শাপলা চত্বরের ঘটনায় নতজানু স্থানীয় মিডিয়া: দ্য ইকোনমিস্ট
লিখেছেন লিখেছেন আলোর দিশা ১০ মে, ২০১৩, ১০:১১:২৯ রাত
বৃটেনের দ্য ইকোনমিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানা প্লাজায় ভবন ধসে ৯০০ মানুষের মৃত্যুও যথেষ্ট ছিল না, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় নতুন মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। ৬ মে শুরুর দিকে ঢাকায় যা ঘটেছে তা গণহত্যার (ম্যাসাকার) মতোই। ইকোনমিস্টের অনলাইন সংস্করণে ‘পলিটিক্যাল ভায়োলেন্স ইন বাংলাদেশ, ইন হট ব্লাড; দ্য কিলিং অব ইসলামিস্ট হার্ডলাইনার প্রমিজ ফার্দার ইন্সটেবেলিটি’ শিরোনামে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার পত্রিকাটির ছাপা সংস্করণ প্রকাশ হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপিয়ান কূটনীতিকরা বলছেন, ঢাকায় কট্টর ইসলামপন্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্র্যাকডাউনে প্রায় ৫০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। দেশের অন্যত্র আরো হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকার বলছে, দশ হাজার পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সদস্যের সমন্বয়ে পরিচালিত অভিযানে শত শত লোক নিহত হয়েছেন। ঢাকার বাইরেও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে নিহত হয়েছেন ২০ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাপলা চত্বরে আসলেই কী হয়েছে তা অস্পষ্ট। স্থানীয় মিডিয়াকে নীরব রাখা হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়া নতজানু ভূমিকা রাখে।
গুলি শুরুর আগে পুলিশ বাণিজ্যিক এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। কিছুদিন আগেও স্বল্প পরিচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার কর্মী গত এপ্রিলে ঢাকায় লংমার্চ করে। যেখানে তারা ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করে তা পূরণের জন্য সময় বেঁধে দেয়। যেসব দাবির মধ্যে ইসলাম অবমাননার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ব্ল্যাসফেমি আইন প্রণয়নের কথাও রয়েছে।
ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দাবি দেশের বেশির ভাগ মডারেট মুসলিম এবং প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর বিপক্ষে যায়। যদিও বিএনপি হেফাজতকে সমর্থন দেয়। সামনের দিনগুলো হবে আরো কঠিন।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১০৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন