হ্যালোইনের মিস্টি কুমড়া,আমার মিস্টি কুমড়া,পাশের বাড়ি আগুন লেগেছে এবং প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা।
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ০৮:৪৩:৪৪ সকাল
ইদানিং লিখতে তেমন মন চায়না। সস্তা গোছের লেখার কারনে পাঠক কম। ভারী লেখা লিখতে না পারলেও গুরুগম্ভির এবং প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে বেশী লিখলে কেউ বড়জোর হেডিংটা পড়ে,ভেতরেও ঢুকেনা। ফান পোস্ট দিলে কিছু লোকের দেখা পাওয়া যায়। অবশ্য পাঠকের সংখ্যা ভেবেই যে লিখি তাও নয়। তবে বেশী লোক লেখা পড়লে ভাল লাগে। সম্ভবত এর ভেতর একটা মোটামুটি প্রকাশ্য অহংকার রয়েছে। তবে কর্মব্যস্ততা বাড়ার কারনে এবং একইসাথে অলসতা বাড়ায় লেখায় গতি কমেছে।তাতে জাতির গুষ্টি উদ্ধার কিংবা রসাতলে গেছে বলেও মনে হয়না।
বেশ কিছু কঠিন,তরল বায়বীয় ঘটনা ঘটে চলেছে,লিখতে মন চায়,কিন্তু পারিনা। যেকোনো ঘটনার সারাংস লিখলেও মানুষের পড়তে সমস্যা হয়। মানুষ ব্যপক বিজি।
সামনে হ্যালোইন,এ লক্ষ্যে আমেরিকায় সাজ সাজ রব। বিভিন্ন শপিংমলে,স্টোরে হ্যালোইন পোষাক এবং মিস্টি কুমড়া,ক্যান্ডির সমারোহ চোখে পড়ার মত। হলফ করে বলতে পারি,এসব উৎসব ব্যবসায়ীরা ছাড়া আর কেউ প্রমোট করেনি। উৎসব উপলক্ষে ব্যবসাযীরা বিশাল ব্যবসা করে থাকে্ ।
হ্যালোইনের সাতে মিস্টি কুমড়ার কি সম্পর্ক তা জানা নেই। এক বড়ভাইকে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছিলাম-পূর্বে কোনো এক বাটপার কিছু মানুষকে বান্দর বানানোর জন্যে হয়ত মিস্টি কুমড়ার খোল পরিয়ে দিযেছিল এবং বিসয়টি কৌতুককর হয়েছিল। এরপর থেকে ব্যবসায়ীরা দীবস বানিয়ে বান্দরের সাজে অন্যদেরকে মাঠে নামিয়েছে।....
আজ এক ফার্ম হাউস থেকে বিশাল সাইজের মিস্টিকুমড়া কিনলাম। না হ্যালোইনের ব্যাপারে আগ্রহ নেই। আমি মিস্টিকুমড়ার ফ্যান। এই জিনিস বাজারে ওঠা ধরে খেয়ে যাচ্ছি। ছোটবেলায় মিস্টি কুমড়া খেতাম,সেটার স্বাদ ছিল দারুন। ঢাকাতে পরে খেয়েছি কিন্তু হরমোনাল এবং বিষাক্ত হওয়ার কারনে স্বাদ তেমন ছিলনা। কিন্তু এখানে বড় সাইজের মিস্টিকুমড়ার স্বাদও দারুন। এরা বিষাক্ত কিছু মেশায় না। দেখলাম বিভিন্ন রকমের মিস্টি কুমড়ার স্তুপ। প্রতি পাউন্ড মাত্র ২০সেন্ট দরে কিনলাম্ । আজ হালাল স্টোর থেকে অনেক কিছু কিনলাম। রান্না চলছে। আজ প্রথমবারের মত চিড়া দৈ খেলাম,সাথে মধু। বাড়িতে এর সাথে রসগোল্লা যোগ হত।
গত পরশুদিন পাশের বাসার উপরের তলা আগুনে পুড়ে গেছে। রাতে বাসায় ফিরে শুনলাম আমপাশের লোকজন কিছু জড় হয়ে ছবি উঠিয়েছে,এরা রিস্ক নিয়ে পানি ছেটাতে যায় না,তার দরকারও তেমন পড়েনা। দমকল কর্মীরা আগুন যথা সময়েই নিভিয়েছে। এখানে প্রতিটি ব্লকের সাথে ডজন ডজন পানির সংযোগ থাকে,যেটাকে ফায়ার হাইড্রেন্ট বলে। এগুলি আবাসিক এলাকার রাস্তার পাশে কয়েক'শ ফুট পর পর থাকে। এখানে মোটা পাইপ সংযোগ দিয়ে দমকল কর্মীরা আগুন নেভায়। বাসার বাচ্চারা কোনোভাবে অাগুন লাগিয়েছিল শুনলাম।
