এক নাস্তিকের কথা ও বাস্তবতা

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ১৯ জুলাই, ২০১৩, ০৮:৩৭:০৫ রাত

আমি এক নাস্তিকে ছিনি। তিনি মসুলমানদের সম্পর্কে একটি অসার মন্তব্য করেছিলেন যে, আগামী এক শত বছর পর পৃথিবীতে মুসলমানরা সংখ্যালগুতে পরিণত হবে। আমি তার মন্তব্যের অনেক সমালোচনা করেছিলাম। তার বক্তব্য ছিল নামকা ওয়াস্তে মুসলমান থাকবে ডের, তাদের ওরষে জন্ম গ্রহণ করা সন্তানরাও মুসলাম নাম ধারন করবে কিন্তু বাস্তবে তারা ঈমানদার বিশ্বাসী মুসলামন না। তারা ইসলামকে মানবে তবে বিশ্বাস করবেনা। অসম্ভবকেও মানা যায় তবে বিশ্বাস করা যায় না। যেমন কোন ব্যক্তি মানলো যে পৃথিবীর আকাশে প্রত্যহ দুইটি সূর্য উঠে। আকাশে দুইটি সূর্য উঠা অসম্ভব কেউ বললে বিশ্বাস করা যায় না। তবে কারো মেনে নেয়াটা অসম্ভব নয়। তদ্রুপ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে মা বাবা বলেছেন বা পূর্ব পুরুষরা বলেছেন তাই অনুজরা মানবে তবে বিশ্বাস করবেনা। তারা বিশ্বাস করবে না যে, আল্লাহ আছে, মুহাম্মদ (সঃ) তার প্রেরিত রাসুল , কোরআন আল্লাহ তা'য়ালার বাণী, পরকাল আছে, সেখানে কর্মের হিসাব নিকাশ হবে। তারা মানবে দশে মানে তাই। উক্ত নাস্তিক আরো বলেছেন, তিনি জার্মানীতে যে ইউনিভার্সিটি পড়েছেন সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০% ছাত্র ছাত্রী ধর্মকে মানেন সবাই মানেন তাই, কিন্তু তাদের বিশ্বাস হয় না। তার দাবী ছিল আগামী ১০০ বছর পর পৃথিবীতে মুসলমান নামে থাকবে বাস্তবে তারা ইসলামের রীতিনীনি বিশ্বাস করবে না। বর্তমানে বাংলাদেশের কিছু মিডিয়া, কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সরকার প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের কিছু কিছু ভূমিকায় আমার মনে উক্ত নাস্তিকের বক্তব্য সত্য হতে ২০ বছরও লাগবে না। তারা চান দেশটাকে ইসলামী দল বন্ধ করে দিয়ে, ইসলামী স্কলার ও ব্যক্তিত্ববর্গকে কোণঠাসা করে কথায় কথায় গ্রেফতার করে, মাদ্রাসা শিক্ষা বন্ধ করে দিয়ে এবং কওমী মাদ্রাসাকে তাদের প্রণীত নীতিমালার আওতায় এনে একটি স্যাকুলার রাষ্টে পরিণত করতে। বিভিন্ন ইসলামি ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীদেরকে গ্রেফতার করার সময় তাদের কাছে খাকা ইসলামী বই পুস্তককে জেহাদী বই বলে প্রচার কারে স্যাকুলার রাষ্ট কায়েমের সূচনা করছে। তথাকথিত হলুদ মিডিয়া গুলো মনে করে ইসলামী বই পুস্তক মানেই জিহাদী বই। তারা যেভাবে ইসলামী বই পুস্তককে জিহাদী বই বলে প্রচার করছে, আগামীতে এদেশে মুসলমানরা আপন ঘরে ইসলামী বইতো দুরের কথা একটি পবিত্র কোরআন শরীফও রাখতে ভয় পাবে। এই ভয় যদি আর ৫ বছর এদেশের মুসলমানদের অন্তরে থাকে তাহলে ২০ বছর লাগবে না এদেশের ইসলাম সৌদিতে যেতে। উক্ত হলুদ মিডিয়া,তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ও সরকারের উচ্চমহলের হীন প্রচারনা যদি বন্ধ না হয় তাহলে আমার পরিচিত নাস্তিকের কথা সত্যে প্রমানিত হতে আর দেরি নাই। উক্ত মহলটিকে ধর্মীয় লেবাসে সহায়তা করতে এ দেশের দরবারি মোল্লাদের অভাব নাই। বিষয়টি আমরা হেফাজতে ইসলামের লংমার্চে সময় প্রত্যক্ষ করেছি। হেফাজতে ইসলাম নিরেট ঈমানী চেতনা নিয়ে লংমার্চ করতে ঢাকাভিমুখে গিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়েছিল উক্ত দরবারি মোল্লারা। মুসলমানদের এখনি সর্তক হবার সময়।

বিষয়: বিবিধ

১৩১৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File