ছোট মেয়ে হঠাৎ প্রশ্ন ‘মা হজের দিন সব টিভিতে এতো পূজা দেখায় কেন?’
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৪:৪৫:৫৪ রাত
শতকরা ৯২ ভাগ মুসলমানের এই দেশে পবিত্র হজের দিন পূজা নিয়ে মিডিয়াগুলোর এতো বাড়াবাড়ি প্রচারণার রহস্য কী?
হজের দিন মিডিয়ার এ কেমন আচরণ?
দেশে বর্তমানে অনেকগুলো স্যাটেলাইট চ্যানেল রয়েছে। এ চ্যানেলগুলো মূলত ‘দর্শক’ চাহিদা এবং দর্শকদের চিন্তা-চেতনা বিবেচনায় নিয়ে খবর-অনুষ্ঠান প্রচার করে থাকে। বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদকীয় নীতিমালায় নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি প্রাধান্য পেলেও খবর এবং অনুষ্ঠানাদিতে দর্শকদের প্রত্যাশাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয়। এ জন্য টকশো সরকারের অপছন্দ। কখন কিভাবে কোন খবর ও অনুষ্ঠান প্রচার করা উচিত-অনুচিত সে জন্য মিডিয়াকর্মীদের মধ্যে ‘সেলফ সেন্সরশীপ’ শব্দটি অতিপরিচিত।
এবারের হজের দিন দেশের হাজার হাজার মানুষ রোজা রেখে, নফল নামাজ আদায়সহ ইবাদত বন্দেগী করেছেন। হজ নিয়ে অধিকাংশ পত্রিকা সম্পাদকীয়, বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। অথচ স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলো অধিকাংশই হজের দিন শুক্রবার দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে খবর, বিশেষ অনুষ্ঠান, আলোচনা, টকশোগুলোতে পূজাকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। প্রতি ঘণ্টার খবর এবং নির্ধারিত খবরে পূজার সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার করেছে ব্যাপকভাবে। এমনকি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজার সচিত্র খবর প্রচার করে খবরের নির্ধারিত সময়ের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছে।
বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভারতে। আর নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র। এ দুই দেশের মিডিয়াগুলো পূজা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি ধরনের প্রচারণা করছে না। দুর্গাপূজা ভারতের বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব হওয়ায় কোলকাতার দু’তিনটি চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বাংলাদেশে ৯২% মুসলমানের বসবাসের পরও পবিত্র হজের দিন বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো ও রেডিও যেভাবে পূজাকে অনুষ্ঠান এবং খবরে প্রাধান্য দিয়েছে তা খুবই দৃষ্টিকটূ।
‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’ এ শ্লোগান দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, বিশিষ্টজন, সংবাদকর্মী, কবি-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিসেবী এবং প্রগতিশীলরা প্রচার করে থাকেন। কিন্তু ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে হজের দিন পূজাকে নিয়ে মিডিয়া এতো মাতামাতি করছে কেন? মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের টিভির কতভাগ দর্শকের হজের দিন আগ্রহ রয়েছে পূজা সংক্রান্ত খবরে।
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম স্তম্ভ হচ্ছে হজ। ক্যালেন্ডারের তারিখে শুক্রবার পড়ায় এবার হলো আকবরী হজ। হজের চেয়ে আকবরী হজের ফজিলত বেশি। জুমাবার হজের দিন মিনা আক্তার রোজা রেখেছিলেন। দুই সন্তান মায়ের সঙ্গে রোজা রাখেন। বিপত্তি ঘটে দুুপুরে। ৯/১০ বছর বয়সের ছোট মেয়ে হঠাৎ প্রশ্ন ‘মা হজের দিন সব টিভিতে এতো পূজা দেখায় কেন?’
লিখাটি একটি পত্রিকা থেকে নেয়া -
http://www.dailyinqilab.com/2014/10/05/210427.php#sthash.EBGgtCtD.dpuf
সকল ধর্মের প্রতি সম্মান রেখে বলছি -
বাংলাদেশের মিডিয়া কি তাহলে ভারতের চেয়ে বেশি হিন্দু প্রেমিক হয়ে গেছে ?
বিষয়: বিবিধ
২০০১ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হিন্দি সংস্কৃতি এতো বাজে প্রভাব ফেলেছে যার চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না ।
সন্ধে হলেই পরিবারের মেয়ে , মা সবাই বসে যায় স্টার জলসা , স্টার প্লাস নিয়ে !
হজ্জ কবে হচ্ছে এটা এখন বাংলাদেশের মানুষ না জানলেও এটা ঠিকই জানে স্টার জলসার "পাখির " কি হবে ?
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> ফুয়াদ পাশা লিখেছেন : উনি(লেখক) বলেছেন : বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ভারতে। আর নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র। এ দুই দেশের মিডিয়াগুলো পূজা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ি ধরনের প্রচারণা করছে না।তা হলে বাংলাদেশ কেন হজ্জ নিয়ে এত বাড়াবাড়ি ধরনের প্রচার করবে? কি বলেন সেলিম ভাই।
আপনার মনের ভিতর হিন্দুত্ববাদি জড়ো হয়েছে।
যেখানে ইন্ডিয়াতে আমাদের চ্যানেল দেখে না সেখানে মুসলমানের ঈদ বা কোরবানী দেখানোর তো প্রশ্নই উঠে না ।
বাংলাদেশের সেকুলারিজিম প্রেত্তারার মানুষগুলি কেবল হিন্দু ব অন্যান্ন ধর্মিয় অনুষ্টান নিয়ে বেশি বেশি বাড়াবাড়ি করে। অথচ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কথা বললেই ওদের কলিজাতে আঘাত লাগে ওমনি বলার শুরু করে রাজাকার বা অন্যান্ন কথা ।
আপনার নামটি দেখে তো মনে হচ্ছে মুসলিম সুতারাং মুসলিম হওয়ার চেষ্টা করুন প্লিচ
গনস্বাস্থের ট্রাষ্টি ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভালই বলেছেন, যারা মুক্তি যুদ্ধই করেনি, তারাই এর চেতনা নিয়ে বেশী লাফালাফি করে, যেমন প্রফেসর মুনতাসির মামুন, শাহরিয়ার করিররা।
মনে রাখবেন, যতযন হিন্দু মুক্তি যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছে, তার চেয়ে ২০গুন বেশি মুসলমানরা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল। তাদের কেউই আপনাদের মত চেতনা ব্যবসায়ী না.........
সকল ধর্মের , বর্ণের মানুষের অধিকার আদয়ের সংগ্রাম ছিল মুক্তি যুদ্ধ। পূজার অনুষ্টান প্রচার হবে , এখানে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু বেশি বাড়া বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। আচ্ছা ঈদের অনুষ্টান কি বাংলাদেশের পূজার মত ভারতের মিডিয়া প্রচার করে ? করে না। তাহলে ভারত কোন ধরনের পাকিস্তানি পেতাত্মা ও রাজাকার ?
ভাইজান , সমস্যা হচ্ছে অতি সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। আর মুক্তি যোদ্ধের কোথায় লিখা আছে শুধু ইসলামের বিরদ্ধে কথা বলতে পারবেন। সত্য বললেই কি তাহলে পাকিস্তানি পেতাত্মা ও রাজাকার ?
সকল ধর্মের , বর্ণের মানুষের অধিকার আদয়ের সংগ্রাম ছিল মুক্তি যুদ্ধ। পূজার অনুষ্টান প্রচার হবে , এখানে কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু বেশি বাড়া বাড়ি নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। আচ্ছা ঈদের অনুষ্টান কি বাংলাদেশের পূজার মত ভারতের মিডিয়া প্রচার করে ? করে না। তাহলে ভারত কোন ধরনের পাকিস্তানি পেতাত্মা ও রাজাকার ?
আপনার ব্লগে লেখাটি পড়ে একটি পয়েন্ট আনলাম -
ইন্ডিয়া/ইউরোপ/এ্যামেরিকায় মুসলিমরা মাইনোর, তারা মাইনোরের মতোই আচরণ করে সেখানে এবং সেসব দেশের টিভি/মিডিয়ারা সেরকম যুক্তিসঙ্গত আচরণই করে থাকে সেখানে, ইন্ডিয়ান মিডিয়ারা হজ্জ্ব আর দূর্গাপূজার মধ্যে অবশ্যই দূর্গা-কেই হাইলাইট করে, কেননা এটাই সেখানে ম্যাজরিটির বিষয়, কিন্তু বাংলাদেশে হজ্জ্ব আর দূর্গার মধ্যে কোনটার প্রচার বেশি হবে র্যাশোনালী? এটা কি নাবালক ছাড়া আর কাউকে বোঝানোর প্রয়োজন পড়ে?
কিন্তু অনেক অতি অন্ধ চেতনার মানুষগুলো সত্য বিষয় , যুক্তিযুক্ত ভাবে দেখে না।অনেক ধন্যবাদ
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7228
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
মন্তব্য করতে লগইন করুন