৬০০ ফুট নিচে আটকে পড়া জিয়াদের নামে নতুন রেশমা উদ্ধার ‘নাটক’
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০১:৪১:৫৩ দুপুর
খবর !!
৬০০ ফুট গভীর পাইপের নিচ থেকে বেরিয়ে আসবে ফুটফুটে সাড়ে ৩ বছর বয়সী জিয়াদ।
এটা আরেকটা রেশমা নাটক ।
লাইভ টেলিকাস্ট করা (লাইভ সম্প্রচার ) ছিল পরিকল্পিত নাটক।
যুক্তি চাই তাই না ?
সাড়ে ৩ থেকে ৪ বছরের একটি শিশুর কথা ৬০০ ফুট উপরে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে!
সেটা কি করে সম্ভব ? যুক্তি নিয়ে অনেকেই ভেবে নিয়েছে রেশমার চেয়ে বড় নাটকের শুরু।
একটি শিশু ৬০০ ফুট নিচে পড়লে অন্ধকারে যেখানে হাউমাউ করে কান্নার কথা সেখানে কিনা শিশুটি কান্না না করে রশি ধরতে পারছে না তা জানাচ্ছে। লাইভ টেলিকাস্ট করা লাইভ সম্প্রচার।
তাহলে জমে গেল ১০০ ভাগ নাটক। চলতেই থাকলো সারা রাত।
নাটক শুরু -
উদ্ধার হয়নি শিশুটি, শোনা যাচ্ছে কান্না
রাত ৯টার দিকেও শিশুটির আওয়াজ শোনা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, 'আমরা পৌনে ৯টার দিকেও শিশুটির কান্নার শব্দ শুনেছি। তার মানে সে এখনো বেঁচে আছে। তাকে খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। দমকল বাহিনীর কর্মীদের সঙ্গে সে কথাও বলেছে।' গর্তটি গত এক-দেড় বছর ধরে
পরিত্যক্ত ছিল।
তিনি বলেন, 'আপাতত তাকে রশি ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত সে চারবার রশিটি ধরেছে। তবে সে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে টেনে তোলা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত এভাবে কাজ না হলে পুরো পাইপসহ তুলে তাকে উদ্ধার করা হবে।'
http://shar.es/1HWVks
সাড়ে ৪টা থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রুদ্ধাশ্বাস অভিযানে প্রথমেই তাকে বাঁচানোর জন্য দেওয়া হয় অক্সিজেন। এরপর পাঠানো হয় কোমল পানীয়। পাইপের ভেতর রশি, বস্তা ও জাল পাঠিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের প্রাণান্তকর চেষ্টাও চলে। কয়েক দফা ছোট্ট শিশুর কোমল হাত রশিকে স্পর্শ করলেও তা শেষ পর্যন্ত শক্ত করে ধরে রাখতে পারেনি। আলো জ্বালিয়ে শিশুটিকে অভয় দেওয়ার চেষ্টা চলতে থাকে।
'আমি রশি ঠিকমতো ধরতে পারছি না'
http://shar.es/1HWV34
উদ্ধার অভিযানের প্রথম দিকে শিশুটি পাইপের ভেতর থেকে শুধু একটি কথা বলে। সে বলে, 'আমি রশি ঠিকমতো ধরতে পারছি না।'
উদ্ধার অভিযানে থাকা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, শুরুতেই তারা পাইপে কান পেতে শিশুটির চিৎকার শুনতে পান। ডাকেও সাড়া দেয় শিশুটি। এরপরই সর্বশক্তি নিয়ে উদ্ধারে তৎপর হন তারা। রশি নামানো হয় পাইপের ভেতর। শিশুটি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রশিটি ধরে ছিল।
তিনি বলেন, 'আপাতত তাকে রশি ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত সে চারবার রশিটি ধরেছে। তবে সে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে টেনে তোলা যাচ্ছে না। শেষ পর্যন্ত এভাবে কাজ না হলে পুরো পাইপসহ তুলে তাকে উদ্ধার করা হবে।'
এবার দেখা যাক অন্যরা কি বললেন -
শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া এনএসআই’র যুগ্ম-মহাপরিচালক আবু সাঈদ রায়হান।
তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা নামানোর পর একেবারে শেষ প্রান্তে তেলাপোকা, টিকটিকিও দেখা গেছে কিন্তু শিশুর কোনো শরীর দেখা যায়নি বা শরীরের মতো কিছু দেখা যায়নি। এটা সম্পূর্ণ গুজব’।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই।
শাহজাহানপুরে রেল কলোনিতে পাইপের মধ্যে শিশু পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ গুজব বলে নাটকের সাময়িক সমাপ্ত -
পাইপে থাকা শিশুটির খবর 'গুজব'
পাইপে থাকা শিশুটির খবর 'গুজব'
http://shar.es/1HWPRb
জুস খেয়েছে। উপর থেকে দড়ি ফেলার পর সে বলেছিল, ‘আমি ধরতে পারছি না’।
যদিও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মী মনির হোসেন রাত পৌনে ১২ টার দিকে জানিয়েছিলেন, শিশু জিহাদের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। জুস পাঠানোর পর জিহাদ বলেছিল সে একটুখানি জুস খেয়েছে। উপর থেকে দড়ি ফেলার পর সে বলেছিল, ‘আমি ধরতে পারছি না’।
জিহাদ বেঁচে আছে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মনির হোসেন জানান, রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি পাইপের ভেতর থেকে অস্বাভাবিক কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান জানান, ক্যামেরা নামিয়ে পাইপে শিশুটির কোনো সন্ধান তারা পাননি। তবে পাইপের তলায় জমে থাকা গার্বেজগুলো উঠিয়েও পরীক্ষা করা হবে। শতভাগ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে।
তবে ১৭ ইঞ্চি ব্যাসের ওই পাইপের ৬৭২ ফুট নিচে বোরহোল ক্যামেরা নামিয়ে ঘণ্টাখানেক তল্লাশি চালানোর পর শুক্রবার রাত পৌনে ৩ টার দিকে এ কথা জানান দায়িত্বরতরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা নিচে নামানো হয়েছিল সেখানে মানুষের কোনো অস্তিত্ব দেখা যায়নি। কিছু কীটপতঙ্গের ছবি দেখা গেছে। ক্যামরায় দেখে মনে হচ্ছে সেখানে কেউ নেই। তারপরও পাইপের নিচে যে আবর্জনা আছে সেগুলো তুলে আমরা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে দেখবো।
সারাদেশ মানুষের আবেগ কে নিয়ে নাটকের দৃশ্য চলতেছিল। তখন সেখানে বিএনপি কেন গাজীপুরে হরতাল দিল? কেন দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিল?
আসুন দেখি বিবেক এবং বিজ্ঞান কি বলে।
৬০০ ফুট গভীর পাইপের সাড়ে ৩ বছর বয়সী শিশু অক্সিজেনের অভাবে প্রথম ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই মারা যাবে।
কারন স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে, পানির পাম্পটি অনেকদিন পরিত্যক্ত ছিল। তাই বিষাক্ত গ্যাস থাকার সম্ভাবনা ১০০ ভাগ। এবং এই বিষাক্ত গ্যাসের বিষক্রিয়ার মৃত্যু প্রায় নিশ্চিত।
সবশেষে একটা কথা অনুমান করে বলতে পারি - পুরো নাটক চূড়ান্ত করতে হয়ত পূর্বেই মরে যাওয়া একটি শিশুর লাশ উদ্বার দেখানো হবে। কারণ নাটকের একটা সম্মান জনক (?) সমাপ্তি হবে না ?
গর্তে মানব অস্তিত্ব নেই ঘোষণার পরও নিষ্ফল অভিযান
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৪
http://shar.es/1HWLDH
রানাপ্লাজার ২ হাজারের বেশী মানুষের মৃত্যুকে নিয়ে ভয়াবহ নাটকের সুত্র হয়েছিল রেশমা নিয়ে।
রানাপ্লাজার ধ্বংসস্তুপ থেকে ১৭ দিন পর রেশমা উদ্ধার করা হয়েছে প্রচারিত হলো। উদ্ধারের পর রেশমাকে নিয়ে লুকোচুরি শেষ পর্যায়ে। বের হয়ে আসে থলের বিড়াল। ভয়াবহ ধ্বংসস্তুপ থেকে পরিপাটি কাপড় পরে যে রেশমাকে সরাসরি দেখা গেল , তখন সবার কাছে ধরা পরে রেশমা নাটক।
বিষয়: বিবিধ
২৭১০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
না হলে এত গভিরে থেকে কথা বলে কি কেরে?
পাইপ হওয়ার কারনে শুনা যেতে পারে অবশ্য। কিন্তু এত নিচে জিবিত থাকলেও মারাত্মক আহত হওয়ার কথা।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
তাই মঞ্চত্ব হয় এসব মেলোডি,
জীবন নিয়ে এই সব নাটক চলছেই,
মন্তব্য করতে লগইন করুন