তুমি কি জানতে বাবা তোমায় কতটা ভালবাসতাম!

লিখেছেন লিখেছেন পটাশিয়াম নাইট্রেট ২৫ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫২:১৫ সকাল

আমার বাবা বেঁচে থাকা পর্যন্ত আমার যতবার জ্বর হয়েছিল তার অন্তত: ৫০ শতাংশ হয়েছে বাবার পিটুনি খেয়ে। আমার ছোট তিন বোনের সাথে আমার বাবার আচরণ আর আমার সাথে ঊনার আচরণ মেলাতে পারতাম না।অথচ হবার কথা ছিল উল্টোটা! আমি যে বাবার এক মাত্র ছেলে।

মার খেয়েছি কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং হাতের লেখার জন্য, দুপুরে না ঘুমানোর জন্য, পাখি মারার জন্য, শীতকালে গোসলে ফাঁকি দেবার জন্য, রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ না করার জন্য, মাথা না আঁচড়াবার জন্য, মাথায় তেল না দেবার জন্য! একটা আইডিয়া নিশ্চয় পেয়েছেন মানুষ কত কারণে মার খেতে পারে! ভাবছেন কি দিয়ে মারতো? এক কথায় সবকিছু। হাতের কাছে যখন যা পাওয়া যেত! কাঠের রুলার, বেত, ঝাঁটা কোন কিছুতেই ঊনার অরুচি ছিলনা। সাথে মৌখিক তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতো ছিলই। অপমানে মনে হতো আমার চাইতে অথর্ব বুঝি দুনিয়াতে আর কেউ নাই!

মার খেয়ে মেজাজ এমনিতেই হাইপার হয়ে থাকতো , এরপর যখন দেখতাম আমাকে মারার পরে ঊনি কাঁদছেন তখন আমার মেজাজ আরো বিগড়ে যেত! আমি সত্যিই ঐ কান্নার কোন অর্থ খুঁজে পেতাম না। যদিও আমি বুঝতাম ওটা অনেক ভেতর থেকে আসা কান্না। কিন্তু আমাকে মেরে যখন কাঁদতেই হবে তখন মারার দরকারটা কি? সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২০০১ সাল পর্যন্ত!

এত মারধরের পর এস এস সি'র রেজাল্ট খারাফ হবার উপায় ছিলনা। ৮০০র কাছাকাছি মার্কস নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করলাম। উচ্চ-মাধ্যমিকে চট্রগ্রাম শহরের প্রথম সারির কলেজে ভর্তি হতে হয়তো পারতাম। কিন্তু বাবা তার আর্থিক অসংগতির কথা বিবেচনা করে নিয়ে গেলেন নিজ কর্মক্ষেত্র রাঙ্গামাটি। বাবা ওখানকার একটা মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। আমাকে ভর্তি করিয়ে দিলেন রাঙ্গামাটি কলেজে। তখন ও মারধর-বকাবকি চলতো। রাতে চুপি-চুপি আবার আমার গায়ের কাঁথা ঠিক করে দিতে আসতেন, মশারি টানিয়ে দিতেন, অনেক সময় আলতো করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। আমি ঘুমের ভান করে পড়ে থাকতাম। একদিন অনেকক্ষণ আমার মাথায় হাত বুলাতে থাকলে আমি হাত সরিয়ে দিই এবং বলি কেন ঊনি আমার ঘুম ভাঙ্গাতে আসেন! জবাবে বাবা বল্লেন নিজের যখন ছেলে হবে তখন টের পাবি। ওটাকি আশীর্বাদ ছিল? হয়তো তাই! আমি এখন আড়াই বছরের এক ছেলের বাবা। হ্যাঁ কিছুটা টের ও পাচ্ছি মনে হয়! তবে বাবার মত অতটা হয়তো নয়!

যাক এর মধ্যে একদিন বাবার প্রচন্ড হার্ট আ্যাটাক হল। ঊনি অচেতন হয়ে পড়লেন। আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। মাত্র উচ্চ-মাধ্যমিক প্রথম বর্ষের ছাত্র। গ্রাম থেকে এই প্রথম শহরে এসেছি। রাঙ্গামাটি মেডিকেল থেকে ডাক্তাররা চট্রগ্রাম মেডিকেলে রেফার করলেন। বাবার কলিগদের সহায়তায় এম্বুল্যান্স ব্যাবস্হা হয়েছিল। সেই প্রথম আমার চট্রগ্রাম মেডিকেল যাওয়া। এর পর প্রায় ৫ বছরের জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল হয়ে উঠেছিল আমার ঘর-বাড়ি। অবস্হা এমন দাঁড়িয়েছিল যে অনেকেই আমাকে চট্রগ্রাম মেডিকেলের ষ্টাফ মনে করতো। আমি ও এই সুযোগে যখন তখন ঢুকতে পারতাম।

উল্লেখ্য এর মধ্যে বাবা আরো দুই বার হার্ট আ্যাটাক করেছেন এবং ঊনার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। আর আমি উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চট্রগ্রামের একটা কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছি। বাবার ক্যান্সার অপারেশন হলো চট্রগ্রাম মেডিকেলেই! এর পর চলতে থাকলে কেমো-থেরাপি। কিছুতেই কাজ হচ্ছিলোনা। আরো দুই বার সার্জারী হলো।। এত কিছুর পর ও ঊনি চাকুরী ছাড়ছিলেন না। একটু সুস্হ বোধ করলেই মেডিকেল থেকে চলে যেতেন রাঙ্গামাটি। গিয়ে আবার অসুস্হ হয়ে পড়তেন। সেখান থেকে আবার চট্রগ্রাম মেডিকেল। এভাবেই চললো ৫ বছর।

২০০১ সালের মাঝা-মাঝি বাবার শরীরের চুড়ান্ত অবনতি ঘটতে থাকলো। কেমোতে কাজ হচ্ছিলোনা! রেডিও-থেরাপী চলতে লাগলো। পায়ের পাতা থেকে উপরের দিকটা ক্রমশ ফুলে উঠতে থাকে। একদিন রেডিও থেরাপী দিতে গিয়ে টেকনেশিয়ান সম্ভবত রেডিও থেরাপী দেবার আর যায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেননা। ওখান থেকে সরাসরি ডাক্তারের চেম্বারে! ডাক্তার আমাকে ভেতরে ডেকে পাঠালেন। আমতা আমতা করে আমার পরিবারের অবস্হা জানতে চাইলেন। ততদিনে আমি জ্বলে-পুড়ে এমন হয়েছি যে মনে হতো পৃথিবীর কোন বিপদই আমাকে টলাতে পারবেনা। কোন সংবাদই খারাপ সংবাদ নয়। ডাক্তারকে বল্লাম, যা বলার ঊনি সরাসরি বলতে পারেন। ঊনি ও স্বাভাবিক হলেন। জানালেন আমার বাবা আর সর্বোচ্চ ১৯ দিন বাঁচবেন। আমি বললাম বাবাকে এমন কিছু ভিটামিন ঔষুধ লিখে দিতে যাতে ঊনি চিনতে না পারে। ডাক্তার দ্বিমত করলেন না। প্রেশক্রিপশন হাতে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হলাম। অপেক্ষমান বাবার চোখে চোখ পড়তেই হাসি দিলাম। বললাম, বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন না? ডাক্তার ২০ দিনের ঔষধ দিয়েছে ফুলাটা কমার জন্য। এরপর আবার রেডিও থেরাপী শুরু হবে। ঊনি সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালেন। কারণ ঊনার চিকিৎসার বিষয়ে ঊনি নিজেই ডাক্তারদের সাথে কথা বলতেন। তারপর ও কেমন যেন আশ্বস্ত হলেন। জীবনে প্রথমবার মনে হয় বাবাকে বোকা বানাতে পেরেছিলাম।

সেই রাত থেকেই বাবার শরীরের অবস্হার ভয়ানক অবনতি হতে লাগলো। রাতটা কোনমতে পার করে সকালেই বাড়ীর পথে রওয়ানা দেই।বাড়ীতে নেবার পর ঊনি ঠিকই বুঝে ফেলেছিলেন সবার আচরণে। বাড়িতে নেবার পর ১৯ দিনের মাথায় ঊনি ইন্তেকাল করেন। এই ১৯ দিন ঊনি বালিশে হেলান দিয়ে বসে ছিলেন।কথা বলতেন খুবই অস্পষ্ট স্বরে। ঊনার খুব কাছাকাছি থাকাতে আমি ঊনার ইশারা ও বুঝতে পারতাম। ক্যান্সারের কারনে উনার শরীরে পচন ধরে গিয়েছিল। আমি কোন গন্ধই পেতাম না।

ভয়ংকর ব্যথার জন্য দু-চোখের পাতা ঊনি এক করতে পারতেন না। আমার কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ালে ব্যাথা একটু কম হত, ঊনি একটু ঝিমিয়ে নিতে পারতেন। রাতে আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম আর ঊনি আমার কাঁধে অনেকটা ঝুলে থাকতেন। কিভাবে যেন আমি ও পারতাম। বাবা, তোমাকেতো বলাই হয়নি! তোমাকে নিয়ে রাতে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ সময়টাই আমার জীবনের সেরা সময়। ইস্‌ বাবা! আমি যদি অনন্তকাল তোমাকে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম!

বাবা তুমিতো ঐ সময়টাতে কথা বলতে পারতেনা ভালভাবে। তারপর ও একরাতে অন্ধকারে আমি যখন তোমার পাশে বসে ঝিমুচ্ছিলাম তুমি আামাকে ধাক্কা দিয়ে জাগালে। আমাকে বললে এটা যে তোমার শেষ সময় তা তুমি জান। আমাকে আমার করণীয় সম্পর্কে উপদেশ দিলে। এরপর দিলে আমার শৈশবের সেই প্রশ্নের উত্তর। কেন তুমি আমাকে এত মারতে, কেন তুমি আমার ব্যাপারের এত খুঁত-খুঁতে ছিলে। যেই মুহুর্তে আমি তোমার মুখ থেকে শুনলাম তুমি আসলেই আমার উপর খুব সন্তুষ্ট আমি কান্নায় কথা বলতে পারছিলামনা। বাবাকে ধরে কখনো আমার এভাবে কাঁদা হয়নি।

এর ৪/৫ দিন পরই বাবা চলে গেলেন। আমি একটু ও কাঁদিনি। বয়সে ছোট হলে কি হবে? বাবা যে এই মাত্র আমার উপর এক কঠিন দায়িত্ব দিয়ে গেলেন! দায়িত্বশীলদের কাঁদতে নেই।

বাবা, একদম শেষ দিকে আরেক রাতে তুমি আমাকে ধরে বলছিলে "আমি তোর জন্য দোয়া করে যাচ্ছি, তুই জীবনে কখনে ঠেকবিনা।" হ্যাঁ বাবা! লক্ষ-কোটি অযোগ্যতার মাঝে ও কি যেন একটা ম্যাজিকের টানে আমি এখান পর্যন্ত এসেছি। আমি হিসেব মেলাতে পারিনা।সেই দিন থেকে আল্লাহ্‌ ১ দিনের জন্যও আমাকে ঠেকাননি।

তুমি তো বলে গিয়েছো তুমি আমাকে অনেক ভালবাসতে। কিন্তু আমি তো বলতে পারিনি বাবা আমি তোমাকে কতটা ভালবাসতাম!

বিষয়: বিবিধ

২৭২৫ বার পঠিত, ৬২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

197465
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:২৪
রাইয়ান লিখেছেন : আপনার লেখাটি পড়তে পড়তে একসময় বুঝলাম আমি কাঁদছি। আপনার স্বাভাবিক কাঠিন্যের ভেতর যে গভীর আবেগের এক নদী বয়ে চলেছে , তা অনুভব করলাম নিবিড়ভাবে। বাবা শব্দটাই যে এমন , এ যেন পাথরের পাহাড় বেয়ে নেমে আসা এক কোমল ঝরনা। আর এত সুন্দর , এত বাস্তব করে আপনি আপনার বাবার ছবিটি এঁকেছেন , যা সহজেই অন্যের হৃদয়কে আপ্লুত করতে বাধ্য।

ধন্যবাদ , সুন্দর ও আবেগমাখা এই লেখাটির জন্য। আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। Praying
২৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৫
147732
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : রাইয়ান, আপনি ঠিক ধরেছেন। এই কঠীন আমির ভেতর এক দাপুটে আবেগের নদী বয়ে চলেছে। আমি তাতে বাঁধ দিয়ে রাখি। কখনো কখনো বাঁধ ভেন্গে গেলে বাচ্চাদের মত করে কাঁদি।
197470
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৬
দ্য স্লেভ লিখেছেন : মার খেয়েছি কাকের ঠ্যাং-বকের ঠ্যাং হাতের লেখার জন্য, দুপুরে না ঘুমানোর জন্য, পাখি মারার জন্য, শীত কালে গোসলে ফাঁকি দেবার জন্য, রাতে ঘুমানোর আগে ব্রাশ না করার জন্য, মাথা না আঁচড়াবার জন্য, মাথায় তেল না দেবার জন্য! একটা আইডিয়া নিশ্চয় পেয়েছেন মানুষ কত কারণে মার খেতে পারে! ভাবছেন কি দিয়ে মারতো? এক কথায় সবকিছু। হাতের কাছে যখন যা পাওয়া যেত! কাঠের রুলার, বেত, ঝাঁটা কোন কিছুতেই ঊনার অরুচি ছিলনা। সাথে মৌখিক তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যতো ছিলই। অপমানে মনে হতো আমার চাইতে অথর্ব বুঝি দুনিয়াতে আর কেউ নাই!

আমার হাতের লেখা ভাল ছিল,কিন্তু উল্লিখিত সকল বিষয়ে মাইর ছাড়াও আরও অনেক বিষয়ে খেয়েছি। আর আমার বাপ কখনই আমার সাথায় হাত বুলাননি এবং কৈফিয়ত ও দেননি Happy

লেখাটা পড়ে চোখে খানিক পানিও এসেছে যদিও আমি বেশ কঠিন
২৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
147735
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : দ্য স্লেভ! কঠিন মানুষরা ও কাঁদে। তবে বেশীর ভাগ সময়ই সেটা জৈষ্ঠের খরা রোদ্রই জৈষ্ঠের অশ্রু-শূণ্য রোদন" এর মত।
197471
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:৪৮
শারমিন হক লিখেছেন : ভালো লাগলো্।বাবা হচ্ছেন মাথার উপর ছায়ার মত।আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুণ।
২৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৮
147736
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : জ্বি শারমিন। বাবকে হারিয়েছি অকালেই। কি ভীষণ রকম অরক্ষিত হয়ে পড়েছিলাম সেসময়। আল্লাহর অসীম কৃপায় সামলে উঠতে পেরেছিলাম ভালভাবেই।
197473
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:০৩
শেখের পোলা লিখেছেন : অনেক কষ্টেই শেষ করলাম৷ বেশী কিছু বলতে পারবনা৷ ভাল থাকেন৷
২৫ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৯
147737
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন আর আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
197488
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৪২
মোহাম্মদ নূর উদ্দীন লিখেছেন : বাবারা সন্তানের ভাল চিন্তা করেই শাসন করেন । তবে এতটা কঠোরতা দিয়ে শাসন না করলেও হয় । ভেবে দেখুন, আপনি কিন্তু আপনার সন্তানের গায়ে একটি টোকাও দেননা !
আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতবাসী করুন । সেখানে গিয়ে বাবাকে বলতে পারবেন, দেখ বাবা এই যে আমি তোমার KNO3 এত মারতে আমাকে তারপরেও তোমাকে অনেক ভালবাসি । তোমার ভালোবাসা ও দোয়ার কাছে তোমার মারগুলো একেবারেই তুচ্ছ আজ ।
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:০৩
148051
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আমার বাবা যদি আমাকে ওভাবে শাষণ না করতেন আমি আজ যতদুর এসেছি অতদূর আসতে পারতাম না ।বাবা চাইতেন আমি ভাল অভ্যাসগুলু আমার ভেতরে প্রোত্থিত হোক। বেশি মার ইক্যুয়াল টু বেশি দোয়া।
197518
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত চোখের পানি আর ধরে রাখতে পারলামনা...আপনার বাবার জন্য দোয়া রইলো যেন রব তাকে জান্নাত দান করেন।
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০২
147740
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আমীন। আপনার বাবা যদি এখনো বেঁচে থাকে তবে এমনভাবে সেবা করুন যাতে পরে অতৃপ্তি না থাকে।
197527
২৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : পডে মনটা খারাপ হয়ে গেল , Sad
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
147741
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : লেখাটা লেখার সময় আমি যথারীতি আবেগ ঢালতে চাইনি। নিয়ন্ত্রণ করেছি। দোয়া করবেন।
197591
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০১:২৯
সুমাইয়া হাবীবা লিখেছেন : lekhata protijogita bivage transfer korun plz. babake nie keu puroskarer love lekhina amra..bt blchi e karone j tahole oneke lekhata porte parbe.R etai amdr babak shomman jananor ekrkm poddhoti. nahole onk lekhar vire lekhata harie jbe.
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৫
147742
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : সুমাইয়া, লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

বুঝলাম না! সঠিক গ্রুপ সিলেক্ট করার পর ও এটা বার-বার বিবিধ গ্রুপে চলে যাচ্ছে।
২৫ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৯
147751
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : বিষয়টা নজরে আনার জন্য ধন্যবাদ। এখন সঠিক গ্রুপে আছে।
197611
২৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
egypt12 লিখেছেন : আসলেই বাবারা এমনি হয়...তাদের শাসন আর মায়েদের আদর দিয়ে গড়া আমাদের সংসার...যদিও আমাদের বুঝতে অনেক দেরি হয়।
২৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৫:০৪
148052
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ঠিক বলেছেন, আমরা ঠিকই বুঝি তখন আসলেই অনেক দেরী হয়ে যায়। আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।
১০
198623
২৭ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:২৮
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আমার বাবাও এভাবে শাসন করতেন। তখন বিরক্ত হলেও পরে বুঝেছি এসব ছিল আমার কল্যাণের জন্যই।
ভালো লাগলো আপানার লেখাটি। +
২৭ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৬
148682
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ লোকমান ভাই।
১১
198802
২৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:০৩
আব্বাজান লিখেছেন : আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত লেখাটি শেষ করলাম।লেখাটি শেষ করার পর টের পেলাম অন্যদের মত আমি কাঁদছি। যা বুঝলাম আপনাদের বাবা ছেলের সপর্কে রয়েছে অন্যরকম এক গভীরতা যা গতানূতিক নয়। অসাধারণ এই লেখাটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম।
১২
198811
২৭ মার্চ ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১০
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : এমন দুষ্ট নিক কোথায় পেলেন? মুখে নিতে ও সমস্যা। লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি আসলেই ঠিক বলেছেন। বাবার সাথে আমার সম্পর্কটা ঠিক গতানুতিক নয়। তার গভীরতা আমি এখনো হাতড়ে বেড়াই।
১৩
199335
২৮ মার্চ ২০১৪ রাত ০৯:০৫
ইক্লিপ্স লিখেছেন : আমিও কাঁদলাম পোষ্ট পড়ে। মানুষকে বাঁচতে হলে কত কঠিন হতে হয়!

লেখাটা সত্যি অসাধারণ!
৩০ মার্চ ২০১৪ রাত ০১:০৯
149707
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : লেখাটি নয় আসলেই আমার গল্পটাই খুবই আবেগ তাড়িত, যদি ও এটা আমার সত্যিকার গল্পের অতি সামান্যই! কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৪
204979
০৯ এপ্রিল ২০১৪ দুপুর ১২:১০
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন : এখানে কি লিখবো Sad
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:১৭
154378
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : দোয়া করবেন।
১৫
205453
১০ এপ্রিল ২০১৪ রাত ০১:৩৮
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : বাবাকে নিয়ে টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো সুন্দর গল্প হয়ে উঠেছে। বেশ নষ্টলজিক। ভাল লাগলো। আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন Praying Good Luck
১১ এপ্রিল ২০১৪ সকাল ০৭:৫৪
154839
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আমীন। সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৬
236674
২০ জুন ২০১৪ রাত ০৪:৩১
রাইয়ান লিখেছেন : বিজয়ী আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন .....

২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৩
183475
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ রাইয়ান। ফুলগুলা একদম তাজা! আপনার বাগানের বুঝি?
১৭
236692
২০ জুন ২০১৪ সকাল ০৫:৫২
সূর্যের পাশে হারিকেন লিখেছেন :
‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍~~~~~~~~~~~~~~প্রথম~~~~~~~~~~~~~~

তুমি কি জানতে বাবা তোমায় কতটা ভালবাসতাম
~~~~~~~~~~ পটাশিয়াম নাইট্রেট ~~~~~~~~~~~~~~

~~~~~~~~~~~~~~অভিনন্দন~~~~~~~~~~~~~~
Rose Rose Rose Rose Good Luck Good Luck Rose Rose Rose Rose


২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৪
183476
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ। আজকের দিনটা খুব ভাল যাচ্ছিলনা। কিন্তু আপনারা আর খারাপ থাকতে দিলেন কোথায়?
১৮
236702
২০ জুন ২০১৪ সকাল ০৭:২১
লেখার আকাশ লিখেছেন : চোখের পানি আটকে রেখে পড়া শেষ করলাম। আমার একমাত্র ছেলেটিও অনেক শাষনের মধ্যে থাকে তাই তাকেও পড়ে শুনালাম। হয়ত সে কিছুটা হলেও বাবার ভালবাসা বুঝতে পারবে। বিজয়ির শুভেচ্ছা আপনাকে।
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৫
183477
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ আকাশ! আপনার ছেলেটার প্রতি দোয়া রইলো।
১৯
236732
২০ জুন ২০১৪ সকাল ১১:২৩
জোনাকি লিখেছেন : সত্যিই অসাধারন লেখা! মডু মামাদের চয়েস ভালো।
অভিনন্দন!
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৬
183478
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ জোনাকি! মডুদের আমি ঘুষ দিয়েছে। তাই বলে আবার মডুদের ঠিকানা চাইবেননা যেন!
২০
236792
২০ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৪৩
সুশীল লিখেছেন : জোনাকি লিখেছেন : সত্যিই অসাধারন লেখা! মডু মামাদের চয়েস ভালো।
অভিনন্দন!
২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:১২
183498
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আপনাকে ও ধন্যবাদ! জোনাকিকে আমি মিছা কথা কইছি। আমি আসলে মডুদের ঠিকানা জানিনা। ওকে বলবেন না কিন্তু!
২১
236796
২০ জুন ২০১৪ দুপুর ০২:৫৪
রঙের মানুষ লিখেছেন : আমার বাবাও অনেকটা এভাবেই চলে গিয়েছেন। লেখাটা পড়ে চোখে পানি চলে আসল।
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৭
183481
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ রঙের মানুষ। আপনার বাবাকে আল্লাহ্‌ জান্নাত নসীব করুন
২২
236840
২০ জুন ২০১৪ বিকাল ০৫:২৩
মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন লিখেছেন : লেখাটা পড়তে পড়তে কতবার যে চোখ মুছলাম বলতে পারব না। আফসোস হচ্ছে সময়ের অভাবে আমি লিখতে পারিনি বলে। আপনার অনেক ঘটনাই আমার সাথে মিলে যায়। আমার বাবাও ক্যান্সারে মারা গেছেন। আমারও বহু স্মৃতি আছে। যদি কখনো সময় পাই, আমার আব্বুকে নিয়ে লিখব ইনশাআল্লাহ।
আপনার বাবার জান্নাতের জন্য দোয়া করছি।
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৩৮
183483
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আপনার আব্বুকে নিয়ে অবশ্যই লিখবেন। ঊনার জন্য দোয়া করছি।
২৩
236882
২০ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
সন্ধাতারা লিখেছেন : Unbelievable!!! May Allah give jannatul ferdous to your baba. Congratulation.
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪১
183485
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : সন্ধ্যাতারা! এরকম অনেক বাবাদের গল্পই আমাদের অজানা থেকে যায়। ধন্যবাদ ব্লগ কতৃপক্ষ আমার প্রচন্ড আবেগের একটা বিষয় শেয়ার করার সূযোগ দেয়ার জন্য। আমি মুখের ভাষায় কারো সাথে শেয়ার করতে পারিনা। অর্ধেকেই দম আটকে যায়।
২৪
236895
২০ জুন ২০১৪ রাত ০৮:১৩
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : এবার এলাম অভিনন্দনের বারতা নিয়ে। Rose
২০ জুন ২০১৪ রাত ১০:৪১
183486
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ লোকমান ভাই। আপনার বাবার জন্য দোয়া রইলো।
২৫
236969
২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:০৫
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : সত্যিই ভাইয়া এতরাতে ব্লগ খুলে আপনার লিখাটা পড়াতে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আলহামদুলিল্লাহ।
বাবার কোন কিছুই আমার মনে নাই.....তবে আপনার লিখাটা পড়ে বুঝলাম বাবার দোয়া কেমন হতে পারে।
ইনশাআল্লাহ আপনি দুনিয়া আখিরাত কোথাও আটকাবেননা এই দোয়াই করি। আমিন।
অভিনন্দন আপনাকে।

২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:১৩
183500
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগলো।

আপনি বাবাকে খুব অল্প বয়সেই হারিয়েছেন বুঝি? ঊনার জন্য দোয়া করুন।

আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
২০ জুন ২০১৪ রাত ১১:৩৬
183515
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : হা ভাইয়া।
খুব ছোট বয়সে তাই কিছুই মনে নেই বাবাকে নিয়ে।
২৬
237140
২১ জুন ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬
মোঃ ওহিদুল ইসলাম লিখেছেন : ফলাফল প্রকাশের পর লেখাটি পড়লাম। আফসোস হচ্ছে এমন অসাধারণ লেখাটি প্রথমে মিস করেছিলাম। সত্যি অসাধারণ। আপনার বাবাকে আল্লাহ বেহেশতে নসীব করুন।
২৭
237258
২১ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৮
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ ওহিদুল ভাই, লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
২৮
237313
২১ জুন ২০১৪ রাত ০৯:৩৫
চিরবিদ্রোহী লিখেছেন : এক কথায় অসাধারন। প্রথম পুরস্কারটা নিঃসন্দেহে প্রাপ্য। আগে পড়তে পারিনি এজন্যে খুব আফসোস হচ্ছে।
যাই হোক, আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং আপনার বাবার জন্য মাগফিরাতের দুআ রইলো।
২২ জুন ২০১৪ রাত ১২:৫২
183847
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ।
২৯
237383
২২ জুন ২০১৪ রাত ০২:১৫
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : বাবা হচ্ছেন মাথার উপর ছায়ার মত।আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুণ।
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
184339
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : আমীন
৩০
237602
২২ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:১৩
লাল সবুজ লিখেছেন : আপনার লেখা জেতার উপযুক্ত ছিল। হয়েছে ও তাই,আল্লাহ আপনার বাবাকে জান্নাত দান করুক। ভালো লাগলো
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
184340
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যবাদ। দোয়া করবেন।
৩১
237746
২৩ জুন ২০১৪ রাত ০৩:২৭
শিকারিমন লিখেছেন : আপনার পিতার জন্য শুধু এতটুকুই কামনা , আল্লাহ যেন আপনার পিতাকে জান্নাত বাসী হওয়ার যোগ্যতা দান করুক।
বিজয়ী হওয়ার জন্য অনেক অভিনন্দন।
২৩ জুন ২০১৪ সকাল ০৮:২৯
184341
পটাশিয়াম নাইট্রেট লিখেছেন : ধন্যাবাদ।
৩২
251262
০৫ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:৩১
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ লিখেছেন : অনেক দিন পরে ব্লগে আসলাম বলেই হয়তো এতদিন পরে কমেন্ট। আবেগাপ্লুত হয়ে গেলাম। আপনার আব্বাকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান করুক আমীন।
৩৩
252215
০৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
দিশারি লিখেছেন : ভয়ংকর ব্যথার জন্য দু-চোখের পাতা ঊনি এক করতে পারতেন না। আমার কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ালে ব্যাথা একটু কম হত, ঊনি একটু ঝিমিয়ে নিতে পারতেন। রাতে আমি দাঁড়িয়ে থাকতাম আর ঊনি আমার কাঁধে অনেকটা ঝুলে থাকতেন। কিভাবে যেন আমি ও পারতাম। বাবা, তোমাকেতো বলাই হয়নি! তোমাকে নিয়ে রাতে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ সময়টাই আমার জীবনের সেরা সময়। ইস্‌ বাবা! আমি যদি অনন্তকাল তোমাকে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতাম...

ভাইয়া চেষ্টা করেও কান্না না করে পারলাম না।।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File