বর্তমানেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মা বোনেরা পিছিয়ে নেই , তার প্রমান দেখুন ।
লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১৩ জুন, ২০১৪, ০৪:১২:১৫ রাত
বর্তমানেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মা বোনেরা পিছিয়ে নেই , তার প্রমান দেখুন ।
আপনারা (পুরুষ/মহিলা) যারাই রেলগাড়িতে ভ্রমন করেছেন । সুভাগ্য ক্রমে যার সিট জানালার পাশে পড়েছে তিনি কি সুন্দর ভাবে হেলেদুলে একেবেকে যাও্য়া রেলগাড়িতে বসে মনের আনন্দে প্রকৃতি দেখছেন আবার হৃদয় শীতল করা আলো বাতাসও খাচ্ছেন । আর চোখ দুটি দেখোছে সমস্ত পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর্যকে উপভোগ করার আগেই চোখের পলক পড়ার আগেই নিমিষে চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে । আর প্ররথিবীর সব মনোরম দৃশ্যকে দেখতে না দেখতে পিছনে পেলে খুব দ্রুত সামনের লক্ষ্যস্থলের দিকে আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন।
আর বর্তমান ঠিকানা থেকে রওনা হয়ে আপনার লক্ষ্যস্থলে পৌছার আগেই হুইসাল দিয়ে আপনাকে আপনার সাথে নেওয়া তলপিতলপা গুছিয়ে রেডি হতে বলছে ।আর আস্তে আস্তে ধীরগতি হয়ে স্টেশনের যেখানে রেলগাড়িটা থামবে সেটাই হবে আপনার যাত্রার শেষ স্টেশন। কিন্তু আপনার চিরস্থায়ী নিবাসে বা বাড়িঘরে পৌছার জন্য যখন আপনি রওনা হবেন তখন সেটাই হবে আপনার প্রথম স্টেশন । কারন শেষ হয়েও আপনার পথ শেষ হয় নাই আবার যাত্রার শুরু হল সেখান থেকেই।
আমাদের জীবন টাও একই ভাবে রেলগাড়ির যাত্রীর মত দুনিয়ার মোহ আরাম আয়েশ সব কিছুর মাঝে দিয়ে চোখ ধাধানো পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর্যকে উপভোগ করতে না করতে চোখের পলক পড়ার আগেই নিমিষে চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছি । আর দুনিয়ার সব মনোরম দৃশ্যকে দেখতে না দেখতে আমার আয়ুকালকে পিছনে পেলে খুব দ্রুত সামনের লক্ষ্যস্থল আখিরাতের দিকে আমি এগিয়ে যাচ্ছি। মৃত্যুর আগেই বিভিন্ন বিপদ আপদ বালামসিবত এর মাধ্যমে যেই ইমানী পরীক্ষার হুইসাল পাবো । তখন যদি কোরানের আলোকে দ্বীন প্রতিষ্টার কাজ সহ আল্লাহর দেওয়া সকল বিধানের আলোকে নিজের সাথে নেওয়ার ব্যাগ এন্ড ব্যাগেজ সগ্রহ করে না নিতে পারি । তা হলে শেষ স্টেশন মৃত্যু আসার সাথে সাথে আখিরাতের অনন্ত জীবনের শুরু নিজের চিরস্থায়ী আবাস প্রথম স্টেশন কবরে গিয়ে ভয়াবহ অবস্থ্যা দেখে আমাদেরকে শুধু আফসোস করে কপালে চাপড়াতে হবে।
আপনি যদি আখিরাত বা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনকে বিশ্বাস করেন তা হলে এই কোরান কে ব্যক্তি পরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্টার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে । এটা শুধু পুরুষের কাজ নয় এটা সকল তাওহীদ রিসালাত ও আখিরাতে বিশ্বাসী মুমিন মুত্তাকিনের জন্য ।
আমার প্রান প্রিয় মা বোনরা , আপনারা কেন পিছিয়ে থাকবেন ?বাংলা দেশে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মা বোনেরা পিছিয়ে থাকা যাবে না।
আপনারা শুনে অভাক হবেন ।
আলহামদুলিল্লাহ আজ আল্লাহ আমাকে সন্মানিত মিহিলা আইনজীবিদের মাঝে কোরান কে তুলে ধরার সুযোগ দেওয়াতে আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই । আমি সেখানে সন্মানিত বোনদের কে হাজার হাজার বলিয়াম আইন এর বই এর আইন জানা থাকার সত্বেও আল্লাহর আইন এর একটা বলিয়ামে কি আছে তা জানার জন্য উনাদের হৃদয়ে ব্যাকুলতা দেখেছি। হাজার আসামী মুক্তি করে যেই আইনজীবী বোনেরা , সেই বোনেরাই আল্লাহর কাঠগড়ার থেকে নিজেদের জামিন পাবার জন্য ইসলামের মাঝে নিজেদের আনার জন্য কি পেরেশানী তা নিজ চোখে আমি দেখেছি। আলহামদুলিল্লাহ ।
ইনশাল্লাহ ইসলামের বিজয় আর খুব বেশি দূরে নয়। আল্লাহ শেষ রাতের পরেই যেমন সকালের সোনালী রোদ্দুর সূর্য এনে দেন ,তেমনি ইসলামের বিজয় এনে দিবেন ইনশাল্লাহ ।হে আল্লাহ দোয়া কবুলের সময় এই লিখাটা লিখছি কলমের জিহাদ হিসাবে তাই তুমি আমাকে ক্ষমা করে আমার লিখা গুলো ইসলামের বিজয়ের জন্য কবুল করে নিও । কারন ইসলামের বিজয়ে পুরুষ যখন হাতে নিয়েছিল তরবারী ।তখনি প্রেরনা উতসাহ বুদ্ধি ও ধৈর্য্যধারনের সাথে এগিয়ে যেতে পুরুষদের (বাবা /স্বামী /সন্তান ) সাজিয়ে দিয়েছে মুমিন মুত্তাকিন নারী। আর আল্লাহ তাদের জন্য যেই সিন্ধান্ত নিবেন সেই সিন্ধান্ত আল্লাহর তরফ থেকে আসা নিয়ামত হিসাবে হাসি মুখে মেনে নিতে হবে আমাদের সেই মুমিন মুত্তাকিন নারী হিসাবে। যেমন নিয়েছিলেন রাসুল সা; মনিলা সাহাবী গন। যুগে যুগে ও বর্তমানে আমাকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মা বোন পিছিয়ে নেই সেই সংগ্রামী বোন দের সাথে দুনিয়া ও আখিরাতে শামিল করে দিন ।
দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিবেদিত একটি পরিবারের নমুনা দেখুন।
বর্তমানেও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মা বোনেরা পিছিয়ে নেই , তার প্রমান দেখুন ।
যার উদাহরন মিশর আফগানিস্তান ফিলিস্তিন সহ অনেক দেশে আছে।
নীচের ছবিটিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন, তিনি সিনা আব্দুল জাওয়াদ।
মিশরের ইসলামিক ব্রাদারহুডের বিপ্লবী কারারুদ্ধ নেতা, ড.মুহাম্মাদ আল-বেলতাগীর স্ত্রী।
রাবেয়ার স্কয়ারের জান্নাতী তরুনী, শহীদ আসমা বিলতাগীর মা। সম্প্রতি তিনি আস-সারক চ্যানেলকে বলেছেন, আমরা বিজয়ের সুসংবাদ পাচ্ছি। সিসি বিচার থেকে বাঁচতে পারবে না। আজ কিংবা কাল। তার বিচার হবেই।
আমার স্বামী, ড. মুহাম্মাদ বিলতাগী প্রতিটি সাক্ষাতকারে বিজয়ের সুসংবাদ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, শত জুলুম ও নির্যাতন সত্বেও সত্য অবশ্যই বিজয়ী হবে। সিনা বলেন, সামরিক জান্তা সিসিকে প্রেসিডেন্ট পদে অধিষ্ঠিত করার মাধ্যমে সংগ্রামী-বিপ্লবী ভাই-বোনদেরকে দুর্বল করা যাবে না। ২১ টি মিথ্যা মামলা কাঁধে নিয়েও আমার স্বামী মোটেই ভীত নয়। বরং তাঁর মানসিকতা অত্যন্ত প্রখর।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Click this link
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন