উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে নাস্তিক্যবাদীদের দোসররা এক মুহুর্তও টিকবে না -পীর সাহেব চরমোনাই
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ৩০ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৪১:৪৬ সকাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, তাবৎ আল্লাহদ্রোহী শক্তিগুলো ইসলামের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটভিত্তিক অপপ্রচারে নেমেছে। আল্লাহ, রাসুল (সা.), পবিত্র হজ্ব নিয়ে অশ্লীল বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে ৯২ ভাগ মুসলমানদের ঈমান ও আমল ধ্বংস করে দিতে চাইছে। নাস্তিক-মুরতাদদের আস্ফালন দিন দিন বেড়েই চলছে। নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠীকে মদদ দিচ্ছে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে কটুক্তি করলে ২৪ ঘন্টায় বিচার হয় কিন্তু আল্লাহ ও রাসূল সা.-কে নিয়ে কটাক্ষ করলে ২৪ মাসেও বিচার হয় না। ঈমানদার মুসলমানরা এবং উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে নাস্তিক্যবাদীদের দোসররা একমুহুর্তও টিকবে না, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ এবং তার প্রিয় হাবিব মুহাম্মদ সা.-এর বিরুদ্ধে কথা বললে তার বিচার হবে না, তা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। সময় এসেছে ঐ সকল মুরতাদ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার।
বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বাঘারপাড়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে বাঘারপাড়া মাদরাসা চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত উলামা ও সুধী সমাবেশে পীর সাহেব চরমোনাই এসব কথা বলেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা সভাপতি মাওলানা আবু তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি রুহানী কবি বেলাল হোসাইনের পরিচালনায় উলামা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মাওলানা রফিকুল ইসলাম, সাবেক জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা নাজমুল হুদা, অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম, মিয়া মুহা. আব্দুল হালিম, আলহাজ্ব মাওলানা শোয়াইব হোসাইন, আলহাজ্ব আব্দুল মতিন বিশ্বাস, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, শ্রমিক নেতা রুহুল আমীন সাদী প্রমুখসহ শ্রমিক ও ছাত্র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আন্তর্জাতিক পানি আইন লঙ্ঘন করে বাংলাদেশকে স্থায়ী মরু ভূমিতে পরিণত করার জন্য ভারত বাংলাদেশকে এক তরফাভাবে আন্ত:নদী সংযোগ মহাপ্রকল্প হাতে নিয়েছে। তিনি এই প্রকল্প বাতিলে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ভারত যখন এই প্রকল্প চালু করার জন্য মরিয়া তখনও সীমান্তে বাংলাদেশীদের নির্মমভাবে হত্যা করছে। কাজেই ভারতের সাথে কোনো চুক্তি নয়, সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
এদিকে সন্ধ্যায় শহরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে ইসলামী সম্মেলনে পীর সাহেব চরমোনাই প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৪ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাতিলকে মোকাবিলা করতে হলে সব ইসলামী শক্তিকে মতভেদ ভূলে ঐক্য গড়তে হবে।
ঐক্য ছাড়া তো কিছু্ই সম্ভব নয়। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
জিবনে কল্পনাও করিনি এমন বিচিত্র কিছু দেখব।
উলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ হলে নাস্তিক্যবাদীদের দোসররা এক মুহুর্তও টিকবে না
এই কথায় কোন সন্দেহ নাই, এমনকি হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, খৃষ্টানেরাও বিশ্বাস করে। প্রশ্ন হল, ঐক্য করার জন্য কে কতটুকু চেষ্টা করেছে? বাংলাদেশে ঐক্য হবার জন্য সবচেয়ে বড় বাধা মতবাদ নয়। কে সে ঐক্য প্রচেষ্টার জোটে প্রধান হবেন, সেটা নির্ধারণ করাই বড় বাধা। হাফেজী হুজুরের সময় প্রায় সকল আলেম এক সাথে ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর সবাই বিচ্ছিন্ন কাঁচের টুকরার মত খন্ড-বিখন্ড হয়ে গেল সেই একটি মাত্র কারণে কে হবেন 'প্রধান'।
এক বনে নাকি দুই বাঘ থাকেনা কিন্তু ইসলামী জলসার ময়দানে অসংখ্যা বাঘ। তাই কেউ কারো আনুগত্য করতে রাজি নয়, আবার সবাই আনুগত্য করবে এমন ব্যক্তিরও জন্ম হয় নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন