১০০ টি – মজার তথ্য
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ০৩ জুলাই, ২০১৪, ১২:০৮:০৬ দুপুর
ছোট ছোট বিভিন্ন মজার তথ্য দিয়ে সাজানো এই লেখাটি। এর কোনটাই প্রয়োজনীয় কোন তথ্য নয়, তবে মজাদার। সংগ্রহে রাখতে পারেন বা বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।
১। শিশু বয়সে মানুষের শরীরে ৩০০ হাড় থাকে, বড় হলে কিছু হাড় জোড়া লেগে হাড়ের সংখা হয় ২০৬
২। একটি সাধারন পেন্সিল দিয়ে ৫ কিলো মিটারেরও বেশী লেখা যায়
৩। মানুষের শরীরের চার ভাগের এক ভাগ হাড় থাকে দুই পায়ের পাতায়।
৪। শব্দের চেয়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন প্রথম আবিস্কার – চাবুক।
৫। কোকা কোলার রঙ আসলে সবুজ। এটাকে বাড়তি রঙ মিশিয়ে কালো করা হয়।,
৬। আফ্রিকার মাতামী উ[পজাতীর মধ্যে মানুষের মাথার খুলি দিয়ে ফুটবল খেলার প্রচলন আছে।
৭। মানুষের উরুর হাড় কংক্রিটের চেয়েও শক্ত।
৮। তেলাপোকার মাথা কেটে ফেললেও এটা কয়েকদিন বাচে। এর পরে না খেতে পেরে মারা যায়।
৯। চোখ খোলা রেখে হাচি দেওয়া যায় না। খবরদার, চেস্টাও করবেন না। চোখ খুলে বেরিয়ে যেতে পারে।
১০। ১৩৮৬ সালে ফ্রান্সে , একটি শিশুকে হত্যা করার অপরাধে একটি শুকরকে প্রকাশ্যে ফাসি দেওয়া হয়েছিল।
১১। প্রত্নতত্ববিদেরা ৯০০০ বছর পুরাতন চুইং গাম খুজে পেয়েছেন
১২। বিজ্ঞানীরা অনুসরন করে দেখতে পায় যে প্রজাপ্রতি ৫০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরে যেতে পারে
১৩। এক পাউন্ড মধু উতপন্ন করার জন্য একটি মৌমাছিকে ২০ লক্ষ ফুলের কাছে যেতে হয়
১৪। প্রাচীন জাপানে একমাত্র অন্ধ ব্যাক্তিরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ম্যাসাজ করার অনুমতি পেত
১৫। আঙ্গুলের ছাপের মতন জিহবার ছাপও প্রত্যেকের আলাদা।
১৬। আপনার পুর্বের ২৫ পুরুষ পর্যন্ত আত্মীয় হিসাব করলে আপনার মোট আত্মীয়র সংখা তিন কোটি ছাড়িয়ে যাবে
১৭। আধুনিক মহাশুন্যযানে চড়ে বিশ্বের সবচেয়ে কাছের তারাতে যেতে লাগবে ৭০ হাজার বছর।
১৮। উল্কাপাতের ফলে সব ডাইনোসার মারা গেল। অথচ সেই আমলের প্রানী কুমির, কচ্ছপ বেচে রইল।
১৯। মধু একমাত্র খাবার, যেটা পচে না
২০। এস্কিমোদের (বরফের অঞ্চলের অধিবাসী) ভাষাতে “বরফ” শব্দটির শতাধিক প্রতিশব্দ রয়েছে। কিন্তু ওদের ভাষাতে – “হ্যালো” বলার মতন কোন শন্দ নেই
২১। আইনেস্টাইন কখনো মোজা পড়তেন না
২২। মানুষ ঘুমের ভেতরে সারা জীবনে গড়ে ৮ টি মাকড়শা খেয়ে ফেলে।
২৩। উঠপাখির চোখ তার মাথার ঘিলুর চেয়ে বড়
২৪। সিগারেট লাইটার আবিস্কার হয়েছে দিয়াশলাই এর আগে
২৫। বিশ্বের সবচেয়ে বড় চাকুরীদাতা হচ্ছে ভারতীয় রেলওয়ে যেখানে ১৬ লক্ষ লোক কাজ করে।
২৬। জন্মানোর পরে শিশুরা রঙ দেখতে পায় না। এর পরে আস্তে আস্তে রঙ দেখা শেখে। চেনে আরো পরে।
২৭। গ্রীক জাতীয় সঙ্গীত ১৫৮ লাইন
২৮। ১৫ শতাব্দীর আগের, লেখাতে কোন দাড়ি, কমা ইত্যাদি থাকত না।
২৯। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বীজ় হচ্ছে – নারিকেল
৩০। আপেলের বীজে সায়নাইড (সবচেয়ে মারাত্মক বিষ) রয়েছে।
৩১। সারা বিশ্ব একবার ঘুরে আসতে পারে এমন লম্বা মাকড়শার জালের ওজন হবে মাত্র এক পাউন্ড
৩২। চীন দেশের সবাই যদি একবার, একসাথে ৩/৪ ফুট উপর থেকে মাটিতে লাফ দিয়ে পড়ে তাহলে পৃথিবী তার কক্ষপথ থেকে সরে যাবে।
৩৩। সবচেয়ে ছোট যুদ্ধ হয় ১৮৯৬ সালে ব্রিটেন ও জাঞ্জিবার এর মধ্যে – মাত্র ৩৮ মিনিট।
৩৪। নিজেই নিজেকে সুরসুরি দেওয়া যায় না – এটা চেস্টা করতে পারেন।
৩৫। মানুষের ফুসফুস প্যাচানো বা কোকড়ানো। এটাকে ছড়িয়ে মাদুরের মতন বিছিয়ে দিলে এটি প্রায় একটি টেনিস কোর্টের সমান বড় হবে।
৩৬। কুকুরের শ্রবন শক্তি অসাধারন। আমরা যেই শব্দটা ১০ ফুট দূর থেকে শুনতে পাই সেই শব্দটা কুকুর ১০০ ফিট দূর থেকেও শোনে।
৩৭। সবচেয়ে বেশী মানুষের মৃত্যু ঘটায় যে প্রানী – মশা
৩৮। বিশ্বের সব মানুষকে যদি (অনুপাত ঠিক রেখে) ১০০ জনে নামিয়ে আনতে পারেন। তাহলে এর মধ্যে ৫৭ জন এশিয়ান, ২১ জন ইউরোপিয়ান, ১৪ জন আমেরিকান ও ৮ জন আফ্রিকান পাবেন। আর নিজের কম্পিউটার আছে এমন লোক পাবেন মাত্র ১ জন।
৩৯। হাতি পায়ের আঙ্গুলের উপরে ভর করে হাটে কারন তাদের পাতার পেছনের অংশটিতে কোন হাড় নেই, শুধুই চর্বি।
৪০। জন্মের পর থেকেই আমাদের চোখের আকার একই আছে। কিন্তু নাক ও কান বড় হচ্ছে, বেড়েই চলছে।
৪১। শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী মাংশপেশী – জিহবা
৪২। সাদা ভাল্লুকের লোম সাদা নয় বরং স্বচ্ছ। আলোর প্রতিফলনের জন্য এটাকে আমরা সাদা দেখি।
৪৩। নীল তিমির রক্তের নালী এত মোটা যে এর মধ্যে দিয়ে একজন মানুষ সাতার কাটতে পারে।
৪৪। যারা বাম হাতে কাজ করে অভ্যস্ত তারা একটি বোতলের মুখ পেচিয়ে সহজে খুলতে পারে।
৪৫। কী-বোর্ডের উপরের লাইনেই সব অক্ষর রয়েছে, এমন সবচেয়ে বড় ইংরেজী শব্দ Typewriter
৪৬। বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার কোন ভ্রু নেই
৪৭। পিপড়া কখনো ঘুমায় না
৪৮। টেলিফোনের আবিস্কারক, গ্রাহাম বেল, কখনো তার মা ও স্ত্রিকে ফোন করেননি। কারন তার দুজনেই বধির ছিলেন।
৪৯। শিশুদের হাটুতে বাটি।/ টুপি থাকে না। এটা গজায় ২ বছর বয়সের পরে।
৫০। প্রজাপ্রতি খাদ্যের স্বাদ গ্রহন করে পা দিয়ে।
৫১। কী-বোর্ডে বা শুধুমাত্র হাতে টাইপ করা যায় এমন সবচেয়ে বড় শব্দ - Stewardesses
৫২। ঊটের চোখের পাতা তিনটি
৫৩। টাকা আসলে এক ধরনের তুলা দিয়ে তৈরি, ।কাগজ নয়।
৫৪। পাকস্থলীর ভেতরে, প্রতি ১৫ দিনে, নতুন আবরন তৈরি হয়। তা না হলে পাকস্থলী নিজেই নিজেকে হজম করে ফেলত। হজম করার কিছু না পেলে পাকস্থলী নিজেকেই হজম করা শুরু করে।
