সাক্ষী নং ৫৪ এর জবান বন্দি: ২০০৯ সালে পিলখানায় সেনা অফিসার গণহত্যার গোপন প্রতিবেদনের তথ্য-১ ''হত্যাকারীদের গুলি খেয়ে সেনা কর্মকর্তারা 'আল্লাহ হু আকবার' বলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন''
লিখেছেন লিখেছেন খাস খবর ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ০৫:৩৪:০৪ সকাল
সাক্ষী নং ৫৪ এর জবান বন্দি:
২০০৯ সালে পিলখানায় সেনা অফিসার গণহত্যার গোপন প্রতিবেদনের তথ্য-১
''হত্যাকারীদের গুলি খেয়ে সেনা কর্মকর্তারা 'আল্লাহ হু আকবার' বলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন''
গোপন প্রতিবেদনের ১৪ নাম্বার পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জোহরের আজানের কিছু আগে আনুমানিক ১২ টা ৩০ মিনিটে ২ জন অস্ত্রধারী দরবার হলের পেছনে পূর্ব দক্ষিণে ফোকরযুক্ত ওয়াল ঘেরা ডেকচি রাখার স্থানে বিপরীত দিক থেকে হঠাত উদয় হয়। তিনজন অফিসারকে তারা দেখে ফেলে এবং বলে ''তুই কেরে?'' অফিসাররা কেউ কিছু বলেন নি। অস্ত্রধারীরা ফায়ার অন করে। প্রথমেই একজন লে. কর্নেল [যার নাম জানা যায়নি] এবং কর্নেল রেজাকে গুলি করে। কর্নেল রেজা ''আল্লাহ্হু আকবর'' আল্লাহ-আল্লাহ বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। অপর ঘাতক কর্নেল আরেফিনকে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি করলো। কর্নেল রেজার রক্তের স্রোত মেজর ইকবালের গায়ে এসে পড়ছিল।প্রথম ঘাতক তখন চলে যাবার উদ্যোগ নেয় এবং বলে ''সুমন তাড়াতাড়ি আয়''। সুমন তখন বলল ''আরো আছে মনে হয়''। সে তখন ডেকচি ধক্কা দিয়ে লে. কর্নেল সাজ্জাদকে দেখতে পায় এবং মাথায় সিঙ্গেল শর্ট করে। লে. কর্নেল সাজ্জাদের মগজ দেয়ালে লেগে ছিটকে মেজর ইকবালের গায়ে এসে পড়ে। ঘাতক সুমন তারপর চলে যায়।কর্নেল রেজা কয়েক মিনিট পরে মারা যান। কর্নেল আরেফিনের গলা দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ গড় গড় শব্দ হচ্ছিল।তারপর তিনিও নিস্তেজ হয়ে যান।তার অল্প কিছুক্ষণ পর জোহরের আজান হয়। কর্নেল আফতাবুল ইসলাম ও মেজর ইকবাল হাসান পাশাপাশি অবস্থান করছিলেন এবং তখনকার মত তারা বেঁচে যান। সাক্ষী নং ৫৪ এর জবান বন্দিতে এমন করুন চিত্র উঠে এসেছে।তারা সকলেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আল্লাহু আকবার, আল্লাহ আল্লহ বলতে বলতে ইন্তেকাল করেন।
চলবে-
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
জাযাকাল্লাহু খাইর শেয়ার করার জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন