দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ।সাড়ে তিন মাসে ১৫০০ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে দেশে।

লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৩:৩০:০৭ দুপুর



হত্যাকান্ডের শিকার মানুষ গুলো কি শেয়ার বাজার লুটপাট , সরকারী বেসরকারী ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট , বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও লুটপাটের ঘটনা কি এরা মিছিল করেছিল ?

গত ৭ বছরে ঘটা ৬টি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চুরি বা আত্মসাৎ। পুজিবাজার, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, বেসিক ব্যাংক ও ডেসটিনি কেলেঙ্কারীর সাথে সাম্প্রতিক যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হাজার কোটি টাকা চুরির ঘটনা।

------- এই সব বিষয় নিয়ে এই লাশ গুলো জীবিত থাকতে আন্দোলন করেনি। তার পর ও তাদের হত্যা করা হলো।

=========================

বাংলাদেশের রিজার্ভের অর্থ চুরি ।

কুইক রেন্টাল ডাকাতি। ডেসটিনির ডাকাতি ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডাকাতি।

পিলখানার বিডিআর সেনাহত্যা ।

৫ জানুয়ারির ভোট শুন্য নির্বাচন।

সারাদেশে নদী নালায় লাশ।

গণ হারে বেআইনি নিয়োগ।

ধর্ষণের সেঞ্চুরী।

গণহারে প্রশ্ন পত্র ফাস।

রানা প্লাজার গণহত্যার লুটপাট।

নারায়ণ গঞ্জের ৭+৪= ১১ জনকে হত্যা।

গুম হত্যা , আওয়ামী নারকীয় তান্ডব।

শাপলা চত্বরে অগণিত কোরানের হাফেজ হত্যা ।

জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক লুট ।

বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিতে লুট ।

রূপালী ব্যাংক লুট ।

অগ্রণী ব্যাংক লুট ।

মুন গ্রুপ লুট ।

বেসিক ব্যাংক লুট ।

ডেসটিনির লুট ।

ফারমার্স ব্যাংক লুট ।

হল-মার্ক গ্রুপের নামে লুট ।

শেয়ার বাজারে লুট ।

সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী গত সাড়ে তিন মাসে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রায় দেড় হাজার। চলতি মাসের ২০ দিনেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রায় সাড়ে ৩০০। তিন দফায় ইউপি নির্বাচনে প্রাণ হারিয়েছে ৪৫ জন সাধারণ মানুষ। আহত হয়েছে দুই হাজারের বেশি।

আসকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর দেশে ৮৬৫টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছে ১৫৩ জন আর আহত হয়েছে ছয় হাজার ৩১৮ জন। আসকের সর্বশেষ প্রতিবেদন মতে, গত তিন মাসে হত্যার শিকার হয়েছে ১৫২ শিশু। নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৭০ শিশু। ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১৪৬ নারী, ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে ১০ নারীকে। দুই ধর্ষিতা আত্মহত্যা করেছেন। এ সময় ২৮০টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনায় বিভিন্ন দলের ৩৫ কর্মী নিহত ও তিন হাজার ৮৭৮ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে গত দুই সপ্তাহে দেশে অপহরণ ও হত্যার ঘটনা বেড়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ১০ দিন আগে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া কলেজ ছাত্রের গুলিবিদ্ধ লাশ গত বুধবার পাওয়া গেছে চুয়াডাঙ্গায়। এর আগে একইভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার এক মাস পর কালীগঞ্জের দুই শিবির নেতাকর্মীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল যশোর থেকে। একইভাবে অপহরণ করা হয়েছে কালীগঞ্জের ঈশ্বরবা গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে ও শহীদ নূর আলী কলেজের ছাত্র সোহানুর রহমান, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন এবং নীলফামারী সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নূরে আলমকে। তারা এখনো নিখোঁজ।

‘ক্রসফায়ার’ ও হেফাজতে মৃত্যু : আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে, কিন্তু কোনো বাহিনী আটকের অভিযোগ স্বীকার করেনি। আর বিভিন্ন বাহিনীর ‘ক্রসফায়ার’ ও হেফাজতে মারা গেছে ১৯২ জন। এর মধ্যে ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছে ১৪৬ জন।

বিষয়: বিবিধ

৯৬৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

366847
২৩ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ইহা উন্নয়ন এর একটি বড় লক্ষন!
367122
২৬ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০১:১৭
কাঁচের বালি লিখেছেন : ডিজিটালের বালের উন্নয়ন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File