৫৫। হাসের ডাকের প্রতিধনি (echo) হয় না।
৫৬। চকলেট কুকুরের শরিরে জন্য এত ক্ষতিকর যে এটা একটি কুকুরকে মেরেও ফেলতে পারে।
৫৭। মানুষের মতন কুকুর বেড়ালও ডান-হাতি বা বাম-হাতি হয়।
৫৮। নকল চার্লী চ্যাপলিন সাজার প্রতিযোগীতায় গোপনে অংশ নিয়ে চার্লী চ্যাপলিন নিজেই ৩য় স্থান অধিকার করেন।
৫৯। লাইব্রেরী থেকে সবচেয়ে বেশী চুরি হওয়ার রেকর্ড করেছে যে বইটি - Guinness Book of Records
৬০। গুহা থেকে বের হবার সময় বাদুর সব সময় বায়ে যায়। কখনো ডানে নয়।
৬১ । ব্রিটিশ পার্লামেণ্টে স্পিকার এর কথা বলার অনুমতি নেই।
৬২। ডিনামাইট তৈরির একটি উপাদান – বাদাম। লিপস্টিক তৈরির একটি উপাদান – মাছের আশ
৬৩। বাঘের শুধু লোমই নয়, চামড়াও ডোরা কাটা।
৬৪। গরম পানি, ঠান্ডা পানির চেয়ে দ্রুত জমে বরফ হয়।
৬৫। উটের দুধ জমে দই হয় না
৬৬। মানুষের ব্রেনের ৮০% ই পানি
৬৭। হাতের নখ, পায়ের নখের চেয়ে ৪ গুন দ্রুত বাড়ে।
৬৮। ডলফিন একই সাথে ঘুমাতে ও সাতার কাটতে পারে।
৬৯। গ্যালিভার্স ট্রাভেল (লিলিপুটের গল্প) গল্পে, মঙ্গল গ্রহের দুটি উপগ্রহ, এর আকার, দুরত্ব ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক বর্ননা রয়েছে। লেখক জনাথন সুইফট এই সঠিক বর্ননা করেন উপগ্রহ দুটি আবিস্কার হবার প্রায় ১০০ বছর আগে।
৭০। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের শরীরে ২ থেকে ৯ পাউন্ড পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া থাকে।
৭১। দুনিয়ার সব সমুদ্রে মোট যত গ্লাস পানি আছে – তার চেয়ে বেশী সংখক পরমানু আছে এক গ্লাস পানিতে।
৭২। মানুষ প্রাচীঙ্কাল থেকে ঘোড়ায় চড়লেও – পা দানি আবিস্কার করতে হাজার বছরের বেশী সময় লেগেছে।
৭৩। আপনার শরীরের পুরাতন কোষ মরে যায়, নতুন কোষ জন্মায়। এভাবে প্রতি সাত বছর পরে শরীরের পুরাতন কোন কোষই আর অবশিস্ট থাকে না। সবই নতুন কোষ। এর মানে, যুক্তিগত ভাবে, ৭ বছর আগের আপনি আর এই আপনি এক নন।
৭৪। গঠন প্রনালী ও কার্য প্রনালীর দিক দিয়ে বিচার করলে গাছ মানুষের ফুসুফুসের ঠিক বীপরিত।
৭৫। ছাগলের চোখের মনি আয়তকার (চারকোনা)।
৭৬। দুনিয়ার সব পিপড়ার মোট ওজন, সব মানুষের মোট ওজনের চেয়ে বেশী
৭৭। পেঙ্গুইন একটি পাথর উপহার দিয়ে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এরা সাধারনত এক সঙ্গীতেই জীবন কাটিয়ে দেয়।
৭৮। কোনদিন দাড়ি না কাটলে বা ছাটলে সেটা বুড়ো বয়সে ৩০ ফুট লম্বা হয়
৭৯। চেঙ্গিস খানের বংশবিস্তার এমন বিশাল ছিল যে গড় হিসাবে আমাদের প্রতি ২০০ জনের মধ্যে একজন তার আত্মীয়।
৮০। কম্পিউটার প্রিন্টার এর কালির দাম পেট্রোল এর প্রায় এক হাজার গুন বেশী।
৮১। মশার দাত আছে। যদিও মশা মাদেরকে কামড়ায় না। হুল ফোটায়।
৮২। স্ট্রবেরী (Strawberry) একমাত্র ফল যার বীজ ফলের বাইরে থাকে
৮৩। ফুটবল খেলোয়াড় একটি ম্যাচে, গড়ে ১২ কি মি দৌড়ায়।
৮৪। মাথা না ঘুরিয়েই পেছনে দেখতে পায় – খরগোশ ও টিয়া পাখি
৮৫। মুল টাইটানিক জাহাজটি বানাতে খরচ হয়েছিল ৭০ লক্ষ ডলার। ওদিকে টাইটানিক সিনেমা বানাতে খরচ হয়েছে ২০ কোটি ডলার।
৮৬। রেগে গেলে জলহস্তির ঘামের রঙ লাল হয়ে যায়
৮৭। পেযাজ ছোলার সময় চুইং গাম চাবালে চোখ জ্বলবে না।
৮৮। তাইওয়ানের একটি কোম্পানী গম দিয়ে খাবার থালা (প্লেট) বানায়। অর্থাৎ আপনি খাবার খাওয়ার পরে প্লেটও খেয়ে ফেলতে পারবেন।
৮৯। জিরাফ পানি ছাড়া উটতের চেয়ে বেশীদিন চলতে পারে।
৯০। বাইরের ধুলা বালি ঘরে না আসলে, আপনার ঘরের বেশীর ভাগ ধুলা বা ময়লা আসে আপনার মৃত চামড়া (কোষ) থেকে।
৯১। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী বিমান আছে যে বাহিনীর কাছে তা হল আমেরিকার বিমান বাহিনী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে আমেরিকার নৌ-বাহিনী। হ্যা, নৌ-বাহিনী।
৯২। স্টারফিশ এক্মাত্র প্রানী যে তার পাকস্থলী উলটে দিতে পারে
৯৩। ইসরাইলের ডাকটিকিটের পেছনে যে আঠা থাকে সেটা “কশার” সার্টিফিকেট প্রাপ্ত। (কশার = ইহুদী ধর্মের হালাল)
৯৪। আমেরিকার ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরী ভবনটি প্রতি বছর এক ইঞ্চি করে মাটিতে দেবে যাচ্ছে। এর কারন হল লক্ষ বইয়ের ওজন। ইঞ্জিনিয়ারেরা ভবনটি বানানোর সময় বইয়ের ওজনের কথা চিন্তা করেনি।
৯৫। মৃত্যদন্ড কার্যকর করার ইলেকট্রিক চেয়ার আবিস্কার করেছিলেন একজন ডেন্টিস্ট (দাতের ডাক্তার)
৯৬। একজন ৭৫ বছর বয়সের মানুষ স্বাভাবিকভাবে মোট ২৩ বছর ঘুমিয়েছে
৯৭। তিমি মাছের জিহবার ওজন একটি হাতির চেয়ে বেশী
৯৮। যেটাকে ইংরেজিতে “ফ্রেঞ্চ কিস” বলে - সেই একই জিনিস ফ্রান্সে “ইংলিশ কিস” নামে পরিচিত। কেউই নিজের ঘাড়ে দোষ নিবে না।
৯৯। প্রতি তিন সেকেন্ডে বিশ্ব ৯ টি শিশু জন্মায়। ওদিকে প্রতি তিন সেকেন্ডে মারা যায় ৪ জন। অর্থাৎ, প্রতি তিন সেকেন্ডে বিশ্বের জনসংখা বাড়ে ৫ জন। তার মানে, আপনি এই দুটি লাইন পড়ার ভেতরেই বিশ্বের জনসংখা ৫-৭ জন বেড়ে গেছে।
১০০। বিডি টুডে তে এটা আমার ১০০ তম লেখা।
।
বিষয়: বিবিধ
৩২৬৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখানে আসলে রোমান সভ্যতা বা মোগল সম্রাজ্যের মতন, জটিল কোন ইতিহাসের ব্যাপার নেই।
- মঙ্গল গ্রহের উপগ্রহ আবিস্কার হয় ১৮৭৭ সালে। ওই সময় এটা নিয়ে পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। ওতে তারিখও দেওয়া আছে।
- জ়নাথন সুইফট তার গল্প লিখেছিলেন ১৭২৬ সালে। ওই বইতেও প্রথম প্রকাশের তারিখ দেওয়া আছে।
কাজেই, ইতিহাসবিদেরা যে সন তারিখ ইত্যাদি ভুল করছেন তা নয়।
জনাথন সুইফট আন্দাজে, মঙ্গলের উপগ্রহ কিভাবে প্রায় সঠিক বর্ননা করল - এটা একটা রহস্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন