জোর যার মুল্লুক তার

লিখেছেন লিখেছেন আবু মাহফুজ ১৮ জুন, ২০১৪, ০৮:৫৬:৫৩ সকাল

আজ বিশ্বের এই অবস্থায় মনে বড় ব্যাথা। কিন্তু বলারও কিছু নাই, কি বলবো, কি লিখবো! সবকিছু যেন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যে মনে হয় কিয়ামত চলে এলো নাকি। আবার ভাবি, নাকি এটাই স্বাভাবিক, আজ থেকে শত শত বছর আগেও এরকম হানাহানি ছিল, মানুষ মানুষকে মেরেছে, সভ্যতা ধ্বংস করে দিয়েছে, শহর বন্দর, নগর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরে শেষ করে দেয়া হয়েছিল ইতিহাসে অনেকবারই। তাহলেই জীবন মানেই জোর যার মুল্লুক তার। তাহলে সত্য মিথ্যা নামে কি আসলে কিছু নাই, কোথায় সেই অহিংসাই পরম ধর্মের শিক্ষা। কোথায় সে জীব হত্যা মহা পাপের বাণী। জীব হত্যা মহাপাপের প্রবক্তারাই তো বার্মা বা আজকের মায়ানমারে হাজার হাজার জীবকে হত্যা করেছে। নাকি, এক্ষেত্রে জীবের সংজ্ঞা ভিন্ন। ইরাকের ইতিহাস আমরা ভুলে গেছি, যে যা পেরেছে গায়ের জোরে করে গেছে, কে কার বা' -টা ছিঁড়েছে। মিশরে সি.সি'র কে কি ছিড়েঁছে। আসাদের ও বা কয়টা ছিড়েছে। আমেরিকার হুমকি ধমকিতে পুতিনের কোন বা- টা কাটা গেছে বা গেছে। পুতিনের তো আমেরিকার প্রতি পাল্টা প্রশ্ন তোমরা যে করেছো, এখনো করে যাচ্ছো। ইউক্রেইন নিয়ে পুতিন বাবু দারুন খেলাই খেলে গেলেন। এখনো খেলেই যাচ্ছেন। গায়ে তো বেশী জোর নাই, পকেটে পয়সা কড়িও নাই পকেটে যদি আমেরিকার অর্ধেক নয় চার ভাগের একভাগ পয়সাও থাকতো তাহলে পুতিন বাবু কি খেলা যে দেখাতেন। আমেরিকারও কে কয়টা ছিঁড়েছে। সারা বিশ্ব তো তারপরও লাব্বায়েক লাব্বায়েক আমেরিকা তসবিহ জপতে ব্যাস্ত।

আসলে মনে হয় তালগোল কিছুই পাকায়নি। ব্যাপারটা ঐযে বললাম জোর যার মুলুক তার। আজ আমার কাল তোমার।

ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, একসময় অনেকেই ঘৃণা করতেন, বিশেষ করে মুসলিমরা কিংবা মুসলিমিস্ট বা ইসলামিস্টরা, শুধু মুসলিমিস্ট বা ইসলামিস্ট কেন, গুজরাটে গনহত্যার দায়ে মোদিকে আমেরিকা ঢুকতে দেয়নি। আমেরিকাতে মোদি নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু ঐ যে বললাম জোর যার মুল্লুক তার, আমেরিকা তো চালাক, আমেরিকা যখনই দেখলো মোদি তো প্রধানমন্ত্রী হয়েই যাচ্ছে তাই আগে ভাগেই মোদির সাথে লাইন লাগিয়ে দিল। ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ও পরিবর্তন করে দিল। এখন তো মুসলিম দেশগুলোও লাইন লাগিয়ে দিল। ভারতের আজীবন শক্র কিংবা প্রতিযোগী পাকিস্তানও তো সবার আগেই কনগ্রাচুলেশন জানিয়ে দিলো।

ইরানকে পশ্চিমা বিশ্ব সন্ত্রাসী দেশ হিসেবে চিৎকার করে মুখে ফেনা তোলে, কই ইরানের টিকিটিও ছুতে পারছেনা। হুমকী ধমকীর বাইরে কেউ ইরানের কিছু ছিড়তে পেরেছে? বরং সিরিয়া ইস্যুতে খোদ আমেরিকাও তো বলতে গেলে ইরানকেই ছাড় দিল।

মিশরে দিনে দুপুরে জলজ্যান্তভাবে একটি নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে দিয়ে সি.সি ক্ষমতা দখল করলো, মুরসির দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকে ফাসিঁর আদেশ দিয়ে দিল, নিজের মত করে ইলেকশন নামের দারুন গনতন্ত্র উপহার দিয়ে দিল, কই কে সি.সি কি ছিড়তে পেরেছে নাকি কেউ কিছু বলতে পেরেছে।

আমাদের আয়রন লেডি ওয়ান ইলেভেনের পর যিনি একবার কানের ব্যাথায়, একবার নাকের ব্যাথার, আরেকবার কলিজা কাপুনীতে আমেরিকায় দেীড়ে পালিয়েছেন, তিনি এখন রাতারাতি আয়রন লেডি হলে কোন খুটির জোরে। গাল ভেংচিয়ে, এমন ভাব দেখান যে তিনি তো আমেরিাক ইউরোপ কাউকে থোড়াই কেয়ার করেন, কারন তিনিতো কোন বঙ্গের কন্যা। কিন্তু তিনিই এক সময় আমেরিকার চেটেছিলেন। আমরা তো ভুলে যাই, আমরা ভুলে গেছি, বাংলাদেশে সার্বভেীমত্ব তো এই আওয়ামি নেতারাই নষ্ট করেছেন। বিদেশে পালানো, বিদেশে গিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কথা বলা আওয়ামী লীগ শুধু চালুই করেনি, এক এক করে গুনতে গেলে ৭০/৮০ ভাগ বিদেশ নির্ভরতা আওয়ামী লীগই করেছে। একবার ভারতের গোলামী, একবার আমেরিকার গোলামী, একবার হার্ভাডের নাম বিক্রি। বাংলাদেশে দুই প্রধান নেত্রীর মধ্যে খালেদার চেয়ে হাসিনা কমপক্ষে দশগুন বেশী বিদেশে কাটিয়েছেন, বিদেশ নির্ভর ছিলেন এবং এখনো আছে। কিন্তু কি হলো, তিনিই এখন আয়রন লেডি। দিেন দুপুরে মানুষ খুন করছেন। খুনী সন্ত্রাসীদেরকে প্রশ্্রয় দিয়ে জাতীয় সংসদে বক্তব্য রাখছেন, কে তাঁর কি ছিড়তে পারছে।

বিষয়: বিবিধ

১৭২১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

236148
১৮ জুন ২০১৪ দুপুর ০১:৫০
নিউজ ওয়াচ লিখেছেন : কিছুটা তাই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File