মাহনবী সা: এর জীবন আদর্শকে মানবজীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা ছাড়া কোন কল্যান নেই।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৪:২৫:৫১ বিকাল
বিশ্ব নবীর (সা.) জন্মদিন ও মৃতু্্য দিবস একদিনেই। দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে বাংলাদেশ ছাড়াও অনেক মুসলিম দেশ। কিন্তু সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল-আলি শেখ বলেছেন, এমন দিবস উদযাপন করা রীতিমত পাপ। এ ব্যাপারে তিনি মুসলমানদের হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এটি একটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন অনুশীলন এবং ধর্মে অবৈধভাবে তা ঢুকে পড়েছে।এ কথাগুলো তিনি বলেছিলেন গত
শুক্রবার(০২-০১-২০১৫) জুম্মার খুৎবায়। তিনি বলেন, নবীর (সা.) জন্মদিন উদযাপন বিদআত বা পাপপূর্ণ আচার। ইসলামের ইতিহাসের শুরু থেকে তা ছিল না। অন্তত তিন শতাব্দী পর থেকে এটি ইসলামে ঢুকে গেছে। তিনি বলেন, নবীর (সা.) শিক্ষা হচ্ছে তার সুন্নাহ অনুসরণ করা। তার শিক্ষা অনুশীলন করা ও মেনে চলা। রিয়াদে তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে জুম্মার খুৎবায় গ্রান্ড মুফতি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, যারা অন্যকে নবীজির (সা.) জন্মদিন পালন করার আহবান জানায় তারা শয়তান ও দুর্নীতগ্রস্ত। নবীজিকে (সা.) সত্যিকারভাবে ভালবাসতে হলে তার রেখে যাওয়া শিক্ষাকে অনুসরণ করতে হবে। সুন্নাহকে অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে জীবন যাপনই নবীজিকে (সা ভালবাসা। তিনি জুম্মার খুৎবায় বলেন, আল্লাহ বলেছেন, “ বল : যদি তুমি আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন এবং তোমার পাপ ক্ষমা করে দেবেন। ” মুসলমানদের দায়িত্ব হচ্ছে নবীজিকে (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল হিসেবে বিশ্বাস করা। আল্লাহ নবীজিকে (সা.) সারাবিশ্বে পথ প্রদর্শক হিসেবে পাঠিয়েছেন। মুসলমানদের কর্তব্য তাকে ভালবেসে অনুসরণ করা।তিনি আরো বলেন, যারা নবীজির (সা.) শিক্ষাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেয় তাদের হাত থেকে মুসলমানদের রক্ষা করা অন্য মুসলমানদের দায়িত্ব। নবীজির (সা.) শিক্ষাকে অপব্যবহার থেকে বিরত থাকাও প্রতিটি মুসলমানের কর্তব্য বলে এই গ্রান্ড মুফতি বলেন, নবীজিকে (সা.) ভালবাসতে হলে এসব দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে।পবিত্র কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে গ্রান্ড মুফতি বলেন, মুসলমানদের সন্তান সন্ততি, ভাই, পিতা, মাতার চেয়ে আল্লাহ ও তার রাসুল (সা কে অধিক প্রিয় মনে করা উচিত যা বলা হয়েছে সূরা আত্ তওবার ২৪ আয়াতে। আল্লাহ ও তার রাসুল (সা.) কে সব কাজে অনুসরণ করা অবশ্য কর্তব্য। তবে আল্লাহর বিরুদ্ধে যারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে তাদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেন না।তিনি যে কথাগুলো বলেছেন তা সম্পুর্ন সত্য যার প্রমান রয়েছে আলকুরআন ও ছহি হাদিসে।আমাদের উপমহাদেশের কোন কোন আলেম এই দিবস সম্পর্কে কথা বলেছেন।তাদের মতামত হলো আমরা এই দিনে জিকির আজকার করছি ও নবী সা:কে স্মরন করছি।তাদের বলতে চাই নবীজি (সা যখন আমাদের আদর্শ তাঁকে তো আমরা প্রতিনিয়তই মেনে চলছি।শুধু মাত্র একটি দিন ক্ষন কেন? যা তাঁর সাহবারা করেননি।আমরা আমাদের বিবেককে প্রশ্ন করিনা অনেক ক্ষেত্রে।মুসলমানরা ধর্মীয় কোন কাজই করতে পারেনা যদি আলকুরআন ও ছহি হাদিসের অনুমোদন না থাকে।অনেকে বলে থাকেন এত বিজ্গ আলেম তার চেয়ে কি আমরা ভাল জানি? এই মূর্খ লোকদের জন্যই ধর্মে বিদা'আত ঢুকে পড়েছে যারা তাদের বাপদাদা ও তাদের মুরুব্বিদের অনুসরন করেছে।রাসূল সা: এর সময় এ সমস্ত দিবস পালন হয়নি,সাহাবা একরামগন এগুলো পালন করেননি এবং আমরা এগুলো থেকে বিরত থাকবো কারন তারাও আমাদের জন্য আদর্শ।সমাজে শত শত এই রকম বিদাআত মানুষ করে যাচ্ছে এবং হক্কানি আলেমগন তাদের তাদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু মানুষ তাদের জ্গানের কমতি ও মূর্খতার জন্য আমল করছে না।আমাদের প্রত্যেকের উচিত হবে আমাদের আদর্শ নবী মোহাম্মদ সা: কে আমাদের কাজে কর্মে অনুসরন করা ও জানতে হবে তার জীবন কর্ম সম্পর্কে।তাঁর দৈনন্দিন আমল কেমন ছিল,আচার আচরন কেমন ছিল তাঁর পরিবার ,সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) {৫৭০-৬৩২ খ্রি.} ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম (সা.) একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক।কল্যাণকর প্রতিটি কাজেই তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সূরা আল-আহজাব- আয়াত: ২১)।তিনি অবিস্মরণীয় ক্ষমা, মহানুভবতা, বিনয়-নম্রতা, সত্যনিষ্ঠতা প্রভৃতি বিরল চারিত্রিক মাধুর্য দিয়েই বর্বর আরব জাতির আস্থাভাজন হতে সক্ষম হয়েছিলেন। যে কারণে তারা তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বস্ত উপাধিতে ভূষিত করেছিল। তিনি যে বিনয়-নম্র ও সৎচরিত্রের অধিকারী ছিলেন, তা তারা একবাক্যে অকপটে স্বীকার করেছে। দুনিয়ার মানুষকে অর্থের দ্বারা বশীভূত না করে বরং তাদের সদাচরণ, উত্তম ব্যবহার এবং সততার দ্বারা বশীভূত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি সুমহান চরিত্রে অধিষ্ঠিত।’ (সূরা আল-কালাম- আয়াত: ৪)
আত্মমর্যাদাবোধবশত কখনো তিনি মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান ও হেয়প্রতিপন্ন করেননি বা নগণ্য ভাবেননি। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-দল-মতনির্বিশেষে সব মানুষের সঙ্গে সদাচরণ করে পৃথিবীর বুকে শ্রেষ্ঠতর স্বভাব-চরিত্রের অতুলনীয় আদর্শ স্থাপন করেছেন। তাঁর স্বভাব-চরিত্রের মধ্যে বিনয় ও নম্রতা ছিল সদা জাগ্রত। সর্বোত্তম আদর্শের বাস্তবায়নকারী ও প্রশিক্ষক হিসেবেই তাঁকে বিশ্বমানবতার কল্যাণের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি উত্তম চরিত্রের পরিপূর্ণতা সাধনের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ)
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন আচার-আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। কখনো দুর্বল ব্যক্তিকে কটু কথার মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করতেন না। এমনকি কোনো মানুষকে তার সামর্থ্যের বাইরে অসাধ্য কাজে বা কঠিন দায়িত্বে বাধ্য করতেন না। তিনি দরিদ্র অসহায় মানুষের সঙ্গে ওঠাবসা করতেন।সমাজে যে যতটুকু মর্যাদার অধিকারী, তাকে সেভাবেই মূল্যায়ন করতেন। তিনি নম্রতাসুলভ আচরণ প্রদর্শন করার জন্য সাহাবায়ে কিরামদের উপদেশ দিতেন, আচার-ব্যবহারে অযথা রাগ ও ক্রোধ থেকে সর্বদা বিরত থাকার পরামর্শ দিতেন। তিনি মানুষকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নম্র-বিনয়ী হয়, আল্লাহ তাকে উচ্চাসনে আসীন করেন আর যে অহংকারী হয়, আল্লাহ তাকে অপদস্থ করেন।’ (মিশকাত)।তাঁর কাছ থেকে বিধর্মীরাও আশাতীত সুন্দর কোমল আচরণ লাভ করত। তিনি এতই নমনীয় ও কোমলতর ব্যবহারের অধিকারী ছিলেন যে তাঁর পবিত্র সংস্রব কিংবা সামান্যতম সুদৃষ্টির কারণেও অনুসারীরা তাঁকে প্রাণাধিক ভালোবাসত এবং মনে-প্রাণে গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করত। তাঁর কোমল ব্যবহার সম্পর্কে উম্মুল মুমিনীন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘নবী করিম (সা.) কঠোর ভাষী ছিলেন না, এমনকি প্রয়োজনেও তিনি কঠোর ভাষা প্রয়োগ করতেন না। প্রতিশোধপ্রবণতা তাঁর মধ্যে আদৌ ছিল না।
মন্দের প্রতিবাদ তিনি মন্দ দিয়ে করতেন না, বরং মন্দের বিনিময়ে তিনি উত্তম আচরণ করতেন সব বিষয়েই। তিনি ক্ষমাকে প্রাধান্য দিতেন। তিনি এতটা বিনয়ী ও নম্র ছিলেন যে কথা বলার সময় কারও মুখমণ্ডলের প্রতি দৃষ্টি নিবন্ধ করে কথা বলতেন না। কোনো অশোভন বিষয় উল্লেখ করতেন না।’
তিনি সব সময় মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলতেন ও সদালাপ করতেন। তাঁর মধুর কথায় সবাই অভিভূত হতো। তাঁর অভিভাষণ শুনে জনসাধারণ অশ্রু সংবরণ করতে পারত না। তিনি জনগণকে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘দয়ালু প্রভু আল্লাহর ইবাদত করো, ক্ষুধার্তকে খাদ্য প্রদান করো, সালামের বহুল প্রচলন করো এবং এসব কাজের মাধ্যমে বেহেশতে প্রবেশ করো।’ একদা এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-কে ইসলামে সবচেয়ে ভালো কাজ কোনটি প্রশ্ন করলে তিনি উত্তরে জানালেন, ‘অভুক্তকে খাওয়ানো আর চেনা-অচেনা সবাইকেই সালাম করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)
তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার, পরোপকারী, সহজ-সরল অনাড়ম্বর জীবনের অধিকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ একজন আদর্শ মহামানব। একবার এক ব্যক্তি নবী করিম (সা.)-এর দরবারে এসে তাঁর ইস্পাতকঠিন ব্যক্তিত্ব ও গাম্ভীর্য লক্ষ করে ভয়ে কাঁপতে লাগল।এতদর্শনে তিনি লোকটিকে স্বাভাবিক করে তোলার জন্য বললেন, ‘থামো, নিজেকে সংযত করো! আমি তো এমন এক মহিলার গর্ভজাত সন্তান, যিনি শুকনো গোশত ভক্ষণ করতেন।’ মানুষের সঙ্গে এমন সদাচরণ একান্তই উদারতার পরিচায়ক। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম বিরল ব্যক্তিত্বের সন্ধান কখনো মেলে না। এমনিভাবে তিনি মানুষের প্রতি কঠোর সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা ওহির মাধ্যমে আমার কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন যে নম্রতা ও হেয়তা অবলম্বন কোরো। কেউ যেন অন্যের ওপর গর্ব ও অহংকারের পথ অবলম্বন না করে এবং কেউ যেন কারও ওপর জুলুম না করে।’ (মুসলিম)।তিনি বহুলাংশেই স্বাবলম্বী ছিলেন। নিজের প্রয়োজনে কারও ওপর নির্ভরশীল হতেন না। নিজ হাতে জুতা মেরামত করতেন, কাপড় সেলাই করতেন, দুধ দোহন করতেন। সেবকদের কাজে সহায়তা করে আটা পিষতেন। নিজ হাতে রুটি তৈরি করে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে খেতেন। নিজে হাটবাজার থেকে সওদা করে নিয়ে আসতেন। পরিবারের কেউ কোনো কাজের সহায়তা কামনা করলে তখনই সাহায্যের জন্য সাড়া দিতেন।
তাঁর পারিবারিক কার্যকলাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বাড়িতে অবস্থানকালে পরিবারের কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত থাকতেন। যখন নামাজের সময় হতো তখন তিনি নামাজের জন্য উঠে যেতেন।’ হজরত আনাস (রা.) বলেছেন, ‘পরিবারের প্রতি অধিক স্নেহপ্রবণ হিসেবে নবী করিম (সা.) থেকে বেশি অগ্রগামী আমি আর কাউকে দেখিনি। তিনি দিবারাত্রির সময়টুকু তিন ভাগে ভাগ করে নিতেন। এক ভাগ- ইবাদত-বন্দেগি করতেন। অন্য ভাগ- পরিবার-পরিজনের গৃহকর্মের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতেন। আর এক ভাগ- সময় তিনি নিঃস্ব-দুস্থজনদের জনসেবায় ব্যয় করতেন। কোনো জরুরি অবস্থা দেখা না দিলে সাধারণত এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটত না।
মহানবী (সা.) সৎ স্বভাব, সত্যনিষ্ঠা, সৌজন্যবোধ, বিনয় ও নম্রতার যে অনুপম শিক্ষা দিয়েছেন, তা আমরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে পারস্পরিক সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে পারি। তাঁর সাধারণ জীবনযাপন, বিনম্র আচার-আচরণ, উপদেশাবলি অনুশীলন করলে এবং আদর্শ গুণাবলি নিজেদের জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনুশীলন করে চললে মানুষ ইহকালীন কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তি লাভে ধন্য হতে পারে।তাই নবী করিম (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ থেকে মানুষের প্রতি সর্বোত্তম ব্যবহার, বিনয়ী চরিত্র, বিনম্র ব্যক্তিত্ব, আনুগত্যতা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনসেবা ও মানবকল্যাণ সুনিশ্চিত করা বাঞ্ছনীয়।দেশে লাগাতার অবান্চিত ঘটনাগুলো সংগঠনের ও জনজীবন বিপর্যস্ততার জন্য দায়ী হলো মানুষ নামের পশুত্ব এমনকি পশুর চেয়েও অধম।ক্ষমতার লোভ মানুষকে বেপোরোয়া করে তোলে।আজকের পৃথিবীতে যারা মুসলিম দেশগুলো শাসন করছে তাদের চরিত্রগুলোকে রাসূল সা: এর চরিত্রের সাথে তুলনা করলেই তো আমরা বুঝতে পারি ন্যুনতম গুনাবলীগুলো বর্তমান নেই।শান্তি স্হাপন করার জন্য দরকার একে অন্যের কল্যান কামনা করা।আমরা মুসলমানরা এই বিশেষ একটি গুনও অর্জন করতে পারিনি।আমরা আমাদের বিভক্ত করে যে যার মত ইসলামকে প্রচার করছি,নিজের তৈরি করা মতবাদ দিয়ে কর্মিবাহিনীকে প্রশিক্ষন দিচ্ছি আর ক্ষমতা ভাগাভাগির রাজনীতি করছি।সুতরাং যে কোন জাতীয়বাদকেই ইসলাম হারাম করে দিয়েছে।ইসলামের জাতীয়বাদ হলো ইসলাম।ইসলাম কায়েম করতে হলে নবী সা: এর আদর্শ মেনে চলতে হবে ও তাঁর চরিত্র ও চলার পথকে পাথেয় করতে হবে তবেই অর্জিত হবে দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
দয়া করে বলবেন কি ২৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় দিবস পালন করা কি সোয়াবের কাজ ?
দয়া করে বলবেন কি অত্যাচারী রাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্য কি সোয়াবের কাজ ?
দয়া করে আমার এই দুইটা লেখা পড়ুন । এগুলোর একটা কিছু কপি পেস্ট আছে
সবাইকে আমার বরকতময় লেখাদ্বয় পড়ার জন্য অনুরোদ করছি ।
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য এবং বিশ্বব্যাপী ঈদে মিলাদুন্নবী পালন আর টুডে ব্লগের সম্পাদকের মৃত্যু কামনা করে দুয়া করা ওয়াজিব
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/60105
সবাইকে " ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) " উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা
http://www.bdmonitor.net/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/59979
তাহলে তিনি কি ?
মিশরের মুরশীকে উৎখাত ও গাজায় ইহুদীদের হত্যাকান্ড দেখার পর সৌদি আরবের বাদশাহ আর হুজুরদের সাধারণ মুসলিমরা শয়তান নয় , শয়তানের চেয়ে বড় কিছু মনে করে ।
সমস্যা হলে মুসলিমদের মধ্যে সব সময়ও কিছু আগাছা থাকে । আর এসব আগাছার গলার জোড় ও ক্ষমতার জোড় বেশী ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন