আমি টোকাই

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১৩ মার্চ, ২০১৫, ১১:৪৪:৩৪ সকাল



আমি কবে ঢাকায় আসি মনে নেই,তবে ঘটনাটা মনে আছে ভাল।আমার মা মারা যাবার পর আব্বা যাকে বিয়ে করল,তাকে মা ডাকলাম্ । কিন্তু সেই মহিলাই আমাকে ভাত খেতে দিতনা,খালি মারত। আবার কাছে বিচার দিলে আব্বাও উল্টা পেটাতো। তাই একদিন বাড়ি থেকে বের হলাম। আমার বয়স মাত্র ৭/৮ বছর। বাজারের রাস্তাটা কোনো মতে চিনতাম,কারন আব্বার সাথে কয়েকবার গিয়েছি বাজারে। ওদিক ধরেই আগালাম। কিন্তু বাজারের রাস্তায় কিছুদূর চলে এক নতুন রাস্তায় চলে আসলাম। বুঝতে পারছিলাম রাস্তা ভুল করেছি কিন্তু চলতেই থাকলাম।

একসময় ট্রেন স্টেশনে চলে আসলাম। এক বাদাম বিক্রেতার পেছন পেছন চলতে লাগলাম্ । তার সাথে আমিও সাহস করে ট্রেনে উঠে পড়লাম। ট্রেন চলতেই থাকল। আমার কোনো তাড়া ছিলনা,শুধু পেটে সাংঘাতিক ক্ষুধা ছিল। টয়লেটের পাশে দাড়িয়ে থাকা কালে একজনকে দুপুরে খাবার খেতে দেখে অপলক তাকিয়ে ছিলাম্ । যেভাবে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম,তাতে আশা করছিলাম আমাকে কিছুটা অন্তত দিবে,কিন্তু লোকটা পুরোটাই শেষ করে ফেলল,আমার দিকে দ্বিতীয়বার তাকালো না যদি খাবার দিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় !

টয়লেটের ভেতর গিয়ে ময়লা পানি খেয়ে নিলাম কিন্তু ক্ষুধা কমল না। ক্ষুধা লাগলে কিছুই ভাল লাগেনা। আমারও অসহ্য লাগল। আমি কারো কাছে কিছু চাইতে লজ্জা পেতাম। হঠাৎ দেখলাম এক সিটে বসা একটা বাচ্চা এক টুকরো রুটি অসাবধানে ফেলে দিয়েছে। আমি তাকিয়ে থাকলাম,সে তুলে নেয় কিনা। কিছুক্ষন পরও যখন সে তা তুলে নিল না,তখন আমি ধীর পায়ে সেদিকে এগিয়ে গেলাম। নীচ থেকে পাউরুটিটি তুলে বাচ্চাটাকে চরম অনিচ্ছায়ও ফিরিয়ে দিতে গেলাম,কিন্তু বাচ্চার মা বলল-দেওয়া দরকার নেই,তুই খা। ওটাই আমার জীবনের প্রথম টোকানো,এরপর থেকে আমি টোকাই।

কমলাপুর রেল স্টেশনে কত রাত কত দিন চলে গেছে তার হিসেব নেই। কখনই পেট ভরে খেতে পারিনি। কখনও ডাস্টবিনে মানুষের আধা খাওয়া খাবার পাওয়া যেত। একবার একটা ভাল বার্গার পেয়ে কি যে খুশী লেগেছিল ! আমি এখন অনেক খাবারের নাম জানি যেটা অনেকে জানেনা। আমি ধনীদেরকে ভালবাসি,কারন ওরাই তো দামী খাবারগুলো ডাস্টবিনে ফেলে রেখে যায়।

প্রথম দিনের ঘটনা আমার ভালভাবে মনে আছে। যখন একটা বেঞ্চে শুয়ে ছিলাম,তখন আমার থেকে একটু বড় ছেলে আমার পায়ে একটা লাথি মেরে বলল-ওঠ ! এইডা আমার জাগা। আমি চোখ মুছতে মুছতে উঠে আরেক দিকে গিয়ে শুলাম। পরদিন রাতে আবারও সেই ছেলেটা এসে লাথি মারল। মজার ব্যাপার হল এবার তার হাতে ছিল রুটি আর কলা। আমার কি যে ভাল লেগেছিল ! আমি খাবার পেয়ে লাথির কথা ভুলে গেলাম্ । ওর নাম মখলেস। কথায় কথায় চড় থাপ্পড় মারে কিন্তু মনে দয়া আছে। বয়সে আমার থেকে বেশী বড় না কিন্তু খুব চালু। আরও ছোটবেলা থেকে ও ঢাকায় আছে। ওর ঘটনা আমার থেকেও করুন। মখলেস জানেনা ওর বাবা মা কারা। ও রাস্তায় বড় হয়েছে। রাস্তাই ওর বাপ মা।

যখন আমার প্রচন্ড ক্ষুধা লাগত,আমি খাওয়ারত বিভিন্ন মানুষের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতাম।খখনও কখনও তারা কিছুটা দিত। অনেকে গালি দিয়ে তাড়িয়ে দিত। নিজেকে খুব ছোট আর তুচ্ছ মনে হত। একদিন মখলেস বলল-এই তুই ভিক্ষা করতে পারবি ? আমি বললাম,এই কাজ পারব না,আমার লজ্জা করে। মখলেস বলল-তুই খাবার সময় মানুষের আশপাশে ঘুরঘুর করিস,তারা দিলে নিস, এইটাও তো ভিক্ষা করা। মখলেস এইটা দেখে ফেলেছে ভেবে খুব লজ্জা পেলাম্ । চুপসে গেলাম। মখলেসই বলল-তোকে দিয়ে এইটা হবেনা। আমি তোকে পরিক্ষা করলাম,ভিক্ষা করবি না কখনও। কাল সকালে আমার সাথে যাবি তোকে শেখাবো কিভাবে বাচতে হয়।

সকালে আমরা যাত্রাবাড়ি গেলাম হেটে। সেখানে এক বড় ময়লার স্তুপের ভেতর থেকে প্লাস্টিক খুজে বের করতে থাকলাম এবং লোহালক্কড়ও। লোহার দাম ২৫টাকা কেজী প্লাস্টিকের দাম অনেক কম। লোহা খুব একটা পাওয়া যেত না্ । আমরা দুপুর পর্যন্ত এসব খুজে কয়েকটা বস্তায় রাখতাম। তারপর মকবুল চাচার দোকানে নিয়ে গেলে উনি ওজন করে আমাদের পয়সা দিতেন। আমার ভাল লাগে,আমি মানুষের কাছ থেকে ভিক্ষা করিনা। নিজে ইনকাম করি। আমি যা পাই তাতে আমার রুটি,কলা,বিস্কুট হয় কিন্তু ভাতের টাকা সবদিন যোগাড় করতে পারিনা। যেদিন অনেকগুলো প্লাস্টিকের বোতল পাই সেদিন রাস্তার পাশের ভাত,তরকারী বিক্রেতার থেকে ভাত আর বুটের ডাইল কিনে খাই। ভাত খেতেই আমার ভাল লাগে। রুটি খেলে পেট ভরেনা। আমি আমার পকেটে টাকা জমাই। অনেকগুলো ভাংতি নোট হলে একটা বড় নোট করে তা পকেটে রেখে দেই। সর্বদা নজর থাকে,যাতে তা না হারায়। আমি স্বপ্ন দেখী একদিন আমি রাস্তার পাশের চাচার মত ভাতের হোটেল বানাবো। সকালে সিঙ্গাড়া,দুপুরে ভাত,তরকারী আর বিকেলে পুর,আলুচপ,ছোলা। এগুলো আমার খেতে খুব ভাল লাগে্ । মখলেস আশপাশে না থাকলে আমি এসব দোকানের আশপাশে দাড়াই। অনেক কাস্টমার অর্ধেক খেয়ে রেখে দেয়,আমি সেটা ছো মেরে নিয়ে যাই। দূরে গিয়ে খাই। দোকানের পাশে খেলে দোকানদার রাগ করে। মখলেস খুব শক্ত মেরুদন্ডের ছেলে। ওকে আমার ভয় ভয় করে আর ভালও লাগে্ ।

