ইসলামী ব্যাংকের টাকা ও ইনুদের আহাজারি!
লিখেছেন লিখেছেন পুস্পিতা ১৮ মার্চ, ২০১৪, ১০:৫৮:৩৮ রাত
রবীন্দ্রনাথের গল্প দিয়ে শুরু করি...
তিনি মৈত্রেয়ী দেবীকে শোনাচ্ছেন, ''জানো একবার আমার একটি বিদেশী অর্থাৎ অন্য প্রভিন্সের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথা হয়েছিল। সে এক পয়সাওয়ালা লোকের মেয়ে, জমিদার আর কী, বড় গোছের।... আমরা কয়েকজন গেলুম মেয়ে দেখতে। দুটি অল্পবয়সী মেয়ে এসে বসলেন, একটি নেহাৎ সাদাসিদে, জড়ভরতের মতো এক কোণে বসে রইল, আর একটি যেমন সুন্দরী, তেমনি চটপটে। চমৎকার তার স্মার্টনেস। একটু জড়তা নেই, বিশুদ্ধ ইংরেজী উচ্চারণ। পিয়ানো বাজালে ভালো, তারপর মিউজিক সম্বন্ধে আলোচনা শুরু হলো। আমি ভাবলুম, এর আর কথা কি? এখন পেলে হয়! এমন সময় বাড়ির কর্তা ঘরে ঢুকলেন। বয়েস হয়েছে, কিন্তূ শৌখিন লোক। ঢুকেই পরিচয় করিয়ে দিলেন মেয়েদের সঙ্গে, সুন্দরী মেয়েটিকে দেখিয়ে বললেন, 'Here is my wife' এবং জড়ভরতটিকে দেখিয়ে 'Here is my daughter' আমরা আর করব কী, মুখ চাওয়াচাওয়ি করে চুপ করে রইলুম। আরে তাই যদি হবে তবে ভদ্রলোকদের ডেকে এত নাকাল করা কেন!"
বেচারা বাম ইনু! কত আশা, কত স্বপ্ন! আশায় ছিল, সেরাটি পাবে, কিন্তু জনগণ ওদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারও বানায় না। কি আর করা?! দিলাম ছেড়ে সবকিছু উঠে পড়লাম নৌকায়! এখন যদি কিছু উচ্ছিষ্ট হলেও পাই! হুমম, পেয়েছি। আওয়ামী লীগ নামের ডাস্টবিনের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করতে করতে কিছু উচ্ছিষ্ট মিললো! এখন তা ভোগ করতে থাকে ফাইভ স্টার হোটেলের রান্নার ষোল গুষ্টি উদ্ধার করতে থাকে!
ইনুদের না আছে যোগ্যতা সামান্য কিছু রান্না করে খাওয়ার, না আছে কিনে খাওয়ার মুরোদ! ভরসা শুধুই ডাস্টবিন! সেই অযোগ্যতা ঢাকার জন্য এখন ডাস্টবিনের পাশে বসে চলে খিস্তিখেউড়! এতকিছু করলো জামায়াতকে শেষ করার জন্য কিন্তু সবকিছুতেই ফেইল! শকুনের কান্নায় যে গরু মরে না তা ইনুদের দেখে বাস্তবে প্রমাণিত হয়। জামায়াতকে ধ্বংস করার জন্য কত কসরত, কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেলো জামায়াত হিরো আর ইনুরা বিগজিরো।
জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিশ্বরেকর্ড করতে ইসলামী ব্যাংক থেকে তিনকোটি টাকা সাহায্য নিয়েছে স্বয়ং ইনুদের নেত্রী। প্রকাশ্য কত কথা, অথচ আশায় বসে থাকে কখন ইসলামী ব্যাংক এগিয়ে আসবে! কিন্তু ব্যর্থ ইনুর কথা সে টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া উচিত। হ্যাঁ, ভাল তো, ফেরত দিয়ে দাও, কিন্তু তুমি দেখি দাওতো অন্ততঃ এককোটি। পারবে? একটাকা দেয়ার মতো যোগ্যতা নেই, বলে কিনা ইসলামী ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে! চামচিকার আস্ফালন! ভাত দেয়ার মুরোদ নাই, কিল দেয়ার গোসাই!
এরপর আরেকমন্ত্রী, ডাকু নূর! ভারতীয় সিদ্ধান্তে গঠিত সংসদ/সরকারের মন্ত্রীত্ব পেয়েই যে শুরু করেছে সিরিয়াল কিলিং, সেই মন্ত্রী বলে, ইসলামী ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছি ঠিক কিন্তু তা জাতীয় সঙ্গীত প্রোগ্রামের জন্য নয়! তো কেন নিয়েছ? লোপাট করার জন্য?! স্বয়ং তার নেত্রী, পরিষদ সহ টাকা নিয়েছে জাতীয় সঙ্গীত প্রোগ্রামের জন্য আর ডাকু মন্ত্রী জনগণকে বানাতে চায় বোকা! ইসলামী ব্যাংক বলছে, আমরা তিনকোটি টাকা দিয়েছি জাতীয় সঙ্গীত প্রোগ্রামের জন্যই। আর মন্ত্রী বলে সেই টাকা ওই একাউন্টে জমা করা হয়নি!
তাহলে কি সেই তিন কোটি টাকা মন্ত্রী নিজের একাউন্টে জমা করেছে? কারণ মন্ত্রী তার কথার প্রমাণ স্বরূপ জাতীয় সঙ্গীত প্রোগ্রামের একাউন্টও খুঁজে দেখার দাবী জানিয়েছেন! সেই টাকা ওই একাউন্টে জমা না করে মন্ত্রী বা তার নেত্রী কি মেরে দিয়েছে?! এতো ভয়ংকর কথা! দিনে দুপুরে সরাসরি চুরি!
বর্তমান সংসদের গেটের সামনে ভাঙাচোরা একটা সাইকেলে তালা মেরে রেখে যাচ্ছিল এক লোক। তা দেখে হা হা করে ছুটে আসে দারোয়ান। চিৎকার করে বলে, ‘ওই ব্যাটা, এখানে সাইকেল রাখছিস কী বুঝে? জানিস না, এ পথ দিয়ে মন্ত্রী-মিনিস্টাররা যান।’
লোকটা একগাল হেসে জবাব দেয়, ‘কোনো সমস্যা নাই ভাইজান, সাইকেলে তালা মাইরা দিছি।’
বড় বড় ডাকু ও চোররা সব যেন জমা হয়েছে আমাদের সংসদে!
বিষয়: বিবিধ
২২৩৪ বার পঠিত, ৩৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে লিখাটির শুরুটি যেমন, শেষটিও সেরকম হয়েছে! বরাবরের মতো অসাধারণ! অনেক ধন্যবাদ আপনাকে...
আমার সবচেয়ে হাসি পায় এই ইনু মেনন দের দলের এবং এদের সহযোগি বাসদ-সিপিবি এর তথাকথিত নেতারা উপজেলা নির্বাচনের জামায়াতের সাফল্য নিয়ে বিশ্লেষন করে। এদের নিজেদের দলের কয়জন জয়লাভ করেছে সেই প্রশ্ন কেন কোন উপস্থাপক ইনাদের করেননা।
ইসলামী ব্যাংকের উপর চাঁদাবাজি চলছেই । এবং ইসলামী ব্যাংকও দিতে বাধ্য হচ্ছে । ইনু, মেনন আর আসাদ-নূররা এতে বড়ই নাখোশ । অকারণ ইসলামের বিরোধিতা করার যে কুশিক্ষা আজীবন পেয়ে এসেছে এই নাস্তিকেরা, এখন এ থেকে তো বিরত থাকতে পারছে না তারা ।
http://abuls.blogspot.com
ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি ফালতু কাজে টাকা অনুদান দেয়াটাও কতটুকু সুবিবেচনা প্রসূত তাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। ইসলামের রাজনৈতিক উত্থানের আশাবাদীদের হতাশ করেছে তাদের এই কাজটিকে। আওয়ামী লীগের মত একটি ডাস্টবিনের ময়লার ডিপুতে অনুদান দিয়ে তারা কি বুঝাতে চেষ্টা করেছেন আল্লাহই ভাল জানেন। অনেকে বলছেন এটাকে হেকমাহ হিসেবে দেখতে। এছাড়া তাদের আর কোন বিকল্প ছিল না। এটাও একটা অযৌক্তিক ও খোড়া যুক্তি। তাদের এসব কথাবার্তা শুনে সেই বাঘের কাহিনীটিই স্মরণ আসছে বার বার। ছাগলের পালের সাথে বাঘের বাচ্চা বড় হওয়ার ফলে তার নিজের কেরেক্টার ও স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলেছে। না হয় আওমী লীগের মত একটি জঙ্গলী হায়েনা বাহিনীর রাষ্ট্রীয় চাদাঁবাজীর দাতভাঙ্গা জবাব দিতে ভুল করতো না।
ইনু তথা কুত্তাগুলোর ব্যাপারে কিই বা বলা যেতে পারে? রাজনৈতিক বেইশ্যা তথা চতুর্থ শ্রেণীর হারামখোরগুলো গলাবাজি করার সাহস পেয়েছে বাংলাদেশপন্থীতের ভুল পলিসির কারণে।
Enu-chinu-minu, these are enemy of Islam. What can we accept from them!
I don't know...
তয় আস্তে কইতাচি- সত্যিই আবার কইয়া দিয়েন না!!!
শেখ হাসিনায় তিন কোটি টাকার দান লইতেছেন, তাগোরী দুশমনদের ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তার হাত থেকে। আমনেরা দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর এই দ্বিমূখী আচরণের বিরুদ্ধে কিছু না কইয়া কি সব লতাপাতা লইয়া শুধু তেনা প্যাঁচাইতেছেন বলেন তো? তাহার এই কার্য্যে কি প্রমাণ হইলৈা না যে তারা বিগত ৫ বছরে দেশের অর্থনীতির কেমন বারোটা বাজাইয়া দিছে যে এখন তাগোর জানী দুশমনদের কাছে তাগো লাইফলাইন বাঁচাইবার জন্য হাত পাতিয়াছে।
লতাপাতার কাহিনী কইয়া সময় নষ্ট না করিয়া দেশবাসীকে দেশের অর্থনীতির বারটা বাজিয়া যে দেশ অচিরেই বিশ্ব ভিক্ষুকের টাইটেল ধারণ করিতে যাইতেছে, সেই ব্যাপারে সজাগ করেন ভাইসাব, বোন ভাবীগন।
শত প্রনাম তব চরন তলে,
কৃতজ্ঞতার জল নামিছে গলে
আদেশ কর হে-দাদা দেবতা,
হে আমার নব জন্মদাতা-
আদেশ কর মোরে,
তব মন তুষ্টির বন্ধনায়-অবিরত আমি
অদেশ কর হে করুনাময়
আমি ইসলামীত্ব বিসর্জন দিয়েছি
বাঙ্গালী ধর্মের লাগী-হে নঁম নঁম
মুসলমানের মনে মহাতংক আমি
জিহাদের মর্ম বাণীকে-করিয়াছি জঙ্গীবাদ
আমি জিন্দাবাদ তোমারই ক্ষমতায়-হে প্রভু,
আমি বিকৃতির মহা প্রলয়
ইসলামী কিতাব করেছি নিষিদ্ধ-
কোরআনকে করেছি কোনঠাসা,
মুসলিমে দিয়েছি মুশরিকি লেবাস
তব মন তুষ্টির লাগি হে প্রভু,
তুমি দানিয়াছ মোরে-ক্ষমতার সিংহাসন
তোমারই তরে করি তাই জয় বন্ধনা-হে অন্ন দাতা
লুটিয়া পুটিয়া খাই-খাওয়াই তোমারে হে দাতা
রক্তের বন্ধন ভুলিব কেমন করে
যেথা রহিয়াছে-বস্ম পিতামহের,
তব তুষ্টির তরে করিতেছি বঁলি
দিবালোকে-রাজপথে-বীরদর্পে-হে মহারাজ
তুমি দানীয়াছ মোরে ক্ষমতার মানচিত্র
তাই ছিরে ছিরে খাই-তোমাতেই করি বিলিন
তব মনতুষ্টির গান গাই দিবালোকে
জাতে বিজাতে খাওয়াই-এক ঘাটে পানি
মান অপমান যতায় তথায় দানী,
পাপিরে করি মহামহিয়ান-
নেকিরে করি অপমানের মাল্য দান,
ফন্দি ফিকির সব তোমারই দান-হে প্রভু
আরো কিছুকাল কর কৃপা মোরে-
মহাকালে করিব বিলিন-এই মানচিত্রটারে,
সর্বনাশিয়া আসিবো ফিরিয়া-তব চরন তলে
হে প্রভু-ক্ষমতার মহারাজ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন