ব্রেকিং নিউজ দেয়া হচ্ছে- "বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান এডমিন আটক"। কিন্তু অন্যায় ভাবে আটক ফাহাদের বাবা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডার ছিলেন।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৩ মার্চ, ২০১৫, ১২:৫৮:৩৩ দুপুর
অন্যায় ভাবে আটক ফাহাদের বাবা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডার ছিলেন।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
ফাহাদের বাবা মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলের নামে কোনো মামলা নেই। জন্মগতভাবে পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ করি। ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। তারপরও সে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তবে তার বিচার হবে। কিন্তু আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই।
বিভিন্ন টেলিভিশনে ও অনলাইন নিউজে ব্রেকিং নিউজ দেয়া হচ্ছে- "বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান এডমিন আটক"।
কিন্তু
কুমিল্লা থেকে খোন্দকার জিয়াউদ্দিন ফাহাদ নামের এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও তার খোঁজ মেলেনি। এই অভিযোগ করেছেন ফাহাদের বাবা খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দীন ।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের পেয়ে তিনি তার ছেলেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দেন।
বিভিন্ন টেলিভিশনে ও অনলাইন নিউজে ব্রেকিং নিউজ দেয়া হচ্ছে- "বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান এডমিন আটক"। কিন্তু খবর টি সাজানো এবং ভুয়া মিথ্য।
একজন মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডারের ছেলেকে এবং আওয়ামী লীগ পরিবারের ছেলেকে বাঁশেরকেল্লা পেইজের প্রধান এডমিন বানিয়ে আটকের নাটক।
নির্দোষ ছাত্রকে নিয়ে
মিডিয়া এবং
প্রশাসনের কেন এত মিথ্যাচার ?
কুমিল্লা থেকে খোন্দকার জিয়াউদ্দিন ফাহাদ নামের এক যুবককে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা পার হলেও তার খোঁজ মেলেনি। এই অভিযোগ করেছেন ফাহাদের বাবা মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডার খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দীন।
বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের পেয়ে তিনি তার ছেলেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দেন।
খোন্দকার মোহাম্মদ ছমিউদ্দীন জানান, তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কমাণ্ডার ছিলেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। তার এক মেয়ে তিন ছেলে। সবার বড় মেয়ে ফাহমিদা আক্তার কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের লেকচারার। তিনি সেখানেই থাকেন। প্রথম ছেলে খোন্দকার সালাউদ্দিন কামাল চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি কোম্পানির ম্যানেজার। মেঝ ছেলে খোন্দকার ইখতিয়ার উদ্দিন মৌলভিবাজার জেলা প্রশাসনের একজন ম্যাজিষ্ট্রেট। আর ছোট ছেলে ফাহাদ চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অনার্সে অধ্যয়নরত।
ছমিউদ্দীন বলেন, ‘ফাহাদ ৭ মার্চ মা সাকিয়া আক্তারের সঙ্গে কুমিল্লায় মেয়ের বাসায় যান। ৯ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কুমিল্লায় মেয়ের বাসা থেকে ফাহাদকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। সিলভার কালারের একটি মাইক্রোবাসে আসা ৪/৫ জন লোক অস্ত্র দেখিয়ে ফাহাদকে গাড়িতে তুলে নেয়। মাইক্রোবাসের একপাশে গায়ে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ (ডিবি) লেখা ছিল। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্টো-ছ-৫৩-৪২৬৬।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে বাঁশখালি থেকে চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে গিয়ে টিকিট কেটে বিমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামি। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে যাই। সেখানে অভ্যর্থণাকারীরা মঙ্গলবার ডিএমপির মিডিয়া বিভাগে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।’
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে যাই। ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে সব কথা জানাই। তিনি বসতে বলেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরো চারবার দেখা করি। প্রত্যেকবারই বলেছেন, বসেন বিষয়টা দেখছি। এভাবে রাত ১০টা পর্যন্ত মিডিয়া সেন্টারে বসে থাকি। সবশেষ আবার বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডিসির (মিডিয়া) কাছে যাই। দুপুরের দিকে তিনি বলেন, গোয়েন্দাদের চার বিভাগের মধ্যে তিনটিতে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তাদের কাছে আপনার ছেলে নেই। বাকি একটি বিভাগ আছে। তারা ফোন ধরেনি। ফোন ধরলে আপনাকে জানাতে পারব। আপনি অপেক্ষা করেন।’
ফাহাদের বাবা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলের নামে কোনো মামলা নেই। জন্মগতভাবে পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ করি। ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নয়। তারপরও সে যদি কোনো অন্যায় করে থাকে, তবে তার বিচার হবে। কিন্তু আমি আমার ছেলের সন্ধান চাই। কুমিল্লার পুলিশ সুপার বারবার বলেছেন, আপনি ডিএমপিতে যোগাযোগ করেন। আপনার ছেলে সেখানে আছে। কিন্তু এরা কিছু বলতে পারছেন না। এখন আমি কি করবো, কার কাছে যাবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বাঁশখালিতে র্যাবের হাতে ধরা পড়া জঙ্গিদের অস্ত্রের সন্ধান আমিই দিয়েছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বর্তমানে আমি একজন চেয়ারম্যান। কিন্তু এখানে এসে অসহায় লাগছে। কেউ আমাকে সহযোগিতা করছেন না। কার কাছে কি বলবো আমি।’
এ ব্যাপারে কুমিল্লার পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে যা তথ্য নেওয়ার তা ডিএমপিতে যোগাযোগ করে নেন। আমি কিছু বলতে পারবো না।’
আপনার অনুমতি ব্যতীত কিভাবে একজনকে ধরে আনতে পারে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরি ভাই, তারা ধরে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমি আর বেশি কিছু বলতে পারব না। আমি একটা মিটিংয়ে আছি।’ এরপর তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি ফাহাদ নামের কাউকে কুমিল্লা থেকে ধরে আনা হয়নি। তবে আরো একটি টিমের কাছে খোঁজ নেওয়ার বাকি আছে। দেখা যাক তাদের কাছে পাওয়া যায় কি-না।’
http://www.risingbd.com/detailsnews.php?nssl=97352
আলোচিত ফেসবুক পেইজ ‘বাঁশেরকেল্লা’র প্রধান এডমিনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকালে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের আবাসিক এলাকা থেকে এম জিয়াউদ্দিন বাহার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়। এদিকে আজ ১১. ৫০ মিনিটে বাঁশেরকেল্লা পেইজের এক পোষ্টে বলা হয়, বিভিন্ন টেলিভিশনে ও অনলাইন নিউজে প্রচারিত বাঁশেরকেল্লার প্রধান এডমিন আটকের খবরটি সঠিক নয়। বাঁশেরকেল্লা’র প্রধান এডমিনসহ সকল এডমিন নিরাপদে আছেন।
http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=Njc1OTE%3D&sMQ=%3D
বিষয়: বিবিধ
২৭২২ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কোন অমুসলিম দেশ্ওে মুসলিমরা এত নিরাপত্তাহীনতায় নেই যতটুকু ৯০% মুসলমানের স্বাধীন বাংলাদেশে আতংকে ভুগছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন