই স্টাইল বানিয়ে নিয়েছে ।

আর করবে নাই বা কেন? সব সিনেমা, নাটক, বিজ্ঞাপন, উপন্যাসের মূল ঐ একটাই । প্রেম,প্রেম, প্রেম....

.

এটাকে হিটলারের থিওরির ব্যাবহারের মাধ্যমে বারবার মুখস্ত করিয়ে আমাদের মজ্জাগত বানিয়ে ফেলা হচ্ছে এসব !

'

যখন অপরিচিত একজন মেয়ে বা ছেলের সাথে কেউ মিশছে প্রেম নামক প্রবৃত্তিযুক্ত বস্তুর টানে । তখন আশ-পাসের দু-চার জন বিপথগামী হবে না তার গ্যারান্টি কোথায় ।

তারাও চাইবে প্রেম করতে, হয়তো যাকে তারা চাচ্ছে, সে তাদের এই কু প্রস্তাবে রাজি নয় । ফলে সেই হচ্ছে নির্যাতিত ।

শুরুর দিকে বলেছিলাম যে, "প্রেমহীন বিয়ে নাকি সেদ্ধ ডিমের মতো " ।

তো জনাব, / জনাবা ! আপনি কয়টা ডিম পরিক্ষা করবেন "ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভাজি করে? আপনার রুচি(?)কে তো বাহ'বা দিতে হয়।

পরে দেখা যাবে "কম্বলের পশম বাছার মতো অবস্থা" । শেষ মেষ কম্বল ছাড়াই শীত পার করতে হবে ।

মূলোতো "বিয়ে করতে ভালোবাসা দরকার হয় না, দরকার কাজী সাহেব এবং দু-জন স্বাক্ষির" ।

আর "ঘর-সংসার করতে কাজী সাহেব লাগে না । লাগে ভালোবাসার "!

তো আগেই যদি ভালোবাসার পরিমাণ কমিয়ে ফেলেন অপাত্রে -কুপাত্রে তা ব্যাবহার করে !

পরে সাংসারীক জীবনে ঘাটতি তো পড়বেই নাকি ! তখন দৌড়বেন কাজী সাহেবের কাছে ডাইভোর্সের জন্য ।

.

এখন এসব দুরাবস্থা থেকে উত্তরনের উপায় কি?

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন !

তার বানী ،(و لا تهنوا ، ولا تحزنوا)

সতরাং অবশ্যই উপায় রয়েছে ।

আর তা হলো আমাদের অনতিবিলম্বে মূলের দিকে ফিরে যেতে হবে ! অর্থাৎ ইসলামের ছায়া তলে !

কেননা ইসলামের প্রকৃত চর্চা ব্যাতিত এই বিপদ কাটিয়ে ওঠা কঠিনই নয়, বরং অসম্ভব !

এ জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে রাষ্ট্রে, কিছু সমাজের, কিছু পরিবারের, এবং কিছু ব্যাক্তি পর্যায়ে ।

১:- রাষ্ট্রের অবশ্যই শরিয়া আইন চালুর সাথে সাথে প্রকৃত ইসলামি পর্দা আইন প্রনয়ন করতে হবে!

২:- সমাজের মাথা সমান ব্যাক্তি বর্গ এবং জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে এই আইন বাস্তবায়নের জন্য ।

৩:- পরিবারের থেকেই পর্দানশীন মনোভাব গড়ে তুলতে হবে! এবং বড়োদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন তার অধিনস্তরা কোন ধরনের অনৈতিক কার্জকলাপে লিপ্ত না হতে পারে !

৪:- ব্যাক্তি নিজেকে পরহেজগার করে গড়ে তোলার সাথে সাথে ইসলামী জীবন যাপনে অভ্যস্ততা অর্যন করতে হবে !

.এসব কিছু তখনই সম্ভব, যখন আমরা একান্ত ভাবে নিজেদের আল্লাহ তা'য়ালার হুকুমের তাবেদার বানাবো !

আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের'কে রহম এবং দয়া করুন, এবং প্রত্যেকের প্রতিটা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র নেক আমলের উত্তম জাঝা এবং বিনিময় দান করুন!

আমিন.....

রাত :- ২:১৭ মিঃ

বিষয়: বিবিধ

১২২২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381488
২৫ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ০৮:৩৫
হতভাগা লিখেছেন :
"ডিম সেদ্ধ দেবার আগে যাচাই করা যায় না যে, সেটা পচা নাকি ভালো" ।


০ পঁচা ডিম পানিতে ভাসে । ডিম পঁচা নাকি ভাল সেটা বুঝতে পানিতে ডিমটি রাখা হয় । পঁচা ডিমে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড গ্যাস তৈরি হয় বিধায় সেটা ডিমকে ভাসিয়ে রাখে।


*********


এখনকার জমানায় এরেন্জড ম্যারেজে পাত্র পাত্রী দেখার সময় একটা ফেক লুক আনা হয় এবং এটা মেয়েরাই করে থাকে । নিজেদেরকে পর্দানশীন দেখিয়ে ভাল ছেলে ও ভাল পরিবার বাগানোই তাদের উদ্দেশ্য থাকে ।

বিয়ের পর সেই পরিবারে আগুন লাগাতে তারা মোটেও সময় নেয় না । এটা বাস্তব ।

তাই এরেন্জড ম্যারেজ যেখানে বাবা মায়ের পছন্দ অনুসারে ছেলে বিয়ে করে সেখানে সে প্রতারিত হয় । ক্যাচাল লাগলে দুই পরিবারের ইগো সামনে চলে আসে । এই প্রতারণা তার মনে সারা জীবন দাগ কেটে দেয় ।

তার চেয়ে বরং প্রেম করে বিয়ে করা কম প্যারাদায়ক । একজন আরেকজনকে ছেড়ে থাকলে পারলে আরেকজনও সেটা পারবে - এরকম মাইন্ড সেট হয়ে যায় বিধায় পেইন কম হয়।

পরিবারের মুরুব্বীদেরকেও এসব কেওয়াজে হাঁপানী দেবার বেইস থাকে না
381599
৩১ জানুয়ারি ২০১৭ বিকাল ০৫:৩৮
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : যুগোপোযোগি লেখাটির জন্য অনেক ধন্যবাদ
১৬ নভেম্বর ২০১৮ দুপুর ১২:২৬
318096
জিহর লিখেছেন : অসংখ ধন্যবাদ, আপনাদের প্রশংসাই আমায় নতুন কিছু লিখতে অনুপ্রানিতো করবে,ইনশা আল্লাহ
383421
২৩ জুন ২০১৭ রাত ১১:৩৮
মুহাঃ মাসউদুল হাসান মামুন লিখেছেন : ভালো লাগলো। কিন্তু আমি কোনটা করব? এরেঞ্জেড? নাকি লাভ????? কিছু বুঝতে পারছিনা।সামান্য একটা বিয়ে নিয়ে যদি এত ভাবতে হয়। তাহলে বেবি নিতে কিরকম ভাবতে হবে? সেটাই ভাবছি
১৬ নভেম্বর ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
318095
জিহর লিখেছেন : সব রকমের সামর্থ থাকলে বলবো আজই বিয়ের প্রস্তুতি নিন । এটা খোদা প্রদত্ত বিধান। এর বিকল্প নেই । আর বেবি নেয়ার বিষয় আপনার আহলিয়া তথা স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করেই সদ্ধিান্ত নেবেন।(বিয়ের পরে)Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File