আমার তিন ঘনিষ্ট বন্ধু।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ০৩ জুলাই, ২০১৪, ০৬:২৯:৫১ সন্ধ্যা
আমার তিন ঘনিষ্ট বন্ধু।
আলহামদুলিল্লাহ । আল্লাহর নিয়ামত দেহটা দিনে দিনে যেমন লক্কর জক্কর হয়ে যাচ্ছে তেমনি আমার কম্পিউটার , মোবাইল ও চশমা তারাও আমার মত লক্কর জক্কর হয়ে যাচ্ছে । আমার তাতে কোন আফসুস নেই ।কারন এখন আর আগের মত রকেটের বেগে চলার চিন্তা বাদ দিয়ে ঠেলাগাড়ির বেগে চলেও যদি জান্নাত পৌছা যায় তাতেই আলহামদুলিল্লাহ। আর জীর্ণসীর্ন দেহের দায়িত্ব দেহ মেকানিক আল্লাহর দায়িত্বে ছেড়ে দিয়েছি। কম্পিউটার , মোবাইল ও চশমা তাদের কে বেশি খারাপ অবস্থা হলে মাঝে মাঝে নিয়ে মেকানিক এর বাড়িতে নিয়ে ঘুরায়ে আনি।
কারন এরা আমার তিন ঘনিষ্ট বন্ধু।
কম্পিউটারঃ সে আমাকে পাসফোর্ট ভিসা ছাড়া সারা পৃথিবীর অনেক জ্ঞানীদের জ্ঞানের দরজা থেকে আরেক দরজায় অল্প সময়ে পঙ্গীরাজ ঘোড়ার পিঠে করে জ্ঞান আরোহনের জন্য ঘুরে নিয়ে বেড়ায় । আবার আমার মনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কথার মুক্তরদানা গুলো দিয়ে মালা বানিয়ে সবার হৃদয়ে নিয়ে পৌছায়ে দেয়। আমার দাওয়াতী কাজের সাথী । আমার অসুস্থ্যতার সঙ্গী।আমার ঘনিষ্ট বন্ধু। আমি তাকে অনেক ভালবাসি।এটা কেউ না বুঝলেও আমার স্বামী আর বন্ধুর মত প্রবাসী ছেলে ফয়সাল ভাল করে বুঝে।তাই তার চিকিতসাবাবদ সব খরচ ফয়সাল বহন করে।
মোবাইলঃ সে আমাকে যারা ভালবাসে নিঃস্বার্থে তাদের মেসেজ ও কথা আমার হৃদয়ের ক্ষত বিক্ষত স্থানে টাইগার বাম মলম লাগানোর মত কাজ করে। আমার প্রান প্রিয়দের কথা আমার মনে হলে তা আবার উনাদের কাছে পৌছে দেন । আমি মন ভুলা রোগী টা সে জ়ানে। তাই আমার বোনরা আমাকে আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য স্মরন করায়ে দিতে পারে তার মাধ্যমে।আমার যখন প্রবাসী সন্তানদের জন্য মন্টা কান্দে আল্লাহ তার মাধ্যমে আমার হৃদয় টা শীতল করে।
চশমাঃ সে আমার অনেক উপকারী বন্ধু।তার ঋন আমি কোন শোধ করতে পারব না।সে আমাকে বার স্মরন করিয়ে দেয় আখিরাতের জন্য প্রস্তুতির কথা।আমি তার কথা সব সময় মনে রাখি না। কিন্তু সে আমার কথা মনে রাখে সারাক্ষন।আমি বার্ধ্যকে আলিঙ্গন করতে না চাইলেও সে আমাকে তা স্মরন করিয়ে দেয়।তার সাহায্য ছাড়া কোণ কাজ় করতে গেলেই যখন আর আগের মত পারি না তখন সে আমার কান ধরে কোপালে ধাক্কা মেরে আমাকে কবরের ওআখিরাতের কথা স্মরন করিয়ে দেয়।আমি তখন সাথে নেওয়ার পাথেয় গোছানোর কথা স্মরন করতে থাকি।চশমার আয়না পরিস্কার করার সময় সে আমাকে বলে আগে আমার হৃদয়ের আয়নাটা পরিস্কার করে নিতে।তা হলে আমি নাকি আরো সুন্দর সব কিছু কে দেখতে ও চিন্তা করতে পারব।নিজের ভুল ত্রুটি তা হলে নিজেই বের করতে পারব।
একটা পরিষ্কার পোষাক পড়তে গেলে মনে হয় আমার অন্তরটা কি পরিস্কার আছে ।রমজান আমাদের পরিস্কার কাপড়ের চেয়েও পরিস্কার করার যে সওদা নিয়ে আসেছে তার মাধ্যমে কি আমরা পরিস্কার হতে পেরেছি।নাকি কয়লার মত সেই কালোই অন্তর রয়ে গেছে।কারন সাবান কাপড় চাপ করতে পারে কিন্তু কয়লা চাপ করতে পারে না।তেমনি রোজা তাওবাকারী অনুতপ্ত হলে তার গুনাহ মাফ করতে পারে কিন্তু নাস্তিক মুনাফিক অহংকারীর কালো হৃদয় কিভাবে পরিস্কার করবে?
আল্লাহ রমজান মাসের ৩০ টা রোজা রাখার ও আমোল গুলো করার মত ইমানী এলেমী ও আমোলী যোগ্যতা দান করুন. ।আপনাদের ও আমার প্রভুর কাছে সাহায্য চাও্য়ার সময় আপনারা আমার জন্য একটু সাহায্য চাইবেন তিনি যেন আমাকে সুস্থ্যতা ও রমজান মাসের নেক হায়াত দান করেন। আল্লাহ আমাদের সবার গুনাহ মাফ করুন ।আমিন সুম্মা আমিন ইয়া রাহমানুর রাহিম
বিষয়: বিবিধ
২৭০০ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বলেছেন উনি।
রমজান মুবারাক আমাদের জন্যও দোয়া করবেন।
সুস্থ রাখেন এবং দীর্ঘ জীবন দান করেন। আমিন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন