আমার ছেলে ও জামায়াতে ইসলামীর বায়না
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ১৮ জুলাই, ২০১৩, ০৪:০৫:০২ বিকাল
আমার বয়স ৩৫ । আমার ছেলের বয়স আর জামাতে ইসলামীর বয়স অনেকটা প্রায় কাছাকাছি। পার্থক্য শুধু আমার ছেয়ের বয়সের সাথে শুন্য নাই অর্থাৎ এককের ঘরে দশকে যায়নি। আর জামায়াতে ইসলামীর বয়সের সাথে শুন্য আছে অর্থাৎ দশক একক নয়। তবে তাদের আচার আচরনে অনেকটা মিল আছে। গত কালের কথা, আমি লেপটপটি নিয়ে ফেসবুকে এক পেজ থেকে অন্য পেজে বেড়াচ্ছি। আমার স্ত্রী পাশে থাকা ডেক্সটপ কম্পিউটার নিয়ে এক পোল্ডার থেকে অন্য পোল্ডারে বিচরন করছে। আমার ছেলের হাতে চোলা বুট সহ একটা কাঁচের বাটি। চোলা খেতে খেতে আমার কাছে এসে বলল।
আব্বু আমাকে একটু গেইম খেলতে দাও। আমি যেহেতু এক বন্ধুর সাথে সেট করছি তাই একটু বিরক্তি হয়ে বললাম, তোমার আম্মুর ওটাতে গিয়ে গেইম খেল। ওমনি রাগ করে হাতে থাকা কাঁচের বাটি ফ্লোরে ফেলে চুর্ণবিচুর্ণ করে ফেললো।
যেহেতু সে আমার একমাত্র আদরের ছেলে তাই আমার উচিত ছিল, তার বায়নাটি শুনা। সাথে সাথে তার কথা মত লেপটপটি তার কাছে সপর্দ করা। সপর্দ না করার খেসারত দিলাম, সুন্দর বাড়ী ভেঙ্গে।
অন্যদিকে জামায়াত-শিবিরও আমার ছেলের মত সরকারের কাছে বায়না ধরেছে, মানবতা বিরোধি অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসি না দিয়ে যেনতেন একটি রায় দিতে অথবা বিচার প্রক্রিয়াটি বাতিল করতে। সরকার তাদের বায়নাটি শুনেনি, তাই খেসারত কিন্তু সরকারকে দিতে হচ্ছে না, দিতে হচ্ছে দেশের সাধারণ জনগনকে। মানুষ অনেক কষ্ট করে, ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে অথবা সম্পদ বিক্রি করে কেনা গাড়ীটি রাস্তায় নিয়ে বের হইছে অথবা রাস্তার পাশে রাখছে, অমনি দেখা গেল ধাউধাউ করে জ্বলে ছারখার হয়ে গেল তার হৃদয়ে ধন। মুহুর্তে নিঃশেষ হয়ে গেল গাড়ী মালিকের হাজারো স্বপ্ন। আমাদের স্থানীয় বাজারে একটি যাত্রীবাহি গাড়ী অনেকদিন বিকল হয়ে পড়ে আছে । গাড়ীটির কি অপরাধ ছিল জানিনা, আজ হরতাল তাই গাড়ীটি পুড়ে ফেললো দুবৃর্ত্তরা।
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন