বাবরের চিৎকার, এনামুল অজ্ঞান, আর নিজামীর শুকরিয়া আদায়
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ৩০ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:৩৯:৩০ বিকাল
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণার পর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর চিৎকার করে বলেন, ‘এ রায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক। এ রায় মানি না।’ এসময় মামলার অপর এক আসামি সিইউএফএলের সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক রায় শুনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
বাবর আরো বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার পাইনি। এ রায় আমি মানিনা। কাউকে খুশি করার জন্য এ রায় দেয়া হয়েছে। আমি আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করি, এই বিচারক যিনি অন্যায়ভাবে রায় দিয়েছেন, তাঁরও যেন বিচার হয়। তাঁর সন্তানেরাও যেন এই অন্যায় বিচারের সাজা ভোগ করে। তিনি এসময় আদালত প্রাঙ্গনে চিৎকার চেঁচামেচি করেন।’
আর জামায়াতের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী মহন আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলে আমি মহান আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম। এ বিচার শেষ বিচার নয় : নিজামী
সাবেক শিল্পমন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়ার পর বলেছেন, আমি তিনবছর ধরে জেলে আছি। রায় কি হবে সবারই জানা। আহকামুল হাকিমিন যা দেন তাই মেনে নিতে হবে। এ বিচার শেষ বিচার নয়। উপরের বিচারকও একজন আছেন। তার বিচারও মেনে নিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণার পর চট্টগ্রাম আদালতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আমার বক্তব্য আমার আইনজীবী দেবেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব। যে রায় দেয়া হয়েছে তা অন্যায়ভাবে দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণা ও আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তিনি অত্যন্ত শান্ত ও ধীরস্থির ছিলেন
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল নগরের সিইউএফএল জেটিঘাটে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক করে পুলিশ। দীর্ঘ দশ বছর পর বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এসএম মুজিবুর রহমান অস্ত্র চোরাচালান মামলায় ১৪জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অস্ত্র আটক মামলায় ওই ১৪জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
অস্ত্র চোরাচালান মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতরা হলেন- জামায়াতে ইসলামীর আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, পলাতক উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়া, এনএসআইয়ের সাবেক দুই প্রধান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিম, সাবেক পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, সাবেক উপ-পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর লিয়াকত হোসেন, সাবেক মাঠ কর্মকর্তা আকবর হোসেন, সিইউএফএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, সাবেক জিএম (প্রশাসন) একেএম এনামুল হক, চোরাচালানি হাফিজুর রহমান হাফিজ, নুরুল আমিন, আব্দুস সোবহান এবং অস্ত্র খালাসের জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী দীন মোহাম্মদ।
বিষয়: বিবিধ
১৫২১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহু আকবার
মন্তব্য করতে লগইন করুন