হেইডেন আইল্যান্ড

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:৩৭:৪৫ সকাল



রবীবার ১৩ই ডিসেম্বর,২০১৫. গতরাতের পরিকল্পনা মোতাবেক যাত্রা হেইডেন আইল্যান্ড। দুনিয়ায় যত ট্রাভেলার আছে এবং ছিলো তাদের সাথে আমার যদি কোনো বিষয়ে পার্থক্য থাকে,তবে তা মাত্র একটি বিষয়ে হওয়াই বাঞ্চনীয়। আর সেটা হল ভ্রমনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য। সত্যি বলছি কোনো স্থান ভ্রমনের সময় আমি সেই এলাকার আশপাশের রেস্টুরেন্টের তথ্য নিয়ে থাকি।বেশীরভাগ ক্ষেতেই খাওয়াটাই মূখ্য হয়ে ওঠে। অবশ্যই ভারতীয় অথবা এশিয়ার কোনো হালাল রেস্টুরেন্ট হতে হবে। আমার জানা মতে সকল ভারতীয় রেস্টুরেন্টই হালাল গোস্ত রান্না করে। কারন তাদের ক্রেতার একটি বড় অংশই মুসলিম,অথবা মুসলিম ক্রেতাকে তারা হাত ছাড়া করতে চায়না।

যাইহোক এবারের উদ্দেশ্য হল ভ্যাঙ্কুভারের চাটনী নামক ভারতীয় রেস্টুরেন্টে খাওয়া। কিন্তু শুধু খাওয়ার উদ্দেশ্যে এতটা পথ ভ্রমন করলে মানুষ মন্দ বলতে পারে ভেবে বাহানা তৈরী করলাম। আর সেটা হল হেইডেন আইল্যান্ড।

ওরেগনের প্রধান ও বড় শহর পোর্টল্যান্ডের উপর দিয়ে কলাম্বিয়া নদী দুভাগে বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হয়েছে,অপরদিকে অলামেট নদীও শহরটির বুক চিরে চলে গেছে। উত্তর পোর্টল্যান্ডে কলাম্বিয়া নদীর মাঝ বরাবর যে দ্বীপটি জেগেছে তার নাম হেইডেন আইল্যান্ড,এর আরেক মাথার নাম টোমাহক আইল্যান্ড।

সকাল ঠিক ৮ টায় রওনা হলাম। গত কয়েকদিন ধরে ব্যপক বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় হাইওয়েও প্লাবিত হয়েছে। বেশ কয়েকস্থানে হাইওয়ে বন্ধও করা হয়েছে। কিছু নদীর পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকা প্লাবিতও হয়েছে,তবে সেটা সমস্যাজনক নয়। রাস্তায় চলার সময়ও বৃষ্টি হচ্ছিলো। তার ভেতর দিয়েই চললাম। পোর্টল্যান্ডের ভেতর দিয়ে হেইডেন আইল্যান্ডে আসলাম। এখানে বড় শপিংমল রয়েছে। বড় বড় চেইনশপের বেশ কিছু শাখা রয়েছে। দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে শিপ ইয়ার্ড রয়েছে। পানির কাছাকাছি এসে দাড়ালাম,বৃষ্টি থেমে গেছে,ভালো লাগল। শপিংমলে ঘোরাঘুরি করলাম,তাও ভালো লাগল। পুরো এলাকা খুবই পরিচ্ছন্ন। দ্বীপটির শেষ প্রান্তে আসলাম। সেখানে একটি পার্ক আছে কিন্তু গেইটটি বন্ধ করা। কারন পার্কের পেছন দিকের অংশটিতে নদীর পানি উঠেছে। এখান থেকে দেখলাম ওপাশের শিপইয়ার্ডে বিশাল বিশাল জাহাজ নোঙ্গড় করা। কিছু কারখানাও রয়েছে এখানে। তবে দেখার মত জিনিস হল নদীর তীর।

এবার গেলাম সেইন্ড জনস। এটা অলামেট নদীর পাড়ে। একপাশে কলাম্বিয়া নদী,অন্যপাশে অলামেট। এখানে সুন্দর একটা পার্ক আছে,যার নাম ইউনিভার্সিটি পার্ক। ইউনিভার্সিটি অব পোর্টল্যান্ড এখানে অবস্থিত। বেশ বড় এলাকা নিয়ে এটি প্রতিষ্ঠিত। ছোট্ট সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর এটি। নদীর ধার ঘেষে মানুষের বসবাস। উপর থেকে রাস্তা খাড়া নীচে নেমে এসেছে। পুরো এলাকাটা দেখলাম। নদীর ধারের বাড়িগুলো খুব সুন্দর।

সেইন্ট জন্স নামক ঝুলন্ত ব্রিজটি দেখার মত। এটি উত্তর পশ্চিশ পোর্টল্যান্ডের সাথে উত্তর পোর্টল্যান্ডকে যুক্ত করেছে এ অংশে। সেতুর ওপাশে পাহাড়ী এলাকা থেকে ব্রিজটি শুরু হয়ে এপাশের উচু টিলার সাথে সংযুক্ত হয়েছে। মূলত: সেতু দিয়ে ওপাশে যাওয়াই ইচ্ছা ছিল কিন্তু হঠাৎ দেখলাম পুলিশ সেতুটি বন্ধ করে দিল। তখন সেতুর নীচের দিকে আসলাম এবং সুন্দর পার্কটা দেখলাম। সেতুর নীচে পানির ধারে শকঅবজারভার সমৃদ্ধ কাঠের বেষ্টনী রয়েছে। যেটা মিলিত হয়েছে সেতুর নীচের নদীর এপাশের স্প্যানের সাথে। সেদিক দিয়ে হেটে গেলাম। দেখলাম এক লোক মাছ ধরছে হুইল দিয়ে। এখান থেকে নদীর সৌদ্ধর্য অসহনীয় সুন্দর। একপাশে সবুজ পার্ক,অন্যপাশে বহমান নদী।

এখানে দাড়িয়ে দেখলাম সেতুর ওপাশে ৩টি স্থানে পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। মূলত: ওপাশে একটি বড় দূর্ঘটনা ঘটেছে। সেতুর সন্নিকটে চলমান একটি ট্রেনে বিনা কারনে ধাক্কা দিয়েছে একটি দাহ্য পাদার্থবাহী ট্রাক। এতে ট্রাকটি বিশাল শব্দে বিস্ফোরিত হয়,চালক ঘটনাস্থলেই উড়ে গেছে। চালকটি ট্রেনের যে অংশের বগীতে আঘাত করেছিলো ,সেই বগীতেও দাহ্য পদার্থ বহন করা হচ্ছিলো কিন্তু কোনো এক দূর্বোধ্য কারনে তা বিস্ফোরিত হয়নি। ভাগ্যিস চালক কোনো মুসলিম ছিলনা, নইলে ওৎ পেতে থাকা মিডিয়া এটাকে নির্ঘাৎ একটি পূর্ব পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা বলে কয়েকদিন আকাশ বাতাশ গরম করে রাখত। ঘটনাস্থল থেকে হয়ত আই.এস অথবা আলকায়েদার রেখে যাওয়া কোনো বিশেষ তথ্যও উদঘাটিত হত। প্যারিস হামলায় পুলিশ যেমন ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে চকচকে নতুন এক সিরিয়ান পাসপোর্ট উদ্ধার করেছিলো(প্রথমবারের মত পৃথিবীবাসী দেখেছিলো আত্মঘাতী হামলার জন্যে সাথে পাসপোর্ট রাখা জরুরী),তেমনিভাবে হয়ত বিস্ফোরনের ভেতর থেকে চকচকে কোনো মুসলিমের আইডি কার্ড উদ্ধার হত। এর জের-জবর-নুক্তা ধরে বেশ কয়েকদিন সাধারন মুসলিমদের উপর অত্যাচার বা হত্যাকান্ডও হয়ত ঘটত। মুসলিম যেহেতু সন্ত্রাসী তাই সেসব হত্যাকান্ডের বিষয়টি মিডিয়াগুলো অচ্ছুৎ ব্রাক্ষনের মত স্বযত্নে এড়িয়ে যেত।

যাইহোক নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করে মনে হল সঠিক স্থানে এসেছি আজ। এই সৌন্দর্যের তুলনা নেই। অবাক মুগ্ধতায় গিলে ফেললাম সবটুকু। খানিকপর দেখলাম সেতু দিয়ে গাড়ি চলছে। এবার সেতুর উপর গেলাম। আহা বেশ সুন্দর। দুপাশে দুটি বিশাল স্প্যানের উপর সেতুটি বসানো হয়েছে। উচু স্প্যানের সাথে বিশেষ কেবল দিয়ে সেতুটি ধরে রাখা হয়েছে,অবশ্য মূল ভিত্তি হল দুপাশের দুটি স্প্যান। ওপাশে গিয়ে দেখলাম তথনও দুটি রাস্তা পুলিশ বন্ধ করে রেখে পাশের রাস্তা দিয়ে গাড়ি পার করে দিচ্ছে। ওপাশে আসলেই কাজ ছিলনা,সেতুটি দেখা ছাড়া। ওপাশ থেকে ঘুরে আবার এপাশে আসলাম।

এবার গেলাম হেইডেন আইল্যান্ডের অপর পাশে মানে টোমাহক আইল্যান্ডে। এটা আসলেই ধনীদের জন্যে সংরক্ষিত এলাকা। একটা বিশাল এলাকা জুড়ে নানান রকম ব্যক্তিগত নৌযান রক্ষিত রয়েছে নদীর কিনারে। নদীর ধারের সুন্দর বাড়িগুলোর বারান্দা চলে গেছে নদীতে। সেখানে এসে ভিড়তে পারে সুদৃশ্য ও লাখ লাখ ডলারের নৌযানগুলো। ওপাশে গিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম কিন্তু পুরো এলাকা তারা ঘিরে রেখেছে। শুধু তারাই যেতে পারবে,যাদের বাড়ি ওখানে। পাশেই দেখলাম একটা ঐতিহ্যবাহী পাগলা পানির দোকান। মানুষ দেদারছে ঢুকছে সেখানে। বোতল ছাড়া এরা যেন অচল মুদ্রা।

আরেকপাশে গেলাম। এখানে কয়েকটা বড় বড় শো-রুম রয়েছে নৌযানের। বিভিন্ন রকম নৌযানের উপর মূল্যহ্রাসও দেখলাম। মিলিয়ন ডলারের সেসব নৌযান কেনার ক্ষমতা ও ইচ্ছা কোনোটাই না থাকায় দ্বীপের শেষ প্রান্তে আসলাম। এখানে নৌযান মেরামত কারখানা রয়েছে। আরেকটু সামনে গিয়ে পুরো টাসকী খেলাম। একটি বিশাল এলাকা জুড়ে কলাম্বিয়া নদীর এ তীরে হাজার হাজার নৌযান সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এগুলো বিত্রীর উদ্দেশ্যে রাখা। কিছু মানুষ জীবন যুদ্ধে নড়বড় করছে আর কিছু মানুষ মোজ করছে। এটাই দুনিয়ার চিত্র।

এর অনতিদূরে সোফী আইল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু পথ হারিয়ে ফেললাম,জি.পি.এস ও বিরক্ত করতে লাগল। ইতিমধ্যেই ১২টা বাজতে চলেছে,তার মানে ভারতীয় রেস্টুরেন্টে কিছুক্ষন আগেই লাঞ্চ শুরু হয়ে গেছে। না আর থাকা যায় না। সৌন্দর্য অবলোকন চোখ থেকে নেমে পেটে এসে পড়েছে। এখন যাই দেখব তাই খাবার মনে হবে। উড়ন্ত পাখিকে স্পষ্ট উড়ন্ত রোস্ট দেখতে পাচ্ছি।

কলাম্বিয়া নদীর উপর যে ব্রিজটি ওয়াশিংটনের সাথে মিশেছে,সেটা ধরে হাইওয়ে ১৪ ধরলাম। ওপাশে ১০/১২ মাইল গেলেই চাটনী রেস্টুরেন্ট। একেবারে মোক্ষম সময়ে উপস্থিত। দেরী না করে পছন্দের জিনিসগুলো নিতে শুরু করলাম। শুনলাম চিলি চিকেন আজ করেনি,এটা সপ্তাহে মাত্র ১দিনই করা হয়। দু:খ পেলাম কিন্তু পরক্ষনেই সে দু:খ চাপিয়ে দিলাম ভেড়ার গোস্তের উপর। ওহ একেবারে বেশরমের মত খেলাম। অন্যকিছু তেমন খাইনি,শুধু ফ্রায়েড রাইস আর ভেড়া। রান্না হয়েছে বিরাট সুন্দর। এত খেলাম যে তারা অনুভব করল আজ তাদের মুরগীর ঘরে শিয়াল প্রবেশ করেছে। আমার খাওয়ার প্রায় শেষ প্রান্তে এসে মেয়েটা বিল নিয়ে হাজির। একটু রাগও হল,লজ্জাও পেলাম। এটা সাধারনত করেনা। বিল দেওয়ার আগে অবশ্য সবসময় জিজ্ঞেস করেনা কিন্তু খাওয়া শেষ হয়েছে নিশ্চিত হলেই সেটা করে। আজ এত আগেভাগে বিল ধরিয়ে দিল ! অবশ্য আমি বিলটা ওভাবেই রেখে মাত্র ৪পিছ গোলাপজাম ঝাড়লাম। মূল বিলের সাথে ৫ ডলার বখশিস দিয়েও বলতে পারি লাভের পাল্লা আমার দিকেই কুর্নিশ করছে। মনে মনে বললাম, ক্যান ! আবার আমন্ত্রন জানা !! গতবার ১৪ পাটি দাত বের করে বলেছিলি আবার এসো ! তাইতো আসলাম, এবার মুখে কথা নেই ক্যান, হারে !!!

ফিরতি পথ ধরলাম। এশিয়ান স্টোরে গিয়ে সব্জী আর জ্যান্ত তেলাপিয়া মাছ কিনলাম। ওদিকে রাতে আবার অফিসিয়াল পার্টি রয়েছে। আমি কখনই কোনো পার্টিতে যোগ দেইনি কিন্তু এবার ম্যানেজার অনেক করে বলল এটাতে এসো। ফেরার পথে উডবার্ন নামক স্থানে রাস্তার পাশে দেখলাম জ্বলন্ত একটি গাড়ি। মূলত: ইঞ্জিনের কোনো সমস্যার কারনে গাড়িতে আগুন ধরে গেছে। মানুষ এগুলো দেখে অভ্যস্ত নয়। সামনের গাড়িগুলোর চলা দেখে মনে হল ভয়ে সবকটা চুপসে গেছে।

সন্ধ্যায় গল্ফ ক্লাবের পার্টিতে গেলাম। বিশাল অবস্থা ! পুরো গল্ফ ক্লাবটা আজ রাতের জন্যে ভাড়া করা হয়েছে। ভেতরে ঢুকে নিজেকে কোথায় রাখব সে চিন্তায় পড়লাম। সবগুলো চোখ আমাকে দেখছে। পরিচিত লোকেরা সব জোড়ায় জোড়ায় এসেছে। লজ্জায় পড়লাম কিন্তু আমি সাহস হারা হইনা। কোনার একটা টেবিলে গিয়ে উপস্থিত হলাম,এরপর পরিচিতদের ডেকে কাছে বসালাম। মদের বার রয়েছে ,নানান দামী মদের সমাহার সেখানে। বিভিন্ন রকমের খাবার রয়েছে। আমি অল্প কিছু পছন্দের খাবারগুলো নিলাম। আর আমার সেরা পানীয় হল পানি এবং ফ্রেশ জুস। রাফেল ড্রতে টিভি,আইফোন,আইপ্যাড,ল্যাপটপ,ক্যামেরা,কিচেন এইডসহ দামী উপহার সামগ্রী ছিলো কিন্তু আমি কিছু পাইনি। সবাইকে ক্যাসিনো টিকেট দেওয়া হয়েছে। এ টিকেটে বেশ কিছু ডলার থাকে,যা দিয়ে জুয়া খেলা হয় কেসিনোতে। নীচের তলায় রয়েছে কেসিনো এবং ডান্স ফ্লোর। টিকেটটি একজনকে দিয়ে দিলাম,সে তো উচ্ছসিত। ওদিকে আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম । এরা আমাকে সাংঘাতিক পছন্দ করে। পার্টিতে সকলে আমাকে দেখে উচ্চস্বরে চিৎকার করে উঠতে লাগল। তারা আমাকে তাদের আপনজনদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লাগল। অনেকে আমার প্রশংসা করল। সকলের সাথে বিনয়ের সুরে আচরন করলাম। এখানে ফটো তোলার জন্যে একটি প্রতিষ্ঠানকে আনা হয়েছে। তারা একটি স্থান ঘিরে স্টুডিও তৈরী করেছে। সকলে সেখানে মজার মজার কস্টিউম নিয়ে ফটোসেশন করছে। সঙ্গে সঙ্গে সেসব ছবি প্রিন্ট করে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাফেল ড্রর পর আমি বিদায় নিলাম। এরপর তারা নাচানাচি,মাতলামী করবে, তবে সকলে নয়। এসব দেখলেও পিত্তি জ্বলে। এবারই শেষ ,আর আসব না। এদের ভেতর অনেকে আছে যারা খুব সরল,সাদামাটা,সুন্দর জীবনযাপন করে। আবার অনেকে আছে উচ্ছৃঙ্খল। আমি এদের চাকচিক্ক দ্বারা প্রভাবিত ও প্রতারিত হইনা।

বিষয়: বিবিধ

১৪১২ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

354118
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : গোলাপ জাম কি বিল ছাড়াই খেয়েছেন?? এরপর মনে হয় আপনাকে দেখলে নোটিশ ঝুলাবে খাওয়া শেষ। যেসব জায়গায় ঘুরলেন সেগুলি কি নদীর দ্বিপ? সাথে আপনিও পাসপোর্ট নিয়ে ঘুরবেন না কিন্তু!! আপনার পাসপোর্ট পাওয়ার কথা শুনলে আপনার কমেন্টে মন্তব্য করার অপরাধে আমরা বাংলাদেশে ক্রসফায়ারে যাব!!!!
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৩
294042
দ্য স্লেভ লিখেছেন : না,বুফে খেয়েছিলাম ,তখনও মিস্টিটা খাওয়া বাকী ছিল। যেখানে গেলাম সেটা ছিল কলাম্বিয়া নদীর দ্বীপ। এটা অনেক বড় নদী। Happy
354122
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:০৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : বর্ণনাকৃত জায়গা ও নদীগুলো বরাবরের মত স্যাটেলাইট ম্যপ ও গুগল ম্যাপে দেখে এলাম। তবে রেস্টেুরেন্টটির ছবি খুজে পেলাম না।

এত খাবার? Surprised Surprised Surprised Surprised

আপনাকে উঠাতে মিনি ক্রেন বা ট্রলি লাগেনি তো! Rolling on the Floor

যতদিন বেছে আছেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের অবন্থান ও হারাম সংস্কৃতি থেকে বাচার তাওফিক দান করুক।

১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৪
294043
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহেহেে..েরেস্টুরেন্টটা অনেক ছোট। চাটনী ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্ট ভ্যাঙ্কুভার লিখে সার্চ করলে পাবেন সবকিছু। তবে খেলাম বেশ Happy
354123
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২০
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. Fantastic expression little brother. Jajakallahu khair.
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৪
294044
দ্য স্লেভ লিখেছেন : fantastic comment dear sister Happy jajakallah khairan
354129
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:০৫
আফরা লিখেছেন : খাদক এত খাওয়ার গল্প করেন এর পর আপনার খাওটার ভিডিও আপলোট করবেন ।আমরা সবাই দেখতে চাই আপনি কত বড় খাদক ।
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৫
294045
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আরে না, আমি এত আসলে খাইনা,,,সব প্রপাগান্ডা.....একটু একটু খাই। Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:২২
294049
আফরা লিখেছেন : প্রপাগান্ডা !!! তার মানে আপনি আমাদের মিথ্যা বলেন !!!
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০১:৫৯
294058
দ্য স্লেভ লিখেছেন : না এর অর্থ হল আমি খেতে পছন্দ করি কিন্তু খাদক নই। তবে মাঝে মাঝে একটু বেমী খাই এই আর কি !! আমার লেখা পড়ে মানুষ ভাবে আমি বোধহয় খাওয়ার উপরই থাকি...Happy Happy
354140
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫২
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : আমি নিজেও ভাই কোথাও বেড়াতে যাইবার আগে খাইবার ব্যাবস্থা করে যাই মানে খাইবার যায়গা থিতাই যাই...নেপালে হায়দারাবাদি বিরিয়ানি খাইতে ২৫০০রুপি টেক্সি ভাড়া দিছি,চায়নায় আরবি খানা খাইতে ৫ কিলোমিটার পায়ে হাইটা পারিদিছি মালেশিয়াতে খাইতে গিয়া পাতিতার দৌড়ানি খাই জানটা কোনরকম বাচাইছি....আরব দেশের খানা খাই নব্বই কিলো হইছি...ইউরোপের গল্পটা অল্পবাকি পরে বলছি....,মজাপাইলা স্লেভ ভাইয়ের মজার গল্পটা পরে...,আমরা ছোট মানুষ আমাদের দিকে তাকাবেন না। Rose পিলাচ পিলাচ পিলাচ
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫২
294034
অবাক মুসাফীর লিখেছেন : জ্বী ভাইয়া...!

আপনার গোল্লাগাল্লা চেহারা দেখা ভালোই বোঝা যায়, মাশাল্লাহ...! Big Grin
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৩৮
294047
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হেহেহেহে...সারা দুনিয়া খেয়ে ফেলেছেন দেখছি....। নেপালে কাঠমন্ডুর একটা জায়গা....রত্নাপার্কের পাশে মনে করতে পারছি না...ওখানে পাকিস্থানী রেস্টুরেন্ট ছিল। আহা প্রায় প্রতিদিন টেনেছি......Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ বিকাল ০৪:৩১
294109
আব্দুল মান্নান মুন্সী লিখেছেন : হা ঐ রত্না পার্কের পাশেই একটা মসজিদ আছে সেখানে নামাজ পড়লাম এবং পাশেই ইন্ডিয়ানদের হালাল মাংসের দোকান ও রেষ্টুরেন্ট আছে তবে আর একটা যায়গায় নাম মনে নেই সেখানে হায়দারাবাদি বিরিয়ানীর নামকড়া রেষ্টুরেন্ট...আর অামি গোল্লা গোল্লা জিনিসটা তেমন একটা ধারনায় ছিলোনা....!!!Crying
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৫৩
294137
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এই গোল্লার নাম হল মম..ভেতরে ভেড়ার মাংস দিয়ে তৈরী করে। ওই মসজিদে আমি নামাজ পড়তাম। ওদের ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেছিলাম। নেপালে ইসলামের ব্যাপারে জেনেছিলাম। সম্ভবত পাকিজা ছিল পাকিস্থানী রেস্টুরেন্টের নাম...আমি দুইবারে ২ মাস ছিলাম মার্শাল আর্টের কারনে...
354187
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : উপভোগ্যতো বটেই৷ সুন্দর দৃশ্য তদাপেক্ষা সুন্দর তার বর্ণনা৷ চিন্তায় পড়লাম-কেউবা লং ড্রাইভে যায় চাটনীর স্বাদ নিতে আর কেউবা যায় শর্ট হাটনে ডাষ্টবীনে৷ উদ্দেশ্য দুজনের একই৷কতইনা মিল।ধন্যবাদ৷
১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১১:৪১
294048
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুক। আমার ইচ্ছা আছে পুটির মাকে সাথে নিয়ে গরিবদের জন্যে কিছু করার। সে মহৎপ্রান মানুষ,তাই আমাকে সমর্থন করবে বলে বিশ্বাস। মানুষের জন্যে কিছু করার মধ্যেই প্রকৃত আনন্দ। আসলে আমার বিনোদন বলতে এইসবই। আমি তো এদের কালচার গ্রহন করিনি তাই তাদের মত করে ফুর্তি করতে পারিনা। আল্লাহ এদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করতে নিষেধ করেছেন তাই বন্ধুও বানাইনি....
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:৩০
294050
শেখের পোলা লিখেছেন : এটি দাওয়াতেরই অংশ৷ আঘাত পেলে বাবাজী আমি দুঃখীত৷
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০২
294059
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বুড়ো বয়সে আপনি আবার কি আঘাত দিবেন। আমি কোনো আঘাত পাইনি। Happy স্বাভাবিকভাবে জবাব দিয়েছি বলে আপনার হয়ত এটা মনে হয়েছে Happy তবে এই সত্যটা উপলব্ধী করি। আমেরিকাতে মাত্র ১০% মানুষ মোট সম্পদের ৭১% ভোগ করছে। পৃথিবীর সবখানেই তাই....এটা নিয়ে আমাদের ভাবা দরকার আছে। ইসলাম এরকম বৈষম্য করেনা।
354208
১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১২:০৪
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : এতোগুলো পথ পুলিশ বন্ধ করে রাখছে কেন? ভাই আমাদের মতো ট্রাফিক জ্যাম আছে সেখানে? আরো কিছু ছবি দিলে ভালো লাগতো, আর আপনার ভোজনের স্টাইলের দুই একটা ছবিও দিতে পারতেন! মজা পেলাম যে,
সৌন্দর্য অবলোকন চোখ থেকে নেমে পেটে এসে পড়েছে। এখন যাই দেখব তাই খাবার মনে হবে। উড়ন্ত পাখিকে স্পষ্ট উড়ন্ত রোস্ট দেখতে পাচ্ছি।

১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০২:০৫
294060
দ্য স্লেভ লিখেছেন : এখানে বিশেষ দূর্ঘটনা না লাগলে ্রটাফিক জ্যাম হয়না। ওরেগনের আয়তম ৯৮হাজার ৫শত বর্গ মাইল,যা বাংলাদেশের প্রায় দ্বিগুন। কিন্তু লোক সংখ্যা মাত্র ৪০ লক্ষ। ট্রাফিক জ্যাম মূলত হাইওেতে হয়। বিকেলে অফিস ছুটির সময় বেশী গাড়ি থাকে রাস্তায়। সেসময় কোনো গাড়ি যদি বিকল হয়ে দাড়িয়ে থাকে,তাহলে পেছনের কয়েক মাইল গাড়ি জ্যাম হয়ে পড়ে।....তাছাড়া কোনো জ্যাম হয়না। আর ছবি আপাতত দিচ্ছিনা। খাওয়ার সময় কেউ ছবি তোলেনি Happy

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File