একদিন ও আমাকে বলল চল-আজ তোকে ভাল কিছু খাওয়াব। আমি ভাবলাম,আমি যা করি ,সেও তো তাই করে,তাহলে ভাল কিছু কিভাবে খাওয়াবে ? কিন্তু পরে বুঝলাম-এক ধনী লোক তার মা মারা যাওয়া উপলক্ষ্যে গরিবদেরকে খাওয়াচ্ছিল। আর মখলেস সেটার খবর নিয়ে এসেছিল। সেই লোকের নিকট আত্মীয় মখলেসকে বলেছে তোর আশপাশে যারা আছে তাদের নিয়ে আসবি। সেদিনই আমি ঝবিনে প্রথমবারের মত খিচুড়ী আর গরুর গোস্ত খেয়েছি। উহ, সেটা ভোলা যাবে না।

সেদিন একটা মজার ঘটনা ঘটেছে। আমরা যখন ময়লার স্তুপে ঘাটাঘাটি করছি,তখন হঠাৎ একটা ভাঙ্গা টেলিভিশনের ফ্রেম পেলাম। এটা আমার দরকার ছিলনা,তাই ফেলে রাখলাম। খানিক পর মখলেস বলল-এই এদিকে আয় মজা করি। এই ফ্রেমের বরাবর মাথা রাখ,হেহেহেহে দ্যাখ আমরা এখন টিভির মানুষ। এক সাংবাদিক ভাই ছবি তুলে নিল। বললাম-ছবিটা আমাদেরও এক কপি দিয়েন। সাংবাদিক ভাই বলল-ছবি দিয়ে কি করবি ? আমি হেসে বললাম, পকেটে নিয়ে ঘুরব। উনি বললেন-হেহেহে তোর পকেট তো ছেড়া, রাখবি কই ??

বিষয়: বিবিধ

১৩৮৫ বার পঠিত, ৩১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

308673
১৩ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আগে ফাষ্টু হই পরে মন্তব্য
১৩ মার্চ ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
249679
দ্য স্লেভ লিখেছেন : পোস্ট করলাম ১ মিনিট হলনা আর আপনি এসে গেলেন !!!Smug Smug Smug যাইহোক,আপনাকে খিচুড়ী আর মাংসের দাওয়াত
308681
১৩ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১০
আফরা লিখেছেন : এই ছবিটা দেখে এই গল্পটা বানিয়েছেন ভাল হয়েছে ।

হোটেলের ঝুটা খাবার টোকাই খান কেন হোটেলে কাজ করলেই পারেন ।
১৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৮
249728
দ্য স্লেভ লিখেছেন : বাংলাদেশে রাস্তায় এত পিচ্ছি থাকে যে তাদের সকলকে কাজে নেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া তাদের স্বাধীনতার বিষয়ও অাছে।
308684
১৩ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৩৯
এনাম বিন আব্দুল হাই লিখেছেন : এই কঠিন বাস্তবতায় কত বনী আদম যে পিষ্ট হচ্ছে? এরকম ভাবেই বেড়ে উঠা আমার এক সহপাঠী ছিলো, সে এখন মস্ত বড় একজন আলেম।
১৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
249729
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ভাল লাগল কথাটা শুনে। এভাবেই অনেকে হারিয়ে যায় আর অনেকে আলোর দীসা পায়।
308690
১৩ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৯
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
249730
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই সাহেব
308699
১৩ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৫:০৭
আব্দুল জাব্বার লিখেছেন : চমৎকার। লেখা
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০০
249731
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ
308704
১৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুআলাইকুম! অন্তরের গভীরে স্পর্শ করে গেলো লিখাটি! মনে হলো আপনি চাক্ষুস ইন্টারভিউ নিলেন একজন টোকাইএর! একজন টোকাই এর আত্নজীবনি হিসেবে খুবি সুন্দর হয়েছে!

আমাদের সমাজে উচ্চ বৃত্ত আর নিম্ণবৃত্তদের যোজন যোজন ব্যবধান! কারা এদের দায়িত্ব নিবে? ভাবলেই মনটা খারাপ লাগে!

শুকরিয়া আপনাকে! Good Luck
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৪
249732
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান উত্তম মন্তব্যের জন্যে। আমি নিজের থেকে লিখলাম,নিজেকে টোকাই কল্পনা করে। তবে বাস্তবতা এরকমই বা আরও কঠিন।

কিছু মনে না করলে আপনার বানান ভুল ধরতে চাই,কারন আপনি লেখালিখি করেন। একই ভুল আমার ক্ষেত্রে চোখে পড়লে ধরিয়ে দিবেন। উচ্চবৃত্ত নয়,কারন বৃত্ত মানে গোলাকার। এটি হবে উচ্চবিত্ত,নীম্নবিত্তHappy Happy Happy আপনার জন্যে দোয়া রইলো। আপনি লোক ভাল Happy Happy
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০২:২১
249768
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : জাযাকাল্লাহু খাইরGood Luck !
টোকাই এর দুঃখে বানান ভুল লিখছি বিশ্বাস করেন প্লিজTongue Crying Happy Angel Good Luck Praying
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৪:০৬
249779
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমারও মনে হচ্ছিল এই বানান আপনার ভুল করার কথা না। বিষয়টা এমন যে উপদেশ না দিয়ে পারলাম না। Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor আপনি লোক ভাল
308705
১৩ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : কঠিন এক বাস্তবতাকে আপনি তুলে ধরেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:০৪
249733
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই
308726
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:১৭
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আমার ভালো মনের ভাইয়া। এতো চমৎকার ও অভিনব পন্থায় এমন একটি হৃদয়স্পর্শী বিষয়কে উপস্থাপন করেছেন যা ভীষণভাবে মুগ্ধ করলো আমাকে। এক কথায় অনবদ্য অসাধারণ লাগলো। দোয়া ও শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকবেন খুব ভালো। জাজাকাল্লাহু খাইর।
Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Thumbs Up Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৩৭
249745
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার দোয়ায় মুগ্ধ হলাম। মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল সমস্ত দেহ মনে। আল্লাহ যে শান্তি আমার উপর বর্ষিত করল,তা যেন অঅরও সহস্র গুনে আপনার উপর বর্ষিত হয়(সমস্যা নেই সেখান থেকেও আমি ভাগ পাব)Happy Happy Happy
308727
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:২৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আমার লিখায় প্রথম উপস্থিতি ও সুন্দর অভিব্যক্তি রেখে আসার জন্য একটু সামান্য আয়োজন করা হয়েছে আপনার জন্য...।
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৩৯
249746
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি এইমাত্র খেয়ে আসলাম। এবার একটা দৌর দিতে যাচ্ছি এটা হবে ১৫ কি:মি: লম্বা দৌড়। অনেকদিন অলসতায় দৌড়ানো হয়না। তবে খেলাম আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যেন জান্নাতে আপনার জন্যে বিশাল সুন্দর খাবারের আয়োজন রাখেন।
১০
308732
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:১২
সত্যলিখন লিখেছেন :
১৩ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:৪১
249747
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওহে ! আপনাকেই তো খুজছিলাম। আপনার সেই লোকটা খবর কি ,যার দাতে ব্যাথা ছিল? নাকি সত্যিই নিজের দাতগুলো তাকে দিয়ে দিয়েছেন ? উনাকে বলবেন,আমি উনাকে দোয়া করেছি। আর আল্লাহ যেন উনাকে সকল সময়ে শান্তিতে রাখেন। আপনি লোক ভাল Happy Happy
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৯:৫০
249902
সত্যলিখন লিখেছেন : আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন তাই হাতুরী দিয়েই উনার দাঁতে আর আমার কলিজায় পিটায়ে উফ উফ আর মনে করতে চাই না। আর এমন দোয়া আর করবেন না ।এবার আমাদের নেক হায়াত ও হেদায়াতের উপর থাকার জন্য দোয়া চাইবেন।
১৫ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:২১
249948
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আরে ধুর ! কিসের মদ্যে কি কন ???Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

মানুষ আসলেই অদূরদর্শী। আল্লাহ জানে আমি আপনাদের জন্যে কি দোয়া করেছিলাম। আমি অতি উত্তম দোয়া করেছিলাম এবং এখনও করছি। তবে তার প্রতি আপনার এত ভালবাসা জানা ছিলনা,তাই মুখ দিয়ে ওসব বের হয়েছিল। কিন্তু অন্তরে অন্য বিষয় ছিল যা আল্লাহ জানেন। আল্লাহ বলেছেন তিনি আমাদেরকে ভয় ভীতি,ক্ষুধা,দারিদ্র দিয়ে পরিক্ষা করবেন। উনার ওই ব্যাথাটুকু ছিল এটার অন্তর্ভূক্ত। আর মুমিনকে তার ছোট ব্যাথার জন্যেও পাপ ক্ষমা করা হয় এবং নেকী দেওয়া হয়। সুতরাং এটাই ফাইনাল আমার দোয়া চালু আছে আপনাদের জন্যে Happyআর আমার ভুল চোখে পড়লে ক্ষমা চাচ্ছি
১১
308750
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:১৩
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : Worried Worried Worried
একটি ছবি থেকে গল্প!!! ভালো লাগলো

আমার খুব ইচ্ছা ছিল ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ব। কিন্তু দুর্ভাগ্য শেষমেস ইলেকট্রনিক্স এ ডিপ্লোমা পড়তে হলো!!!
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ১২:৫৪
249762
দ্য স্লেভ লিখেছেন : সমস্যা নাই, ফুড নিয়ে পড়লেও খাওয়া দাওয়া করতেন,এখনও খান,এতে পার্থক্য দেখিনা। বরং এখন লাভ হল। ইলেট্রিক বার্নারে খাবার রান্না করবেন আধুনিক উপায়ে।

বি:দ্র: আজ খাওয়া ছাড়া মাথায় কিছু আসছে না। দাড়ান একটা পোস্ট করে নেই Tongue
১২
308779
১৪ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৮:০৩
শেখের পোলা লিখেছেন : ছেঁড়া হোক তবু পকেট আছে৷ অনেকের তাও নেই৷ বাস্তব চিত্র৷
১৩
308873
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:২৫
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : খুবই হৃদয়স্পর্শী। Worried
১৪
308874
১৪ মার্চ ২০১৫ বিকাল ০৪:২৬
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : হে হেঃ, বানান কিন্তু আপনিও ভুল করলেন। নীম্নবিত্ত নয়, নিম্নবিত্ত। Tongue Tongue Cook Give Up Hot Catch Big Grin Rose Rose
১৪ মার্চ ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০২
249855
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : হি,হি ! হাসি ধরে রাখতে পারছি নাRolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

শুকরিয়া প্রসিডেন্ট ভাইGood Luck
১৪ মার্চ ২০১৫ রাত ০৮:২৯
249872
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তাইলে তো দেখী মহা গ্যাঞ্জাম লেগে গেল...Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File