পবিত্র কুরআনের মর্যাদা

লিখেছেন লিখেছেন শিহাব আহমদ ১৪ জুলাই, ২০১৫, ১০:৫৭:৫৪ রাত

প্রায় চৌদ্দ শত বছর পূর্বে আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’আলা তাঁর সর্বশেষ নবী ও রাসুল হয়রত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর নাযিল করেন ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কুরআন। এ মহাগ্রন্থটি যে কত বেশী মর্যাদাবান তা স্বয়ং আল্লাহ্ তা’আলা কুরআনের সুরা আল বুরুজের ২১ ও ২২ আয়াতে উল্লেখ করেছেন, “এই কুরআন অতীব মর্যাদাসম্পন্ন একটি গ্রন্থ যা রক্ষিত আছে ‘লাওহে মাহফুজে’।” সেই রক্ষিত ফলক ‘লাওহে মাহফুজ’ থেকে তা ক্রমশ পৃথিবীর বুকে নাযিলের সূচনা হয়েছে পবিত্র রমযান মাসের ক্বদরের রাতে। সুরা ক্বদরে এর মর্যদার বর্ণনা দিয়ে আল্লাহ্ বলেন, “আমি একে (কুরআনকে) নাযিল করেছি ক্বদরের রাতে। ক্বদরের রাত সমন্ধে (হে নবী) আপনি কি জানেন? ক্বদরের রাত হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।” অর্থাৎ পবিত্র বুরআন নাযিলের কারণেই যখন এ রাতটি এত মহিমান্বিত হয়েছে তখন কুরআনের মর্যাদা যে কত বেশী তা সহজেই অনুমেয়। কেন এ মহাগ্রন্থটির এত বিরাট মর্যাদা - সেটাই এখানে আলোচনার বিষয়।

সুরা বাক্বারার দুই থেকে পাঁচ আয়াতে কুরআনের পরিচয় দিয়ে আল্লাহ্ বলেন, “এ সেই গ্রন্থ যাতে কোনই সন্দেহ নেই। (এটি) পথ প্রদর্শনকারী পরহেযগারদের জন্য, যারা অদৃশ্য বিষয়ের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে, আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে সেসব বিষয়ের উপর যা কিছু তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে, সেসব বিষয়ের উপর যা তোমার পূর্ববর্তীদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে আর আখিরাতকে যারা নিশ্চিত বলে বিশ্বাস করে। তারাই নিজেদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে সুপথ প্রাপ্ত, আর তারাই যথার্থ সফলকাম।” অর্থাৎ এ গ্রন্থটি যে মানব জাতির জন্য পথপ্রদর্শক তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই এবং এর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে এতে প্রদত্ত জীবন বিধান মেনে চললে দুনিয়া ও আখিরাতে প্রকৃত সাফল্য অর্জন সম্ভব - তার নিশ্চয়তা স্বয়ং আল্লাহর তরফ থেকেই এসেছে।

মানব জাতির উপর পবিত্র কুরআনের প্রভাব যে কত অপরিসীম তার সমর্থনে হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) বর্ণিত রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) এর হাদীসে উল্লেখ আছে, ‘আল্লাহ্ এ কিতাব (কুরআন) দিয়েই কোন জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেন, আবার (একে অবহেলা করার কারণে) কোন জাতিকে কুরআন দিয়েই উন্নতির আসন থেকে নীচে নামিয়ে আনেন (সহীহ মুসলিম)।’ এর প্রমাণ হলো মাত্র তেইশ বছরের নবুওতি জীবনে মহানবী (সাঃ) বিশ্বব্যাপী যে মহাবিপ্লব সংঘটিত করেছেন তার মূলে ছিল এই কুরআনের প্রভাব। পবিত্র কুরআনের শিক্ষার ভিত্তিতে তিনি একটি বর্বর জাতিকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তৎকালীন বিশ্বে ইসলামের আধ্যাত্মিক শক্তির এমনই বিকাশ ঘটেছিল যার বিকীরণ সমগ্র বিশ্বকে উদ্ভাসিত করে দেয়।

পবিত্র কুরআন এক অনন্য সাধারণ ঐশী গ্রন্থ যা মানব-দানব রচিত গ্রন্থসমূহের বহু ঊর্দ্ধে। এটা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কর্তৃক রচিত বলে যারা দাবী করত তাদের দাবীকে চ্যালেঞ্জ করে মহান আল্লাহ্ বলেন, “বলুন (হে নবী), যদি সমগ্র মানব ও জ্বীন জাতি এ কুরআনের অনুরূপ কিছু রচনা করার জন্য একত্রিত হয়, এবং (তা রচনার ব্যাপারে) তারা পরস্পরের সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও এর অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না (১৭:৮৮)।” পবিত্র কুরআনের এ চ্যালেঞ্জ আজ পর্যন্ত কেহ মোকাবিলা করতে পারেনি এবং কিয়ামত পর্যন্তও কেহ পারবে না। এর যৌক্তিকতা তোলে ধরে আল্লাহ্ বলেন, “তারা কি লক্ষ্য করে না কুরআনের প্রতি? পক্ষান্তরে এটা যদি আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কারও পক্ষ থেকে (রচিত) হত, তবে এতে অবশ্যই বহু গরমিল দেখতে পেত (৪-৮২)।”

