উপমহাদেশে আলেমদের বিভাজনঃ-
লিখেছেন লিখেছেন বিভীষিকা ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৩:৫০:০৪ দুপুর
( প্রথমে বলে রাখি এটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
তাই কারো মতের বিপক্ষে হলে একান্ত দুঃখিত…)
ইসলামের সোনালী অতীতে মুসলমানদের মাঝে বা আলেমদের মাঝে এতটা গ্রুপ ছিলনা।সবাই ছিল একতাবদ্ধ।পরস্পর ছিল পরস্পরের জন্য আয়না স্বরুপ।পরস্পর-পরস্পরের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দিত।কিন্তু যখনই তারা ভাগ হয়ে যায় তখন থেকেই তারা পৃথীবীর উপর থেকে নেতৃত্ব হারায়…
মুসলমানরা প্রথম ভাগ হয়ে পড়ে মাযহাবের মাধ্যমে (এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়)।
এজন্য কিন্তু মাযহাবের মহামতি ইমামরা কস্মিনকালের জন্যও দায়ী নয়।
বিশুদ্ধ কিতাব থেকে জানা যায় যে, মাযহাবের সৃষ্টি হয়েছে ৪৫০ হিজরীর প্রথম দিকে।তখন কিন্তু মাযহাবের চার ইমামের কেউ জীবিত ছিলেন না।
বাগদাদে হানাফি-শাফেয়ীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কথা কম-বেশী সবাই জানি।এমনকি মক্কা শরীফে মাযহাবের রেশ ধরে মুসলমানদের এক জামাত ভেঙ্গে চার জামাত হয়েছিল।এটা কি আদৌ কোন সুফল এনেছিল?
এবার আসি উপমহাদেশেঃ- উপমহাদেশে হানাফী মাজহাবের অনুসারী আলেম সবচেয়ে বেশী।
উপমহাদেশের হানাফীরা আবার প্রধান দুই ভাগে বিভক্তঃ-
১/ দেওবন্দ
২/ বেরলভী।
এই দুই দল আবার কয়েকভাগে বিভক্ত,যেমনঃ-কেউ জামায়াতে ইসলাম, কেউ হেফাজতে ইসলাম,কেউ তাবলীগ,কেউ চরমোনাই,কেউ সূফী, কেউ দরবারী,কেউ মাজার পূজারী,কেউ শিয়া,কেউ মালেকিয়া,কেউ কাদেরিয়া,কেউ চিশতিয়া,কেউ নক্সবন্দীয়া,কেউ ভান্ডারীয়া।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, এরা সবাই এক দল আরেক দলকে কাফের,পথভ্রষ্ট,ভ্রান্ত-আকীদা ইত্যাদি বলে থাকে।
আসলে কি এটার নামই ইসলাম?
যদি এটার নাম ইসলাম হয় তাহলে আল-কুরআনের এই আয়াত কাদের জন্য?
"নিশ্চয় যারা নিজেদের ধর্মকে কেটে টুকরো টুকরো করেছে এবং বিভিন্ন দলে-উপদলে ভাগ হয়ে গেছে,তাদের সাথে (হে রাসুল) আপনার কোন সম্পর্ক নেই"।(সূরা আল-আনআম - ৫৯)
اللهم اهدنا الطريق الصحيح الخير
বিষয়: বিবিধ
১৮৫১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
Sheikh Nasiruddin Albani says we should call ourselve salafi. My question is which Salafi, my counter question Do you know how many Salsfi are there? Are you Kutubi, Sururi, or Madkhali. I can name another Salafi.
“শায়খ নাসীরুদ্দিন আলবানী বলেন, আমাদের নিজেদেরকে সালাফী বলা উচিৎ। আমার প্রশ্ন হল, কোন্ সালাফী? আমার উল্টো প্রশ্ন, তুমি কি জানো, সালাফীদের কতগুলো গ্র“প আছে? তুমি কি “কুতুবী, সুরুরী না কি মাদখালী? আমি সালাফীদের আরও অনেক গ্র“পের নাম বলতে পারব।”
[[http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]]
“But even in Salafi there are various groups and if you go to U.K. Mashallah! Subhanallah! Allahu Akbar! There are so many groups. In U.K each group fighting against the other, calling the other Salafia kafir, Nauzubillah! . . . Which salafia do you belong to?
“সালাফীদের নিজেদের মধ্যেই অনেক গ্র“প রয়েছে। তুমি যদি যুক্তরাজ্যে যাও, মাশাআল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! আল্লাহু আকবার! সেখানে সালাফীদের অনেক গ্র“প। একদল আরেকদলকে কাফের বলে তাদের সাথে ফাইট করছে, নাউযুবিল্লাহ! সুতরাং তুমি কোন সালাফী?
[http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]
তোমরা যারা ধোঁকায় পড়ে আহলে হাদীস হয়েছো, তাদের সম্পর্কেও ডা. জাকির নায়েক খুব সুন্দর বলেছেন। ইউটিবে গিয়ে নিজ কানে শোনো।
ডাঃ জাকির নায়েক “ইউনিটি ইন দ্য মুসলিম উম্মাহ” শিরোনামের লেকচারে বলেছেন-
Ahle Hadith, which Ahle Hadith? In Bombay there are two Ahle Hadith, Jamiete Ahle Hadith, and Gurba Ahle Hadith. Which Ahle Hadith do you belong to? One Ahle Hadith is blaming the other Ahle Hadith.
“আহলে হাদীস! কোন আহলে হাদীস? বোম্বেতে আহলে হাদীসদের দু’টি দল রয়েছে, ১.জমিয়তে আহলে হাদীস ২.গুরবা আহলে হাদীস। তুমি কোন আহলে হাদীসের কোন গ্র“পের? এক আহলে হাদীস আরেক আহলে হাদীসকে দোষী সাব্যস্ত করছে”
তিনি আরও বলেছেন,
In the Ahle Hadith, I went to Kashmir, there are many groups of Ahle Hadith, I went to Kerala, Mujahidin - KNM, Kerala Nadvathul Mujahideen.
There, people don’t call themselves Ahle Hadith - Mujahideen. If you go to Saudi Arabia and say: I am Ahle hadith, what is this new Ahle hadith? Very few people of Saudis know who that Ahle Hadith. For them they know the Salafi. But Salafi and Ahle hadith belong to the same, groups or names are different. In some country Ansari, why?
“আহলে হাদীসদের মাঝেও অনেক গ্র“প রয়েছে। আমি কাশ্মীরে গিয়েছি, সেখানে আহলে হাদীসদের অনেক গ্র“প। আমি কেরালায় গিয়েছি, সেখানে তারা নিজেদেরকে আহলে হাদীস বলে না। তারা কেরালা নাদভাটুল মুজাহিদিন (কে.এন.এম) নামে পরিচিত। আপনি যদি সউদি যান সেখানে গিয়ে যদি বলেন, “আমি আহলে হাদীস, তারা বলবে, এ নতুন আহলে হাদীস আবার কারা? অধিকাংশ আরব জানে না যে, আহলে হাদীস কি? তারা সালাফী গ্র“পকে চেনে। যদিও সালাফী ও আহলে হাদীস একই দল, এদের নাম ভিন্ন। আবার দেখা যায়, একই দেশে এদের কোন গ্র“পের নাম আনসারী, এটি কেন?
[আহলে হাদীস ও সালাফীদের সম্পর্কে ডাঃ জাকির নায়েকের এ আলোচনাটি ইউটিউবে শিরোনামের পাওয়া যাবে- Dr. Zakir Naik talks about salafi_s _ AHL E HADITH http://www.youtube.com/watch?v=Szzn9lFg9n0]
http://www.facebook.com/photo.php?fbid=659319354098169...
ইয়েমেনে প্রসিদ্ধ ইয়েমেনের বিখ্যাত সালাফী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল হাদীস দাম্মাজ ইয়েমেন-এর পক্ষ থেকে উক্ত মারকাযের প্রধান মুফতী শাইখ ইয়াহইয়া ইবনে আলী আবু আবদুর রহমান আল-হাজুরী দলীল প্রমাণসহ বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে সুদীর্ঘ ফাতওয়া প্রকাশ করেছেন।
http://www.youtube.com/watch?v=YVZNoFH0u20
http://www.youtube.com/watch?v=x_SVg2Au2V8
http://www.youtube.com/watch?v=i69Lud7y5No
এছাড়া উক্ত ফতওয়া উর্দু অনুবাদ ইন্টারনেটে প্রকাশ করা হয়েছে।
http://www.deoband.net/.../2/1/0/4/2104435/drzakirnaik2.pdf
ড. জাকির নায়িক সম্পর্কে সালাফীদের বক্তব্য........
http://www.salafitalk.net/st/viewmessages.cfm?Forum=9&Topic=5611
http://www.salafitalk.net/st/viewmessages.cfm?Forum=9&Topic=2538
এই বহুমুখি ভাবের মধ্যে যেটার অভাব সেটা হইল সদ্ভাব!
এই সমস্যার সমাধান কিন্তু অতি সহজ। জামায়াত ইসলামি প্রতিষ্ঠার পর এতে যোগ দেয়ার দাওয়াত পেয়ে মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি মাওলানা মওদুদির সাথে দেখা করে অভিযোগ করেন যে এমনিতে মুসলিমদের মধ্যে গ্রুপের অভাব নাই তিনি সেখানে আরেকটা গ্রুপের সৃষ্টি করলেন। এর জবাবে মাওলানা মওদুদি যা বলেন েযে সবদল আছে সেগুলি তাদের প্রতিষ্ঠাতাদের ধারনা অনুযায়ি কাজ করছে। আর তিনি যে পথ চিন্তা করেছেন সে অনুযায়ি কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসলামের স্বার্থে সব দল যদি নিজনিজ দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ি কাজ করেন তাহলে উম্মাহ এর কল্যানই হবে। যদি একদল অপরদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার না চালায় এবং মুসলিম জাতির মধ্যে একদল আরেকদলের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি না ছড়ায় তা হলে বিভিন্ন দল থাকা সত্বেয় উম্মাহ এর ক্ষতি হওয়ার আশংকা নাই।
মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরি এই কথায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি নিজেও সারা জীবন যে যেখানে ইসলামের সামান্য খেদমত করেছে তাকে স্বিকৃতি দিয়ে গেছেন। চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদ এর ইমাম আবদুল আহাদ আল মাদানি কঠোর ভাবে একজন সালাফি পন্থি ছিলেন। কিন্তু তার সময় তার চরম বিরোধি সিরিকোট পন্থি রা জামে মসজিদে তাদের মাহফিল করত তিনি কখনই বাধা দেননি বা তাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হননি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন