রাজনৈতিক দর্শনে যে বিশ্বাসের স্থান নেই, শুধু ভোটের জন্য সেই বিশ্বাস প্রসুত আচারের আশ্রয় নেয়া যে শুধু কপটতা বা চরম ভন্ডামী তাই নয় বরং এটি ই হচ্ছে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের আসল স্বরুপ। এটি ধর্ম ব্যবসারও প্রকৃষ্ট উদাহরন।
লিখেছেন লিখেছেন মহিবুল ইসলাম ফারুক ২৮ মে, ২০১৩, ০৪:৫১:২০ বিকাল
রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারঃ কেউ পিছিয়ে নেই।
সিলেটের স্থানীয় পত্রিকার খবরে এসেছে শাহজালাল(র) এর মাজার জিয়ারত ও মাজারে আনারস দানের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন আওয়ামীলীগের ও ১৪ দলের মেয়র প্রার্থী ব উ কামরান। নির্বাচনী প্রথম জনসভায় কামরান সিলেট কে অসাম্প্রদায়ীক ও আধ্যাত্মিক(!) পর্যটন নগরী হিসাবে গড়ে তোলার স্বপ্ন ব্যক্ত করেছেন।বিএনপি ও ১৮ দলের প্রার্থী এম এ হকও মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে ভোট চাওয়া শুরু করেছেন।গত জাতীয় নির্বাচনগুলিতেও তসবি হাতে মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে ভোট চাওয়া শুরুর ছবি আমরা দেখেছি। 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ- নৌকার মালিক তুই আল্লাহ্ִ কিংবা 'ধানের শীষে তুই আল্লাহ্ִ এই জাতীয় শ্লোগান জোরেশোরেই চলেছে।
সুশীলগণ এর কি ব্যাখ্যা দিবেন জানিনা তবে এইটুকু বলা যায় যে এদেশের অধিকাংশ মানুষ ধর্মপ্রান; বর্নিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে এই ধর্মপ্রানদের আশ্বস্থ করা যে 'আমরাও কম ধর্মপ্রান নই'। অথচ ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক জীবনাচারের ক্ষেত্রে এদের কেউই ইসলামের তেমন একটা ধার ধারেননা।নিজের রাজনৈতিক দর্শনে যে বিশ্বাসের স্থান নেই, শুধু ভোটের জন্য সেই বিশ্বাস প্রসুত আচারের আশ্রয় নেয়া যে শুধু কপটতা বা চরম ভন্ডামী তাই নয় বরং এটি ই হচ্ছে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের আসল স্বরুপ। এটি ধর্ম ব্যবসারও প্রকৃষ্ট উদাহরন।
ধর্ম নিরপেক্ষতার নাম নিয়ে ধর্ম ব্যবসা করতে পারলে ধর্মের নাম ভাংগিয়ে ধর্ম ব্যবসায় জামাতের তেমন আর দুষ কোথায়!
ইসলামিজমে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ নয়। প্রফেট মুহাম্মদ(স) রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন, উনার পরবর্তীতেও দীর্ঘ সময় ইসলামের নেতাগন জনসমর্থনের ভিত্তিতেই সফল ভাবে রাষ্ট্র চালিয়েছেন। কাজেই কেউ যদি চায় জনসমর্থন নিয়ে ইস্লামিজম প্রতিষ্টা করবে তবে জনগনের ম্যান্ডেড চাওয়ার অধিকার তাকে দিতে হবে। কিন্তু যারা ধর্মের নামে অনাচার করে বেড়ায়, ঠান্ডা মাথায় ভিন্ন মতাবলম্বীদের রগ কাটে, যুদ্ধাপরাধের মত নৃশংসতার পরেও অনুতপ্ত হয়না, আক্রান্ত না হয়েও অতর্কিতে হামলা করে ফ্যাসাদ বাধায় বা নিরাপরাধ জান-মালের ক্ষতি সাধন করে এবং আর যারা ধর্মনিরপেক্ষতার নাম নিয়ে ধর্মকে ব্যাবহার করে ভোট চায়, -এরা সবাই ধান্ধাবাদী।ইসলামে এজাতীয় বিপথগামীতা ও কপটতার কোন স্থান নেই; এসব গনতন্ত্রের স্পিরিট এবং মুল্যবোধেরও ভীষন পরিপন্থী।
কাজেই যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের দৃষ্টিভংগী দলান্ধতা মুক্ত হয়ে স্বচ্ছ ও সুদৃঢ় নাহবে ততক্ষন পর্যন্ত এই সমাজে এসব গুজামিল চলতেই থাকবে। আর এসব গুজামিলের বলি হবে মানুষ ও মানবতা।
আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে … … মানুষ হতে হবে এই যার পণ??
বিষয়: বিবিধ
১২৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন