হিন্দু ধর্মটা চিটিংবাজির ধর্ম এবং তারা এক নম্বর চিটার।
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ২৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৩৬:২২ সন্ধ্যা
(নয়ন চ্যাটার্জি)
ছি: ছি : ছি:... দূর্গা পূজার ছুটি নিয়ে হিন্দুদের চিটিংবাজি এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সেই চিটিংবাজি মেনে নেওয়া
এবারের দূর্গা পূজায় হিন্দুরা ছুটি নিয়ে চিটিংবাজি করেছে। তাদের ছুটি ছিলো শুক্রবার, কিন্তু তারা দাবি করেছে তাদের দশমী নাকি বৃহস্পতিবার (http://goo.gl/Hp7CLZ)। তাই তাদের দাবি মেনে সরকারও ছুটি বৃহস্পতিবার নিয়ে আসে। একটা দিন বসিয়ে রাখে পুরো বাংলাদেশকে, যেখানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২-৩% হচ্ছে হিন্দু, বাকি ৯৭% অহিন্দু।
হিন্দুরা বৃহস্পতিবার দশমী দাবি করে ছুটি নিলেও বৃহস্পতিবার কিন্তু তাদের মূর্তি বিসর্জন দেয়নি। দিয়েছে আজ শুক্রবার। অথচ মূর্তি বিসর্জন দিতে হয় দশমীতে, একাদশীতে নয়। তারমানে তারা দশমীতে মূর্তি বিসর্জনই দিয়েছে কিন্তু সরকার ও জনগণকে মিথ্যা বলে সারাদেশকে বসিয়ে রেখেছে। এত বড় মিথ্যা বলা কখনই কোন ভালো মানুষের লক্ষণ হতে পারে না।
তারা যে চিটিংবাজি করেছে, এর প্রমাণও খবরে এসেছে। দেখুন আজকে খবরে কি এসেছে- “বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুসরণ করে রামকৃষ্ণ মিশনে গতকাল (বৃহস্পতিবার) মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানবমী পূজা শুরু হয় ৬টা ৩০ মিনিটে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় দশমী পূজা আরম্ভ হবে। ৮টা ৫২ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হবে পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন। পরে প্রতিমা বিসর্জন এবং ভক্তরা শান্তিজল গ্রহণ করবেন। (সূত্র দৈনিক সংবাদ, লিঙ্ক: http://goo.gl/AsF4Mr)
দেখা যাচ্ছে, রামকৃষ্ণ মিশন অনুসারে বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে বৃহস্পতিবার ছিলো নবমী, শুক্রবার হলো দশমী। তবে কেন মিথ্যা বলে বৃহস্পতিবার ছুটি নেওয়া হলো ?? মানুষ এত নিচ হয় কিভাবে ???
হয়ত বলতে পারেন, বৃহস্পতিবার তো নবমী-দশমী একদিনে পড়েছে, এটা নিয়ে কি বলবেন ?
এর উত্তর হচ্ছে- গত বছরও ৩রা অক্টোবর নবমী-দশমী তিথী একদিনেই পড়েছিলো এবং ঐদিনই মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয়। কৈ ঐটা নিয়ে তো কেউ চিল্লা-চিল্লি করেনি। (http://goo.gl/HwGXq3)
আসলে এ কাজটা হিন্দুরা করেছে বিদ্বেষবশত। যেহেতু ঈদের দিনে মুসলিম দেশে মুসলিমরা ৩ দিন ছুটি পায়, তাই তারাও চেয়েছিলো পূজা উপলক্ষে ৩ দিন তারা পুরো দেশকে বসিয়ে রাখবে। কিন্তু সেটা পূর্ণ না হওয়ায় তারা একদিন ছুটি এগিয়ে বৃহস্পতিবার নিয়ে আসে, ফলে সারা দেশ ছুটি হয় ৩দিন (বৃহস্পতিবার-শনিবার), অপরদিকে হিন্দুদের ছুটি হয় ৪ দিন (বুধবারের নবমীতে ঐচ্ছিক ছুটিসহ)। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয় সপ্তাহজুড়ে।
সত্যিই বলতে, ধর্মীয় বিষয় নিয়ে সারাদেশের মানুষের সাথে চিটিৎবাজি বা মিথ্যাচার করা হিন্দুদের মোটেও উচিত হয়নি। এ নিকৃষ্ট মিথ্যা বলে হিন্দুরা এটাই প্রমাণ করলো- আসলেই তাদের ধর্মটা চিটিংবাজির ধর্ম এবং তারাও এক নম্বর চিটার। ছি: ছি:...
বিষয়: বিবিধ
১২৯৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যারা কিনা সব ধর্মের প্রধান উৎসবের দিনে সরকারী ছুটি ঘোষনা করে । যেটা সভ্যদেশ বলে বিবেচিত আমেরিকাতেও নেই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন