কিছু শোষক চুষে নিচ্ছে মধ্যবিত্তের রক্ত ..
লিখেছেন লিখেছেন চাটিগাঁ থেকে বাহার ২১ মে, ২০১৪, ০৪:৩৭:৪৪ বিকাল
কিছু শোষক চুষে নিচ্ছে মধ্যবিত্তের রক্ত
কিছুদিন আগে আমি দোকানে থাকাবস্থায় দুপুরের দিকে এক সুদর্শন যুবক আমার দোকানে প্রবেশ করলেন। এরপর জিজ্ঞেস করলেন স্যার লোন লাগবে ? আমি তাকে বসতে বলে জিজ্ঞেস করলাম কোত্থেকে এসেছেন।
সে বলল এই পাশেই আমাদের অফিস।
কিসের অফিস ?
আমরা লোন দেই ।
কি রকম লোন ?
প্রথম পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা দেব ৩ মাসের জন্য ।
ইন্টারেষ্ট কি রকম ।
৩৬% ।
যেমন?
৩ মাসের জন্য ২৫ হাজার টাকা লোন দেয়া হবে, সাথে ৯ হাজার টাকা যোগ করে প্রতিদিন সমান কিস্তিতে আসল সহ কিস্তি আদায় করা হবে ।
অর্থাৎ আজকে টাকা দিবে আর কালকে থেকেই নেয়া শুরু করবে আসল সুদ এক সাথে। এভাবে ভোক্তা ব্যবহারিত টাকার উপর সুদ হিসাব করলে ১৬০% এর চেয়ে বেশী পড়ে । একাউন্টস এর ছাত্র/ছাত্রীরা সঠিক হিসাব বের করতে পারবেন ।
এই যে এসব ব্যাঙ এর ছাতার মত গজিয়ে উঠা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলো এদের কোন সরকারী অনুমোদন নেই। এরা বিপদগ্রস্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে লোনের ফাদে আটকে চুষে চুষে শেষ করে দিচ্ছে।
একটি লোনের বিপরীতে জামানত, সার্ভিসচার্জ, রিস্কফান্ড, ষ্ট্যাম্প সহ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে একটি এমাউন্ট এরা কেটে রাখে। ক্ষুদ্র ও মাঝারীক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অনেকে বিপদে পড়েই এদের থেকে লোন নেয় । তাতে ওদের সমস্যা ক্ষনিকের জন্য সমাধান হলেও কিছুদিনের মধ্যেই টেনশন আরো বড় আকার হয়ে ধরা পড়ে।
এরা সাদা ষ্ট্যাম্পে দস্তখত, ছবি, খালি চেকে দস্তখত, গ্যারান্টিসহ বিভিন্ন ভাবে গ্রাহকদেরকে জিম্মি করে রাখে। দুঃখজনক হচ্ছে এরা নিজেদের আয়ের উপর সরকারকে পর্যাপ্ত ভ্যাট, টেক্স দেয়না।
আসল কথা হচ্ছে এরা যে সিস্টেমে জনগণের সাথে টাকার লেনদেন করে সেরকম লেনদেন করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমোদন তাদের কাছে নেই।
অথচ এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই । বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন কড়াকড়ির কারণে সিডিউল ব্যাংকগুলো থেকে ব্যবসায়ীরা ঠিক মত লোন পাচ্ছে না । এই সুযোগে অনেক বেসরকারী অর্থলগ্নীকারী প্রতিষ্ঠান টু-পাইস হাতিয়ে নিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট করে কোন অফিস/সাইনবোর্ড ছাড়াই এভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে । ওদের খপ্পরে পড়ে ফতুর হয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা ।
সকল বন্ধুরা যাতে এই শোষক শ্রেণী থেকে মুক্ত থাকতে পারেন এই কামনা করি ।
আর এই বিষয়ের দিকে আশু নজর দেয়া জরুরী মনে করি।
বিষয়: বিবিধ
১৫১৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
আর এই উচ্চসুদে মাইক্রো ক্রেডিট সিস্টেম আমাদের মধ্যেবিত্ত/নিন্মবিত্তদের নি:শেষ করে দিচ্ছে।
বিকল্প হিসেবে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক যারা দিচ্ছে তারা সহজে ব্যবসায়ীদেরকে লোন দিচ্ছে না ওদের মত । ফলে অনেকে বাধ্যহয়ে সুদী লেনদেনে জড়িয়ে পড়ে ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে প্লাসিত ধন্যবাদ । (~~)
আর এর মাধ্যমে শোষণ রুখবে কে?
এই লোপাটকারী নেতৃত্ব?!
Daridrota mukti paak.
দারিদ্রতা মুক্তি পাক....
মন্তব্য করতে লগইন করুন