বর্তমান অধিকাংশ মুসলিম ধর্মান্দে বিশ্বাসি,কাজে আক্কিদার পরিপন্থি, শির্ক ও বিদা'আতের আনুসারি বলে হেরে যাচ্ছে।

লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৩:০৪:৫১ দুপুর

মুসলিম জাতির ইতিহাস এক ঐতিহ্যমন্ডিত ইতিহাস। সাড়ে চৌদ্দশ বছর ধরে মিট মিট করে আলো জ্বালিয়ে আসছে।অতীতের একজন মুসলিমের সাথে যারা বসবাস করেছিল তারা তাদের সুগন্ধ বয়ে বেড়াতো।কোন বিবাদ নেই,পারস্পরিক সহযোগিতা তাদের পরস্পরের সৌহার্দ বৃদ্ধি করতো।তারা ছিল পরোপকারি,উদার ও এককথায় সমাজ শৃংখল এক সম্প্রদায়।কালের করাল গ্রাসে সেই সমাজের বিলীন হয়ে অশিক্ষা ও অন্ধকারে তাদের জীবন ছেয়ে গেছে।আজ ইসলাম বলতেই বোঝানো হচ্ছে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও মানুষ হত্মাকারি হিসেবে।আসলে কি মুসলমানের এই পরিচয় না আর কিছু। সূরা আল মা'য়েদার ২ আয়াতে ইসলামী কল্যাণময় সমাজে পারস্পরিক উত্তম আচরণের মূলনীতি প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন,'সওয়াবের কাজ ও তাকওয়া অবলম্বনে তোমরা পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে কেউ কাউকে সহযোগিতা করবে না। আল্লাহকে ভয় করবে। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তিদানে অত্যন্ত কঠোর।' এই আয়াত যদি একজন মুসলিম মেনে চলে তাহলে মুসলিম দেশগুলোতে মানুষ হত্মা সহ যে অনাচার গুলো হচ্ছে তা হয় কেমন করে? আসল কথা হলো একজন মুসলিম তার আদর্শ ও মুলনীতি থেকে অনেক দূরে সরে গেছে।ধর্মপরায়ণতা আর ধর্মান্ধতা এক নয়। খুন-খারাবি, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ইসলামের শিক্ষা নয়। পবিত্র ধর্ম ইসলাম এ সবে বিশ্বাসও করে না। যারা এসব অপকর্ম করে তাদের কোন ধর্ম নেই, সীমানা নেই। আল্লাহ সূরা আল ইমরানের ১৯ আয়াতে বলেন,' নি:সন্দেহে আল্লাহর কাছে ধর্ম হলো ইসলাম।' ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম আর মুসলিম হলো যে ইসলামের আনুগত্য করে। তাহলে একজন মুসলিম যদি সত্যিকার অর্থে ইসলামের আনুগত্য করে সে ছোট বা বড় কোন রকম অপরাধ করতে পারে না।যারা ইসলামের নামে বা অন্য কোন মুসলিম নামের অপশক্তি বোমাবাজি, মানুষ হত্যা করছে, মানুষের হাত-পা কাটছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে, যারা আন্দোলনের নামে ছোট শিশুদের হত্যা করছে, নৈরাজ্য-সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করছে, তারা কখনো মুসলিম হতে পারে না।ইসলামী দেশগুলোতে কিন্তু মারামারি, হানাহানি, কাটাকাটি লেগেই আছে। তাদের উস্কানি দিচ্ছে কারা? কারা হানাহানি বাঁধিয়ে ফায়দা লুটছে? মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অনেক সম্পদের অধিকারী। অথচ সেই দেশে এই গোলমালগুলো বাঁধিয়ে, মুসলমান-মুসলমানদের মধ্যে গোলমাল লাগিয়ে দিয়ে কারা ফায়দা লুটছে? তারা কোন ধর্মের লোক? ইসলামকে ধংস করার জন্য ইহুদি ও খৃষ্টানদের চক্র মুসলিমদের ভিতরে ঢুকে পড়েছে আর ইসলামি শাসকরা পশ্চিমা শক্তিগুলোর সাথে আপস করে নিজেদের শক্তিকে খর্ব করে দিন দিন তাদের পদানত হয়ে পড়ছে।কোরআন ও সূন্নাহর আলোকে সংশোধিত ও বিকশিত একটি কল্যাণময় সমাজ দুনিয়ার বুকে যেন জান্নাতের একটি টুকরা। অশান্তি, হানাহানি, জুলুম, পাপ ও পঙ্কিলতা সেখানে অনুপস্থিত। সর্বত্র শুধু প্রশান্তি, কল্যাণ, ইনসাফ ও পবিত্রতার সুবাতাস। এ ধরনের একটি কল্যাণময় সমাজের পারস্পরিক উত্তম আচরণ সম্পর্কে কোরআন ও হাদীসে বহু নির্দেশনা রয়েছে। সূরা আলইমরানের ১০৪ আয়াতে আল্লাহ বলেন,'তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকা প্রয়োজন যারা (মানুষকে) কল্যাণের পথে আহ্বান করবে, সৎ কাজের আদেশ দেবে, অসৎ কাজে নিষেধ করবে। এরাই সফলকাম।' রোজ ক্কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিমদের জন্য একটি দল সাড়ে চৌদ্দশ বছর কোরআন ও সূন্নাহের তদৃছ দিয়ে আসছে। আজ মুসলিমরা নিজেদের দলে উপদলে বিভক্ত করে ফেলেছে নিজেদের স্বার্থের কারনে। প্রতিটি মুসলিম দেশেই মুসলিমরা এখন অসংখ্য দলে বিভক্ত। আল্লাহ সূরা আন'য়ামের ১৫৯ আয়াতে এদের সম্পর্কে স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,'নি:সন্দেহে যারা তাদের ধর্মকে বিভক্ত করেছে এবং বিভিন্ন দল হয়ে গেছে ,তাদের জন্য তোমার কোন দায়িত্ব নেই,নি:সন্দেহে তাদের ব্যাপার আল্লাহর কাছে, তিনিই এর পর তাদের জানাবেন যা তারা করে চলতো।' কুরআনের এ রকম আয়াত স্পষ্ট হওয়ার পরও কেন মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি তা বোধগম্য নয়। অবশ্য আবুদঊদের হাদিসে রাসূল সা: বলেছেন,' ইহুদি ৭১ দল,খৃষ্টান ৭২ দল ও আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। ইহুদি ও খৃষ্টান এবং রাসূল সা: এর উম্মতের ৭২ দল জাহান্নামে প্রবিষ্ট হবে এবং মাত্র এক দল জান্নাতে প্রবেশ করবে।

মানুষের প্রতি মানুষের যদি দয়া ও অনুগ্রহ থাকে তাহলে কোন রকম সামাজিক বিপর্যয় আসতে পারে না।আর ইসলাম-ই এ শিক্ষা দিয়েছে।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : দয়ালুদের প্রতি আল্লাহ দয়া করেন,যারা জমিনে আছে তাদের প্রতি তোমরা দয়া কর, তাহলে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। যে ব্যক্তি দয়ার বন্ধন ছিন্ন করে আল্লাহও তার সাথে দয়ার বন্ধন ছিন্ন করেন। (আবু দাউদ, তিরমিযী : ১৮৭৪, হাসান ও সহীহ্)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা দয়াময় রহমানের ইবাদাত কর, (মানুষকে) আহার করাও এবং ছালামের ব্যাপক প্রসার কর, তবেই শান্তিতে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (তিরমিযী : ১৮০৩, হাসান ও সহীহ্)।

হজরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যাক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না আল্লাহ তাকে দয়া করেন না। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী : ১৮৭৯, হাসান ও সহীহ্)।

একজন মুসলিমের একটা বড় চরিত্র হলো তার মুসলিম ভাই এর কল্যান কামনা করা ,সহমর্মি হওয়া, বিনয় ও নম্র হওয়া এবং উত্তম ব্যাবহার করা।এমনকি একজন অমুসলিমের প্রতি সদয় থাকা।হজরত জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে নামাজ কায়েম, জাকাত প্রদান ও প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনার শপথ করেছি। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী : ১৮৭৬, হাসান ও সহীহ্)।

হজরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : দ্বীন হল কল্যাণ কামনার নাম। একথা তিনি তিনবার বলেন। সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! কার কল্যাণ কামনা করা? তিনি বললেন : আল্লাহ, তাঁর কিতাবের, মুসলিম নেতৃবর্গের এবং মুসলিম সর্বসাধারণের। (তিরমিযী : ১৮৭৫, হাসান ও সহীহ)।হজরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের পার্থিব কষ্টসমূহের একটি কষ্ট দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার একটি বড় কষ্ট দূর করে দিবেন। যে ব্যক্তি কোন অভাবীর অভাবের কষ্ট লাঘব করে দেয়, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার অভাবের কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন রাখে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। বান্দা যতক্ষণ তার মুসলিম ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে আল্লাহও ততক্ষণ তার সাহায্য করতে থাকেন । (মুসলিম, তিরমিযী-১৮৮০ : হাসান )।হজরত আবু হুরাইরা (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : জাকাত বা দানে কখনো সম্পদের ঘাটতি হয় না। মা ও উদারতার দ্বারা আল্লাহ মান-সম্মান বৃদ্ধি করে দেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য বিনয় ও নম্রতা অবলম্বন করে আল্লাহ তাকে সমুন্নত করেন। (মুসলিম, তিরমিযী : ১৯৭৮, হাসান ও সহীহ্)।হজরত আবু যার (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন : তুমি যেখানেই থাক আল্লাহকে ভয় কর। খারাপ কাজ হয়ে গেলে পরপরই ভাল কাজ কর, তাতে খারাপ দূরীভূত হয়ে যাবে। আর মানুষের সাথে উত্তম ব্যবহার কর। (তিরমিযী : ১৯৩৭)

হজরত ইবনে আব্বাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্র্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের স্নেহ করে না, বড়দের সম্মান করে না, সৎকাজের নির্দেশ দেয় না, অসৎ কাজে বাধা দেয় না সে আমাদের (দলভুক্ত) নয়। (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিযী : ১৮৭১)

সত্যবাদিতা একজন মুসলিমের মহান একটি গুন যা বর্তমান মুসলিমের মধ্যে অবর্তমান।ঘরে বাইরে , আফিস আদালতে খুব কম মানুষ পাওয়া যায় যারা সত্যের সাক্ষি হয়ে বেঁচে আছে। সমাজিক আদান প্রদানে এটা খুবই পরিলক্ষিত হচ্ছে।মুসলিমরা এখন সুদ দিচ্ছে ও সুদ খাচ্ছে,ব্যাবিচার করছে,চুরি রাহাজানি করছে,মিথ্যাচার করছে, একে অন্যকে ঠকাচ্ছে ইত্যাদি। ইসলামের স্বর্ন যুগে তো এগুলো ছিল না। তাহলে মুসলিমরা এখন কুরআন ও হাদিসের অনুশীলনে জীবন যাপন করছে না। যদি একজন মুসলিমের জীবনে তার মৌলিক বিষয়ের চর্চা না থাকে তাহলে কি করে সম্ভব ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা অবশ্যই সত্য অবলম্বন করবে। কেননা সততা মানুষকে কল্যাণের পথে নিয়ে যায়। কোন মানুষ সদা সত্য কথা বলতে থাকলে এবং সত্যের উপর মনোযোগী থাকলে শেষ পর্যন্ত আল্লাহর দরবারে পরম সত্যবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। আর তোমরা অবশ্যই মিথ্যা পরিহার করবে। কেননা মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে পথ দেখায়, আর পাপ দোযখের দিকে নিয়ে যায়। কোন বান্দা সর্বদা মিথ্যা বলতে থাকলে এবং মিথ্যার প্রতি ঝুঁকে থাকলে শেষ পর্যন্ত সে আল্লাহর দরবারে চরম মিথ্যাবাদী হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী-১৯২১ : হাসান ও সহীহ)

উত্তম চরিত্র : হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিই সর্বোত্তম। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী : ১৯২৫, হাসান ও সহীহ)।

একজন মু'মিন ও মুসলিমের যে বৈশিষ্টগুলো থাকা দরকার তা বর্তমান নেই।সূরা মু'মিনুনের প্রথম সাত আয়াতে মু'মিনুনের বৈশিষ্টের কথা সংক্ষেপে বর্ননা করা হয়েছে।একজন মু'মিন সব সময় নিজের ও মানুষের কল্যানে ব্যাস্ত থাকবে।সওয়াবের জন্য ন্যায়সংগত কাজে সুফারিশ করবে।এ পরিবেশ তৈরি হলে সমাজে কোন অকল্যান আসতে পারে না।হজরত আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : তোমাদের মধ্যে কেউই মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ না সে তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন)।

হজরত আবু মূসা আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : এক মুমিন অন্য মুমিনের জন্য প্রাচীর স্বরূপ যার এক অংশ অন্য অংশকে শক্তি জোগায়। তিনি তার এক হাতের আঙুল অন্য হাতের আঙুলের ফাঁকে ঢুকিয়ে দেখান। (বুখারী ও মুসলিম)।

হজরত নুমান ইবনে বশীর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : পারস্পরিক ভালবাসা, দয়া-অনুগ্রহ ও মায়া-মমতার দৃষ্টিকোণ থেকে মুমিনগণ একটি দেহের সমতুল্য যার কোন অংশ অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তা অনুভব করে, সেটা জাগ্রত অবস্থায়ই হোক কিংবা জ্বরের অবস্থায় (অর্থাৎ সর্বাবস্থায়)। (বুখারী ও মুসলিম)।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার মুখের ও হাতের অনিষ্ট থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর মুহাজির সেই ব্যক্তি, যে আল্লাহর নিষিদ্ধ জিনিস পরিত্যাগ করে। (বুখারী ও মুসলিম)।

আজকের মুসলিমদের অবস্হান পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ইসলামের মৌলিক বিষয় গুলো অবর্তমান থাকা ও কুরআন ও সূন্নাহের অনুশীলন না করার কারনে সমাজ অস্হির হয়ে আছে। ভারত উপমহাদেশে ইবাদাতে শির্ক ও বিদাআত কানায় কানায় পূর্ন।মসজিদ ও মাদ্রাসা গুলোতে বিদাআতিদের অবস্হান বহুল হওয়ায় নিরক্ষর মানুষগুলো আরো পাপ পন্কিলে ডুবে যাচ্ছে। এ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য মুসলমানদের দলে বিভক্ত না থেকে এক দলে আসতে হবে। মানুষকে কোরআন ও সূন্নাহের তদৃছের মাধ্যমে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। এ না হলে মুসলিমরা হেরে যেতে বাধ্য। একজন মুসলিমের পথ হলো শতভাগ কোরআন ও সূন্নাহের পথ অবলম্বন করা,আংশিক কোন পথ নয় অথবা মানব রচিত সংবিধানের পথ অবলম্বন করাও নয়।আল্লাহর আনুগত্য ছেড়ে যদি মানুষের অনুগত্য করা হয় তখনি সমাজে বিপর্যয় আসে যার পরিনতি আমরা দেখতে পাচ্ছি পৃথিবী ব্যাপি। আসুন সবাই মিলে ইসলামকে বুঝতে চেষ্টা করি।কোন হত্মা নয় , অবিচার ব্যাবিচার নয়, হানাহানি নয়,একমাত্র ভ্রাতৃত্বের পথ অবলম্বন করার মাধ্যমেই জাতিকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব।

বিষয়: বিবিধ

১৩০৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

224204
২১ মে ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File