আসুন জেনে নিই মানুষ তথা আমাদের সাথে আল্লাহর সম্পর্ক কি??পর্ব- ১
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৭ নভেম্বর, ২০১৪, ১১:০১:৫৬ সকাল
জানি এসব লিখায় কমেন্ট তো দূরে থাক পড়ার প্রয়োজনীয়তা ও অনেকে অনুভব করেন না । অথচ আমাদের জন্য এর চেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় আর হতে পারে না ।
তার পর ও যারা সঠিক পথে চলতে চায় তাদের একজন ও উপকৃত হলে কষ্ট সার্থক মনে করব । মহান রব তাকে যেভাবে চিনা দরকার, মানা দরকার সে ভাবে জানার ও মানার তৌফিক দিন , আমিন।
বিশ্ব স্রষ্টা রাব্বুল আলামিন এর সাথে সব সৃষ্টির ই সম্পর্ক । আমরা যে মানুষ সে হিসাবে উনার সাথে আমাদের সম্পর্কের ধরনটা কি? এ সম্পর্কে আমরা নিজেরা ধারণা করতে পারি না। তাই আল্লাহ তায়ালা নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।
কোরআন মজিদের সর্বশেষ সুরা , সুরা আন নাস , নাস মানে মানব জাতী, কোরানের বিভিন্ন স্থানে ইয়া আয়ুহান্নাস সম্বোধন করা হয়েছে । এই মানব জাতীর সাথে মানুষের সম্পর্ক এই সুরা আন নাসে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন ।
নিয়মিত তো পড়ি কিন্তু আমরা চিন্তা করছি কি কোন দিন??
আল্লাহ বলছেন قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ﴾
১) বলো , আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের রব ,
.
﴿مَلِكِ النَّاسِ﴾
২) মানুষের বাদশাহ ,
.
﴿إِلَٰهِ النَّاسِ﴾
৩) মানুষের প্রকৃত মাবুদের কাছে,১
১ . এখানেও সূরা আল ফালাকের মতো ' আউযু বিল্লাহ ' বলে সরাসরি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করার পরিবর্তে আল্লাহর তিনটি গুণের মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করে তাঁর আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে , এ তিনটি গুনের মধ্যে একটি হচ্ছে , তাঁর রাব্বুন নাস অর্থাৎ সমগ্র মানব জাতির প্রতিপালক , মালিক ও প্রভু হওয়া। দ্বিতীয়টি হচ্ছে , তাঁর মালিকুন নাস অর্থাৎ সমস্ত মানুষের বাদশাহ , শাসক ও পরিচালক হওয়া । তৃতীয়টি হচ্ছে , তাঁর ইলাহুন নাস অর্থাৎ সমগ্র মানব জাতির প্রকৃত মাবুদ হওয়া ( এখানে একথা সুস্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন যে , ইলাহ শব্দটি কুরআন মজীদে দুই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। এক , এমন বস্তু বা ব্যক্তি যার ইবাদাত গ্রহণ করার কোন অধিকারই নেই কিন্তু কার্যত তার ইবাদাত করা হচ্ছে। দুই , যার ইবাদাত গ্রহণ করার অধিকার আছে এবং যিনি প্রকৃত মাবুদ , লোকেরা তার ইবাদাত করুক বা না করুক। ( আল্লাহর জন্য যেখানে এ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে এ দ্বিতীয় অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে। )
এ তিনটি গুনের কাছে আশ্রয় চাওয়ার মানে হচ্ছে : আমি এমন এক আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাচ্ছি, যিনি সমস্ত মানুষের রব বাদাশাহ ও মাবুদ হবার কারণে তাদের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব রাখেন , যিনি নিজের বান্দাদের হেফাজন করার পূর্ণ ক্ষমতা রাখেন এবং যথার্থই এমন অনিষ্টের হাত থেকে মানুষের রক্ষা করতে পারেন , যার হাত থেকে নিজে বাঁচার এবং অন্যদের বাঁচাবার জন্য আমি তাঁর শরণাপন্ন হচ্ছি। শুধু এতটুকু নয় বরং যেহেতু তিনিই রব , বাদশাহ ও ইলাহ ,তিনি ছাড়া আর কেউ নেই যার কাছে আমি পানাহ চাইতে পারি এবং প্রকৃতপক্ষে যিনি পানাহ দেবার ক্ষমতা রাখেন।
কৃতজ্ঞতা ঃ জনাব গোলাম আযম সাহেবের আলোচনা
(চলবে কিনা জানি না তবে চালাতে চেষ্টা করব ইনশা আল্লাহ) ......
বিষয়: বিবিধ
১৩৩০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন