তকদীর কি ???

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:৩৭:২৯ সকাল



বহু মুসলিম তার নিজের দায়-দায়ীত্ব স্বীকার না করে ভাগ্যকে দোষারোপ করে এবং বহু মুসলিম ভাগ্যকে এভাবে বিশ্বাস করে যে “সব কিছুই আল্লাহর ইচ্ছা আমার কোন হাত নেই।” এটা বলে এক শ্রেণীর মানুষ নিজেদের দায়ীত্ব এড়াতে চায়। অনেকে উল্টো প্রশ্ন করে, সব কিছু যখন লিখিতই আছে, ভাগ্য যখন পূর্ব নির্ধারিত তখন আমি আর কি করব ? আল্লাহই তো আমাকে দিয়ে সবকিছু করান। তাহলে আমার কর্মকান্ডের জন্য আমাকে শাস্তি দেওয়া হবে কেন ? আমি ভাল কাজ করি অথবা মন্দ কাজ করি,তা তো আল্লাহ নির্ধারণ করে রেখেছেন। অনেক সময় এ জাতীর চিন্তা এবং বিশ্বাস মানুষকে কর্মবিমুখ রাখে। তার করণীয় কার্যবলী সম্পাদনে সে অলস ভূমিকা পালন করে। আসলে এগুলো ভাগ্য বা নিয়তি সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণার ফল।

প্রকৃত ব্যাপার হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। বিভিন্ন রঙের,বর্ণের,মর্যাদার মানুষ সৃষ্টি করেছেন। কাউকে সম্পদশালী করেছেন ,কাউকে সম্পদহীন করেছেন। মানুষের মধ্যে বৈচিত্রতা সৃষ্টি করেছেন শুধুই তাকে পরিক্ষা করার জন্য যে,কে তার জন্য নির্ধারিত,নির্দিষ্ট অবস্থানে থেকে আল্লাহর ইবাদত করে।

আল্লাহ তায়ালা বলেন,“আল্লাহ যা কিছু তোমাদেরকে দিয়েছেন সে সম্বন্ধে তোমাদেরকে পরিক্ষার উদ্দেশ্যে তোমাদের কতককে কতকের উপর মর্যাদায় উন্নিত করেছেন।”(আল-কুরআন,৬ঃ১৬৫)।

মানুষকে পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট সময়,নির্দিষ্ট পরিমান জিবীকা দিয়ে পাঠানো হয়েছে। সে এটাকে কিভাবে ব্যয় করবে এবং সফল হবে তার সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এখানে মূল ব্যাপার হলো দায়িত্বশীলতা। তাই গরীবের ঘরে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিকে ধনীর দায়ীত্বশীলতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবেনা এবং ধনীরাও গরিবের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে না বরং প্রত্যেকে প্রত্যেকের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে। আর কাকে কোন দ্বায়ীত্ব দেওয়া হবে, কে শাসক হবে, কে শাসিত হবে, তা স্রষ্টার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। মানুষের দায়ীত্ব আল্লাহ যে অবস্থানে তাকে রেখেছেন সে অবস্থানে থেকে স্রষ্টার হুকুম পালন করা। আর এর মধ্যেই তার সফলতা নিহিত।

ভাগ্য বা নিয়তি সম্পর্কিত বিষয় আল্লাহ তায়ালা পূর্বেই লিপিবদ্ধ করেছেন। এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ ন্যায় করুক আর অন্যায় করুক সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছাতেই ঘটবে। বরং ব্যাপারটা এ রকম- “আল্লাহ অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অবহিত। তিঁনি জানেন এই ব্যক্তিটি তার জ্ঞানকে এভাবে কাজে লাগিয়ে, এভাবে চলবে। মানুষ ভবিষ্যতে কি করবে তা

তিঁনি পূর্বেই জানেন আর তিঁনি তাঁর এই জানা ব্যাপারটিই লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। এখানে আল্লাহ তাকে প্ররোচিত করেন নি। ”

উদাহরণ স্বরুপ বলা যায়, একটি শিশু আগুনে হাত দিতে যাচ্ছে এবং আমি দূর থেকে তা দেখছি। এখানে আমি জানি যে, আগুনে হাত দিলে তার হাত পুড়ে যাবে কিন্তু আমার এ জানা জ্ঞান তাকে আগুনে হাত দিতে প্ররোচিত করেনা এবং তাকে বিরতও রাখেনা (এখানে ব্যক্তিকে ‘আগুনে হাত দিলে হাত পুড়ে যাবে’ এ জ্ঞান সরবরাহ করা হয়েছে তাই তার কাজের জন্য সেই’ই দায়ী)। এখানে আগুনে হাত দেওয়া, না দেওয়া এই শিশুটার বা মানুষটার নিজস্ব ব্যাপার। আল্লাহ এভাবে কাউকে প্ররোচিত করেন না বা করবেন না বলেই তাকে জ্ঞান,স্বাধীনতা,বিধান দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, কি করলে মানুষ সফল অথবা বিফল হবে, সত্য ও সোজা পথ কোনটি, ভ্রান্ত পথ কোনটি তাও স্পষ্ট করে বলে দিয়ে- মানুষদের মধ্য থেকে একজন নবীকে মনোনিত করে তার মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন।

“এক লোক রসূল (সাঃ)কে জিজ্ঞেস করলো,ইয়া রাসূলুল্লাহ ! কে বেহেশতী আর কে দোযখী হবে তা কি নির্ধারিত ? তিঁনি বললেন,হ্যাঁ। ঐ ব্যক্তি বললো,তাহলে মানুষ আমল করবে কেন ? রসূল(সাঃ)বললেন,প্রত্যেকে তার উপযোগী কাজই করে থাকে যা তার কর্মফলস্বরুপ মানুষ সৃষ্টির প্রথম থেকেই আল্লাহর জানা রয়েছে।” (সহীহ্ বুখারী)

একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে যেমন,আমি প্রথমে বিশ্বকাপের কোন লাইভ খেলা দেখলাম এর পরদিন যখন ওই খেলাটাই পূণঃপ্রচার হলো তখন আমি গড় গড় করে বলে যাচ্ছি- ওই প্লেয়ারটা গোল করবে,অমুক প্লেয়ার লাল কার্ড পাবে অথবা মাঠে এবার গোল নিয়ে গোলমাল হবে। এরকম ঘটনায় কিন্তু অবাক হওয়ার কিছুই নেই, কারণ আমি খেলাটা পূর্বে দেখেছি। ঠিক আল্লাহর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এরকম। আমরা সামনে কি করবো তা তিঁনি আগেই দেখেছেন,আর সেটাই লিখে রেখেছেন। আমরা যাই করি না কেন; আল্লাহর লিখে রাখা ঘটনার সাথে তা হুবহু মিলে যাবে।

হযরত আদম (অঃ) এর থেকে উদাহরণ দেওয়া যেতে পারেঃ

হযরত আদম(আঃ)কে আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টির পর মা হাওয়াকে তার সঙ্গী করলেন,তারা জান্নাতে ছিলেন। এসময় আল্লাহ তাদেরকে উপদেশ দেন যে-তোমরা জান্নাতের সব ফলই খেতে পারবে শুধু ওই বিশেষ ফলটি ছাড়া এবং শয়তান তোমাদেকে প্ররোচিত করবে,কাজেই সাবধান হও। কিন্তু তারা শয়তানের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ ফলটি খেয়ে ফেললো। আল্লাহ তখন তাদেরকে পৃথিবীতে নামিয়ে দিলেন।

তখন-“আদম ও হাওয়ার প্রভূ পরওয়ারদেগার তাদেরকে বললেন,আমি কি তোমাদেরকে ঐ বৃক্ষ হতে (ফল খেতে)নিষেধ করিনি ? এবং আমি কি বলিনি যে,শয়তান তোমাদের ঘোর শত্র“ ? ”

অথচ হযরত আদম(আঃ)এর জন্মের ৪০ বছর পূর্বে(সূত্রঃ সহীহ্ বুখারী) আল্লাহ তায়ালা লাওহে মাহফুজে লিখেছিলেন, “আদম তার প্রভূ পরওয়ারদেগারের আদেশের বরখেলাপ করে ফেললো,ফলে সে ভ্রম ও ভুল করার দোষে দোষী সাব্যস্ত হলো। অতঃপর (তওবা করার পর)তার প্রভূ তাকে বিশেষ মর্যাদারসাথে গ্রহন করে নিলেন। তার তওবা কবুল করলেন এবং তাকে সৎপথের পথিক বানিয়ে দিলেন।” (‘এ আয়াতটি তাওরাতেও ছিল’ -সহীহ্ বুখারী)

আল্লাহ পূর্বেই আদমের আচরণ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন কিন্তু

আদম(আঃ)তা জানতেন না। ফলে আল্লাহ আদমের আচরনের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিলেন। আদম(আঃ)ও ভুল বুঝতে পারলেন এবং তিঁনি তকদীর সংক্রান্ত ব্যাপার উপস্থাপন করেননি (তাঁকে সমস্ত কিছুর জ্ঞান শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল),তিঁনি বললেন, “হে আমাদের প্রভূ পরওয়ারদেগার ! আমরা অপরাধ করে নিজেরা নিজেদের পায়ে কুঠারাঘাত করেছি,তুমি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না কর,দয়া না কর, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ ও ধ্বংস হয়ে যাব।”

যদিও পৃথিবীতে মানুষের প্রেরনের পুরো ব্যাপারটা একটা পরিক্ষা, তারপরও আল্লাহ পরিক্ষার ফলাফল ভাল হবার স্বপক্ষে অবস্থান নিয়ে থাকেন ও মানুষকে ভাল কাজে সাহায্য করেন। মানুষের প্রকৃতিকে তিঁনি সত্যের স্বপক্ষে সৃষ্টি করেছেন। ভাল কাজ করলে মানুষ আত্মিক শান্তি অনুভব করে এবং খারাপ কাজ করলে অনুশোচনা হয় বা খারাপ অনুভূতি কাজ করে, এটি তাঁর সৃষ্টি যাতে মানুষ সত্যের পথে অবস্থান করে। এছাড়া আল্লাহ মানুষকে এমন সীমাবদ্ধতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং এমন অনুসন্ধিৎসু করেছেন যাতে সে মহা পরাক্রমশালী এক স্রষ্টাকে খুঁজে পায় বা চেষ্টা করতে পারে।

তিঁনি ঘোষণা করেছেন ঃ “কেউ কোন সৎ কাজ করলে সে তার দশ গুণ প্রতিদান পাবে এবং কেউ কোন অসৎ কাজ করলে সে শুধু তার প্রতিফল পাবে,আর মানুষের প্রতি কোন যুলুম করা হবে না।”(আল-কুরআন,৭ঃ১৬০)“আল্লাহ তায়ালা বলেন,যখন আমার বান্দা কোন একটি সৎ কাজ করার সংকল্প করে,কিন্তু তখনও সে কাজটি করেনি,তাহলে আমি তার জন্য একটি সওয়াব লিখি। আর যদি সে উক্ত সৎ কাজ করে, তবে আমি তার জন্য দশ হতে- সাত শত গুণ পর্যন্তসওয়াব বৃদ্ধি করে লিখি। যখন সে কোন অন্যায় কাজের সংকল্প করে কিন্তু তখনও কাজটি করেনি,তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে কিছুই লিখি না। আর যদি সে অন্যায়টি করে তবে আমি তার জন্য একটি পাপের গুনাহ লিখি অথবা তাকে মাফ করে দেই।”(হাদীসে কুদ্সী)।

আল্লাহ যদি এভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন যে, আমরা সমস্ত ভালো ও মন্দ কাজ তাঁর নিয়ন্ত্রনেই করি তাহলে, আমাদের তো পরিক্ষা করারই প্রয়োজন পড়ে না। একই কারনে জ্ঞান, কিতাব, রসূল এগুলো দেওয়ারও দরকার ছিলনা। জান্নাত, জাহান্নামেরও প্রয়োজনও থাকেনা।

ব্যাপারটা এমন হলে আমাদের সাথে অন্য জীব জন্তুরও কোন পার্থক্য থাকত না। কিন্তু মানুষকে নিয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ভিন্ন। তিঁনি মানুষ নামক এক সম্প্রদায় তৈরী করতে চেয়েছিলেন, যারা তাঁর ইবাদত করবে। আল্লাহর বিধান না মানলে চিরস্থায়ী শাস্তি আর মানলে চিরস্থায়ী শান্তি। এ উদ্দেশ্যেই মানুষের সৃষ্টি এবং বিধান দেওয়া হয়েছে,তাকে হাতে কলমে শিক্ষাও দেওয়া হয়েছে।

মানুষের ভবিষৎ সম্পর্কে কি লেখা হয়েছে সে সম্পর্কে মানুষের কোন জ্ঞান নেই। তাই আল্লাহ মানুষকে বলেন তার উত্তম রিযিক আল্লাহর কাছে চাইতে এবং একইসাথে বৈধ উপায়ে অনুসন্ধান করতে। মানুষ জানেনা তার ভবিষ্যৎ কেমন হবে, তাই তাকে প্রচেষ্টা চালাতে বলা হয়েছে তবে সে কতটুকু প্রচেষ্টা চালাতে সক্ষম হবে,কতটুকু ফল প্রাপ্ত হবে তা আল্লাহ জানেন আর এই জানা বিষয়টি’ই পূর্বে লিখে রেখেছেন,মূল ব্যাপার এটাই।

মূলতঃ মানুষকে আল্লাহ যে জ্ঞান দিয়েছেন এবং সময়,স্বাধীনতা দিয়েছেন তা ব্যবহার করে যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান মেনে চলবে,রসূলের(সাঃ) সুন্নাহ অনুসরণ করবে,সেই সফল বা ভাগ্যবান আর যে মানবে না, সে বিফল বা হতভাগ্য। তকদীরের বা ভাগ্যের ভাল মন্দের উপর বিশ্বাস ঈমানের সাথে সম্পৃক্ত তাই এটাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। তক্দীর পূর্ব নির্ধারিত কিন্তু এর ভাল মন্দ নির্ভর করে মানুষের আচরণের উপর, এখানে আল্লাহ মানুষের ভবিষ্যত পূর্বেই জানার কারণে পূর্বেই তা লিপিবদ্ধ করেছেন। পূর্বেই লিখে তিঁনি মানুষকে কোনভাবেই খারাপ কাজে প্ররোচিত করেননি বরং তিঁনি ভাল কাজে সহায়তা করে থাকেন। যদিও এটি একটি পরিক্ষা তবুও তিঁনি চান মানুষ জান্নাতপ্রাপ্ত হোক এবং তিঁনি জান্নাত পাবার ব্যাপারে অনুপ্রাণিত করেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন,“কল্যান যা তোমার হয় তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর অকল্যান যা তোমার হয় তা, তোমার নিজের কারনে।”(আল-কুরআন,৪ঃ৭৯)

যদি প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তক্দীর কেন পূর্বেই নির্ধারণ করে রাখলেন ? উত্তর হলো,এটা আল্লাহর ইচ্ছা। তিঁনি যা ইচ্ছা তাই করেন, তবে তিঁনি যুলুম করেন না এবং কারো উপর তার সাধ্যাতীত বোঁঝাও চাপান না। অর্থাৎ মানুষের কাজের ভাল-মন্দের উপর তার ভাগ্যের ভাল মন্দ-নির্ভর করে আর মন্দ কাজে আল্লাহ তাকে প্ররোচিত করেন না। আল্লাহ তায়ালা বলেন, “যারা সৎ পথ অবলম্বন করবে তারা তো নিজেদের মঙ্গলের জন্য তা করবে আর যারা পথভ্রষ্ট হবে; তারা তো পথভ্রষ্ট হবে নিজেদের ধ্বংসের (পথে থাকার) জন্যই এবং কেউ কারো ভার বহন করবে না।”(আল-কুরআন,১৭ঃ১৫)

তক্দীরে বিশ্বাস করা ঈমানের অঙ্গ। আমরা এটা নিয়ে কথা না বলে বরং পৃথিবীতে আমাদের দায়ত্বশীলতা নিয়ে কথা বলি এবং সে অনুযায়ী কাজ করি,এটা করার জন্যই আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আমার তক্দীর আল্লাহ কেমনভাবে লিখেছেন তা গবেষণা করার জন্য আল্লাহ আমাকে পাঠায়নি,আর গবেষণা করলেও কিছু জানতে পারব না। অতএব তকদীরে বিশ্বাস করে আমরা কর্মক্ষেত্রে অগ্রসর হই। তক্দীরের জন্য জবাবদিহীতা নাই,জবাবদিহীতা আছে আমাদের উপর অর্পিত কাজের দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে,এটা নিয়ে ভাবতে হবে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন- “যে ব্যক্তি আমার নির্ধারিত তকদীরে বিশ্বাসী আর আমার নির্ধারিত লেখনীতে সন্তুষ্ট,আমার দেওয়া জীবনোপকরণে তৃপ্ত এবং আমার জন্যই প্রবৃত্তির কামনা পরিত্যাগী,সে আমার কাছে কোন কোন ফেরেশ্তার মত মর্যাদাশালী।”(হাদীসে কুদ্সী)

তিঁনি আরও বলেন- “যে ব্যক্তি আমার নির্ধারিত ভাগ্যে সন্তুষ্ট নয়,আমার প্রদত্ত অগ্নি পরীক্ষায় ধৈর্য ধারণ করতে পারে না,তার উচিৎ যে যেন আমাকে ছাড়া অন্য প্রতিপালক অনুসন্ধান করে নেয়।”(হাদীসে কুদ্সী)

সতর্কতা: ইসলামে সবথেকে স্পর্শকাতর বিষয় যদি কিছু থেকে থাকে তবে সেটা তকদীর ছাড়া আর কিছু নয়। কিছু হাদীস পড়লে এমন মনে হতে পারে যে,আল্লাহই আমাদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে আমাদেরকে বাধ্য করছে। কিন্তু মূল বিষয়টা আমি আলোচনা করেছি। আমরা যেন আমাদের দায়িত্ব পালন করি। তকদীর আমরা জানিনা। শুধু বিশ্বাস করতে হবে এবং অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে হবে। তকদীর নিয়ে বিতর্ক করতে রসূল(সাঃ)নিষেধ করেছেন। এটি এমন একটি স্পর্শকাতর সাবজেক্ট যা বেশী কচলা-কচলি করলে ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি খুবই সুক্ষ্ণ। বহু আলিম পর্যন্ত গোমরাহ হয়ে গেছে এই বিষয়টির তাৎপর্য বুঝতে ব্যর্থ হয়ে। তারা আমল ছেড়ে দিয়ে নিজেদেরকে ধ্বংস করেছে।

আল্লাহ আমাদেরকে ভাগ্যবান ও সফলদের কাতারে স্থান দান করুন !

বিষয়: বিবিধ

১৪৯১ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

303080
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৮:৪১
দ্য স্লেভ লিখেছেন : লেখাটি ২বার পড়ার জন্যে অনুরোধ করছি।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:০৪
245164
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : তিনবার পড়লাম ভাই!
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:০০
245233
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আল্লাহ আপনার এবং আমার তকদীরে উত্তম জিনিস রাখুক
303087
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ০৯:৩৬
কাহাফ লিখেছেন :

'ত্বাকদির' সম্পর্কে চমৎকার উপস্হাপনা!
বর্ণনার সাবলীলতা,যুক্তিময় কথকতা সর্বোপরি এ সম্পর্কে যথার্থ অনুসিদ্ধান্ত পাঠককে সঠিক পথেই পরিচালিত করবে ইনশা আল্লাহ!
আল্লাহ আমাদের কে শুদ্ধ বুঝ দান করুন!
জাযাকাল্লাহু খাইরান!!
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:১৬
245139
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
303108
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:২৯
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : মানুষের জন্ম, মৃত্যু, বিশ্বজগতের সুনির্দিষ্ট নিয়মে চলা, মহাবিশ্ব ও পৃথিবীর বড় বড় ঘটনাবলী তাকদীর এর অন্তর্ভুক্ত।

পরকালে মানুষের পুরস্কার ও শাস্তি নির্ধারিত হবে কর্মফলের ভিত্তিতে। আল্লাহ মানুষকে ইচ্ছা ও কর্মশক্তির স্বাধীনতা দিয়েছেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:০৮
245161
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জি ঠিক। জাজাকাল্লাহ খায়রান
303122
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০২:২৯
মোতাহারুল ইসলাম লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান। খুবই গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষামুলক পোস্ট।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৫৬
245229
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
303125
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ দুপুর ০৩:১২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সঙ্গতিহিনে আমি শিখায়েছি ভাগ্যের কথা যতন করি,
ধনির চক্ষে পুঁজির স্বপন লোভন-শোভস দিয়েছি ধরি।
প্রচলিত ইংরেজি প্রবাদ হচ্ছে "ফরচুন ফেভার দ্য ব্রেভ" পৃথিবিতে এর উদাহরন ও অনেক আছে। তাকদির এর কথা বলে যারা দুনিয়া বিমুখ হতে চান তাদের জন্যই এখন এই পৃথিবির ৯৯% সম্পদ কেন্দ্রিভুত ১% লোকের মালিকানায়।
আমরা এর পরিবর্তন এর চেষ্টা না করে বরং তকদির মেনে সেয়ার কথা বলছি।
"বলিতে পার কি কার হতাশা গড়িয়াছে এই যুক্তিবাদ
মুসলিম তরে হারাম যেন গো এই যুগে সকল যুদ্ধ স্বাদ"
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৫৭
245230
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান
303159
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
আফরা লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান হুজুর ।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৫৮
245231
দ্য স্লেভ লিখেছেন : ওই...আমি হুজুর Smug Smug Smug
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ বিকাল ০৫:০৫
245288
আফরা লিখেছেন : জী আপনি ফটকা হুজুর -----।











Good Luck Good Luck Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rose Rose Rose





শুনেন আপনার সাথে দুষ্টামী করি মাইন্ড করেন নাতো ! মাইন্ডে লাগলে বলবেন আর দুষ্টামী করব না ওকে ---- ।
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৫০
245319
দ্য স্লেভ লিখেছেন : তুই এরুম ক্যারে Smug Smug তেলাপোকার স্যুপ খাওয়াইলে ঠিক হয়ে যাবে....Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:০৩
245416
আফরা লিখেছেন : এটা আবার কি রকম ভাষা হুজুর । আমি তেলাপোকার স্যুপ খাব কেন আমি তো খাদক না !

কে জানি পান্তা ভাতের সাথে তেলাপোকা সেই খাবে তেলাপোকার স্যুপ বুঝেছেন হুজুর ।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:০২
245460
দ্য স্লেভ লিখেছেন : দ্যাখ মেয়ের কান্ড !!Surprised Surprised Surprised কবেকার সেই পান্তাভাতের তেলাপোকার কথা মনে রেখেছে...এরপরও যদি তাকে তেলাপোকা না খেতে দেই,তবে মানুষ তো ছি ছি করবে !!Tongue Tongue

বি:দ্র: কিছু চায়নিজ তেলাপোকা খায়। শুনেছি তেলাপোকার মধ্যে কিছু রোগের প্রতিষেধক ও আছে। ......
303176
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ১০:২৫
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ রাত ০২:৫৮
245232
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার খোটা পড়ব ইনশাআল্লাহ
313661
০৮ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০৩:১৫
জাগো মানুস জাগো লিখেছেন : nice...good explation. jazakallah khair.
১০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:৩৫
255160
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান ভাই

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File