ভারত-আওয়ামীলীগ-এর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষের কারণ- এম.আবদুল্লাহ (১৩ তম পর্ব)

লিখেছেন লিখেছেন দূর্বল ঈমানদার ২৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৫৮:২৮ সন্ধ্যা

আগের পর্ব:আগের পর্ব: ১২তম পর্ব

(৪) নেহেরু মানস- নেহেরু ছিলেন চরম মুসলিমবিদ্বেষী ব্রিটিশ শাসকগোষ্ঠীর মানসপুত্র। ছাত্রজীবন থেকে শেষ জীবন পর্যন্ত ব্রিটিশরাই তাঁকে গাইড করেছে। পাশ্চাত্যের মনরো ডকট্রিন, আইসেনহাওয়ার ডকট্রিনের ন্যায় রচিত হয়েছে নেহেরু ডকট্রিন। নেহেরু মানস সাম্রাজ্যবাদী ইউরোপীয়দের সৃষ্ট বর্ণবিদ্বেষ, মুসলিম বিদ্বেষে পরিপূর্ণ ও আধিপত্যবাদী মানসিকতা তার মজ্জাগত। কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি বোধগম্য হবে।

(ক) তদানীন্তন কংগ্রেস নেতা কুমিল্লার আশরাফউদ্দীন চৌধুরীর চিঠির উত্তরে নেহেরু লিখেন- “অখণ্ড ভারতের নীতিকে আমরা জলাঞ্জলি দিয়েছি, একথা সত্য নয়। তবে আমরা কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না। ভারত বিভাগ আমরা মেনে নিবো একটি শর্তে- তা হলো বাংলা ও পাঞ্জাবকে বিভক্ত করতে হবে। কারণ একমাত্র এ পথেই অখণ্ড ভারত পুনরায় ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে। (সূত্র : জাতির উত্থান-পতন সূত্র, পৃষ্ঠা-১৫১)

(খ) ভাইসরয় লর্ড ওয়াভেল কংগ্রেস-মুসলিম লীগ সমঝোতা প্রতিষ্ঠার জন্য আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। কংগ্রেসের চাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি নেহেরুর নেতৃত্বে কেন্দ্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে নির্দেশ দিলে ২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সালে কংগ্রেস কেন্দ্রে ক্ষমতা গ্রহণ করে। ...ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্যার উইনস্টোন চার্চিল সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা গৃহযুদ্ধ ব্যতীত সফল হইবে না। হিন্দুদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার জন্য ক্রিপ্স মিশন অন্যায়ভাবে তার প্রভাব কাজে লাগিয়েছেন। পরে তিনি বলেন, বর্ণহিন্দু মি. নেহেরুর উপর ভারত সরকারের দায়িত্ব অর্পণ মৌলিক ভুল হয়েছে। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের অন্যতম প্রণেতা Lord Temple Wood একটি মাত্র সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় সরকার গঠনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

(সূত্র : I. H. Qureshi, The Struggle for Pakistan, Pp. 277)

(গ) মুসলিম লীগ অন্তর্বর্তীকালীন কোয়ালিশন সরকারে যোগ দিতে রাজি হওয়ায় নেহেরু তা ভালো চোখে দেখেননি। তদুপরি দপ্তর বণ্টনেও তিনি চরম একগুঁয়েমির পরিচয় দেন। ভাইসরয় চাচ্ছিলেন, তিনটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর যথা External Affairs, Home & Defence-এর মধ্যে অন্তত একটি মুসলিম লীগকে দেয়া হোক। নেহেরু এর চরম বিরোধিতা করেন। অবশেষে যে ৫টি দপ্তর মুসলিম লীগকে দেয়া হয় তার মধ্যে অর্থ দপ্তর একটি। কংগ্রেস অর্থ বিভাগের দপ্তরটি মুসলিম লীগকে দিতে এ জন্য রাজি হয়েছিল যে, তাদের বিশ্বাস ছিল মুসলিম লীগ এ দপ্তর চালাতে অপারগ হবে। বরং চালাতে গিয়ে বোকা সাজবে। (সূত্র : : India wins freedom, Abul Kalam Azad, PP-177)

(ঘ)

ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু ১৯৫০ সাল পর্যন্ত (হায়দরাবাদের মতো) তিনবার পুলিশ একশন করে পূর্ব পাকিস্তান দখলের পরিকল্পনা করেছিলেন। এ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন নিরদ চৌধুরী। একপর্যায়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের মতো ব্যক্তি ও সৈন্য ঢুকিয়ে পূর্ব পাকিস্তান গ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের অংশ থাকার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেনি
। (সূত্র : একাত্তরের স্মৃতি, ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন, পৃষ্ঠা-২৪)

[........অসমাপ্ত...উক্ত বইর ৩১/৩২/৩৩ পৃষ্টা দ্রষ্টব্য.....]

পরের পর্ব:

বিষয়: বিবিধ

১১৮৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

347583
২৮ অক্টোবর ২০১৫ রাত ০৮:৫৮
শেখের পোলা লিখেছেন : আর সেই পাকিস্তানের অংশ থাকা অবস্থাতেই ভারত পূর্ব পাকিস্তান নিয়ে গেল৷ এটি কংগ্রেসের দুরদর্শীতা আর বাংঙ্গালীর মীর জাফর চরিত্র৷
১০ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:১৭
289867
দূর্বল ঈমানদার লিখেছেন : ঠিক বলেছেন । ধন্যবাদ ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File