পবিত্র কুরআনের এক বিশেষ মর্যাদা এই যে, এটি আল্লাহর পাক কালাম এবং তা বিগত চৌদ্দ শত বছর ধরে সম্পূর্ণ অবিকৃত অবস্থায়ই বিরাজ করছে, রোজ কিয়ামত পর্যন্ত তা এরূপ অবিকৃত থেকেই মানব জাতিকে সুপথ প্রদর্শন করে যাবে - এর নিশ্চয়তা দিয়ে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন বলেন, “আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক (১৫: ০৯)।” এর ওপর মানুষের বিশ্বাসকে আরও দৃঢ় করার জন তিনি বলেন, “সম্মুখ অথবা পিছন কোন দিক থেকেই এতে মিথ্যার কোন প্রভাব নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ (৪১-৪২)।” এর আগে যত গ্রন্থ আল্লাহ্ নাযিল করেছিলেন তা সবই মানুষের হাতে বিকৃত হয়ে পড়ায় পবিত্র কুরঅনের বিশুদ্ধতা একটি বিরাট মর্যাদাকর বিষয়।

পবিত্র কুরআনের অপর মর্যদা হলো এর পবিত্রতা। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন, “নিশ্চয় কুরআন এক অতি মর্যাদাবান গ্রন্থ, ইহা লিপিবদ্ধ আছে সংরক্ষিত কিতাবে। যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। (কারণ) এটা অবতীর্ণ হয়েছে বিশ্ব-পালনকর্তার পক্ষ থেকে (৫৬:৭৭-৮০)।” পাক-পবিত্র অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করতে হয়। কুরআন পাঠের মর্যাদা এত বেশী যে, তেলাওয়াতকালে এর প্রতিটি হরফের জন্য দশটি করে নেকী পাওয়া যায়। কুরআন তেলাওয়াত একটি উত্তম ইবাদত। তাই একজন মুসলমানের জীবনে কুরআন পাঠ একটি নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার।

পবিত্র কুরআনের আরও বিস্ময়কর মর্যাদা হলো এটা যেহেতু আল্লাহর কিতাব তাই এতে কোনরূপ তথ্যগত ভুল-ভ্রান্তি নেই। মানুষের জ্ঞানের পরিধি ও বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য ও ঐতিহাসিক ঘটনা সংক্রান্ত বিবরণগুলো ক্রমশই সত্যের আলোকে উদ্ভাসিত হচ্ছে। কুরআনের কোন তথ্যই আজ পর্যন্ত ভুল প্রমাণিত হয়নি। কুরআন যেমন মানুষের বিবেচনাবোধ ও বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তিকে জাগ্রত করে এবং আল্লাহর বিভিন্ন নিদর্শনের উপর চিন্তা-ভাবনা করার তাকিদ দেয়, অপর দিকে অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে নিরুৎসাহিত করে। জ্ঞানী ও চিন্তাশীল লোকদের সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, “নিশ্চয় আসমান ও যমীন সৃষ্টিতে এবং রাত্রি ও দিনের আবর্তনে নিদর্শন রয়েছে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্যে। যাঁরা দাঁড়িয়ে, বসে, ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও যমীন সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে, (তারা বলে) হে আমাদের প্রভু! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সকল পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি দোযখের শাস্তি থেকে বাঁচাও (৩: ১৯০-১৯১)।” আর যারা অজ্ঞ ও আল্লাহর নিদর্শন থেকে বিমুখ তাদের সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেন, “তারা কি কোরআন সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে না? না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (৪৭:২৪)।” কুরআনের মর্ম অনুধাবনে এরা সচেষ্ট নয় বলেই তাদের অন্তরে তালা ঝুলে আছে। তাই কুরআনের আয়াতসমূহ বোঝা ও সেসব নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার তাকিদ দিয়ে আল্লাহ্ বলেন, ”এই মোবারকময় কিতাব যা আমি আপনার উপর নাযিল করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে (৩৮:২৯)।” বিবেক ও বুদ্ধি খাটিয়ে কুরআনকে অনুধাবন করার এই যৌক্তিক আহ্বান এ ঐশী গ্রন্থটিকে বড়ই মর্যাদাবান করেছে।

পবিত্র কুরআনের অপর এক বিশেষত্ব হলো, সকলের বোঝার জন্য মহান আল্লাহ্ একে সহজবোধ্য করে দিয়েছেন যাতে মানুষ কুরআনের উপদেশ সহজে গ্রহণ করতে পারে। “আমি কুরআনকে বোঝার জন্যে সহজ করে দিয়েছি। অতএব, একে অনুধাবন করার জন্য কোন চিন্তাশীল আছে কি? (৫৪:১৭)।” বিষয়টির গুরুত্বকে শাণিত করার জন্য সুরা ক্বামারে এ আয়াতটি বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। একটি শিশু থেকে বড় সবাই কুরআন পড়তে পারে ও বুঝতে পারে। পবিত্র কুরআনের বক্তব্য সহজে বোঝার জন্য আল্লাহ্ বহু দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা পেশ করেছেন এবং নিজে কুরআনের নির্দেশ শতভাগ পালন করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। ছয় সহস্রাধিক আয়াত বিশিষ্ঠ এ বিরাট গ্রন্থটি খুব সহজেই সম্পূর্ণ মুখস্থ করেছে এমন লক্ষ লক্ষ হাফেজ মুসলিম দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছেন। তারা কুরআনকে তাদের হৃদয়ে এমনভাবে গ্রথিত করেছেন যে, পৃথিবী থেকে কুরআনের সব হার্ড কপি যদি কখনও হারিয়ে যায় তখন এসব হাফেজের অন্তরে বিরাজমান সফ্ট কপি কখনও হারাবে না। তাদের হৃদয়ে রক্ষিত অবিকল কুরআন হার্ড কপি রূপে পুনরায় প্রকাশ হতে থাকবে।

পবিত্র কুরআনের বাণী সত্য ও ন্যায়দর্শী, মিথ্যার অবলুপ্তকারী, আল্লাহর একত্ববাদ ও সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার, মানুষের চারিত্রিক ও নৈতিকতার উন্নয়নে বদ্ধপরিকর, মধ্যমপন্থী জীবন দর্শন ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবন ব্যবস্থার প্রবক্তা, সৎকর্ম ও সদ্গুণে উৎসাহী, সতর্কীকরণে সচেষ্ট এবং পরকালীন জবাবদিহি তথা পুরস্কার, শাস্তি ও ক্ষমার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পবিত্র কুরআন কঠোরতা ও বাড়াবাড়িকে অপছন্দ করে, মানুষের উপর সাধ্যাতীত ও দুঃসহ বোঝা আরোপ করে না, বরং সহজ-সরল ও সঠিক পথের সন্ধান দেয় যাতে মানুষ ইহকালীন জীবনে শান্তি ও পরকালীন জীবনে মুক্তি লাভ করতে পারে। কুরআনের উপদেশবাণী এমনই যে তা মানুষের অন্তরের ব্যাধিসমূহকে নিরাময় করে একে পরিশুদ্ধ করে তোলে, হেদায়েতের আলোয় আলোকিত করে এবং আল্লাহর বিশেষ রহমতের ধারা সঞ্চারিত করে (১০:৫৭)। তাই মহান আল্লাহ্ বলেন, “এই কুরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্যে রয়েছে মহাপুরস্কার (১৭:০৯)।”

পবিত্র কুরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য এক সুস্পষ্ট দলীল ও দিক-নির্দেশনা। তিনি মানবজাতিকে সহজ-সরল পথ প্রদর্শনের জন্য এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন। সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী এ গ্রন্থ সম্পর্কে মহান আল্লাহ্ বলেন, এ কুরআন বিশ্বাসীদের জন্য আরোগ্য ও আশীর্বাদস্বরূপ, যা মিথ্যাকে বাতিল করে এবং সত্যকে প্রতিষ্ঠা করে। মিথ্যাশ্রিত জীবন ব্যবস্থা মানুষকে আলো থেকে আঁধারে নিয়ে যায়, মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে অন্যায়-অবিচার, স্বার্থপরতা ও হানাহানিতে লিপ্ত হয়। পবিত্র কুরআনের আলোকে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা জবাবদিহি ও ন্যায়নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত, এর বিধি-বিধান ভারসাম্যপূর্ণ ও মধ্যমপন্থী হওয়ায় মানুষকে বিপথগামীতা থেকে রক্ষা করে এবং সত্য, ন্যায় ও আলোর পথ প্রদর্শন করে। তাই মানুষের নিকট পবিত্র কুরআনের মর্যাদা অপরিসীম। পবিত্র কুরআনের মর্যাদার বিশালতা সম্পর্কে বোঝাতে গিয়ে মহান আল্লাহ্ বলেন, “যদি আমি এই কুরআন পাহাড়ের উপর নাযিল করতাম, তবে (হে নবী) তুমি দেখতে যে, পাহাড় বিনীত হয়ে আল্লাহ্ তা’আলার ভয়ে বিদীর্ণ হয়ে গেছে। আমি এসব দৃষ্টান্ত মানুষের জন্যে বর্ণনা করি, যাতে তারা (কুরআনের মর্যাদা নিয়ে) চিন্তা-ভাবনা করে (৫৯:২১)।”

বিষয়: বিবিধ

২০৭১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

329999
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ১২:৫১
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
330029
১৫ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:৩৭
শেখের পোলা লিখেছেন : আসুন তার মর্যাদা তাকে দিয়ে তার কার্যকারিতা প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করি৷
330047
১৫ জুলাই ২০১৫ সকাল ০৭:০৩
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : পড়ে খুব ভালো লাগলো । অনেক ধন্যবাদ
330854
২০ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২১
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : অনেক ভাল লাগল। আশা করি আরো লিখবেন। ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File