মাননীয় এক মন্ত্রী সাহেব হঠাৎ করে তার থলের বিড়ালকে বাইরে বের করে দিয়েছেন। সকল মতের মিলনমেলা বানিয়ে সরকার পরিচালনা করলে এরকমই হয়। সকল মতের সরকার যেমন কোনো দিকে গতি নিয়ে চলতে পারেনা,তেমনই এরকম জনগনও কোনো দিকে গুরুত্ব দিয়ে চলতে পারেনা। ফলে সকল বিষয় হয় ভাসমান। এভাবেই সরকার-জনগণ মিলেমিশে ভেসে চলেছে। এতে অন্যরা লাভবান হয়,সেটাই হচ্ছে।
হঠাৎ কেন যে মন্ত্রী লতিফ সাহেব হজ্জ ও রসূল(সাঃ)কে নিয়ে কটাক্ষ করলেন বুঝা গেল না। এরা এতটা বুদ্দিমান হওয়ার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলিমদের অনুভূতিতে কেন আঘাত করে,তা তাদের ঈশ্বর আমেরিকা-ভারতও বোধহয় জানেনা। প্রকাশ্য ইসলাম বিদ্বেষী এ কারনে ভাল যে,তার চরিত্রের ব্যাপারে সে সৎ্ কিন্তু এসব লোক কারো জন্যে ভাল নয়্ । এরা ভাল দালালও হতে পারেনি। হামিদ কারজাইএর মত দালালরা যেখানে গড়াগড়ি দিয়ে পগার পার হল,সেখানে এসব লোকেরা কিসের আশায় এসব করে বুঝলাম না।
বিষয়: বিবিধ
১৩৮১ বার পঠিত, ৪১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এইমাত্র একটি নিউজে দেখলাম ভদ্রলোক নাকি তথন অস্বাভাবিক! ছিলেন। মনে হয় অতিরিক্ত পান করে বেসামাল ছিলেন।
সাপ পালতে সমস্যা নাই তবে বিশদাত রাখলেইতো সমস্য। দেশে অরাজকার তো শেষ নাই। কোন দিকে যে যাই আল্লাহই জানে।
মন্ত্রি পাগলের মুখে...
এদেরকে পাবনা পাঠানো উচিত।
অনেক ভালো লাগলো।
এই সব লোকেরা আসলে দালাল হবারও যোগ্য নয়- আপনার সাথে সহমত।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
তবে বিনা ফীতে একটু উপেদেশ দিয়ে যাই আপনি ও অন্যদের লেখা পড়িয়েন । সবাই বিনিময় চায় ।
হ্যালোউইন, ক্রিসমাস সকিছুই ব্যবসায়িক ফায়দার জন্য পালন হয় ভাই!এর সাথে জীবনানুভূতির কোন মিল নেই!
মন্ত্রী লতিফ সাহেব এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া উচিত!শুভকামনা রইলো ভাই!
হ্যালোউইন, ক্রিসমাস সকিছুই ব্যবসায়িক ফায়দার জন্য পালন হয় ভাই!এর সাথে জীবনানুভূতির কোন মিল নেই!
সত্য কথা বলেছেন
ও,আপনি কি মিষ্টিকুমড়া কিনেছেন? বাজার থেকে সবচেয়ে বড় সাইজের টা কিনে আপনার ছবিসহ পোস্ট দিয়েন
পোলাপান আসলেই প্রতি পাচ-জনের জন্য এরকম একটা ললিপপ ধরিয়ে দিন।
তবে একটা জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন, ব্লগে একেকজন একেক ধরনের লেখা পড়ার উদ্দেশ্য নিয়ে আসে। আপনি কখনোই সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন না। কিন্তু আপনার পাঠকরা আপনার লেখা পড়বেনই
এসব মিষ্টিকুমড়া কেটে ভূত বানানোর চেয়ে খাওয়া ভালো। কি মিষ্টি, কি মজার মিষ্টিকুমড়া! এই জিনিসটা আমারও খেতে খুব ভাল লাগে
অন্যের বিপদে এগিয়ে আসার ব্যাপারটা মানব জাতির রক্ত থেকেই মিসিং হয়ে যাচ্ছে। জিনিসটা আশঙ্কাজনক
অযোগ্য লোককে যোগ্যতার আসনে বসালে এর চেয়ে ভাল আর কি আশা করা যায়?
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু ও ঈদ মুবারাক। আল্লাহ আমাদের ভাল কাজগুলো গ্রহন করুন এবং আমাদের ত্রুটিগুলো ক্ষমা করে দিন, আমীন
মন্তব্য করতে লগইন করুন