প্রজন্ম চত্বর : কিছু প্রশ্ন
লিখেছেন লিখেছেন বলতে চাই ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০২:৪১:৫৯ রাত
বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা প্রেম হচ্ছে "দেশপ্রেম"! অপ্রিয় হলেও সত্য এটা।
কোন ডেটিঙয়ের ঝামেলা নেই, উপহার দিতে হয়না। শুধু মুখে বললেই হয়,আমি আমার দেশকে অনেক বেশি ভালোবাসি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়ে আদালতের রায়কে কেন্দ্র করে শাহবাগ থেকে সারাদেশ ব্যাপী যে গণজাগরণ শুরু হয়েছে তাতে দেশপ্রেমের আসল রুপ দিতে পেরেছে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ তথা আপামর জনসাধারন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দেশ বিরুধী ভুমিকা ও পাক হানাদার বাহিনীকে সহায়তা প্রদান সহ খুন,ধর্ষণ ও লুটপাটের সাথে জড়িত থাকা রাজাকার কাদের মোল্লাকে আদালত যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করে। কাদের মোল্লার পাপের অসংখ্য প্রমাণাদি থাকার পরেও,তাকে ফাঁসির শাস্তি না দেয়ায় দেশের জনগণ রাগে, ক্ষোভে জ্বলে উঠার পাশাপাশি অবাকও হয়। কাদের মোল্লার অপেক্ষা কম অপরাধী পলাতক বাচ্চু রাজাকারের ফাঁসির রায়ই অবাকের কারণ। দেশের সচেতন ব্লগার ও ফেসবুক ইউজারদের সম্মিলিত উদ্যোগে জন্ম শাহবাগ আন্দলনের। শাহবাগ স্কয়ার যা পরবর্তীতে প্রজন্ম চত্বর নামে পরিচিতি লাভ করে। ৫০ জনের সৃষ্ট এ আন্দোলন লাখো মানুষের হয়ে দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে পরে। অরাজনৈতিক হিসেবে পরিচিত এ আন্দোলনের শুরুতে কিছু প্রশ্ন অবশ্য রয়ে যায়, শুধু মাত্র জামায়াত -বিএনপি ঘরনার যুদ্ধাপরাধিদের বিচার কেন তারা চাচ্ছে ? ক্ষমতাসীন দলে কি কোন যুদ্ধাপরাধি নেই ? তারপরেও বুকে আশা বেধেছিলাম শুরু যখন হয়েছে,হয়তো একে একে সবার কথা বলা হবে । লালিত আশাকে মিথ্যে করে তারা আমাদের অবাক করা সব বিষয় দেখাতে লাগল ! সকল যুদ্ধাপরাধিদের ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ঘরে না ফেরার শপথ নেয়ার চরম পত্র পাঠ করান সরকারদলীয় এক নেতা। যিনি আমার মত নব্য ব্লগার ! এরপর দেখি হাস্যকর ঘটনা। রায় প্রত্যাখান করে সরকারদলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। যাদের মানবতা বিরোধী বিচারের সম্মুখীন করা হলে কয়েকশবার ফাঁসি দিলেও কম হবে। তাদের সংহতি ----- (চলবে)
বিষয়: রাজনীতি
১২৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন