ইংলিশ কন্যার ইংলিশ স্টাইলের হত্যাকাণ্ড
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ১৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:১৯:৩৭ দুপুর
ইংলিশ কন্যার ইংলিশ স্টাইলের হত্যাকাণ্ড সমাজের অবক্ষয় চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও চেতনা ধারিদের চেতনা ফিরবে না কারণ তারাও যে ইয়াবা আসক্ত মাতাল। দেখেন না আমাদের মন্ত্রীদের বক্তব্য ও আচরণ । আমার তো মনে হয় কি যেন মন্ত্রী বললেন ঘরে ডুকে হত্যা করতে তাঁর সাথে এ হত্যা কাণ্ডের সংশ্লিষ্টতা থাকলে ও থাকতে পারে!!!!!!!
আর আমরা যারা মা বাবা হয়েছি তারা ও কি একটু চিন্তা করবেন?? জন্ম দিয়েই কি আমাদের কর্ম শেষ নাকি আর ও কিছু করার আছে? থাকলে সেটি কি? নৈতিক শিক্ষা?? সেটি কোথায় পাব?? ইয়াবার বড়িতে???? এই ঐশী একদিনেই খুনি কিংবা হন্তারক হয়ে গড়ে উঠে নাই>>>>>>
মিশরে নারীরা তাদের স্বামী ও সন্তানদের হাতে ব্যান্ড পরিয়ে দিচ্ছেন।
বলতে পারেন কি লেখা আছে এই ব্যান্ডে?
এতে লেখা আছে শহীদ হলে এই ব্যাক্তির মরদেহ কোন ঠিকানায় পৌছে দেয়া হবে।
সালাম জানাই হে বীর জাতি, যারা নিজেদের জীবনকে আল্লাহর পথে বিলিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করে। আর যাদের মায়েরা গর্ববোধ করে শহীদের মাতা হতে পেরে।
আর আমাদের মেয়েরা মা বাবার হন্তারক হচ্ছে!!!!
এই পার্থক্য যদি সেকুলার রা বুঝত??
আজ যদি এই মেয়েটি কোন মাদ্রাসার ছাত্রী হইত তখন সেকুলারদের হাক্কাহুয়া কত প্রকার ও কি কি দেখতেন?
একটি ঘঠনা মনে পড়ে গেল উত্তরার নর্থ টাওয়ারের নিছে এক বিখ্যাত সুপার সপ আমানা । যেখানে ধনির দুলালীরা প্রায়ই চুরির অপরাধে ধরা পড়ে। একদিন ঘঠনাক্রমে আমি উপস্হিত ধরা পড়লেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংলিশ ৪রথ বর্ষের হিন্দু এক ছাত্রী সাথে আর ও দুজন একজন বাংলা কলেজের আরেকজন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র । আলাপ ও প্রমাণ সাপেক্ষে যা জানলাম তা আমি কল্পনা ও করিনি। মেয়েটির ব্যাগে পাওয়া গেল পুরিয়া ও তা সেবনের সামগ্রী। ফিল!!!!! মানে পকিস্হানি মায়া বড়ি ? ছেলে দুইটির নাম মুসলিম। একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর ছোট ভাই। গুলশানে তাদের বিশাল দুকান। তাকে মিরপুরে। আরেকজন জনপ্রিয় সংবাদ পত্রের সাংবাদিকের ছোট ভাই। দুইজনের মা আসলেন তাদের নিয়ে যেতে মুস্লেখা দিয়ে।আরেক জনের আসলেন ভাই। মেয়েটির মা উত্তরার বিখ্যাত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের সম্মানিতা শিক্ষিকা। তারা ভাল হোক এই কামনায় কারো নাম ঠিকানা কিংবা ছবি প্রকাশ করলাম না। তাদের বর্ণনা মতে তারা তিন মাথা একসাথে হয়ে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাদে পুড়িয়া খেয়ে ডেটিং করে এখনে চুরি করতে এসেছেন?
ভাই ও বোনেরা কি বুঝলেন? এটা এখনকার নিত্য নৈমিত্তিক ঘঠনা।
জাতি কোথায় যাচ্ছে? আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা কোথায় রেখে যাচ্ছি। আমাদের কি কোন করনীয় নেই?
যেখানে ন্যায়বিচার সস্তা দামে বিক্রি হয়ে যায় সেখানে কে সুবিচার আশা করতে পারে বলুন? সমাজের অবক্ষয় কে রোধ করতে পারে বলুন। যে সমাজে রাষ্ট্রের পৃষ্ট পোষকতায় গোম খুন অরাজকতা পরিচালিত হয়। মিথ্যা মামলায় ফাঁসি ও যাবত জীবন দেয় । অন্যদিকে খুনিকে দেয় রাষ্ট্রপতির ক্ষমা । হাজার হাজার লোকজনকে অন্যায় জেল জুলুম দেওয়া হচ্ছে । সেখানে অপরাধ এ ভাবে প্রকাশিত হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা নয় কি?
ওয়াদা ভঙ্গ করে মোনাফেকরা কুরআন হাদিসের বিরুদ্ধে আইন পাশ করেছে,
এদেশ থেকে ইসলাম ধর্ম তুলে দেয়া ওদের মিশন, ভিডিও এডিট করে প্রচারণা চালানো কী তথ্য প্রযুক্তি আইন পরিপন্থী নয়?
প্রকাশ্য হত্যা(বিশ্বজিৎ ও মিল্কী সহ জামায়াত-শিবিরকে হত্যা), গুম(ইলিয়াস আলী ও শিবির নেতাদেরকে গুম), গুপ্তহত্যা(রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফারুককে,নারায়নগঞ্জে ত্বকীকেসহ অন্যান্য), চরম দুর্নীতি(বিচার বিভাগীয় দুর্নীতি সহ পদ্মাসেতু,হলমার্ক,শেয়ার মার্কেট, রানা প্লাজার দেশীয় সহায়তা তহবিলের এখন পর্যন্ত অবিলিকৃত 103 কোটি টাকা...)
চরম নৈরাজ্য(প্রকাশ্যে বিরোধীদের মিটিং মিছিলের উপর পুলিশ ও দলীয় ঘাতকদের দিয়ে গুলি চালানো) চরম চরিত্রহীনতা(ইডেন কলেজ,বদরন্নেসা কলেজের মেয়েদেরকে চাকরির দেয়ার কথা বলে সতীত্বহানী, ধর্ষণের সেন্চুরি...), চরম ধর্মহীনতা ও ধর্মবিরোধিতা- নাস্তিকতা-ষড়যন্ত্রমূলক আলেম হত্যা...
উল্লেখযোগ্য কুকীর্তিগুলো যথাসাধ্য আমরা প্রচার করবোই করবো ইনশা আল্লাহ।
পরিশেষে একটি কোটেশন দিয়ে শেষ করি হে আমার মেয়ে! এভাবে একটি যুবক অগণিত নারীকে নষ্ট করলেও আমাদের জালেম সমাজ তাকে একদিন ক্ষমা করে দিবে। সমাজ বলবেঃ একটি যুবক পথ হারা ছিল। সে সুপথে ফিরে এসেছে। এই অজুহাতে সে হয়ত সমাজের কাছে গৃহীত হবে এবং সকলেই তাকে গ্রহণ করে নিবে। আর তুমি অপমানিত, লাঞ্জিত হয়ে চিরদিন পড়ে থাকবে। আজীবন তোমার জীবনে কালিমা লেগে থাকবে, কোন দিন তা বিচ্ছিন্ন হবে না। আমাদের জালেম সমাজ কখনই তোমাকে ক্ষমা করবে না।
হে আমার মেয়ে! তোমার সম্মান তোমার হাতেই রেখে দিলাম এবং তোমার ইজ্জত-আভ্রু ও মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব তোমার উপরই ছেড়ে দিলাম। সুতরাং তোমার বোনদেরকে উপদেশ দাও, বিপথগামীদেরকে সংশোধন কর এবং সুপথে ফিরিয়ে আন।
হে আমার মেয়ে! তুমি তাদেরকে বলঃ হে আমার বোন! পথ চলার সময় কোন পুরুষ যদি তোমার দিকে তাকিয়ে দেখে তবে তুমি তার থেকে বিমুখ হয়ে যাও এবং তোমার চেহারা অন্য দিকে ঘুরিয়ে ফেল। এর পরও যদি তার কাছ থেকে সন্দেহ জনক কোন আচরণ অনুভব কর কিংবা সে তোমার গায়ে হাত দিতে চায় অথবা কথার মাধ্যমে তোমাকে বিরক্ত করতে উদ্যত হয় তাহলে তোমার পা থেকে জুতা খুলে তার মাথায় আঘাত কর। তুমি যদি এ কাজটি করতে পার তাহলে দেখবে পথের সকলেই তোমার পক্ষ নিবে, তোমাকেই সাহায্য করবে। সে আর কখনও তোমার মত অন্য কোন নারীর উপর অসৎ দৃষ্টি দিবে না। সে যদি সত্যিই তোমাকে পছন্দ করে থাকে, তাহলে তোমার এই আচরণে তার হুঁশ ফিরবে, তাওবা করবে এবং তোমার সাথে হালাল সম্পর্ক গড়ার জন্যে বৈধ পন্থা অবলম্বনের দিকে অগ্রসর হবে।
হে আমার মেয়ে! শুন! নারীগণ যত উচ্চ মর্যাদাই অর্জন করুক, শিক্ষা ও জ্ঞানে যতই অগ্রগতি লাভ করুক এবং ধন-সম্পদ ও সুখ্যাতি যতই আয়ত্ত করুক, এতে তাদের প্রকৃত প্রত্যাশা পূর্ণ হবে না, তাদের মান-মর্যাদা, প্রসিদ্ধতা, সুখ্যাতি, ধন-সম্পদ তাদের মনকে শান্ত করবে না। বিবাহ ও স্বামীর সান্নিধ্যই কেবল দিতে পারে তাদেরকে অনাবিল শান্তি, এর মাধ্যমেই পূরণ হতে পারে তাদের প্রত্যাশা। নারীগণ তখনই প্রকৃত শান্তি খুঁজে পায়, যখন সে একজন সৎ ও আদর্শ স্ত্রী হতে পারে, সম্মানিত একজন মা হতে পারে এবং একটি বাড়ি ও পরিবারের পরিচালক হতে পারে। এ ক্ষেত্রে একজন সাধারণ নারী থেকে শুরু করে রাণী, রাজকন্যা, অভিনেত্রী, বিশ্ব সুন্দরীর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। সকলের ক্ষেত্রেই একই কথা। এ ক্ষেত্রে আমি নাম উল্লেখ না করে দু’জন নারীর উদাহরণ দিতে চাই। আমি তাদেরকে চিনি ও জানি। তারা উচ্চ শিক্ষিতা, ধনবতী ও সুসাহিত্যিক। স্বামী হারা হয়ে তাঁরা প্রায় পাগল অবস্থায় বেঁচে আছেন। কয়েক দিন আগেও তাদের জীবন ছিল স্বাভাবিক, মুখে ছিল হাসি আর আনন্দে ছিল ভরপুর তাদের জীবন। তাদের সবই আছে। হারিয়েছে শুধু স্বামী। বিবাহ হচ্ছে প্রতিটি নারীর সর্বোচ্চ কামনা। এটিই তাদের মনের বাসনা। এটি দিয়েই তাদের মহান প্রভু তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। সে যদি পার্লামেন্টের সদস্যও হয়ে যায় কিংবা কোন রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টও হয়ে যায় তথাপিও তাদের মনের প্রকৃত বাসনা পূর্ণ হবে না, যতক্ষণ না একজন বউ হয়ে স্বামীর ঘরে প্রবেশ করতে পারবে।
হে আমার মেয়ে! জেনে রেখো! একবার যদি কোন মেয়ের জীবনে কলঙ্ক নেমে আসে এবং তার সমাজ যদি তা জেনে ফেলে তবে কেউ তাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবে না। এমন কি যেই পুরুষ তাকে নষ্ট করেছে সেও তাকে বিয়ে করে নিজের সংসার গড়তে রাজী হবে না। অথচ সে বিয়ের মিথ্যা ওয়াদা করে তার সতীত্ব ও সম্ভ্রম নষ্ট করেছে এবং মনের চাহিদা পূরণ করে কেটে পড়েছে। বরং সে যখন বিয়ের মাধ্যমে কোন নারীকে ঘরে উঠাতে চাইবে তখন তাকে বাদ দিয়ে অন্য একটি সম্ভ্রান্ত, সম্মানিত, ভদ্র, সতী ও পবিত্র নারীকেই খুঁজবে। কেননা সে কখনই চাইবে না যে, তার স্ত্রী হোক একজন নষ্ট নারী, ঘরের পরিচালক হোক একজন নিকৃষ্ট মহিলা এবং তার সন্তানদের মাতা হোক একজন ব্যভিচারীনী।
পুনশচ: ইংলিশ সটাইল বললাম শংকরের একটি বইতে পরেছিলাম ইংলিশ মায়েরা তাদের মেয়েদের ডেটিং করতে পাঠানোর আগে কৌশলে দুধের সাথে ফিল মিশিয়ে খাওয়ায়। আর আমাদের মেয়েটি মা বাবা হত্যা করার জন্য নাকি কফির সাথে ঘুমের বড়ী মিশিয়ে ছিলেন???
বিষয়: বিবিধ
২৫৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন