রাজনীতিতে ইসলামপন্থীদের তৃতীয় শক্তি হওয়ার প্রধান শর্ত জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়া।
লিখেছেন লিখেছেন মাজহার১৩ ০৩ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৩১:৪৮ সন্ধ্যা
আওয়ামী লীগ তথা ভারত সরকার জামায়াত নিষিদ্ধ করবেনা, কারন
১.জামায়াত নিষিদ্ধ করলে যুদ্ধাপরাধ নিয়ে রাজনীতি করতে পারবেনা।
২. জামাত-শিবিরকে দেশে-বিদেশে সন্ত্রাসী ও জংগী হিসেবে প্রতিষ্টিত করে রাজনীতির যে ফায়দা নিয়েছে ভবিষ্যতে তা বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. বি এনপি কে জামাতের জোট হওয়ার কলঙ্ক থেকে মুক্ত হতে দিবে না।
উপরোক্ত বিষয়টি জিইয়ে রাখলে আওয়ামী লীগ জনবিচ্ছিন্ন হয়েও আরো কিছুদিন গোজামিলের রাজনীতি করতে পারবে। চেতনার রাজনীতি করতে পারবে।
বাংলাদেশে ইসলামী দল বললে জামায়াতকেই বুঝায়। জামায়াত বাংলাদেশে ইসলামী রাজনীতির আইকনে পরিনত হয়েছে। সুতরাং
নিষিদ্ধ হলে জামাত যা করতে পারে
১. আইনী লড়াই চালাবে, ব্যার্থ হলে
২. নতুন দল গঠন করবে, ব্যার্থ হলে
৩. নিবন্ধিত একটি ইসলামী দলের সাথে মিশে যাবে, ব্যার্থ হলে
৪. এলাকা ভিত্তিক প্রাধান্য বিস্তারকারী ইসলামী দলের সাথে একাত্ম হবে।
যদি ৩ অথবা ৪ কিংবা ৩ এবং ৪ দুটো পদক্ষেপই নেয় জামাতের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও তাদের পাচাটা বুদ্ধিজীবিদের অপপ্রচার বন্ধ হবে। সেক্ষেত্রে জামাত কলঙ্কের বোঝা আওয়ামী লীগ ও চেতনা ব্যাবসায়ীদের কাঁধে দিয়ে নিষ্কন্টক রাজনীতি করতে পারবে। অল্প সময়ের (১০ বছর)মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে সবগুলি নিবন্ধিত ইসলামী দলের শীর্ষ নেতৃত্বে স্থান করে নিতে পারবে।
সময় সুযোগ বুঝে সবগুলি ইসলামী দল নিয়ে ঐক্য মঞ্চ করতে পারবে যা শক্তিশালী তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, যা ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেই।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভাগ ! ছা
মন্তব্য করতে লগইন করুন