মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে সকল অপশক্তি ধ্বংস হয়ে যাবে -পীর সাহেব চরমোনাই
লিখেছেন লিখেছেন এম এম নুর হোসাইন মিয়াজী ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৫৯:১৬ দুপুর
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ জাম্বুরি মাঠের তিন দিনব্যাপী চরমোনাইর বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বাদ ফজর আখেরি মুনাজাতের মধ্যদিয়ে মাহফিল সমাপ্ত হয়। আখেরি মুনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাইয়ের পীর হযরত মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। মুনাজাতপূর্ব বয়ানে তিনি ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ভক্ত-মুরিদানদের উদ্দেশ্যে মহানবী (সা.) এর পূর্ণাঙ্গ অনুসরণে জীবন পরিচালনার তাগিদ দিয়ে বলেন, মহানবী (সা.) মৌলিক চারটি কর্মসূচি পরিচালনা করে গেছেন, ঈমান-আমল, ইলম, দাওয়াত ও জিহাদ। প্রকৃত মুসলমান হতে হলে ঈমান এবং আমলে পাক্কা হতে হবে। আমলের পূর্বে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা ফরজ এবং সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ-অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে হক কথা বলাও ফরজ।
তৃতীয় দিনের আখেরি বয়ানে পীর সাহেব চরমোনাই ধর্ম ও নীতি-নৈতিকতাহীন রাজনীতি ও দলাদলির ব্যাপারে ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সতর্ক করে বলেন, পরকালে ভোটেরও হিসেব হবে, যে যাকে ভোট দেয়, সমর্থন করে এবং দল করে নেতাদের দুর্নীতি-দুঃশাসন, চুরি-লুটের গোনাহেরও ভাগী হতে হবে সবাইকে।
তিনি বলেন, ক্ষমতা নয়, মানুষের ইহ-পরকালীন কল্যাণ এবং ইসলামের ন্যায়-ইনসাফের আদর্শের ভিত্তিতে জনকল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। পীর সাহেব চরমোনাই কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ইসলামী আদর্শের যথাযথ বাস্তবায়নে মুসলিম উম্মাহর সার্বজনীন ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কারো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি এবং কাউকে ক্ষমতা থেকে নামানোর লাটিয়াল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া ইসলামপন্থিদের কাজ নয়, পবিত্র কুরআন ও সুন্নতের আদর্শকে বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইসলামপন্থি ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশ থেকে সকল অপশক্তি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
মাহফিলে বরেণ্য ওলামায়ে কেরামের মধ্যে বয়ান পেশ করেন আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, হযরত মাওলানা হাফেজ ইউনুস আহমদ, জামিয়া নাজিরহাটের মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা মুহাম্মদ ইদরিস, চরমোনাই ইউপি’র চেয়্যারম্যান ও সাহেবজাদা হযরত মাওলানা আবুল খায়ের মুহাম্মদ ইসহাক, হযরত মাওলানা আবু বকর প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১১৪১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শুনতে খারাপ লাগলেও একটি সুন্দর উদাহরণ দিয়েছেন বাংলাদেশে ইসলামী ঐক্য নিয়ে কাজ করেন এমন এক মডারেটর। তিনি বলেছেন,
এসব আলেম নিজের কথার উপর স্থির থাকতে পারেনা। পুরো রাত শলা পরামর্শ করে কোন সিদ্ধান্তে উপনীত হলে, সকালেই তা পণ্ড হয়ে যায়। তিনি উপমা হিসেবে দিয়েছেন, একটি ঝুড়ির মাঝে যেমন ১০টি ব্যাঙ রাখা দায়, তেমনি একটি মঞ্চে ১০জন আলেম রাখাও দায়। কেয়ামতের দিন এসব আলেমের দশা অনেক জাহেল ব্যক্তির চেয়েও করুন হবে। অনেক ধন্যবাদ।
আমি আপনার এ কথার সাথে একমত নয়।
১.আশা করি আপনি দু,একটি উপমা পেশ করবেন।
২.উনার ঐক্যর মাপ-কাঠি হল কুরআন - সুন্নাহ।কিন্তু কতিপয় আলেমের চরিত্র হলো ঐক্য গঠন করার পর পরই তারা হয়তো খালেদা বা হাসিনার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। আর তখনই তিনি সেখান থেকে সরে আসেন।ইহা কি উনার অপরাধ??
৩.নেতৃত্বের ব্যাপারে অবশ্যই পশ্ন আসবে ,ইহাই স্বাভাবিক।এর অন্যতম কারন হলো বিগত দিনে কয়েকটি ইসলামের দলের ঐক্যজোট গঠিত হলে সেই জোটের গঠিত নেতারা জোটের গঠনতন্ত্র থেকে বের হয়ে কেউ খালেদা আবার কেউ হাসিনার সাথে জোট করেছে।
এখন আপনিই বলুন,বিভেদ কে সৃস্টি করলো।
কিন্তু উনার ঘোষনা হল-আমরা খালেদা-হাসিনার লেজুর ভিত্তি হবো কেন? বরং আমাদের নিজেদের ভিতরে ঐক্য হলে খালেদা - হাসিনাগং রা আমাদের কাছে আসতে বাধ্য হবে।
কিন্তু এই সত্যটি আজ আলেম সমাজ উপলব্দি করতে র্সম্পূন্য ব্যার্থ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন