আগামী ১৪ নভেম্বর’ ২০১৫ ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন ও কিছু কথা............সাবধান!

লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ১২ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৭:৫৮ রাত

(নয়ন চ্যাটার্জি)



আগামী শনিবার (১৪ই নভেম্বর) বাংলাদেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ৩ কোটি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ বয়সি শিশুদের একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সিদের একটি লাল রঙের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে অভিভাবকদেরকে আহবান জানানো হয়েছে, তারা যেন শিশুদেরকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে নিয়ে আসে। (http://goo.gl/E8ki8m)

আসলে ফ্রি ভিটামিন এ ক্যাপসুলের নামে কি খাওয়ানো হচ্ছে, একজন গার্জিয়ানের উচিত তার শিশুকে সেটা ভেবে চিন্তে খাওয়ানো। কারণ এর আগেও ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় বাংলাদেশে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যু ঘটেছিলো। আসুন খবরগুলো দেখি----

১) গুরুদাসপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেয়ে শিশুর মৃত্যু (http://goo.gl/W3wnwE)

২) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খেয়ে ৩ শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে অসংখ্য (http://goo.gl/SG4Z0D)

৩) ভিটামিন ‘এ’ প্লাস খেয়ে শত শত শিশু অসুস্থতা

(http://goo.gl/MHYsHp)

ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো তৈরী করার সময় বিরাট দুর্নীতির খবরও প্রকাশ পায়:

১) ভিটামিন-এ ক্যাপসুলচাঞ্চল্যকর তথ্য (http://goo.gl/rnFAcf)

২) ভিটামিন ‘এ’ কেলেঙ্কারি শিশুদের ভিটামিন খাওয়ানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে

(https://goo.gl/V4EMAL)

মূলতঃ এসকল ফ্রি ক্যাপসুলগুলো সরবারহ করে বিভিন্ন বিদেশী এনজিওগুলো। প্রত্যেকক্ষেত্রে দাবি করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ এই ক্যাপসুলগুলো মান নিশ্চিত করে। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু’কেই বিশ্বাস করা যায় না। কারণ এ সংস্থাটি বিভিন্ন সম্রাজ্যবাদীদের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং ফ্রি ভিটামিন/ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পইন এর মাধ্যমে থার্ডওয়ার্ল্ড কান্ট্রি’র শিশুদের শরীরে নানা প্রকার ক্ষতিকর বস্তু ‘স্লো-পয়জন’ রূপে প্রবেশ করিয়ে দেয়। এতে ঐ শিশুটি পরবর্তীতে নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় পতিত হয়। এতে ভবিষ্যত প্রজন্ম উল্টো দেশের জন্য হয়ে উঠবে বোঝা স্বরূপ।

\\\\\......১৯৮৭ সালে মার্কিন হেলথ ফেডারেশনের এক কনফারেন্সে বক্তারা বলেছিলো, “আফ্রিকাকে এইডস দিয়ে ধ্বংস করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু’ই দায়ী। তাদের দাবি এইচআইচভি ভাইরাস ভাইরাস বিশেষজ্ঞ কর্তৃক (বানর থেকে পাওয়া) রূপান্তরিত হাইব্রিড ভাইরাস, যা সাব সাহারান আফ্রিকান দেশগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া হয়ছিলো ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আফ্রিকান দেশগুলোতে ১৯৭০ সালে গুটিবসন্ত ভ্যাকসিন ও ১৯৭৮ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত হিপাটাইটিস বি ভাকসিন কার্যক্রম পরিচালিত করে)।

দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে একটি রিপোর্ট---“বিশ্ব পোলিও নির্মূল কর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারি

ইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২দেশের ৭৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে। সেই সময় গবেষণায় রেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি স্টেটে দেখা যায়, ওই পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেন সহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহারে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।”....\\\\\\ (https://goo.gl/7t4iid)

আমার দৃষ্টিতে বাংলাদেশে এখন অবস্থা নেই যে, ৫-১০ টাকা মূল্যের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এনজিওগুলোর থেকে ফ্রি খাওয়াতে হবে। শারীরিক প্রয়োজন হলে সামান্য মূল্যের এ ক্যাপসুল মানুষ নিজেই কিনে খাওয়াতে পারে। আর ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদেরকে মা যদি ভিটামিন এ সমৃদ্ধ শাকসবজী খাওয়ায় (গাজর, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, লাল শাক, কচু শাক, হেলেনচা শাক, পুঁই শাক, পাট শাক, পালং শাক, শালগম ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে, এসব সবজী দিয়ে খিচুরী রান্না করা যেতে পারে) তবে বাইরে থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কোন প্রয়োজন থাকতে পারে না । শুধু শুধু বাইরে থেকে ফ্রি ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে দিয়ে আপনার প্রাণপ্রিয় শিশুটিকে রিস্কের মধ্যে ফেলে লাভ কি, বলুন ?

বিষয়: বিবিধ

১২৮৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

349466
১২ নভেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৩২
আবু জান্নাত লিখেছেন : ধর্মীয় জ্ঞান সম্পন্ন ডাক্তারদের এ ব্যপারে এগিয়ে আসা উচিত, তবেই আমরা সচেতন হতে পারবো।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File